ইনসাইড পলিটিক্স

কার পরামর্শে চলছে সরকার?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৯ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে সরকার একলা চল নীতি গ্রহণ করেছে। সরকার একের পর এক যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশা সংযুক্ত নয়। এমনকি এখানে বিশেষজ্ঞদেরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশগুলো মোটামুটি পাঁচটি শ্রেনী বা পেশার মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করে মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো পরামর্শ বা মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। যদিও করোনা মোকাবেলার জন্য সরকার একাধিক কমিটি গঠন করেছে, রয়েছে করোনা মোকাবেলার জাতীয় কমিটি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে এই কমিটির প্রধান। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি, যেটি বিশেষজ্ঞদের কমিটি। এই বিশেষজ্ঞদের কমিটিও সরকারের সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আমরা যদি অন্যান্য দেশের প্রেক্ষাপট দেখি, তাহলে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং কার কার পরামর্শ গ্রহণ করছে, তাহলে আমরা দেখব যে, পাঁচটি গ্রুপ মূলত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত।

প্রথমত; সবচেয়ে বড় ভূমিকা চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যারা ভূমিকা রাখছে, তারা হলেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ। এমনকি ভারত-পাকিস্তানেও চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা সরকারের সঙ্গে বসছে। সরকার কয়দিন লকডাউন করবে, কোন কোন এলাকা লকডাউন করবে, কোন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেবে, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কী হবে ইত্যাদি নিয়ে সরকার প্রতিনিয়ত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদেরকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেখা যায়নি। এমনকি সর্বশেষ যে ছুটি বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেখানেও জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে।

দ্বিতীয়ত; অর্থনীতিবিদদের ভূমিকা

করোনা কেবল একটি জনস্বাস্থ্যের সমস্যা নয়, করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি দেখি ভারতেও করোনা সংক্রমণের পর থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কথা বলছেন, পরামর্শ করছেন এবং তাদের মতামত নিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ এবং অর্থনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে অর্থনীতিবিদদের দৃশ্যমান ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। বরং এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় বা অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিবিদদের নিয়ে কোনো বৈঠকও করেননি। অর্থনীতিবিদদের শুধু দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোগুলোতে। তারা তাদের মতো করে মতামত দিচ্ছেন। এই মতামত কতটা সরকার শুনছে বা সরকার সেই মতামতগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা তা বোধগম্য নয়।

তৃতীয়ত; রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অন্ধকারে

করোনা মোকাবিলায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদরা একেবারেই গুরুত্বহীন। যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত গুলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর মতামত নেই বললেই চলে। এমনকি শুরু থেকে সরকার যে সিদ্ধান্ত এবং কর্মপন্থাগুলো নিচ্ছে তাতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা তো দূরের কথা, সরকারের মন্ত্রীদেরই কোন গুরুত্ব নেই। অথচ আমরা যদি পাশের দেশ ভারতে দেখি, করোনা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, কথাবার্তা বলছেন। বাংলাদেশ সম্ভবত একমাত্র দেশ যে দেশ করোনা মোকাবিলায় আমলাতান্ত্রিক পথে হাটছে। 

চতুর্থত, সুশীল সমাজ শুধুই দর্শক

যে কোন সঙ্কটে একটি দেশের বুদ্ধিজীবি, শিক্ষিত সুশীল সমাজের একটি ভূমিকা থাকে। যেমন করোনার অনেকগুলো আনুষঙ্গিক ব্যাপার আছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কি হবে, আর্থ সামাজিক অবস্থা কি হবে, বেকারত্ব দূর করার জন্য করণীয় কি, ভবিষ্যতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে গেলে আমাদের মনস্বাত্বিক বিষয়গুলো কিভাবে দেখতে হবে ইত্যাদি নিয়ে সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সুশীল সমাজের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। সুশীল সমাজের কোন পরামর্শ সরকারের কোন পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে কিনা খবর প্রকাশিত হয়নি। 

পঞ্চমত, ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দও উপেক্ষিত 

বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে অর্থনীতির ওপর। এই অর্থনীতির ক্ষেত্রে ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় কি, কিভাবে অর্থনীতিকে সচল রাখা যায় এনিয়ে ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সকল ব্যবসায়ীক গ্রুপকে নিয়ে কথা বলেছেন, বৈঠক করেছেন এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। যেহেতু বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে একজন গার্মেন্টস মালিক সেজন্য গার্মেন্টস খুলে দেওয়া নিয়ে তিনি গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু গার্মেন্টসই বাংলাদেশে একমাত্র শিল্প কারখানা নয়, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কারখানা , দেশীয় শিল্প কারখানা রয়েছে, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে, ইত্যাদি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সংগঠন তাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সরকারের কোন মিথস্ক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। 

তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, সরকার যে সিদ্ধান্তুগুলো নিচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তুগুলো কি গবেষণা প্রসূত? সেই সিদ্ধান্তগুলো কি সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে , সেই সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো কি যাচাই বাছাই করে তবেই নেওয়া হচ্ছে ? নাকি সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে স্রেফ অনুমান নির্ভর এবং আপদকালীন ব্যবস্থাপনা হিসেবে? 

এই প্রশ্নগুলোর সমাধান জরুরি। কারণ করোনা যদি দীর্ঘ মেয়াদি হয় তাহলে এই সকল গ্রুপকে একত্রিত করে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এগুতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন