নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২০
১৬টি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাশেদ নামে একজন তার আত্মীয় রোগীকে নিয়ে। চিকিৎসা না পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। কেন তার ও এমন অনেক রোগীর ভুগতে হচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বেসরকারী এক টেলিভিশনে উপস্থিত হয়েছিলেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন। বেসরকারী হসপিটাল কেন চিকিৎসা দিচ্ছে না সেই উত্তরে ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এ এম শামীম বলেন, তাদের করোনা টেস্ট করার উপায় নেই। তাদের কাছে কিট নেই। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সব হাসপাতালে আমরা করোনার চিকিৎসা দিবো না। যেমন কুর্মিটোলায় যে রোগী ছিল তা সরিয়ে নিয়েছি। সেখানটা এখন পুরো খালি। করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে সেখানে। কুয়েত মৈত্রী, গ্যাস্ট্রোলিভার, রেলওয়েসহ আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতাল আছে। যেসব জায়গায় করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে সরওয়ার্দি, ঢাকা মেডিকেলসহ হসপিটালগুলোতে সাধারণ চিকিৎসা চলবে। যদি সেখানে অনুভূত হয় যে সে করোনা আক্রান্ত। তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, পিপিই, কিটের কিছু কমতি ছিল। আরো চিকিৎসা সংক্রান্ত সিস্টেমটা পুরোপুরি তৈরী হতে সময় লেগেছে কিছুটা। জেলা পর্যায়েও আমরা করোনা রোগীকে সাধারণভাবে রাখিনি। আলাদা আলাদাভাবে তাদের রাখা হয়েছে।’
ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এ এম শামীম কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল তাদের টেস্টের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এর উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও সংকটে ছিলাম। সেটা বাইরে থেকে ইনপুট করেছি। বেসরকারী হসপিটালেরও তো উচিত ছিল ব্যবস্থা করা। আপনারা যোগাযোগ করেন আমাদের সঙ্গে। আমরা যতটা পারি সাহায্য করবো। রোগী যেন চিকিসা পায় সেটাই বড় ব্যাপার। তবে আমার পরামর্শ হলো কিটস সরাসরি যেন আপনারা বাহির থেকে আনার ব্যবস্থা করুন। সেভাবে আপনারা আমাদের রোগীর পাশে দাড়ান।’
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোয়া চারশো ভেন্টিলেটর অর্ডার দেওয়া আছে। বেসরকারী হাসপাতালকেও কেউ মানা করেনি। চায়নাতে যদি পাওয়া যায় আমরা আরো অর্ডার করবো। আপনারাও ইনপুট করুন, রোগীকে কিভাবে সেবা দিতে পারেন সেই চেষ্টা করুন।’
তিনি বলেন,‘এই দু:সময়ে আপনাদের পাশে থাকতে হবে। ব্যবস্থা না থাকলে প্লিজ করে রাখুন। তালা দিয়ে রাখবেন না। স্বাভাবিক সেবাটাও তো বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে সাহায্য করবো। আমি তালিকা তৈরী করতে বলেছি। আমি শাস্তি দেওয়ার জন্য বলিনি। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো সেবা দিন মানুষকে। সেটা নিশ্চিতের জন্যই তালিকা তৈরী করতে বলেছি। সেটা যদি নিশ্চিত না হতে পারি তাহলে ব্যবস্থা তো নিতেই হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বছরে ৯ লক্ষ্য লোকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। আমাদের দেশে ক্যান্সারের রোগী সবচেয়ে বেশি হয়। তারপরই শ্বাসজনিত কারণে রোগী মারা যায়। তাই বলে যার মৃত্যু হবে সেই করোনা রোগী ছিল না। এখানে অস্বাভাবিক মৃত্যু এখন পর্যন্ত খুব বেশি হয়নি।’
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) ।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকের পক্ষে প্রায় ২-৩ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কালিবাড়ি বাজার এলাকায় নির্বাচনী মিছিল করেন এবং মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মী সমর্থকরা সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দের (মটর সাইকেল) প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১ (২) নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাইবে না এর পরিপন্থি। উভয় প্রার্থীকে লিখিতভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জবাবে লিখিতভাবে আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) জানান, ‘আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি শোভাযাত্রা করার অভিযোগ করা হয়েছে। যার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না এবং আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেউ সশরীরে এমন কোন শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিল না। তবুও আমার কিছু আবেগ তাড়িত সমর্থক এই শোভাযাত্রা করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দরুণ আপনাকে আশ্বস্থ করছি।’
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান জানান, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন আচরণ বিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
পাবনার সুজানগরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী জহুরা খাতুন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বারেক মৃধা৷ এ সময় তার সাথে থাকা আরো চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি অভিযোগ করেন, অথচ এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন প্রার্থীর লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
জহুরা খাতুন বলেন, আমি নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে ভোট দিয়েছি। এখানে তার লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ভুক্তভোগী পরিবার ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কয়েকটি গণমাধ্যম। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাবাসীর মাঝে।
ধর্ষণ ভিন্নখাতে প্রবাহ সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন