নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
আগামীকাল যশোর সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের বিভিন্ন ইউনিটে মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামীকাল ১৬ নভেম্বর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০ টায় যশোর ঈদগাহ মাঠে সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলন উপলক্ষে সদর উপজেলা ৫৪৬ জন কাউন্সিলরদের নাম চুড়ান্ত হওয়ায় উৎসবের মাত্রা বেড়ে গেছে দ্বিগুন। সভাপতি পদে তিনজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রায় ১ যুগ পর অংগ ইউনিটগুলোতে সম্মেলন না হওয়ার কারণে যে রাজনৈতিক স্থবিরতা ছিল তা পুরোটাই কেটে গেছে বলে দাবি করছেন নেতারা। সদর উপজেলার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাবু মোহিত কুমার নাথ, মেহেদী হাসান মিন্টু, শেখ আবদুল মতলেব ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহারুল ইসলাম, আলীমুজ্জামান, মো. আবু তালেব। শীর্ষপদের দাবিদার নেতৃবৃন্দের দৌড়ঝাঁপের শেষ নেই। প্রায় প্রতিদিন অনেক নেতা ছুটছেন কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। কেউ ছুটছেন জেলার শীর্ষ নেতাদের কাছে। আবার অনেকে ছুটছেন ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রচার ও সমালোচনার ঝড়।
শহর আওয়ামী লীগের ২৫২ জন কাউন্সিলরদের নাম চুড়ান্ত। স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যের নাম আলোচনায় থাকলেও পরে তিনি প্রার্থী হননি। শহর আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, ফিরোজ খাঁন, মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইমাম হাসান লাল, মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা, আজাহার হোসেন স্বপন, লুৎফুল কবীর বিজু। দিন রাত শহর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ছুটছেন লক্ষ্য পূরণের জন্য।
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগে বাবু মোহিত কুমার নাথ সভাপতি ও মেহেদী হাসান মিন্টু সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হন। আর যশোর শহর আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনীতিক এ্যাড. আবুল হোসেন সভাপতি ও আশরাফ আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সম্মেলনের বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও প্রার্থী বাবু মোহিত কুমার নাথ বলেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা যা চাইবে তাই হবে। আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের সাথে আছি। আমি আগেও কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করতে চাই। সম্মেলনে নেতা কর্মীরা ভোট চাইছে।
সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের সাথে আছি, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আছি। দলের ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ কোনোদিনও করিনি বা করবোও না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন