ইনসাইড বাংলাদেশ

এবারও কি মিঠুকে সততার সার্টিফিকেট দেবে দুদক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এতদিন মানুষ জানতো এখানে দুর্নীতি হয়, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর চেহারা খুব একটা চেনা হতো না। ক্রমেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া প্রায় প্রতিদিন তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরছে। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা নিয়ে মানুষ যখন দিকবিদিক, তখন একের পর এক দুর্নীতির খবর মানুষকে আরো বেশি হতাশ করছে। তাদের প্রশ্ন এমনি চলতে থাকবে নাকি এদের বিচার হবে? স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংসের পায়তারা করেছে একটা সিন্ডিকেট। সরকারের সব উন্নয়ন আর অর্জিত ভালোবাসা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে এই একটি খাত। আর স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতির মাফিয়া হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর।

প্রশ্ন হলো মিঠু দুর্নীতি কি আজকাল শুরু করেছেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিঠু প্রায় দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন স্বাস্থ্যখাতে। মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো বরাবরই। মিঠুকে দুর্নীতি দমন কমিশন সকল কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছে আগামী ৯ জুলাই। সবাই অপেক্ষায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই ডাকার ফল কি? যখন চারদিক থেকে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ধুয়োধ্বনি উঠছে তখন কি তাকে ফের ‘সাদা’ করার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে?

কারণ ২০১২ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আজ। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তখনকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেখানে দেখা যায়,  ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে নোটিশ পাঠানো হয়। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ এর অভিযোগে তখন মিঠুকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন/চলমান আছে এবং ঔষধ, মালামাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন সেগুলের প্রশাসনিক অনুমোদন, বরাদ্দপত্র, প্রাক্কলন, টেন্ডার, কোটেশন, দাখিলকৃত টন্ডার,টেন্ডার সিডিউল, ওপেনিং মেমম, তুলনামূলক বিবরণী, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কার্যবিবরণী, কার্যাদেশ/ সরবরাহ আদেশ, চুক্তি, কার্যসমাপ্তি প্রতিবেদন, মালামাল/ যন্ত্রপাত/ ঔষধ গ্রহন সংক্রান্ত, নোটশীট, বল ভাউচার, কাজ বুয়ে! নেয়ার রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য/রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মিঠু কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। মিঠুর তদন্তেরও কি অগ্রগতি হলো সেটাও জানা যায়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মিঠুকে ফের একই অভিযোগে কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সে যাত্রাতেও মিঠু আদৌ কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মিঠুকে আরেকবার রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিঠুর কাজ মিঠূ করেছেন। মিঠু তোয়াক্কা না করে দুদকের এই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন।

মিঠু তার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য তা নয়, দুদকই মিঠুকে ফের মনে করে। ২০১৬ দুদক বনানী থানায় দুদক মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজহারে মিঠূর কাছে বারবার তথ্যাদি চাওয়া ও নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরও জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বলা হয় ৫০,১৫,৫১,২৩৪ পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে মিঠু। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।

সেই তদন্তের রিপোর্ট বাংলা ইনসাইডারের কাছে। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, মিঠুর নামে ২০১১-২০১২ অর্থ বছর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সুনামে/বেনামে প্রায় ৫০,১৫,৫১,২৩৪/- টাকা। বিপুল পরিমাণ সম্পদ/ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মায় বিধায় নিজ নামে, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/বেনামে `অর্জিত প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ, অর্জনের পদ্ধতি/উৎস ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ উদঘাটনের জন্য তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ৭(সাত) দিবসের মধ্যে তাকে দাখিল করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/বিঃঅনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/৩২৫৭০ তাং- ২/১২/২০১৩ খ্রি: মূলে নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশটি করার জন্য জনাব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আদেশ (এক পাতা) ও সম্পদ বিবরণীর ফর্ম নম্বর ০০০১৫১৪ (`তিন পাতা) জনাব মো. আবু সায়েম খান, সিনিয়র অফিস এক্রিকিউটিভ, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, সাক্ষী (১) জনাব গোলাম কিবরিয়া, ম্যানেজার, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, (২) জনাব সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ- এর কাছে দেওয়া হয়।

কিন্তু মিঠূ পরবর্তীতে জানান, তিনি এমন কোন ফর্ম পাননি। পরবর্তীতে মিঠূ তার ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত প্রদত্ত যাবতীয় আয় এবং করের সনদ সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে জাতীয়ভাবে পুরস্কার পাওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটের কপি সংযুক্ত করে দুদকে জমা দিয়েছেন। 

আর এর প্রেক্ষিতে দুদক মিঠূর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযাগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় স্মারক নং-দুদক /বি:অনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/১৯৯০৭ তারিখ: ২৯/৬/১৭ খ্রি: মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযাগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিঠুর ১৬ টির বেশি কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের কাজ করে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে- (১) মেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এন্ড টেকনোক্রেট (২) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ (৩) সিআর মার্চেন্ডাইজ (8) এলআর এভিয়েশন (৫)জিইএফ এন্ড ট্রেডিং (৬) ট্রেড হাউজ ও (৭) মেহরবা ইন্টারন্যাশনাল, (৮) ক্রিয়েটিভ ট্রেড,(৯) ফিউচার ট্রেড, (১০)লেক্সিকেন, আইটি(প্রাঃ)লিঃ, (১১) টেকনো ট্রেড, (১২) Bellaire aviation (১৩) GES and trading (14) Have International, (15) Lesicon Hospitalite, (16) North Tech LLC) Ltd।

কিন্তু এর কোনটার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মিঠূ দুদক থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আবার স্বমহিমায় দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। তার দুর্নীতি এখন করোনাকালে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। মিঠুকে আবার ডাকা হয়েছে দুদকে। যতদূর জানা যায় মিঠু দেশের বাইরে আছেন। মিঠু কি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন কাগজপত্র জমা দিবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।

কথা হলো মিঠু যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলেই সে পুতপবিত্র? মিঠুর দুর্নীতি অব্যাহত থাকে। মিঠু হয়তো কোনভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুদকের। কিন্তু তারপর কি? সেটা দেখার অপেক্ষায় জাতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলার কি হলো? কিংবা তারেকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাও কি হলো সেটাও জানা যায়নি। তালিকাটি বেশ লম্বাই যে দুদক তদন্ত শুরু করে আর সেটার শেষ জানা যায় না।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে হবে না।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।


ভাঙ্গা   যশোর   রেলপথ   অক্টোবর   রেলমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন