কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট। বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।
দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’
অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’
রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’
ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আনোয়ারুল আজীম আনার আজিজ আহমেদ সরকার
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, লক্ষ্মীপুরে সাহসী নেতৃত্বের মূর্ত প্রতীক। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ইতিহাসে স্মরণীয় রাজনৈতিক ঘটনা ছিল ১৯৯৬ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সে ঐতিহাসিক নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্রসংসদের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন টিপু নিজের দক্ষতা আর সাহসী নেতৃত্বে অল্প দিনের মাঝে শুধু লক্ষ্মীপুর কলেজই নয়, পুরো জেলার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন