ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের জ্বলে উঠার মঞ্চ আইসিসি টুর্নামেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ১২ জুন, ২০১৭


Thumbnail

চার, দুই, এক যাই হোক ব্যাটে-বলে সংযোগ হলেই করতালি আর সাবাস টাইগার সাবাস বলে গ্যালারিতে আনন্দ-উল্লাস। এভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ যোগায় ১৬ কোটি টাইগার সমর্থকরা। আর সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের এই সমর্থনের প্রতিদান খুব ভালোভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। যার বড় প্রমাণ ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে টিম টাইগার।

অথচ সেরা আটের জায়গা না হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের গত দুই আসরে খেলারই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কিন্ত এবার র‌্যাংকিংয়ের সেরা আট দলের এই টুর্নামেন্টে সেই বাংলাদেশ সেরা চার দলের একটি। সেমির ম্যাচটি দিচ্ছে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়ার হাতছানিও! তিন দশকের ওয়ানডে-যাত্রায় বড় কোনো শিরোপার এতটা কাছাকাছি এই প্রথম বাংলাদেশ। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ হলেও এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ফাইনালও খেলেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদ দিলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও সাফল্য আছে বাংলাদেশের। সেই সাফল্যের স্মৃতি রোমন্থন হোক এই আনন্দক্ষণে। 

আইসিসি ট্রফি-১৯৯৭
আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য, এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। `আইসিসি ট্রফি` নামের এ টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হতো শুধু সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে। ফাইনালে কেনিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ওই ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটযাত্রা বড় ধরনের গতি পায়। যার ধারাবাহিকতায় আসে টেস্ট স্ট্যাটাস এবং আজকের বাংলাদেশ  হয়ে ওঠা।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-১৯৯৯
তিনটি আসর পর বিশ্বকাপ আবারও ফিরে আসলো ইংল্যান্ডে। তবে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে মনে রাখে অন্য একটা কারণে। সেবারই যে প্রথম বিশ্বকাপের মত বড় আসরে অনশগ্রহন করে টাইগাররা।

প্রথম অংশগ্রহণে কিন্তু হতাশ করেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই খেলায় নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে তখনকার সতীর্থ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পায় প্রত্যাশিত জয়। আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ। মিনহাজুল আবেদীনের অপরাজিত ৬৮ রান বাংলাদেশের ইনিংসটি টেনে নেয় অতদূর। এরপর স্কটল্যান্ডকে ১৬৩ রানে অলআউট করে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথম জয়।

দ্বিতীয় জয়টি আরো বিখ্যাত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজিত পাকিস্তানকে যে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ! নিজেরা ৯ উইকেট ২২৩ রান তোলার পর পাকিস্তানকে ১৬১ রানে অলআউট করে ৬২ রানের সেই ঐতিহাসিক জয়। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেওয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০০৭
২০০৭ বিশ্বকাপে ক্রিকেটের বিস্ময় হয়ে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশার সুমনের দল। ভারতের ১৯১ রান তাড়া করার পথে তিনটি ফিফটি করেন তিন তরুণ। সে তিনজনই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় ভরসা- সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম।



গ্রুপের পর্বে ভারতের পাশাপাশি বারমুডাকে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় সুপার এইট পর্বে। এ পর্যায়ে বাংলাদেশ আবারও ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয়। শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস আর গ্রায়েম স্মিথদের দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যায় ৬৭ রানে। বাংলাদেশের ২৫১ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ১৮৪ রানে।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১
বিশ্বকাপ নিয়ে এবার অনেক আগে থেকেই আলোচনা শুরু হয়। লাহোরে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের উপর বোমা হামলার জের ধরে পাকিস্তান হারায় তাদের আয়োজক হওয়া যোগ্যতা। তাদের যে ১৪ টি ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল সেসব পরে ভাগাভাগি হয়ে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। মনোরম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠে বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা হয়ে আছে হতাশার এক ইতিহাস হয়ে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের দল। সমান ম্যাচ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও।



কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যথাক্রমে ৫৮ ও ৭৮ রানে অল আউট হওয়ার স্মৃতি। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শেষ আটে চলে যায় ক্যারিবিয়রা।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫
শুধু ঘরের মাটিতে নয়, ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ যে বিদেশের প্রতিকূল কন্ডিশনেও যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে তা প্রমাণের বড় মঞ্চ ছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল কিউইদের বিপক্ষে। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরিতে ম্যাচে বেশ ভালোমতোই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরে যেতে হয়। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি।



কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় মাশরাফির দল। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি আর শেষদিকে রুবেল হোসেনের পেসে ভর করে বাংলাদেশ জয় পায় ১৫ রানে, নিশ্চিত করে ফেলে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল। এ পর্যন্ত খেলা পাঁচ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। বাংলাদেশ যেভাবে খেলছিল, সেমিফাইনালও সম্ভব ছিল। কিন্তু কোয়ার্টারে ভারতের বিপক্ষে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষটা মনমতো না হলেও মাথা উঁচু করেই বিশ্বকাপ শেষ করেছিল মাশরাফির দল।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০১৭
এবারের আসরে বাংলাদেশ দল র‌্যাংকিংয়ের ছয় নম্বর দল হয়ে খেলতে নেমেছে ঠিকই; কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে যাবে- এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেনি। কিন্তু সেমিফাইনালে খেলাটা অসম্ভবও ছিল না। এই গ্রুপকে বলা হচ্ছিল `গ্রুপ অব ডেথ`।



এই গ্রুপ থেকে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েই সেমির পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। তবে বৃষ্টি নয়, বাংলাদেশ সেমিতে জায়গা করেছে নিজের কৃতিত্বেই। `এ` গ্রুপে ইংল্যান্ডের ৬ পয়েন্টের পর বাংলাদেশের পয়েন্ট। অজি আর কিউইদের অর্জন ছিল মোটে ২ আর ১ পয়েন্ট।

এই হচ্ছে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের ক্রিকেটের সাফল্যগাথা। আমরা পরাজয়ে মুষড়ে পড়ি না, তা থেকে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করি, ফিরে আসি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে।

আমরা কোটি সমর্থক বাংলাদেশের কাছে থেকে ভালো খেলাটা পেতে চাই। জয়টা আমাদের উপরি পাওনা। আর জয় কি সত্যিই কি আমাদের সমর্থনে ভাটা দেয়। বাংলাদেশ হারুক কিংবা জিতুক, এটা তো আমার বাংলাদেশ। জিতলে উল্লাসে ফেটে পড়ি আমরা। আর হেরে গেলে মন খারাপ হয়ে যায় আমাদের। কিন্তু তারপরেও আমরা টাইগারদের সাপোর্ট করা বন্ধ করি না, বরং আমরা পরাজয়ে ভুলে সামনে এগুবে টাইগাররা। কারণ এইটা তো আমার দেশ, আমার দেশের ছেলেরাই খেলছে। আর নিজের দেশকে না ভালবেসে কোথায় যাব আমারা। এ যে আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার প্রাণের বাংলা। ক্রিকেট-ফুটবল কিংবা অন্য যে কোন পর্যায়ে, যেখানেই বাংলাদেশ সেখানেই লাল-সবুজ পতাকা হাতে আমরা। খেলায় জয় যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি পরাজয়কেও মেনে নেওয়াটাও প্রকৃত সমর্থকের কাজ।


বাংলা ইন্সাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুশফিকের আউট নিয়ে বিতর্ক, স্ট্যাটাসে নিজেই লিখলেন ‘মাশা আল্লাহ’

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার ডিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। আর সেটি হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে।

গতকাল হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটিতে ছক্কা মেরেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এ নিয়ে ম্যাচটি বেশকিছু সময় বন্ধ ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি দুদলের খেলোয়াড়। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মুশফিক নিজেই।

শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিক। বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির সেই ক্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে মুশি লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনটি ইমোজি। মুশফিক আজ পোস্ট করার পর দ্রুতই তা অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার।

মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নামা আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মুশফিককে।

প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি।

এ সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার!

মুশফিকের ক্যাচ নিয়েই ভোঁ দৌড় দেন রনি। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশি। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।

রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।

অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। তারা যদি নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।


মুশফিকুর রহিম   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইনজুরি কাটিয়ে শীঘ্রই মাঠে ফিরছেন কোর্তোয়া

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের গোলবার সামলানোর দায়িত্বে একবারও দেখা যায়নি থিবো কোর্তোয়াকে। কারণ মৌসুম শুরুর পূর্বেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে লম্বা সময় পর আবারও মাঠে ফিরবেন বেলজিয়ান এই তারকা, এমনটাই জানিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

গত বছরের আগস্টে অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়েন কোর্তোয়া। পরবর্তীতে টেস্ট করানোর পর জানা যায় বাঁ হাঁটুর এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চিড় ধরা পড়ে। দীর্ঘ পুনর্বাসনের পর ওই চোট কাটিয়ে গত মাসে অনুশীলনে ফিরেছিলেন তিনি। তবে মাঠে ফেরার আগেই অনুশীলনে আবারও চোট পান। এমআরআই স্ক্যানে তার হাঁটুর মেনিসকাসে চিড় ধরা পড়লে আবারও ছিটকে যান।  

ফের চোট কাটিয়ে এবার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে কোর্তোয়ার। এই ব্যাপারে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, ‘সামনে আমাকে দল সাজানো নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে। দলে অনেক চোট সমস্যা আঘাত হেনেছে। কোর্তোয়া ভালো আছে। আগামী সপ্তাহে সে প্রস্তুত হয়ে উঠবে এবং কাদিসের (আগামী ৪ মে) বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারে। ’

বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোর্তোয়ার চোটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। তবে আন্দ্রে লুনিন তার অনুপুস্থিতি একদমই বুঝতে দেননি। তার নৈপুণ্যে লিগের শীর্ষস্থানের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।


বেলজিয়াম   কোর্তোয়া   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে আলবিসেলেস্তেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail এনজো ফার্নান্দেজ

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর। বাকি নেই দুই মাসও। তবে এমন সময়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার আগে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে। তবে এখন প্রশ্ন তিনি কোপার আগেই সেরে উঠতে পারবেন কি না! আর তাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তেদের।

অনেকদিন ধরেই এনজো কুঁচকির নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করছিলেন, যাকে স্পোর্টস হার্নিয়া বলে। কোপা আমেরিকার আগে সেই সমস্যা সারিয়ে তুলতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সার্জারি করতে পাঠায়। যাতে করে কোপা আমেরিকার আগে পূর্ণ ফিটনেসে ফিরতে তিনি পর্যাপ্ত সময় পান। অবশেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার হার্নিয়া সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।

যদিও চেলসির চাওয়া ছিল চলতি মৌসুম শেষেই এনজো ফার্নান্দেজ যেন চিকিৎসকের ছুরির নিচে যান। কিন্তু ঐ সময় সার্জারি করালে বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারকে ছাড়াই কোপা আমেরিকায় খেলতে হতো আলবিসেলেস্তেদের। যে কারণে চেলসির ম্যাচ উপেক্ষা করেই সার্জারি করাতে চান এনজো। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলও হয়েছেন।

এদিকে এনজোর সফল সার্জারি শেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিয়েছেন জীবনসঙ্গীনি ভ্যালেন্টিনা কার্ভান্তেস। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠো, ভালোবাসা।’

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, হার্নিয়ার সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্বজয়ী এই আর্জেন্টাইনের শারিরীক ফিটনেস ঠিক হতে মাসখানেক সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আসর শুরু হবে। যেখানে আলবিসেলেস্তেরা উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলবে কানাডার বিপক্ষে।


এঞ্জো ফার্নান্দেজ   আর্জেন্টিনা   খেলাধুলা   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন