ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন প্রশ্নে বিভক্ত বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৮ এএম, ২১ জুন, ২০১৭


Thumbnail

নির্বাচন প্রশ্নে বিভক্তি দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখা প্রস্তুত করলেও, আরও বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে দলে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে মূলত ত্রিমাত্রিক দ্বন্ধ রয়েছে দলে। এগুলো হলো প্রথমত, যদি শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ওই নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না?

দ্বিতীয়ত, আদালতে দণ্ডিত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তাহলে দল নির্বাচনে যাবে কিনা? তৃতীয়ত, সহায়ক সরকার, রূপরেখা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপির এমন কোনো দাবিই যদি সরকার মেনে না নেয়, সেক্ষেত্রে তারা নির্বাচনে যাবে কি না?

জানা গেছে, এক কথায় যে কোনো পরিস্থিতিতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি বড় অংশ। সাবেক একাধিক সেনা কর্মকর্তাসহ এসব নেতাদের মতে, গত সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে দল যে ভুল করেছে, তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। এমনকি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি কোনো মামলায় দণ্ডিত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তবুও দলের উচিত হবে নির্বাচনে যাওয়া। শুধু তাই নয়, সহায়ক সরকার বা বিএনপির যে কোনো দাবিই যদি সরকার মেনে না নেয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া নেতৃত্বে দল নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবুও তারা নির্বাচনে যাবেন। সর্বোপরি শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকেও যদি নির্বাচন দেয় এবং তাতে দল যাই সিদ্ধান্ত নিক, তাদের নেতৃত্বে দলের বৃহৎ একটি অংশ নির্বাচনে যাবেই।

তবে সহায়ক সরকার ইস্যুতেই দলে বর্তমানে কথাবার্তা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি এক ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার এ সংক্রান্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সামনে এসেছে। যদিও এরই মধ্যে এই সরকারের রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে, তবুও আদৌ এই সহায়ক সরকারের প্রস্তাবে স্থির থাকা উচিত হবে কিনা এই নিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতবিরোধ প্রকট হচ্ছে।

সমালোচনা করে নেতারা বলছেন, নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রীকে ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে রূপরেখায়। অথচ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে হবে নির্বাচন। ওই সময় সংসদ কার্যকর থাকবে। তাহলে সংসদ নেতা হবেন কে? তাছাড়া রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে সংবিধানে বলা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে সংবিধানে কোনো কিছু বলা হয়নি।

সহায়ক সরকারের প্রস্তাবের বিরোধীতাকারীদের উত্থাপিত এমন বিষয়ের জবাব অবশ্য দিচ্ছেন স্বপক্ষে থাকা অন্য নেতারা। তারা বলছেন, সংবিধানে এ সংক্রান্ত বিধান নাই, তবে নজির আছে।

উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, ১৯৯১-৯৬ মেয়াদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদেশ সফরে গেলে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজনও করেছিলেন।

তবে এই যুক্তিকে যুঁতসই মনে করেন না রূপরেখার রিরুদ্ধে থাকা নেতারা। তাঁরা বলেন, নজির অনুসারে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে ছুটিতে যেতে পারেন। কিন্তু যেহেতু ওই সময় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় থাকতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তাই প্রধানমন্ত্রী ছুটিতে যেতে সম্মত হলেও প্রচার-প্রচারণার কারণে বিদেশে যাওয়া অসম্ভব।

তারা আরও বলছেন, রূপরেখা কী হবে, এটি দ্বিতীয় প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, এই পথে হাঁটাই উচিত হবে কিনা? অর্থ্যাৎ, সহায়ক সরকারের প্রস্তাবে থাকা ঠিক হবে কিনা? সহায়ক সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাম যাই দেওয়া হোক, তা অর্জন করতে গেলে আন্দোলন করতে হবে। তাই আগে নিশ্চিত হতে হবে, এই আন্দোলনে জেতার সক্ষমতা দলের আছে কিনা?

জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েও নিজেদের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারেনি বিএনপি, রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে দিয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচন করাতে পারেনি দলটি, বরং এর আগে ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি, এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনও ঠেকাবে ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে তারা, বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তির পরের দিন ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি শুরু করে টানা তিন মাসের আন্দোলন করেছিল বিএনপি। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। বরং দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের মানুষ হত্যা ও পেট্রোল বোমা হামলাসহ নানা কারণে মামলায় জড়াতে হয়েছে। সব মিলে এসব আন্দোলনে বরাবরই ব্যর্থ হয় বিএনপি। আর আমাদের দেশের মানুষের সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে যারা আন্দোলনে হেরে যায়, তাদেরকে ভোটেও হারায় ভোটাররা।

এসব যুক্তিতে তারা বলছেন, যে দাবিতেই হোক, আন্দোলনে যাবার আগে, নিশ্চিত হতে হবে আসলে এতে জেতার সামর্থ আমাদের আছে কিনা? অন্তত গত প্রায় এক যুগের ইতিহাস বলছে, এই সামর্থ আমাদের নেই এবং আমরা ক্ষমতার বাহিরে। এমনকি আমরা বিরোধী দলেও নেই।
বরং স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই দল ক্ষমতায় চলে যাবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।

এদিকে সহায়ক সরকারের বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে যাঁরা অবস্থান নিচ্ছেন, তাঁদের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অন্যরা। সহায়ক সরকারের পক্ষে থাকা এই নেতারা মনে করছেন, এটি সরকারের অপতৎপরতার একটি অংশ। সরকারই বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি অংশকে দিয়ে এই বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বদেশের বুকে সাহসীর ফেরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৭ মে, ১৯৮১ সাল। হঠাৎ করেই যেন দুলে উঠল বাংলাদেশ। জেগে উঠল ঘুমন্ত বাংলা। সামরিক শাসনের শিকলে বন্দী অযুত-নিযুত বাঙালী আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ সেদিন দেশে এসেছিলেন বঙ্গববন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি ছিলো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কান্না আবেগের একদিন। আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তার বিমানটি যখন বাংলার মাটি স্পর্শ করে তখন ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি মুখর এক বিকেলে শেখ হাসিনা এক বুক কান্না নিয়ে বাংলার মাটিতে পা স্পর্শ করেন। বাংলার মাটি স্পর্শ করে প্রথমেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর তিনি বলেন যে, 'আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই'। শেখ হাসিনার সেই দুঃখ, সেই কষ্ট, সেই আবেগ জড়ানো কান্না যেনো শুনেছিলো প্রকৃতি। সেদিনে প্রকৃতি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরেছিল ঢাকার আকাশ জুড়ে কিন্তু বৃষ্টি থামাতে পারেনি লাখো মানুষের বাঁধভাঙ্গা আবেগকে। লাখো মানুষ যেন বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে নিজেদের কান্নাকে উজাড় করে দিয়ে বরণ করতে এসেছিলো প্রিয় নেতা শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো এমনই এক আবেগঘন মূহুর্ত।

৭৫-এর ১৫ আগস্ট রাতে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান সহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হারানোর পরে দেশে আসতে পারেননি তিনি। সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তিনি যখন দেশের মাটিতে পা রাখলেন, প্রকৃতিও যেন কেঁদে উঠল হু হু করে। সেদিন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হলো। মুষলধারার বৃষ্টি। এমন বৃষ্টি যেন অনেক দিন কেউ দেখেনি। প্রকৃতি যেন নিজে উদ্যোগী হয়ে মুছে দিতে চাইল এ দেশের সব কলক্ক। ধুয়ে-মুছে পবিত্র এক বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাইল প্রকৃতি । 

১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তের ঘটনায় প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকা জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূব দৃশ্যের অবতারণ হয়। লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বর্তিকা, আলোকের ফেরিওয়ালা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আখাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠে। সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা নিষ্ঠা প্রজ্ঞা যোগ্যতা সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীলতা জাতি হসিবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন এক প্রতিকূল পরিবেশে যে সময়ে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বারবার বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলো শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর। তিনি যেনো না আসতে পারেন সে জন্য ছলচাতুরী কম করা হয় নি। কিন্তু ছলচাতুরী, বাঁধাবিপত্তি প্রতিক্ষা করে এমনকি জীবনের ঝুকি নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন শুধুমাত্র এ দেশের জনগণকে অর্গলমুক্ত করার জন্য। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য৷ 

আজ ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত থেকে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এদিন তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বিকালে সাড়ে ৪টায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে  তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে নামলে লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান।

সেই দিনে বিমানবন্দরে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

দেশে ফেরার পর দীর্ঘ ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি টানা চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনার পথ ছিলো কঠিন এবং দুর্গম। নানা ঘাত-প্রতিঘাত মধ্যে তাঁকে যেতে হয়েছে। সকল ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করেই তিনি আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছে।

তাঁর নেতৃত্বে জাতির পিতার খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত সেই দেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এতে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় নেতারা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ দিন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিনি যদি দেশে না ফিরতেন

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল। 

শেখ হাসিনা যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তখন তিনি ছিলেন রিক্ত নিঃস্ব। তিনি মা-বাবা, ভাই, ভাবি সবাইকে হারিয়েছিলেন। তাঁর পাশে ছিল শুধুমাত্র এদেশের জনগণ এবং সেই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই তিনি দেশে ফিরছিলেন। 

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন তখন এই দেশের অবস্থা কী ছিল? জিয়াউর রহমানের একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচারী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছিল। সেই সময় রাতে কারফিউ জারি করা হত, নির্বিচারে মানুষকে গ্রেপ্তার করা ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারাগারগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। প্রতিরাতে কারাগারে বিচারের নামে প্রহসন হত এবং আইনের শাসনের তোয়াক্কা না করে দণ্ডিত ব্যক্তিদেরকে ফাঁসির কাস্টে ঝোলানো হত। এভাবে মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে ফেরেন তখন গণতন্ত্র ছিল বন্দি, সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছিল, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সব আয়োজনই সম্পন্ন হয়েছিল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের এক দুর্দান্ত দাপট আমরা লক্ষ্য করেছিলাম পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ছিল এক অন্ধকার আচ্ছন্ন হতাশাগ্রস্থ বিবর্ণ দেশ।

এবার আমরা যদি কল্পনা করি যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলেন না তাহলে বাংলাদেশ কী হতো? বাংলাদেশ কী হত তা ১৯৭৫ থেকে ৮১ সালের সময়কালে যেভাবে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল সেই পথ রেখা বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এতদিন বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রটি থাকত কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ একনায়ক জিয়াউর রহমানের অনেক দোসররাই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার জন্য আলাপ আলোচনা শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টে দেওয়া নিয়েও আলাপ আলোচনা হচ্ছিল।

জিয়াউর রহমান শুধু স্বৈরশাসক ছিলেন না, তিনি নির্মম একজন ঘাতক ছিলেন। প্রতিপক্ষকে হত্যা করাই ছিল তাঁর রাজনীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে পরে এ দেশে বিনা বিচারে কত মানুষ মারা যেত তা হয়ত আমরা অনুমানও করতে পারিনা। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। বিচার পাওয়া, ভোটের অধিকার সবগুলোই কুক্ষিগত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা আসার কারণেই গণতন্ত্র এসেছে। মানুষ কথা বলার অধিকার পেয়েছে। 

জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরাই পরোক্ষভাবে দেশ চালাত। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে এতদিনে হয়ত রাজাকাররাই দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করত। বাংলাদেশে একটি রাজাকারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হত। খুনিদের পক্ষে বাংলাদেশ কনফেডারেশন করত। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কিছুই হত না। বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্রের একটি দুর্ভিক্ষ পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের করুণার পাত্র হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ হয়ত মৌলবাদের একটি চারণভূমি হত। আফগানিস্তান হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এই দেশ হয়ত একটি হতাশাগ্রস্ত দরিদ্র পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হত।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব সাঈদ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়   সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজের অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


অস্ট্রেলিয়া   এন্থনি এলবানিজ   বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ডিপ্লোমেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।

বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।

কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।

প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জো বাইডেন   ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন