নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে সার্চ হওয়া বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া ১০ জন ব্যক্তি, ১০টি বিষয় এবং ১০টি শীর্ষ সংবাদের তালিকা প্রকাশ করেছে কয়েকদিন আগে। প্রতি বছরই সার্চ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বছর শেষে সার্চ ট্রেন্ড তালিকা প্রকাশ করে গুগল।
২০১৯ সালে গুগল সার্চে কোন তারকারা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল ও দেশ-বিদেশের কোন ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল, সেই তালিকা প্রকাশ করেছে গুগল ট্রেন্ডস।
যেসব ক্যাটাগরিতে সার্চ তালিকা:
এ বছর বাংলাদেশের সার্চ ট্রেন্ড বা সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চের এই তালিকা ‘সার্চেস’, ‘পিপল’ ও ‘নিউজ’- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
‘পিপল’ ক্যাটাগরিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। বাংলাদেশ থেকে যে ১০ জনকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে তারা হলেন- সাকিব আল হাসান,মো. নাঈম, আফিফ হোসেন, সারা আলী খান, সামজ ভাই, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, কেয়ানু রিভস, আরমান আলিফ, ডা. দীপু মনি।
সার্চ তালিকার সেরা বিষয়:
২০১৯ সালে গুগলে বাংলাদেশ থেকে সার্চ করা শীর্ষ ১০টি বিষয় হচ্ছে- বাংলাদেশ ভার্সেস ইন্ডিয়া, ক্রিকবাজ লাইভ স্কোর, এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯, আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৯, কোপা আমেরিকা ২০১৯, ৯ অ্যাপস, এইচএসসি রেজাল্ট ২০১৯, র্যাবিটহোলবিডি, এইচ৫গেমস, ইন্ডিয়া ভার্সেস সাউথ আফ্রিকা
‘নিউজ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে সার্চ করা শীর্ষ ১০টি খবর হচ্ছে- এডুকেশন বোর্ড রেজাল্ট, সাইক্লোন ফণী, সাইক্লোন বুলবুল, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডিসি জামালপুর, বাবরি মসজিদ, ডাকসু, কাশ্মীর, অ্যামাজন রেইনফরেস্ট, নেইমার ট্রান্সফার।
কোন এলাকায় কেমন?
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খানকে। এরপরই আছেন মোহাম্মদ নাইম ও আফিফ হোসাইন। চট্টগ্রাম থেকে তুলনামূলক বেশি সার্চ করা হয়েছে এই দুজন ক্রিকেটারের নাম। গুগল ট্রেন্ডসে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা শীর্ষ দশে সারা আলী খান আছেন চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে মোহাম্মদ নাইম ও আফিফ হোসাইন আছেন যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
এর আগের বছর ২০১৮ সালে সার্চের ওপর ভিত্তি করে গুগল ট্রেন্ডে প্রকাশিত ব্যক্তির তালিকায় পর্নো তারকা মিয়া খলিফার খোঁজে ঢাকার ঠিক পর এবং হালের বলিউড তারকা সানি লিওনের খোঁজে খুলনার ঠিক পরেই ছিল চট্টগ্রাম বিভাগ।
তালিকার এক নম্বর নাম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে সিলেট থেকে। তালিকায় সপ্তমে থাকা আরেক ক্রিকেটার কুষ্টিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মিঠুনের নামও বেশি সার্চ করা হয়েছে ওই সিলেট থেকে।
অন্যদিকে রাজশাহী থেকে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে ইউটিউবে গান গেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা দুই শিল্পীকে। এরা হলেন সামজ ভাই ও আরমান আলিফ। গুগলের শীর্ষ দশে তাদের অবস্থান যথাক্রমে পঞ্চম ও নবম।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ক্রিকেটার মুশফিকুর রহমানকে বেশি খোঁজা হয়েছে বরিশাল থেকে। এর মধ্যে গুগলের শীর্ষ দশে দীপু মনির অবস্থান দশমে। আর মুশফিকুর রহমান আছেন ছয় নম্বরে।
সেরা দশের তালিকায় হলিউড অভিনেতা কিয়ানু রিভসকে সবচেয়ে বেশি খুঁজেছে ঢাকাবাসী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।