ইনসাইড বাংলাদেশ

দুপুর ২টায় খালেদার জামিন শুনানি: আদালত এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হবে আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকালে এই সময় ধার্য করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আর সেই শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় আজ সকাল থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।

সুপ্রিমকোর্টের মাজার গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি দিনের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন। এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেওয়া হয়। বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ, নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ। পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেন তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন বাকিবিল্লাহ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাবনা- আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। যে কারণে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমার কর্মী সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।’

বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘এমপিপুত্র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাবা এমপি আর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আমাদের মত দীর্ঘ দিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত ব্যক্তির জন্য জায়গা কোথায়? তাদের লক্ষ্য বর্তমান এমপি মকবুল আগামীতে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই নিজের ছেলেকে আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী করতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে এগিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছি, বারবার লাঞ্ছিত হয়েছি, তখন এমপি মকবুল তার পুত্র রাসেলের রাজনীতির কি পরিচয় ছিল? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন এমপির স্ত্রী-সন্তানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবে না, তারপরও সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে নির্বাচন করছে এমপির ছেলে রাসেল।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর উপরে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, থানায় এসবের অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় নাই। আমার উপজেলা নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমার কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ। কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, হাসিনুর ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, এমপি সাহেব তার ছেলে অর্থের দাপটে আমাদের নেতাকর্মীকে ভয় দেখিয়ে, লোভ লালসা দিয়ে, টাকা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রভাবিত করছেন। এমপির ছেলে ঘোষণা করছেন নির্বাচন করতে কত টাকা লাগবে। তাই দেওয়া হবে। এত টাকা কোথায় পাচ্ছেন তা জানি না। ১৫ বছর এমপির দায়িত্বে আছেন মকবুল সাহেব, অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে ১৫টি কথাও বলেননি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে তার কোনো সহযোগিতা পাইনা।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপির ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, 'নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো অসাংবিধানিক। তিনি (বাকিবিল্লাহ) ইতোমধ্যে কর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নির্বাচন কমিশন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তিনি সরেজমিনে এলাকা ঘুরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, মিথ্যাচারের কিছু সীমা থাকে, সেটা তিনি অতিক্রম করে গেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন।'

বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা- আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ মো. বাকী বিল্লাহ (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আলহাজ গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল) তিনি পাবনা- এর সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে। অপর প্রার্থী হলেন, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া)


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   প্রভাব বিস্তার   এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করায় সেই সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এ বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটি তিনি বলে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেই সুপারিশপত্রকে পুঁজি করে একটি পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটি নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা নেই সরকারের: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে অভিযোগ তা অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়। নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।

আনিসুল হক দাবি করেন, ‘পুরোনো মামলায় আইনগত সব প্রক্রিয়া মেনেই বিচারকাজ শেষ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে সরকারের প্রভাব খাটানোর বা কাউকে ব্যবহার করার কোনো বিষয় নেই।’

উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ (রোববার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।


আইনমন্ত্রী   আনিসুল হক   মির্জা ফখরুল   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রামু থানার 'ওসি' বদলির মিশনে দালাল সিন্ডিকেট!

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট।  বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও। 

 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।

 

দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’

 

অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। 

 

এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’ 

 

রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’ 

 

ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। 


ওসি বদলি   থানা   দালাল সিন্ডিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটক ৭

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটককৃত ৭ জন

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতাসহ ৭ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের পর রোববার (১২ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।


আটককৃতরা হলেন, বদলপুর গ্রামের শ্রী বিরেন চন্দ্র মন্ডল এর ছেলে শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৮), বদলপুর গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান ছেলে মোঃ মোকছেদুল মমিন (২৫), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম ছেলে মোঃ করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার ছেলে মোঃ আল আমিন (২১), মানাষী গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (২২), বদলপুর গ্রামের শ্রী বন্দীনাথ ছেলে শ্রী মনষা (২৮) ও গুটিন গ্রামের শ্রী জয়রাম উরাও ছেলে শ্রী অনুকুল (২৮), সকলের থানা ও জেলা নওগাঁ।


বিজ্ঞপ্তির দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, পত্নীতলার বটতলী বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতা কৃষ্ণের নেতৃত্বে তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে সমর্থ হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আটকের পর আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।


পর্নোগ্রাফি   আটক   র‌্যাব   প্রেস বিজ্ঞপ্তি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন