ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা নিয়ে পথহারা বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পথ হারিয়ে ফেলেছে। করোনার পিক সিজনেও বাংলাদেশের নেই কোনো এক্সিট প্ল্যান। কেউ জানে না বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, কতদিনে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে, কখন করোনা সংক্রমণ কমবে এবং এই কমার পর জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আশু করণীয় কী।

করোনা নিয়ে আমরা যা কিছু করছি সব অনুমান নির্ভর, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বহীন এবং শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাতত্ত্বের পরিসংখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি আমাদের জন্য ভয়াবহ আতঙ্কের। করোনার ৭৫তম দিন আজ আমরা অতিবাহিত করলাম। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিক নির্দেশনা যে আমরা কী করবো। স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ৫১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের ১৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। আর বাংলাদেশে এখন মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়ে গেছে। আর সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে ৫ হাজার ৬০২ জন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য যে সংকটগুলো দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ যে দিক নির্দেশনাহীন তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এখানে তুলে ধরা হলো-

১. কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কতদূর যাবে বা কোথায় যাবে এটি নিয়ে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই। আমরা শুধুমাত্র প্রতিদিনের তথ্যগুলো দিচ্ছি, যোগফল ঘোষণা করছি। শতকরা হিসেব ঘোষণা করছি। কিন্তু প্রত্যেকটি দেশে করোনার যখন পিক সিজন গেছে, তখন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ হয়েছে। যেখান থেকে তারা বুঝতে পেরেছে যে কখন করোনা সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে যাবে। সে অনুযায়ী তারা একটা এক্সিট প্ল্যান দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো প্রক্ষেপণ নেই। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি প্রক্ষেপণ পত্র তৈরি করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু এটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রক্ষেপণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ৫০ হাজার এবং ১ লাখের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুনির্দিষ্ট ধরনের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মানা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের প্রক্ষেপণ করা সম্ভব না। কাজেই বাংলাদেশে করোনার ভবিষ্যৎ কী এবং কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা পথহারা।

২. চিকিৎসা নিয়ে পথহারা

বাংলাদেশে যে যার মতো করে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। এমনকি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করোনার মহৌষধ বলে কেউ কেউ প্রচার করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি বলে দেয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু মুনাফালোভী কিছু কিছু ওষুধ কোম্পানি অন্য ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করছে। যে ওষুধটি শুধুমাত্র করোনার কিছু কিছু উপসর্গ দূর করতে পারে, সেই ওষুধকেও করোনার ওষুধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্লাজমা থেরাপির কথা বলা হচ্ছে। অথচ সেটা নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুসংবাদ নেই, কারণ বিপুল সংখ্যক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়াটা করটুকু সম্ভবপর হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসার যে প্রটোকল তা এখনও নির্দিষ্ট নয়, বরং বিভিন্ন দেশ যা যা অনুসরণ করছে তার সবগুলো নিয়েই বাংলাদেশ একটা খিচুরি পাকানোর চেষ্টা করছে। এটাও হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই চিকিৎসার দিক থেকেও বাংলাদেশ পথহারা।

৩. পরিকল্পনাহীন করোনা চিকিৎসা

বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার প্রথম দিকে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক ধরনের জগাখিচুরি তৈরি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যারা অন্য চিকিৎসা নেন, তারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা ইউনিট করার ফলে সেখানেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটাই একটা গোলকধাঁধার মতো অবস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সম্ভবত জানে না যে তারা কী করছে এবং কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এরকম সবক্ষেত্রেই একটা অস্পষ্টতা, এক ধরনের ব্যাখ্যাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা। যার ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পিত বিন্যাস নেই, যে করোনা কতদিন থাকবে, কবে করোনা যাবে এবং আমরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো। কিংবা করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে? হঠাৎ করে কি আমাদের ইতালি বা স্পেনের মতো মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে? আমাদের বাংলাদেশে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে? নাকি আমরা দীর্ঘমেয়াদী করোনার সঙ্গে বসবাস করতে থাকবো? জনস্বাস্থ্যের জন্য এসব উত্তরগুলো জানা জরুরী। আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্যেও, এমনকি অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে চলার জন্যেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার। কিন্তু আমরা করোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত পথহারা। আমরা জানি না আমাদের গন্তব্য কোথায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নির্বাচনী অফিসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৬


Thumbnail

যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।

 

তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমান সহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক  দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান উক্ত দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

 

এসময় তিনি উক্ত দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।

 

এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয় টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলী সহ আরো ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।

 

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সয্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমি সহ আমার ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’

নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ 


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদেরপিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছেবলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।

গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।

এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।

২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।

হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।


উপজেলা   পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে চলে কীভাবে?

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে কীভাবে চলে? বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারকে এমন প্রশ্ন করেছেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কী করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সমন্বয় সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার কথা বলার চেষ্টা করলে ওবায়দুল কাদের উচ্চস্বরে বলেন, ৪৩ বছর, ফোর্টিথ্রি ইয়ার্স। চট্টগ্রামে যে গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে, তার বয়স ৪৩ বছর। সেটা কি আপনাদের নজরে আসে না?

উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুজন শিক্ষার্থী। পরে জানা যায়, ওই বাসটি ছিল ৪৩ বছরের পুরনো, কোনো ধরনের ফিটনেস ছাড়া লক্কড়ঝক্কর বাসটি রাস্তায় চলছিল।

সমন্বয় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই শহরের গাড়িগুলোর দিকে তাকানো যায় না। আমি টেলিভিশনে লক্ষ্য করি, আফ্রিকার ছোট ছোট দেশগুলোর রাজধানীতেও গাড়ি চলে। রকম লক্কড়ঝক্কর, গরিব-গরিব চেহারার গাড়ি নেই। এর চেয়ে মফস্বলের গাড়িগুলো বেটার। এই কথাটা আমি কত যে, বললাম! আপনারা একটা কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, সেটা হলো ডাম্পিং করার জায়গা নাই। আজকে ডাম্পিং করলে পরের দিন দেখা যাবে ওই সমস্ত গাড়ি রাস্তায় নাই।

যারা এবার এই সমস্ত কথা বলেন, তারাই পরের দিন বলেন- জনদুর্ভোগ হচ্ছে। বিআরটিএ অনেক প্রোগ্রাম, অনেক প্ল্যান তারপর রেজাল্টটা কী? তিনি বলেন, আমি রেজাল্ট চাই তিনটা। একটা হচ্ছে- যানজটমুক্ত, আরেকটা হচ্ছে- দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সড়কে পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরানো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে এগুলোর জন্য কথা শুনতে হয়। গত ঈদে আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলো তো মন্ত্রী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেই আমার কাছে কষ্ট লাগে। এই বছরের চাইতে আগামী বছর দুর্ঘটনা কম হবে- এটাই তো হওয়া উচিত। না হলে আমরা টিম হিসেবে কাজ করছি কেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা ডিজিটালাইজেশন করেছেন, নানা কিছু করে ফেলেছেন। আসলে এগুলোর তো রেজাল্ট কোনো কিছু পাচ্ছি না। রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ? কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলে না।

সভায় রাজধানীর ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ বা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে একমত প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।


বাস   সড়ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন