নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে গত ১২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরফলে বেগম খালেদা জিয়ার আপাতত মুক্তির সম্ভাবনা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে বিএনপি যে একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল সেখান থেকেও বিএনপি সরে এসেছে। খালেদার মুক্তি নিয়ে বিএনপি এখন বড় কোন কর্মসূচীতে যাচ্ছে না বলেও দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে আজ বিকাল ৩ টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের বেশ কয়েকজন দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঐ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়নি। জানা গেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই সাক্ষাৎ হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার বোন ও ভাইসহ ৫ জন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
মূলত বেগম জিয়ার ‘প্যারোল’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করার জন্যই তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে চান বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শামীম ইস্কান্দার সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যাবেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এবং বিদেশে গিয়ে তিনি কোন বক্তৃতা বিবৃতি বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন না।
সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়াকে প্যারোলের আবেদনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়। বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলে আবেদনের জন্য অস্বীকৃতি জানান। তিনি দলের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেন যে আইনী প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করার জন্য। এরফলে প্যারোলের মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
এখন যখন আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা বিলম্বিত হয়েছে তখন আবার পরিবার বেগম খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করবে।
পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, আদালতের রায়ের আগে বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কোন অবস্থাতেই তিনি প্যারোল নিবেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখনও যদি বেগম জিয়া সেই অনড় অবস্থানে থাকেন যে তিনি প্যারোল নেবেন না। তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা আরো বাড়বে। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা চাইছে, যেকোন মূল্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসা। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আসলেই খারাপ এবং তাঁর উন্নততর চিকিৎসার দরকার।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দরকার এবং তাকে উন্নততর চিকিৎসা দেয়ার জন্য যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো এবং চিকিৎসার দরকার সেটার জন্য বেগম খালেদা জিয়া অনুমতি দিচ্ছে না।
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের বিশ্বাস করতে পারছে না এবং এইজন্য তিনি উন্নত চিকিৎসা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছে, বেগম খালেদা জিয়া যদি দীর্ঘদিন যাবত উন্নত চিকিৎসা থেকে দূরে থাকেন তাহলে স্থায়ীভাবে তিনি পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারেন।
এরকম বাস্তবতায় বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার কাছে নতুন করে প্যারোলের প্রস্তাব নিয়ে যেতে চাইছেন। বেগম জিয়াকে তারা বাস্তব পরিস্থিতি বোঝাতে চাইবেন। নতুন পরিস্থিতিতে ‘প্যারোল’ নেয়ার যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এখন কি প্যারোলে রাজী হবেন বেগম জিয়া?
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।