নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯
হাইব্রিড, কাউয়া, মৌসুমী পাখি ও ফার্মের মুরগী ইত্যাদি যত বেশি বলা হয়েছে ততো বেশি তাদের সংখ্যা বেড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের চেয়ারে বসে গেছে এইসব বিশেষণধারীর দল। ত্যাগীরা পড়ে যাচ্ছে পেছনে। ব্যবসায়ী ও আমলারা চলে যাচ্ছে নেতৃত্বের সামনের সারিতে। এখন টাকা পয়সা ও পেশি শক্তির মালিক না হলে রাজনৈতিক মেধা যোগ্যতায় আর কেউ নেতা হতে পারছে না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করে আওয়ামী লীগ নেতা হতে পারছে না কিন্তু জামাত শিবির, বিএনপি ও ফ্রিডম পার্টি হতে এসে টাকার জোরে নেতা হয়ে যাচ্ছে অনেকেই। ধানের শীষে মনোনয়ন দিয়ে যে ব্যক্তি নৌকার বিরোধিতা করেছে সেই ব্যক্তিকেই পরবর্তীকালে দেখা যায় নৌকার মাঝি হয়ে যেতে। আর এতে বিব্রত ও বিভ্রান্ত হয় দুর্দিনে দলীয় ঝান্ডা উঁচিয়ে রাখার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
মাঠ পর্যায়ের বাস্তব চিত্রে বেরিয়ে এসেছে যে ২০০৯ হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিপুল পরিমাণ অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে এবং এদের একটি বড় অংশ বিএনপি-জামাত হতে এসেছে। এরা অর্থ, ক্ষমতা এবং নানা কুটকৌশলের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলোও দখল করে ফেলেছে।
উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোর মধ্যে অধিকাংশ পদই দখল করে আছে এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা। জানা গেছে এমন প্রেক্ষাপটেই আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগের উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় বা মহানগর পর্যায়ে কোনো কমিটিতে থাকতে গেলে তাকে অবশ্যই ২০০৯ সালের আগে থেকে আওয়ামী লীগে থাকতে হবে। কিন্তু আদৌ কি তা বাস্তবায়ন হবে?
ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় অনুপ্রবেশকারীদেরকে দেখা যায়না। যারা এসেছে তারা কি আওয়ামী লীগ করতে এসেছে না ক্ষমতালীগ করতে? ১৯৭৫ সাল হতে ১৯৯৫ সালে কি এমন অনুপ্রবেশকারী ছিল?
একটা ঘটনা বলতে হয়। সম্প্রতি ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানার অসহায় ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সভাপতি ও মিরেরসরাই থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এই মোতাহার হোসেন রানা। ৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আজকের প্রধানমন্ত্রী রানার ৫ মিনিট বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়ে সভামঞ্চে বসেই তার নাম, ঠিকানা ডায়রিতে টুকে নিয়েছিলেন। ১৬ নভেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিরেরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। উপস্থিত দর্শকের সারিতে চেয়ারে চরম উপেক্ষিত ও অসহায়ভাবে বসেছিলেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানা। কিন্ত সভামঞ্চে তারই হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধা অনেকে থাকলেও কেউ তার খবর নেয়নি৷ খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনাহূতভাবে বসে থেকেছিলেন তিনি।
১৯৯৩ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মোতাহার হোসেন রানা। দুর্ঘটনার সময়ও তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। মিরেরসরাইয়ে দুর্ঘটনার পর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তখনকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসক ছিলেন দেশসেরা নিউরো সার্জন রশিদউদ্দিন আহমেদ। তার সহকারী ছিলেন বিএসএমএমইউর বর্তমান ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া। রানার আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। সবাই তাঁর বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে গিয়েছিল। ১৯ দিন অচেতন থাকার পর জ্ঞান ফেরে তার। কিন্তু প্রাণে বেঁচে গেলেও মস্তিস্কে গুরুতর আঘাতের কারণে আর কখনোই পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। তারপর থেকেই চলছে তার জীবনযুদ্ধ। ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে নিয়ে তার পরিবারটিকে মানবেতর জীবন পাড় করতে হচ্ছিল।
কেন মোতাহার হোসেন রানারা দলে উপেক্ষিত হচ্ছে? কেন ক্ষমতার ঝাড়বাতিতে হারিয়ে যাচ্ছে তারা? এই রানারাই কি দলের কোষ নয়? তবে কেন এই কোষগুলো এমন অপুষ্ট হচ্ছে পুষ্টির অভাবে। মোতাহার হোসেন রানারা আজ নেতৃত্বের কারণে নয় অসহায়ত্বের কারনে সংবাদ পত্রের শিরোনাম হয়। দুর্দিনের ত্যাগীরা নয় নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের সম্মুখ সারিতে চলে আসছে ক্ষমতালীগের ভোগীরা। রানারা ত্যাগ করবে ও দলকে রক্ষা করবে আর ভোগীরা ভোগ করবে তবে কি এটাই রীতি হয়ে গেল? এই রীতিটা কী ভয়ংকর অশুভ রীতি নয়? আজ নেতৃত্বে চলে যাচ্ছে দুর্দিনে দলের শত্রু শিবিরে থাকা অনুপ্রবেশকারী, ব্যবসায়ী, আমলা ও দুর্বৃত্তরা। আজ দল ঠিক করতে শুদ্ধিকরণ অভিযান পরিচালনা করতে হয়। সরকার ঠিক করতে প্রয়োজন হয় দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের। কেন দলের সদস্যপদ দেয়ার সময় তার অতীত রাজনীতির বিবরণ নেয়া হচ্ছে না? এসব সদস্যপদ কোন যুক্তিতে দেয়া হল? কেন দিল ও কারা দিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবে কে? কেন সমস্যা সৃষ্টি করে সমাধানের চেষ্টা করা। সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের একটি উক্তি বলতেই হয়, পার্টি যখন আক্রান্ত তখন দরজাটা খুলে রেখো। কারণ যারা আসবেন কিছু পেতে নয়, নির্যাতন ও জেল, গুলি সহ্য করতে আসবেন। পার্টি যখন শাসনে আসে, কিছু দেয়ার ক্ষমতা রাখে, তখন দরজাতে পাহাড়া বসাও।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রোববার
(১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গত
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে বিএনপি।
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে
রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে
কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট
হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার
ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের
মানুষের অবস্থা খারাপ।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।
সংসদ
সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড়
নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম
এ জাহের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।