নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ৩১ মে, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ মনে করেন যে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটা সংকট তৈরি হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশাল ঝুঁকিতে পড়বে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে, আইসিইউ’তে জায়গা হচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে তাহলে হাসপাতালগুলোতে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে এবং কোনো হাসপাতালেই সিট খালি পাওয়া যাবে না। এটি একটি বিরাট সমস্যা এবং ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করবে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ডা. আব্দুল্লাহ এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন যে, আমাদের আক্রান্ত বাড়তে দেওয়া যাবে না। রোগী বাড়লেই সমস্যা। এজন্য আমাদের প্রতিকার এবং প্রতিরোধই হলো সবচেয়ে বড় উপায়। এখন যেহেতু সরকার জীবন এবং জীবীকার জন্য সবকিছু খুলে দিয়েছে, সেজন্য আমাদের সুরক্ষা আমাদেরকেই করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ডা. আব্দুল্লাহ আরও বলেন যে, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, আমরা যদি মাস্ক ব্যবহার করি, আমরা যদি আমাদের কাজ শেষ করে বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি না করে ঘরে চলে আসি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানি, তাহলে আমরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবো। আমরা যদি সুরক্ষিত থাকি তাহলে আমাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে এবং অন্য মানুষ সুরক্ষিত থাকবে। তাই এখন আমাদেরকেই সবচেয়ে সচেতন থাকবে হবে এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে। আমার জীবন আমার হাতেই- এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন যে, করোনায় আক্রান্ত রোগীর ৮০ ভাগই মৃদু উপসর্গে ভোগেন। কাজেই কেউ আক্রান্ত হলে বাসায় চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তাকে অযথা হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে স্বাভাবিক খাবার খাবেন। বারবার গরম পানি পান করবেন এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন। যদি তার শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যাথা হয় তখন তাকে অক্সিজেন দিতে হবে, তখনই তার হাসপাতালে যাওয়া দরকার।
এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, রোগী বাড়তে দেওয়া যাবে না। রোগী বাড়লে আপনাআপনিভাবেই গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়বে। আর এ কারণেই আমাদের এখনই নিজেদের সুরক্ষার ব্যাপারে আরও সচেতন এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন