নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ০৫ এপ্রিল, ২০২০
করোনা নিয়ে যখন দেশে আতঙ্ক উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক মন্দার পূর্ভাবাস তখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এই করোনাকে মহাসুযোগ হিসেবে মনে করছেন। করোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে কাত করার এক নীল নকশা রচনা করছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তথাকথিত মরণাপন্ন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়অ এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই দল চালাচ্ছেন এবং দলের নেতাকর্মীকে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছেন।
বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন যে, এখনি সুযোগ। কারণ করোনার কারণে সরকারের অবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। সেই সময় তাদের জোরালো আঘাত করতে হবে। এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি।
শুধু বেগম খালেদা জিয়া নন, লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও এমন নীল নকশার খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বিএনপি মনে করছে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হবে। এরফেলে জনস্বাস্থ্যের একটা বড় ধরণের হুমিকি তৈরী হবে।
দ্বিতীয়ত, তারা মনে করছে যে এই করোনার প্রকোপ যদি দীর্ঘ মেয়াদি হয় তাহলে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে একটা ভালো সংকটের মধ্যে পড়বে। অনেক চাকরিচ্যুতি ঘটবে, গার্মেন্টসকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে অভাব অনাটন বাড়বে। এর সামগ্রিক যোগফল সরকারের ওপর অসন্তোষ তৈরী করবে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা মনে করছে ঈদের পরপরই একটা সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য।
বেগম খালেদা জিয়া তার ভাইসহ বিভিন্ন নেতাকে টেলিফোনে বলেছেন, তা্র হাতে সময় আছে মাত্র ছয়মাস। এই ছয়মাসের মধ্যেই কিছু একটাকরে ফেলতে হবে। বিএনপির নেতারাএসজন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আর এই বিবেচনা থেকেই বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে বাদ দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাই ব্যাটিং করছেন। সরাসরি বেগম খালেদা জিয়া তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সেই মতেই তিনি কথা বলছেন।
জনগনকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলাই এখন প্রধান কাজ। ক্ষেপিয়ে জনঅসন্তোষের মুখে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরী করা হয় যেন সরকার বিব্রতকর এবং বেকায়দায় পরে।
অবশ্য বিএনপি সব সময় এ ধরণের রাজনীতিই করে এসেছে।অতীতেও বিএনপি অন্য ইস্যুর ওপর ভর করে সরকারকে ফেলে দিতে চেয়েছে। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময়ও বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপি ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারকে বিপদাপন্ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল সে সময়। এবারও বিএনপি সেই পথে হাটছে নাকি সত্যি সত্যি একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিপদে ফেলবে বিএনপি তা বোঝার জন্য আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।