নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
এমন অনেক তারকাই আছেন যাদের বই নিত্যসঙ্গী। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত বইয়ের পাতায় চোখ থাকে তাদের। এমনই কয়েকজন তারকার কাছ থেকে জানা হলো সর্বশেষ কি বই ভালো লাগলো তাদের:
শম্পা রেজা
জিয়া হায়দার রহমানের ‘ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটি উপন্যাস সর্বশেষ আমার বেশ লেগেছে। ২০১৪ সালে প্রকাশ হয়েছে বইটি। বিশ্বজুড়ে সারা জাগানো বই। নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউ ইয়র্কার বিশদ আলোচনা ছেপেছে বইটির। কারও কারও মতে, তাঁর এ উপন্যাস একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ক্ল্যাসিক। জিয়া হায়দার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর বালক বয়সে তিনি পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে।এ উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্রই অভিবাসী। কিন্তু তাদের একজন অভিবাসী হলেও তার কোনো অস্বস্তি নেই। এখানেই দুজনের মধ্যে পার্থক্য। একজনের নাগালে আছে বিশ্বের সবকিছু। আরেকজনের কাছে পৃথিবীর কোনো কিছুই নেই। উপন্যাসে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অনেক কিছুই উঠে এসেছে। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ২০০৮ সাল। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ব্রিটেন ও আমেরিকার বিস্তৃত পটভূমিতে বিন্যস্ত হয়েছে কাহিনি। অভিবাসী জীবনের যন্ত্রণা, হতাশা, পাশ্চাত্যের সবজান্তা মানসিকতা, পাশ্চাত্য শিক্ষার অন্তঃসারশূন্যতা, জঙ্গিবাদ থেকে শুরু করে ওয়াল স্ট্রিটের জীবন-মরণ প্রতিযোগিতা সবকিছুই প্রতিফলিত হয়েছে উপন্যাসে। উপন্যাসে এসেছে সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের বিভিন্ন ঘটনা। সেই সময়ে অনাবাসী বাংলাদেশীদের জীবনচিত্র।এই বইটার আবেদন আসলে শেষ হবে না। কারণ বিশ্বজুড়ে অভিবাসীও তো শেষ হবে না।
এছাড়া নমিতা দেবিদয়ালের ‘দ্যা সিক্সথ স্ট্রিং অব বিলায়েত খান’ বইটিও গত বছর পড়া বেশ ভালো লাগা বই। বিলায়েত খানের বায়োগ্রাফিক্যাল। তবে আমি বরাবরই জীবনানন্দের ফ্যান।
মাকসুদ
আমার ইংরেজি বইই পড়া হয় বেশি। এর মধ্যে সর্বশেষ যে বইগুলো পড়েছি তার মধ্যে শশী থারুরের নন-ফিকশন `হোয়াই আই অ্যাম অ্যা হিন্দু` বইটির কথা বলা যায়। বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় আমি কেন হিন্দু? ভারতের কংগ্রেস নেতা এবং লেখক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার শশী থারুর। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে খুব ভাসা ভাসা ধারণা ছিল আমার। অল্প কথায় খুব বিস্তারিতভাবে হিন্দু ধর্মের অনেককিছু তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের অনেকগুলো ভুল ধারণা আছে। সেই ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে এই বইটা পড়া বেশ জরুরি। এখানে হিন্দু ধর্মের অনেক বড় বড় মনীষির নাম ও তাদের কর্মের কথা এসেছে। তাদের মূল ভাবটা ও চিন্তা ধারা কি ছিল আর এখনকার যে বিজেপি তাদের চিন্তাধারার যে কতটা অমিল সেটাও ফুটে উঠেছে। এখানে যেমন হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে তেমনি এখনকার কট্টর হিন্দুদেরও তুলে ধরা হয়েছে। এই যে এনআরসি বা মুসলমান বিদ্বেষী হতে হবে এটা কেন তা খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বইটিতে।
তারিক আনাম খান
আমার নাটকের বইই বেশি পড়া হয়। কারও নাটকের বই বের হয়েছে শুনলে সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। এ বছর মুনির চৌধুরী নাটক সমগ্রটা আবার পড়লাম। যেটা খুব মনে লেগে আছে। এটার তো দুটি পার্ট। দেখা যায় অনেকদিন পর পর এটা পড়া শুরু করি। গত বছর যত বই পড়েছি। এটা আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে বলবো। সমকাল, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাণ ও মিথাশ্রয়ী জীবনভাবনা তাঁকে করেছে অসাম্প্রদায়িক, উদারমান বিক ও বস্তুবাদী শিল্পস্রষ্টা।তীব্র মননের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো সূক্ষ্ম রসবোধ, যা তাঁর সাহিত্যকর্মকে করেছে প্রাণবন্ত এবং ভিন্নমাত্রিক।তার নাটকগুলো আসলে এখনো যখন পড়ি, মনে হয় কিছু শিখি। কিছু শিখতে হলে তার বইগুলো পড়ি নতুন করে। অ্যা হান্ড্রেড শর্ট স্টোরিজ ওয়ার্ল্ড ক্লাসিক- এটাও এ বছর পড়া একটা ভালো বই।
ফাহমিদা নবী
ডিডেক্টিভ আর গানের বই পড়তে আমার ভালো লাগে। গেল একবছরে পড়ার মধ্যে হিসেব করলে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ঋণ’ গল্পটা খুব ভালো লেগেছে। শীর্ষেন্দুর লেখায় কেমন যেন অন্যরকম একটা কিছু পাই।এই উপন্যাসে আমেরিকা-ফেরত এক বিত্তশালিনী ডিভোর্সি যুবতীর খুনের ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে গড়ে-ওঠা এই কাহিনি। শ্বাসরুদ্ধকর নানা উপাদানে ঠাসা,তদন্তের সূত্র ধরে পাতায়-পাতায় উন্মোচিত হয়েছে নতুন-নতুন চমকপ্রদ তথ্য, তুখোড় গোয়েন্দার অন্তর্ভেদী জেরার সামনে প্রত্যেককেই মনে হয় কোনো-না কোনোভাবে সন্দেহজনক, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মনে হয় রয়েছে খুনের অভ্রান্ত এক মোটিভ, অথচ শেষাবাধি যখন ধরা পড়ে যথার্থ খুনি, একবারও অবিশ্বাস্য মনে হয় না। অপরাধকে মেনে নেওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু অপরাধীর জন্যও পড়ে দীর্ঘশ্বাস। এখানেই এই উপন্যাসের প্রকৃত সার্থকতা। আমি যে দুই ধারার বই পছন্দ করি তার একটি থ্রিলার টাইপ, আরেকটি গানের বই। গানের বই আমি পড়তে থাকি। রবীন্দ্রনাথের গানের বই যেমন আমার ভীষণ প্রিয়।
সাজু খাদেম
অভ্যাস কিংবা টার্গেট যা-ই বলা হোক না কেন, আমি ভীষণ পলিটিক্যাল বই পড়তে পছন্দ করি। বাংলাদেশের পলিটিকস নিয়েই আমার আগ্রহ বেশি। এক একজন সিনিয়র নেতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন জানার প্রতি আমার আগ্রহ বেশ।তবে গত বছরে একটু বেশিই পড়া হয়েছে যে বইটা তা হলো ‘জীবন যাপনে শিল্পকলা’। এটি একটি অনুবাদ বই। এটি অনুবাদ করেছেন কবির চৌধুরী স্যার। এই বইটা আসলে প্রতিটা বিষয়ে মিল্পকলা কিভাবে জড়িত তা তুলে ধরা হলো। বন্ধুত্তের শিল্পকলা, ভালোবাসার শিল্পকলা, প্রেমের শিল্পকলা, মানুষের ব্যবহারের শিল্পকলা, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে একটা আর্ট থাকা দরকার সেটার ওপর ব্যসিক্যালি বইটা। বন্ধুত্বে কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে সেটারও যে একটা আর্ট থাকতে পারে বইটাতে তা তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পকলা যে জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের সঙ্গে কিভাবে উৎপোতভাবে জড়িয়ে আছে তা্ তুলে ধরা হয়েছে।
ইরেশ যাকের
পল থিরোউঁর ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার’ বইটি আমার গত বছরের পড়া সবচেয়ে ভালোলাগা বই বলবো। বইটি প্রকাশ হয়েছে তাও তো পার হয়ে গেছে ত্রিশ বছরের বেশি। এরই মাঝে সেটা স্থান করে নিয়েছে ভ্রমণ ক্লাসিকগুলোর মাঝে। এই বইটি ট্রেনকে ঘিরে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন আর বিভিন্ন বৈচিত্র্যে ভরপুর সব রেল-রোড এবং ট্রেন নিয়ে এই বইটি। এটা আসলে একটা নন-ফিকশন ট্রাভেল বুক। রয়েছে রেলওয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম তথ্য যা আপনাকে ভ্রমণে সহযোগিতা করবে। কিন্তু একই সাথে এটাকে বলা যায় তাঁর নিজস্ব ভ্রমণ কথামালা। তিনি ঘুরেছেন, তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।তাঁর এই সুবিশাল যাত্রায় আছে এশিয়া আর ইউরোপের বিভিন্ন রেল-রোড। ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, দ্য খাইবার পাস লোকাল, দ্য ফ্রন্টিয়ার মেইল, কুয়ালালামপুর গোল্ডেন এ্যারো, দ্য মান্ডালা এক্সপ্রেস, ট্রান্স-সাইরেবিয়ান এক্সপ্রেস এই সব রেল-রোডই সেই সতেরো আর আঠারো শতকে ব্রিটিশ এম্পায়ার এর সময় তৈরি।সে ইউরোপ থেকে টার্কি, আফগাস্তিান থেকে পাকিস্তান, ভারত থেকে শ্রীলংকা, মায়ানমার, জাপান থেকে রাশিয়া হয়ে সে ইংল্যান্ডে ব্যাক করে। পুরো বই জুড়ে ভরপুর হয়ে আছে পল থিরোউঁ এর উদ্ভট সব হিউমার, অসাধারণ সব ঘটনার বিবরণ আর সত্তরের দশকের নানা ঘটনায়।তার বহুদিনের ভ্রমণের গল্প নিয়ে লেখা। এর মধ্যে নানা মানবিক দিকও ফুটে উঠেছে। বইটায় আমি এমনভাবে মজে গিয়েছিলাম। একটা সময় মনে হচ্ছিল কখন তার ভ্রমন শেষ হবে। ভ্রমন কি শেষ হবে না।
মৌটুসি বিশ্বাস
গত বছর কয়েকটা বই আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো শাহাদুজ্জামান স্যারের ‘ক্রাচের কার্নেল’। কর্ণেল আবু তাহেরকে নিয়ে লেখা। এরপর যে উপন্যাসের নাটকে কাজ করছি আমরা হাসান আজিজুল হক স্যারের ‘আগুন পাখি’, এটাও অসাধারণ লেগেছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে বলেই পড়াটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু একটা সময় সত্যিই মুগ্ধতায় ডুবে গেলাম।তবে গত বছরটা জুড়ে আমি রবীন্দ্রনাথের ওপর বেশ কিছু পড়াশুনা করেছিলাম। প্রথম আলোতে তো সুনীল গঙ্গোপাধ্যয় রবীন্দ্রনাথের ওপর বেশ সুন্দর করে লিখেছেন। সেখান থেকেও রবীন্দ্রনাথের আরো কিছু বই ঘেটেছি আমি। রবীন্দ্রনাথের বাড়ির যে মেয়েরা তারা কিন্তু ভীষণ স্বাধীনচেতা ছিলেন।সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা ভীষণ এগিয়ে ছিল, ভীষণ ভালো লিখতেন তারা। তখন কিন্তু নিউক্লিয়ার পরিবার খুব রেয়ার ছিল। কিন্তু জ্ঞানদা নন্দীনি জয়েন্ট ফ্যামিলি থেকে বেরিয়ে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি ইন্ট্রডিউস করেছিলেন। ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে জেনেছি বিভিন্ন বই থেকে। ১০০ বছরের আগে তাদের পরিবার কতটা ফার্স্ট ছিল। সে বাড়ির মেয়েদের সম্পর্কে জেনেছি। এই জন্য আমি বেশ কিছু বই পড়েছি। যেমন ঠাকুর বাড়ির বিধবা বিবাহ ও অন্যান্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিষ্য মৈত্রী দেবীর বই ছিল।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী গণভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রেহানা
মন্তব্য করুন
মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং।
২০২২ সালে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই 'কান' উৎসবে যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে দারুণ মিল পাওয়া গেছে হলিউড নায়িকা মিন্ডি কালিংয়ের 'মেট গালা'য় পরা জামাটির।
এ ঘটনার পর অনেকে মিন্ডি-কে 'কপি ক্যাট' বলতেও শুরু করেছেন ।
গত ৬ মে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের ভিতরে পা রাখেন কালিং। ফটোগ্রাফাররা তার লুকের প্রশংসা করলেও, সোশ্যাল মিডিয়া দেরি করেনি 'চুরি' ধরতে। ঠিকই তারা খুঁজে খুঁজে বের করেছেন, লুকিয়ে থাকা মিলগুলো।
মিন্ডি কালিং ভারতের গৌরব গুপ্তের ডিজাইন করা শ্যাম্পেন রঙের গাউনে মেট গালা ২০২৪-এ রেড কার্পেটে ঝড় তোলেন। 'গার্ডেন অব টাইম' থিম অনুসারে, গাউনটির পিছনে বানানো হয়েছিল ফুলের মতো কাঠামো। পোশাকের পিছনটা দেখলে কারও কারও মনে হবে, যেন কোনও ফুলের পাঁপড়ি। থরে থরে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মেট গালাতে সকলেই বাহবা জানান, কালিংয়ের ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে।
কিছু ভারতীয় ফ্যাশন উৎসাহী ঐশ্বরিয়ার কান পোশাকের সঙ্গে এর অদ্ভুত মিল খুঁজে পান। আশ্চর্যজনকভাবে সে পোশাকটিও ডিজাইন করেছিলেন গৌরব গুপ্তই। গোলাপি এবং ব্লাশ রঙের আশ্চর্য মেলবন্ধন ছিল সেটি। যা তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩ হাজার ৫০০ ঘণ্টা। সে গাউনের কাট থেকে শুরু করে ভেইল, সবই যেন হুবহু এক।
এক নেটিজেন মিন্ডি কালিংয়ের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন, 'আমি ভেবেই চলেছি কোথায় যেন দেখেছি… কোথায় যেন দেখেছি। এ যে কান থেকে আমাদের ঐশ্বরিয়া'। দ্বিতীয়জন লিখলেন, 'কালিংকে দেখতে সুন্দর লাগছে ঠিকই, তবে কানে ঐশ্বরিয়া যে পোশাক পরেছিলেন, তার থেকে লুকটা একটু অন্যরকম হতে পারত।'
মন্তব্য করুন
তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত
‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই
আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন
কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির
পদবী হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) ছবির অফিসিয়াল টিজার
ছবির নায়ক শাকিব খানের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এর মেকিংয়ে ভারতীয় সিনেমা কেজিএফ
ও অ্যানিমেলের মিশ্রণ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এরপরই রাফিকে একহাত নিচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা।
রাহাত নামে একজন তো তুফানকে সরাসরিই
কেজিএফ ও অ্যানিমেলের কপি বলে ফেলেছেন। রাশেদ নামে একজন টিজার দেখে বলেছেন, মনে হচ্ছে
সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির টিজার দেখলাম। তুফানে নায়কের পোশাক ও অভিব্যক্তিকে কেজিএফ স্টার
যশ ও অ্যনিমেল স্টার রণবীরের লুকের খিচুড়ি পাকিয়েছেন নির্মাতা রাফি। লুক, গেটআপ, সেট
ও মেকআপ সব কিছুতেই কেজিএফ সিনেমার কপির আলামত রেখেছেন এই পরিচালক। যদিও রাফির দাবি,
এই ছবির লুক ও অ্যাকশন নাকি একদমই আলাদা। তবে কেজিএফ সিনেমার বাজেট নকল করতে পারেননি
নির্মাতা। বড় বাজেট না থাকায় ছোট ছোট অস্ত্র সস্ত্র দিয়েই কেজিএফফের স্বাদ তুফানে মেটাতে
চেয়েছেন নির্মাতা। কপির অপবাদে অবশ্য নির্মাতা রাফির কিছু যায় আসে না।
এর আগেও এসব অপবাদ টলাতে পারেনি এই
কপিরাজ পরিচালককে। টিজার মুক্তির পর রাফি জানান, তুফান তার লাইফের একটা ড্রিম প্রজেক্ট।
দেশের একজন নির্মাতার স্বপ্ন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমদানি হতে দেখে হেসেছেন
নেটিজেনদের অনেকে।
এর আগে, ওয়েব ফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’-এর টাইটেল
ট্রাকের মিউজিক চুরির অভিযোগ উঠেছিল রাফির বিরুদ্ধে। অবশ্য তিনি সেটিকে নকল বলতে নারাজ।
অভিযোগ সামাল দিতে অভিধান ঘেঁটে ‘অনুপ্রাণিত’ শব্দটি এনে সে যাত্রায় পিঠ বাঁচিয়েছিলেন
তিনি। এছাড়া আফরান নিশো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’-র বিরুদ্ধেও ব্যাকগ্রাউন্ড
মিউজিক নকলের অভিযোগ উঠেছে। এটিও রাফির নির্মাণ। নেটিজেনরা নকলের তথ্য-উপাত্ত হাজির
করলেও রাফি মেরুদণ্ড টান রেখেই জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন, সহি পদ্ধতিতেই করেছেন।
রাফি যে মিউজিক থেকেই অনুপ্রাণিত হন,
তা কিন্তু নয়। অন্যের পোস্টারও তাকে অনুপ্রাণিত করে। এর আগে তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম
‘ফ্রাইডে’র পোস্টারটিও নকল বলে চিহ্নিত করেছিল নেট নাগরিকরা। সেটি নাকি ছিল সাউথ কোরিয়ান
সিনেমা ‘প্যারাসাইটের নকল!
এবার তুফান সিনেমার টিজার বেরোতেই উঠল নকলের অভিযোগ। তবে শাকিবিয়ানরা তাদের পছন্দের নায়ককে এমন লুকে দেখ বেজায় আনন্দিত। ফলে সোশ্যাল মাধ্যমে দুর্নামের ঝড়টা বয়ে যাচ্ছে কেবল রাফির ওপর দিয়েই। আসছে ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাবে তুফান। এ সিনেমায় আরও থাকবেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা অনেকে।
মন্তব্য করুন
পদ্মশ্রী পুরস্কার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
মন্তব্য করুন
ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন টালিউট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে এক প্রকার বিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রচারণাকালীন সময়ে তার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই অভিনেত্রী। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার ঝড়ের
মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র্যালির সামনেই
ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এসময় নেতা-কর্মীরা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নেন অভিনেত্রীকে এবং
গাছের ডাল সরিয়ে আবারও প্রচারণায় বের হতে দেখা যায় তাদের।
উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।
লোকসভা নির্বাচন সায়নী ঘোষ তৃণমূল
মন্তব্য করুন
মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং।
তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত ‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির পদবী হয়ে উঠেছে।