নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট একটি কর্মপন্থা বলে দিয়েছে। সেই কর্মপন্থার প্রথম কথা হলো টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলে আমাদের করোনার থেকে এগিয়ে থাকতে হবে। এগিয়ে থাকার একটাই মাত্র পথ, তা হলো পরীক্ষা করা। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যেন কিছুতেই সেটা বোঝানো যাচ্ছে না। বরং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন উল্টো পথে হাঁটার নীতি এবং কৌশল গ্রহণ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা যখন বলছেন যে, বাংলাদেশে প্রতিদিন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা দরকার, তখন আমাদের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ১৪ হাজারের-ও কম। এই পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে এবং আমাদের বড় ধরণের সর্বনাশ হতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আমরা শুরু থেকেই দেখেছি যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কম পরীক্ষার কৌশল গ্রহণ করেছিল। প্রথমে আইইডিসিআর-কে দিয়ে তাঁরা করোনা পরীক্ষা করানো শুরু করলো। এতে দৈনিক মাত্র ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এই পরীক্ষার হার বাড়ানোর কথা বলা হলে দেখা গেল যে, বাংলাদেশে আরটিসিআর মেশিনই নেই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎপরতায় যে মেশিনগুলো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানে ছিল সেগুলোকে কার্যকর করা হলো। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরটিসিআর মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো। এখন বাংলাদেশে ৭৩ টি আরটিসিআর মেশিনে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ৭৩ টি মেশিনের যথাযথ ব্যবহার করতে পারছে না। গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা পরীক্ষার যে ফলাফল দিয়েছে তাতে দেখা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় ৬৮ টি মেশিনের ফলাফল পেয়েছেন। কখনোই সবগুলো মেশিন কার্যকর থাকছে না, কোনদিন মেশিন নষ্ট হচ্ছে, কোনদিন কোন মেশিন থেকে পরীক্ষা করছে না।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে যে, এর মূল কারণ মেশিনগুলো সব পুরনো মডেলের, যেগুলো ২০০৯ সালের মডেলের। যে মেশিনগুলো আনা হয়েছে সেখানেও একটা স্পষ্ট দূর্নীতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০২০ সালে কেন ২০০৯ সালের মডেলের মেশিন উচ্চমূল্যে কেনা হবে। সেটা যাই হোক না কেন, এখন আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হলো দ্রুত পরীক্ষা করা। দ্রুত পরীক্ষা করাটা এজন্যই জরুরি যে, আমাদের সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এই সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের যে কাজটি করতে হবে তা হলো, দ্রুত সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে, তাদের আলাদা করতে হবে এবং তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করতে হবে। কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করে তাদের আইসোলেশনে নিতে হবে, তাদেরও পরীক্ষা করতে হবে। এইভাবে যারা আক্রান্ত এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের থেকে সুস্থদের আলাদা করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর আর কোন বিকল্প পথ নেই। যেহেতু বাংলাদেশ লক ডাউন বা কারফিউর মতো কঠিন পথে যেতে চাচ্ছে না, জীবন জীবিকাকে পাশাপাশি রেখে অর্থনৈতিক মোকাবিলা করতে চাইছে। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য পরীক্ষাই হলো একমাত্র কৌশল, যার মাধ্যমে করোনার অন্ধকার টানেল থেকে বের হওয়া সম্ভব। এই কৌশলটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বারবার বাধাগ্রস্থ করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অজ্ঞাত কারণে এই পরীক্ষা নিয়ে এক ধরণের ছলাকলা কৌশল করছে। যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি পরীক্ষা করতে পারেনি। কেন পারেনি সেই ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই ভালো দিতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বারবার বলা হচ্ছে পরীক্ষার হার বাড়ানোর জন্য। বেশি করে পরীক্ষা করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন কাউকেই তোয়াক্কা করছে না। বরং তারা কম পরীক্ষার কৌশল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন। এরকম একটা বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে করোনার পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যত দ্রুত পরীক্ষা হবে তত দ্রুত বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হতে পারবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।