ইনসাইড থট

কভিড পরবর্তী উন্নয়নের দর্শন- আমাদের প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৩ জুন, ২০২০


Thumbnail

কভিড -১৯ শুধু আমাদেরই নয়, বিশ্বের সকলের ভাবনায় অভাবিত পরিবর্তন এনেছে। আর তাই নগর উন্নয়ন করতে হলে আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে সঠিক ও কার্যকরী সদূরপ্রসারী নগর উন্নয়ন দর্শন। নগর উন্নয়ন সামাজিক ও রাজনৈতিক শৃংখলা ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু এখানে শেষ নয় যেতে হয় আরো দূরে, আরও গভীরে।  জানতে হবে কেন আমরা নগরে বাস কি ? শান্তি, উন্নতি, সুখ, সামাজিক ন্যায়, স্বাধীনতা না কি অন্য কিছুর  জন্য । সহজ উত্তর নেই এ প্রশ্নের। 

সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য নগর। বিশৃংখলা সেখানে কারও কাম্য নয়। আজ বাংলাদেশের শহরগুলোতে যে বিশৃংখলা বিদ্যমান সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে নগরের বিশৃংখলার লাগাম টেনে ধরবার এখনই সময়। এখন যদি এটা না করা হয় তবে সরকারের সকল সাফল্য ম্লান হয়ে যেতে পারে!

দীর্ঘ ৬৬ দিন পর নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানতে চাই। ভয়, হতাশাকে জয় করে বাঁচতে হবে, সুখ খুঁজতে হবে, সুখী সমাজ গড়তে হবে। সেজন্য আমাদের প্ৰয়োজন সঠিক জীবন দর্শন।

নতুন ভাবে যাত্রার প্রাক্কালে পত্রিকাগুলো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের ভাড়া বাড়ানো ও ভর্তি করে যাত্রী নেয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছিল- যা সকলের নজর কেঁড়ে ছিল। এটা নিয়ে যাঁরা হয়তো কোনোদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলেননি, সেরকম বরেণ্য ব্যক্তি ডক্টর কামাল হোসেনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

এর আগে আমি যখন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুলে দেয়ার কথা লিখে ছিলাম তখন প্রচন্ড প্রতিবাদ এসে ছিল। কালও তাদের প্রতিক্রিয়া দেখেছি। বাসগুলো নিয়ম মানছে না।  সড়কে  যানজট সৃষ্টি করছে, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মানছে না, ইত্যাদি, ইত্যাদি। । 

তাদের জন্য বলতে চাই - বিশ্বের সেরা শহর মেলবোর্ণে একদিনএর জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ হয় নি ! তারা ভাড়া বাড়ায়নি। এবং তারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে। আমার জীবন দর্শন হলো হতাশায় থামা নয়। আর তাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতম নতুন করে সব কিছু খুলে দেয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধু যদি সেই ১৯৭২ সালে শুন্য হাতে যাত্রা করতে পারেন , যদি সুইডেন লক ডাউন না করে বাঁচতে পারে , যদি লক ডাউনের পরেও যুক্তরাষ্টের লক্ষ নাগরিক মারা যায়, তবে লক ডাউন কিছুই দিতে পারেনি আমাদেরকে। বরং আমাদের দায়িত্বশীল আচরণই মুক্তির উপায়। আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না, যদি না আমরা দায়িত্বশীল হই।

আমার মনে হয়েছে, ১২ বছর ধরে সরকার উন্নয়নের যে নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে তা নানা ভাবে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।  নগর পরিবহন তার অন্যতম।  আমরা ২০১৮ সালে শিশুদেরকে রাজপথে দেখেছি এই অনাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে।  সরকার প্রমিজ করেছিল এই অনাচারের অবসান ঘটাবে।  আমরা নগরে দুজন নির্বাচিত মেয়র পেয়েছি।  ওনারা দায়িত্ব নিয়েছেন।  আমরা প্রায়ত মেয়র আনিসুল হক এর কাছ থেকে শুনেছিলাম তিনি একটি পরিকল্পিত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম নগরীকে দিবেন।  সে অনুসারে গুলশান এলাকায় একটি মডেল সিস্টেম দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন।  কিন্তু সেটিও তেমন কার্যকর নয়। এখানে আরও বাস প্রয়োজন।  রুটের সম্প্রসারণ প্রয়োজন।  আর প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।  এর সঙ্গে বাসের  আলাদা লেন চালু করা ছাড়া সিস্টেমটি টেকসই করা সম্ভব নয়। 

পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের মেয়রদের প্রতিশ্রুতি কোনোভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় যদি পুলিশ ও লাইসেন্সিং অথরিটি ওনাদেরকে সহযোগিতা না করেন। যেহেতু মেট্রোপলিটন পুলিশ নামে আলাদা একটি ব্রাঞ্চ আছে, সেক্ষেত্রে এই ব্রাঞ্চটি মেয়রদের অধীনে দেয়া যেতে পারে।  নুতবা সড়কের শৃংখলা সদুর পরাহত থেকে যাবে। 

নগরের উন্নয়ন কেবল সড়কের শৃংখলা আনলে হবে না। নির্মাণ, বাণিজ্য এর সঙ্গে যুক্ত।  নগর উন্নয়ন বিদ্যমান  সীমিত  ক্ষমতা দিয়ে সম্ভব হবে- এরকম আশা করা সমীচীন হবে না। 

নগর উন্নয়নের কোনো দর্শন আছে কি? আমার মনে হয় সেরকম কোনো ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। নগর উন্নয়ন যে কেবল কাঁচাবাড়ি থেকে পাকাবাড়ি, কাঁচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তা নির্মাণ বোঝায় না-তা হয়তো অনেকে বুঝি। সাম্প্রতিককালে ডেঙ্গু ও কভিড-১৯ মহামারীর বিষয়টি সকলকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।  শৃংখলার পাশাপাশি নাগরিকের স্বাস্থ্য এখন উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। 

যদিও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও আবর্জনার অপসারণ স্বাস্থ্য সম্মত হওয়া প্রয়োজন।  এবং নগর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করে থাকেন , তবে বিল্ডিং পারমিট দেয়ার সময় বিষয়টি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ মনে রাখেন বলে প্রতীয়মান হয় না।  ফলে জন সংখ্যার ঘনত্ব যে ভাবে বেড়েছে তাতে কোয়ালিটি লাইফ শহরে এখন সোনার হরিণ। করোনা  ভাইরাস এর বিস্তারের অন্যতম কারণ। 

অবাক কাণ্ডের বিষয় হলো সরকারি আবাসিক এলাকাগুলোও কোনোভাবে স্বাস্থ্যকর বলা যায় না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বেশ কিছু সম্মানিত মন্ত্রী ও সম্মানিত সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে মশার কামড় খেতে খেতে ভাবছিলাম না জানি ডেঙ্গু আমাকে ধরে। ওনাদের বাসার পাশের ড্রেন দুর্গন্ধ ও ময়লায় ভরপুর।  মশার ও পোকার শান্তির আবাসস্থল , নাগরিকের নয়। যখন দেখলাম ওঁনাদেরই এমন অবস্থা তখন আমার অবস্থা নিয়ে ভাবনার সুযোগ কোথায় ? যখন মাননীয় অর্থমন্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে গেলেন তখন আরও ভীত হলাম আমাদের আগামী দিনগুলির কথা ভেবে।

আজ সারাদেশের মানুষ প্রায় তিনমাস ধরে হাহাকার করছে, উদ্বেগে জীবন যাপন করছে তার অন্যতম কারণ আমাদের উদাসীনতা।  আমাদের উপরতলার মানুষগুলো সর্দি কাশি হলে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক কিংবা লন্ডন চলে যেতেন।  আজ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছেন-কোথায় ভুল ছিল তাদের ভাবনায়। 

আজ আমরা লক্ষ্য করছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্দোলনের মুখে বাইবেল হাতে চার্চে যাচ্ছেন, হিন্দুইজম দিয়ে মোদী ভারতকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাইছেন; ৫০০ বছর পরেও সাদা -কালো বিভেদ বিরাজমান ; জর্জ ফ্লয়েড বলেন " আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা " সেখানে কিভাবে আমরা আশা করি বিদেশে বেগমগঞ্জ  বানালে আমাদের ভবিৎষ্যৎ প্রজন্ম সুখে , নিরাপদে থাকবে ?

কিছুদিন আগে আমাদের গুরুজন বিদেশ থেকে শিক্ষক আমদানি নিয়ে ভাবছিলেন।  আমরা আসলে কি চাই ? উন্নয়ন নাকি স্বাধীনতা ? আমরা কি ভুলে গেছি ব্রিটিশ পরাধীনতার কথা? আমরা শর্ট কাট সমাধান খুঁজি। অপরদিকে চাইনিজ বা ভারতীয়রা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজে। তারা তাদের সন্তানদেরকে বিদেশে পাঠায় এবং উচ্চ বেতন দিয়ে দেশে ফেরায়।  মালয়েশিয়া , সিঙ্গাপুর , ইন্দোনেশিয়া এভাবে উন্নয়ন করছে।

আর আমরা কৌশল খুঁজি কিভাবে বিদেশ ডিগ্রিধারীদের বিতাড়ন করা যায়, Demoralize করে দেয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যগণ , বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে যেন ভাবে।  উপাচার্যরা বিদেশ থেকে ফিরে আসা শিক্ষকদেরকে সুযোগ দেবেন না কি তাদেরকে বিতাড়ন করে উন্নয়ন করবেন । তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে যোগ্য শিক্ষকের স্বল্পতার সমস্যা মেটানো যৌক্তিক চিন্তা নয় কি ? দেশের সন্তানদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা কি ভাল নয়? অর্থাৎ, শিক্ষা উন্নয়নের দর্শন আসলে কি আমদানি নির্ভর হবে নাকি নিজেদের শক্তি বাড়ানো যৌক্তিক হবে ? 

কিছুদিন আগে একটি গল্প একজন ডাক্তারের কাছ থেকে শুনেছিলাম।  তিনি ট্রেনিংএ মালয়েশিয়ায় গিয়ে ছিলেন।  তিনি তাদের উন্নয়নের চাবিকাঠি জানতে চেয়ে ছিলেন।  তখন ওই মালয়েশিয়ান বাংলাদেশী ডাক্তারকে বলেছিলেন , একবার  বেগম মাহাথির অসুস্থ হলেন।  ডাক্তার বললো বিদেশ পাঠিয়ে দিন।  মাহাথির বললেন না।  বরং আপনারা বিদেশ যান , ট্রেনিং নিয়ে আসেন তার পর আমার বেগমের ট্রিটমেন্ট করেন।  এবং সেটাই হয়েছিল। 

বাঙালিদের মাঝে এমন দেশ প্রেম ছিল বলে ব্রজমোহন, ব্রজলাল নিজ নিজ এলাকায় কলেজ করেছেন।  কুমুদিনী, বিনোদিনী নামে হাসপাতাল আছে।  কিন্তু - বিগত দিনগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মত প্রাইভেট ক্লিনিক হলেও সরকারি জেলা হাসপাতলে কিছু হয়নি , আমার দেশে বাণ্যিজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসার ঘটেছে ওই ব্যাঙের ছাতার মতো; যার মালিকরা বিদেশ থেকে শিক্ষক আমদানি করে সনদ বাণিজ্যের প্রসার সম্ভব চিন্তা করেন - তারা আসলে স্বাধীনতাকে হুমকিতে নিপতিত করেন- যেমন ব্রিটিশ এসেছিলো এদেশে বাণিজ্য করতে!

করোনা ভাইরাস তোমাকে অন্ততঃ এক কারণে ধন্যবাদ দিতে হয়।  এবার তারা বুঝবে বিদেশে অর্থপাচার , বেগমগঞ্জ বানানো উন্নয়ন নয় , বিদেশ থেকে শিক্ষক আমদানি উন্নয়ন নয় , কাঁচা বাড়ি থেকে পাকাবাড়ি বানানো উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন মানে পরিকল্পিত উন্নয়ন- যার পেছনে থাকে স্বাধীনতা বোধ এবং মযাদাপূর্ণ উন্নত জীবনবোধ বা কোয়ালিটি অব লাইফ ! আর কোনো বড় পদে যিনি বসেন, তিনি হবেন উদার মনের একজন দেশপ্রেমিক যিনি কোয়ালিটি কি বোঝেন। আমরা কিন্তু প্রতিযোগিতায় কোয়ালিটিতে মার খাচ্ছি।  গুণগতমানের সমস্যা মোকাবেলায় শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ একান্ত জরুরি। এটি একটি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুও বটে !

 

লেখক: অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন