ইনসাইড বাংলাদেশ

রামু থানার 'ওসি' বদলির মিশনে দালাল সিন্ডিকেট!

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট।  বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও। 

 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।

 

দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’

 

অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। 

 

এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’ 

 

রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’ 

 

ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। 


ওসি বদলি   থানা   দালাল সিন্ডিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবির সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় পুলিশ

প্রকাশ: ০৮:১৪ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল একটি দল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছে। আনারের মৃত্যুর ঘটনায় নানা দিক নিয়ে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা বসছে বলে জানায় সূত্র।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভারতীয় স্পেশাল পুলিশের দুই সদস্যদের একটি টিম। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। পরে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন হয়ে বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তর একটি বৈঠক করে। পরে সন্ধ্যায় ডিবি কার্যলয়ে আসেন তারা।

ডিবি সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ সদস্যরা নিহত আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এবং এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তারের বিষয়ও আলোচনা হবে। বর্তমানে তারা গোয়েন্দা পুলিশ ওয়ারী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে।

এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ১৩ মে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি। এ ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িও জব্দ করেছে কলকাতার পুলিশ।

ডিবি   ভারতীয় পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার-আজিজ ইস্যুতে অস্বস্তিতে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হঠাৎ করেই অরাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু সরকারের জন্য অস্বস্তির কারণ হিসাবে সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনা সরকারের জন্য বিব্রতকর বলে স্বীকার করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। 

গত ২০ মে মধ্যরাতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই স্যাংশন দেওয়া হয়েছে মূলত ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্টের ভিত্তিতে। যদিও ম্যাথিউ মিলারের প্রকাশিত বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনের কথা বলা হয়নি। তবে আল জাজিরার ওই আলোচিত বিতর্কিত প্রতিবেদনে যে সমস্ত প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিবৃতিতে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বলে বিজেপির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনাপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন টানা তিন বছর। কাজেই এই সরকারের কাছে পুরষ্কৃত হওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর বটেই। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্পষ্টভাবে বলেছেন, এটি ব্যক্তির অপরাধ। ব্যক্তির অপরাধের দায় সরকার নেবে না।

তিনি এটাও বলেছেন, সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আসছে সেটা সরকারকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে যে অস্বস্তি তা প্রকাশ পেয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে। তিনি লু এর সফরের উষ্ণতার পর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক ধরনের হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

আওয়ামী লীগের মধ্যেও এ নিয়ে অনেকের অস্বস্তি লক্ষণীয়। কেউ কেউ মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার নতুন করে কাউকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে কিনা বা যুক্তরাষ্ট্র যে এখনও বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক আজিজ আহমেদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

আজিজ আহমেদের রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় খুন হয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশিদের হাতে এবং তাদের নাম পরিচয় সরকার উদ্ধার করেছে। কিন্তু এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আনারের অন্ধকার জীবনেরও কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চোরাচালান বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাচালানের দ্বন্দ্ব নিয়ে আনার খুন হয়েছে এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে আসছে। 

প্রশ্ন উঠেছে, আনার যদি সত্যি সত্যি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, তাহলে এ ধরনের ব্যক্তি কিভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পান? যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় হলেই কি এ ধরনের ব্যক্তি মনোনয়ন পেতে পারেন কি না। এটি কিছুটা হলেও সরকারের জন্য বিব্রতকর। তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে ধরনের সংবাদ বেরিয়ে আসছে তাতে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে সরকারের মধ্যে। 

অনেক এমপি বলেছেন যে, তারা বিব্রত। একজন সংসদ সদস্য যদি এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন তাহলে পরে সংসদে কারা আছেন সেই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তির অবস্থা দিয়ে সকল সংসদ সদস্যের অবস্থান বিবেচনা করা ঠিক নয়। তবে এটি যে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর তা এখন আর কোন লুকোচুরির বিষয় নয়।


আনোয়ারুল আজীম আনার   আজিজ আহমেদ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঠবাড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল রিয়াজ উদ্দিনকে। সোমবার (২০ মে) নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা থেকে কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তলবের আদেশ দেয়া হয়।

এর আগে, গত ১৩ মে তৃতীয় ধাপে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়া হয়। ইসির পক্ষ থেকে এদিন প্রার্থীদের সব ধরনের সভা সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু রিয়াজের বড় ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ ও ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কমিশনের আদেশ অমান্য করে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সামনে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এরপরই ইসি চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ দাখিল করতে বলে। পর দিন ১৪ মে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেন রিয়াজ। সেখানে তিনি জানান, কিছু অতি উৎসাহী কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেছে, তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

রিয়াজ উদ্দিনের দেয়া জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে কমিশনের সামনে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন: কামাল নাসের চৌধুরী

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অসাধারণ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি; বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তা সমগ্র বিশ্বের মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।

ড. কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, অঞ্চল ও বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন। তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন, তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল উপজীব্য ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’; যা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। এসময় সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ডের প্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণই ছিল তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। এই মানবিক মূল্যবোধই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নিতে, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে, যেমন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্র। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার সারা জীবনের স্বপ্ন হচ্ছে ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি’-তার এই অভিব্যক্তি থেকেই আমরা বুঝতে পারি সমাজ উন্নয়ন সম্পর্কে তার ধারণা কত ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক ছিল।

তারা বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলনীতি। তিনি ছিলেন বিশ্বশান্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেরই হোক না কেন, তিনি তাদের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু   ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন সালাহ উদ্দিন টিপু


Thumbnail

একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, লক্ষ্মীপুরে সাহসী নেতৃত্বের মূর্ত প্রতীক। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ইতিহাসে স্মরণীয় রাজনৈতিক ঘটনা ছিল ১৯৯৬ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সে ঐতিহাসিক নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্রসংসদের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন টিপু নিজের দক্ষতা আর সাহসী নেতৃত্বে অল্প দিনের মাঝে শুধু লক্ষ্মীপুর কলেজই নয়, পুরো জেলার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। লক্ষ্মীপুরের রাজনীতির মাঠে তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সফল হয়েছেন। তার হাত ধরেই লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ এক সময় গতি পায়। ছাত্রলীগের নানা পদপদবী অতিক্রম করে তিনি দায়িত্ব নেন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া যুবলীগে। বিংশ শতাব্দির শুরু থেকে নেতাকর্মীদের মাঝে তার পরিচয় লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী রাজনীতির শক্তিদাতা হিসেবে। প্রথমে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পরে সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার হাত ধরেই লক্ষ্মীপুর জেলার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক সহযোগী সংগঠনের নাম যুবলীগ।

সাহসী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণে ২০১৪ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তিনি লক্ষ্মীপুরের গ্রাম থেকে শহরের আনাচে কানাচে চষে বেড়িয়েছেন। একদিকে উপজেলার অভাবনীয় উন্নয়ন, অন্যদিকে নিজের দলের উন্নয়নে সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। 

তিনি লক্ষীপুর বনিক সমিতি, লক্ষীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ, আজিম শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়, টাউন হল, লক্ষীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, চকবাজার জামে মসজিদ, কামানখোলা অলিউল্ল্যাহ মুসলিম পলিটেকনিক একাডেমী, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়নে অবদান রাখায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রয়াত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু তাহেরের মেঝো ছেলে।

রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্রজীবনের পর তিনি কিছু সময় সাংবাদিকতা করেন। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত ও লক্ষ্মীপুরের প্রথম রঙিন সংবাদপত্র দৈনিক ভিশনের সম্পাদক।

বর্ণাঢ্য রাজনীতির এই মহা পুরুষ ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ পিরিচ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরো চারজন এ পদে প্রার্থী থাকলেও তার বাবা ও তার রাজনৈতিক জীবনীর দিকে সম্মান করে এক প্রার্থী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এতে করে নির্বাচনী মেরুকরণে অনেকটাই দলছুট অন্য প্রার্থীদের দিকে তেমন একটা নজর নেই দলীয় নেতাকর্মীদের। 

দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের রূপকার একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকেই কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৯ মে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।

সালাহ উদ্দিন টিপু   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন