ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফুটবল পায়ে যুদ্ধ করেছিল যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ যা করেছেন, তার কোন তুলনা হয় না। কেউ কলম তুলে নিয়েছেন। কেউ গান গেয়েছেন। কেউ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন। তবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ফুটবলাররা। হাতে বন্দুক নিয়ে নয়, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গড়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়েছিলেন এ দেশের ফুটবলাররা।

যখন পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের তাণ্ডবে পুরো দেশ তছনছ হয়ে পড়ে, মানুষ ছুটতে থাকেন বনপোড়া হরিণীর মতো, সেই বেসামাল পরিস্থিতিতে শরণার্থী হয়ে বিদেশের মাটিতে একটি ফুটবল দল গড়ে তুলে বাংলার দামাল ছেলেরা খেলে গেছে ১৬ টি ফুটবল ম্যাচ!

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত ও তহবিল গড়ে তোলার জন্য ভারতের মাটিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল যা করেছে, তা ব্যতিক্রমধর্মী ও অবিশ্বাস্য। যখন পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের তাণ্ডবে পুরো দেশ তছনছ হয়ে পড়ে, মানুষ ছুটতে থাকেন বনপোড়া হরিণীর মতো, সেই বেসামাল পরিস্থিতিতে শরণার্থী হয়ে বিদেশের মাটিতে একটি ফুটবল দল গড়ে তুলে বিভিন্ন স্থানে ম্যাচ খেলাটা মোটেও সহজ ছিল না।

স্বীকৃতিহীন একটি ছন্নছাড়া দেশের পক্ষে চাইলেও কোনো ফুটবল ম্যাচ খেলা সম্ভব ছিল না। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ফুটবলার ও ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান প্যাটেল, ফুটবলার আলী ইমাম, আওয়ামী লীগের নেতা মো. সামছুল হক এমএনএ, লুৎফর রহমান প্রমুখ।

প্রাথমিকভাবে ভারতে শরনার্থী হিসেবে অবস্থানরত বাংলাদেশের ফুটবলারদের নিয়ে দল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অল ইন্ডিয়া রেডিও ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলারদের ট্রায়ালের জন্য কলকাতায় শরণার্থী শিবিরের আসার আহ্বান জানায়। অবশেষে ২৫ জন খেলোয়াড়কে ভারত সফরের আগে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের জন্য মনোনীত করেন।

ক্যাম্পের পর অল্প কয়েকজন দলে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাধর কাজী সালাহউদ্দিন। সালাহউদ্দিন তখন মুক্তিযুদ্ধের জন্য গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কলকাতার একজন চিত্র সাংবাদিক তাকে ফুটবল দলের ক্যাম্পেইনের কথা জানান।

তিনি তখন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নিয়মিত খেলতেন এবং পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন। সালাহউদ্দিন অবিলম্বে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি প্লেনে করে কলকাতায় দলের সঙ্গে যোগ দেন। এভাবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জন্ম।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল নদীয়া জেলা একাদশ। ম্যাচটি ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় কৃষ্ণনগরে। কোনো দেশের মুক্তিসংগ্রামে ফুটবল খেলা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, সেদিনের আগে দেখা যায়নি। ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশ দল ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত বাজানোর অনুরোধ জানায়।

বাংলাদেশ যেহেতু স্বীকৃত দেশ নয়, এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে শেষ অবধি বাংলাদেশ দল ও দর্শকদের দাবির মুখে তারা সম্মতি দেয়। আর এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব নেন নদীয়ার জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষ। সে দিনটি ঐতিহাসিক এক দিন। স্বাধীন দেশ না হয়েও ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বাজানো হয় জাতীয় সংগীত।

এই দিন মেহেরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ম্যাচ উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে আসে। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। স্বাধীন বাংলা দলের হয়ে প্রথম গোল করেন শাহজাহান। এ ঘটনা যুদ্ধরত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে।

বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় নদিয়াকে ভারতীয় ফুটবল এসোসিয়েশন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। দ্বিতীয় ম্যাচটি কলকাতায় আয়োজিত হওয়ায় বিপুলভাবে সাড়া পড়ে। তবে আগের ম্যাচের বিতর্কের কারণে মোহন বাগান নাম পাল্টে গোষ্ঠ পাল (গোষ্ঠ পাল ছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার) একাদশের ব্যানারে খেলতে রাজি হয়।

এ ম্যাচকে কেন্দ্র করে পত্রপত্রিকায় ব্যাপক কভারেজ দেওয়া হয়। গোষ্ঠপাল একাদশের অধিনায়ক ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক চুনী গোস্বামী। ম্যাচে প্রধান অতিথি ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার গোষ্ঠপাল। এরপর ভারতের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল খেলায় অংশ নেয়।

মুম্বাই সফরটিও বেশ আলোচিত হয়। মুম্বাই দলের হয়ে খেলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদি। উপস্থিত ছিলেন বলিউড কাঁপানো অভিনেতারা। ড্যাশিং ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পতৌদি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব পালন করেন এবং ‘স্পোর্টস উইকের’ হয়ে একমাত্র গোলটি করেন।

ম্যাচটি বাংলাদেশ ৩-১ গোলে জয়লাভ করে। পরে পতৌদি, মুম্বাই গভর্নর এবং বলিউড তারকা দিলীপ কুমার বাংলাদেশের ত্রাণ তহবিলে বিপুল অর্থ দান করে। ম্যাচের টিকেট বিক্রি করে ১৮০০ মার্কিন ডলার সংগ্রহ হয়েছিল এবং সেটিও তহবিলে জমা করা হয়।

বাংলাদেশ তাদের সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছিল পশ্চিবঙ্গ বালুরঘাট একাদশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের গেরিলা ক্যাম্পটিও ছিল বালুরঘাটে। খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়রা গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এরপর বাংলাদেশ একাদশ

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিল । ততদিনে ভারতে ১৬ টি প্রীতি ম্যাচ খেলে তারা মুক্তি তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছে, যা তখনকার দিনে অনেক। যার ১২টিতে জয়, ৩টিতে ড্র এবং একটিতে হেরেছে। দিল্লিতে তহবিল সংগ্রহের জন্য যখন খেলতে যাওয়ার কথা, এমন সময় তারা বহুল প্রতীক্ষিত সংবাদটি পেল- বাংলাদেশ পাকিস্তানের রোষানলমুক্ত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।

সব যুদ্ধ যে শেষ, এবার বাড়ি ফেরার পালা। স্বাধীন মায়ের কোলে মুক্ত সন্তানদের ফেরার পালা। দেশেও সবাই উদগ্রীব হয়ে রয়েছে তাদের প্রতীক্ষায় । বাংলাদেশে সবাই তাদের বরণ করে নিল মুক্তির বার্তাবাহক, বিপ্লবের মুখবন্ধ হিসেবে।

সেদিন নিশ্চয় ফুটবল ঈশ্বর খুব আনন্দ পেয়েছিলেন আর মিটিমিটি হেসেছিলেন এই বিপ্লবী দামাল ফুটবল সন্তানদের দেখে, আর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল? তারা কেউ নিযুক্ত হন জাতীয় আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের গৌরব বাড়াতে। কেউ বা নিজেকে সঁপে দেন বাংলাদেশ প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রাখলেন সিকান্দার রাজা

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।


সিকান্দার রেজা   জিম্বাবুয়ে   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন