নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই যে রাজনীতিবিদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে তাকে সহযোগিতা করেছেন। এটা তিনি সরকার কিংবা বিরোধী যে দলেই থাকুন। রাজনীতিবিদদের জন্য সহায়তার দরজা সবসময় তিনি খোলা রেখেছেন। সবসময় তিনি যতটুকু পেরেছেন সাহায্য করেছেন।
এই সহায়তা তিনি শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জামাত- ফ্রিডম পার্টি এবং স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্যই অসুস্থতার সময় সহায়তা করেছেন।
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অতীতে বিএনপির অনেক নেতাকেই সহায়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতি সম্প্রতি মারা গেছেন ন্যাপের সভাপতি মোজাফফর আহমেদ। তারও চিকিৎসার খরচ জুগিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা মীর শওকত আলীর জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন। বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকেও তিনি চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের অন্তত ১০জন নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন বলে বাংলা ইনসাইডারের কাছে তথ্য প্রমানাদি রয়েছে। এই সমস্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রধান কারণ রাজনৈতিক নয় বলেই প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছেন।
যখন একজন রাজনীতিবিদ সততার সঙ্গে রাজনীতি করেন। অসুস্থতার সময় যখন তিনি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসেন তখন তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপিপন্থী সংস্কৃতিবিদ হিসেবে পরিচিত আমজাদ হোসেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ারকেও প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। এছাড়াও কমিউনিস্টপন্থী এবং বামপন্থী অনেক নেতাদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর এই সহায়তার পিছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, বরং মানবিক কারণেই তিনি এই সহায়তা দেন।
সূত্রমতে, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলকে তিনি শক্তিশালী করেছেন। এই ত্রাণ তহবিল থেকে দুস্থ, গরিব লোকেরা যাতে আর্থিক এবং চিকিৎসা সহায়তা যেন পায় সেটা নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যে কেউ চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করলে সেটি যাচাই-বাছাই করা হয়। যদি দেখা যায় কেউ আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য, তাকেই সাধারণত সহায়তা দেওয়া হয়। সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হয় বলে জানা গেছে।
শুধু রাজনীতিবিদরাই নয়, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ যারা চিকিৎসার আর্থিক দায়ভার মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়েন, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা পেয়েছেন, এমন একজন বিএনপির নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘বিষয়টি রাজনৈতিক নন, মানবিক। চিকিৎসার অভাবে আমি প্রায় ধুকে ধুকে মরছিলাম। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একজন আসেন এবং আমার কাছ থেকে আবেদন নিয়ে যান। এই আবেদনের ভিত্তিতে চারদিনের মাথায় আমি অর্থ সহায়তা পেয়ে যাই।’
আমরা দেখেছি যে, এন্ড্রু কিশোরের অসুস্থতার খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন, তাকে অনুদানের চেক দিয়েছেন। এটাই হলো আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহত্ব এবং বিশেষত্ব।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা যেই হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের উন্নত চিকিৎসা করা দরকার- তখন তিনি নিঃসঙ্কোচে তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি খোঁজার প্রয়োজন নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।