ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা যুদ্ধে শেখ হাসিনার অনবদ্য নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপে ধারণ করলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাতে যদি কিছু দুর্বলতা থাকে সেটা শুধুমাত্রই ওই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ভুলের খেসারত। যা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন দাবি করছে, শঙ্কা থাকা স্বত্ত্বেও বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে করোনার লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে সেগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। বাংলাদেশের পাশাপাশি জার্মান, তাইওয়ান, আইসল্যান্ড , নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের কথা বলা হয়েছে ম্যাগাজিনটিতে। সেখানে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা এখনো কার্যকর করতে পারেনি যুক্তরাজ্য। ম্যাগাজিনের তথ্য, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। সেখানে দুর্যোগ কোন নতুন ঘটনা নয়। আর এই করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি (শেখ হাসিনা)। তড়িৎ এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (উই ফোরাম) পুরো বিষয়টিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে।

তার নেতৃত্বেই সরকারি চাকরিজীবী থেকে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক, গার্মেন্টস কারখানা থেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প, জাহাজ শ্রমিক থেকে অসহায় দিনমজুর দান-প্রণোদনা থেকে বিরত রাখেননি কাউকেই। ভয়াবহ সঙ্কট মোকাবিলায় তড়িৎ গতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স। যাদের দেশের বিভিন্ন কভিট-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় যে চারটি বড় দেশ সফলভাবে কভিড-১৯ মোকাবিলা করছে, এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। অর্থনীতি, রাজনীতিসহ নানাদিক থেকে শক্তিশালী হওয়া স্বত্ত্বেও মৃত্যুর হার এখনও বেড়েই চলেছে ভারত ও পাকিস্তানে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি, চিকিৎসার অভাবে জনগণ সাধারণ চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকেই কোভিড-১৯ ব্যতিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসাপাতালগুলোতে গেলে চিকিৎসা পাচ্ছে না। এ ধরনের অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। এ দায় কার? এজন্য এই মুহুর্তে উচিত, নামি-দামি প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে যারা কভিড-১৯ ও যারা কোভিড-১৯ নন; তাদের জন্য পৃথক পৃথকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তা না হলে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি সাধারণ মানুষের চরম অবিশ্বাস্য জন্মাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চিকিৎসা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা স্বত্ত্বেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের জন্য তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, সেটি হতে পারে না।

স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণেও সদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের মত দেশ যখন বেসরকারি খাতের কর্মীদের যথাক্রমে ৮০% ও ৬০% ভাগ বেতন প্রদানের কথা জানিয়েছেন; বাংলাদেশ তখন আপৎকালীন ৫ হাজার কোটি বরাদ্দের মাধ্যমে সব গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতন ১০০% দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর আরো বেশ কয়েকটি প্যাকেজে মোট ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার, যা মোট জিডিপির প্রায় কয়েক শতাংশ। এছাড়াও করোনা-কালে মানুষের জীবনযাত্রা ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাংলাদেশে তো বটেই, তৃতীয় বিশ্বের জন্যও বড় উদাহরণ হয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত বড় বড় সিদ্ধান্ত দ্রুতগতিতে নিয়েছেন, তা পৃথিবীর আর কোন কোন রাষ্ট্র নিয়েছে, তার গবেষণার বিষয়। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবি রাখে।আক্রান্তের পরপরই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবি তোলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন অনেকে। অনশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দায়ভার ও সুপারিশ ইস্যুত শিক্ষা ও  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরস্পর-পরস্পরকে দোষ চাপালেও সময় নেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ১৮ মার্চ দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি। যা আজ অবধি চলছে। ধারণা করি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্ত না জানালে আজ হয়তো শিক্ষিত সমাজে কমিউনিটি স্প্রেড ব্যাপার হারে বেড়ে যেত, আক্রান্তে যোগ হত শিক্ষার্থীদের নামের বড় একটি তালিকা। এই বিবেচনায় বলাই যায়, ভালো আছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

এন-৯৫ ও পিপিই নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে কেলেঙ্কারি হয়েছে; তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর থেকে এ সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ঠিকই একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

ইতোমধ্যেই আয়ের পথ বন্ধ হওয়া মানুষগুলোকে সরাসরি সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে দুই কোটি মানুষকে (৫০ লাখ পরিবার; পরিবার প্রতি চারজন) সরাসরি নগদ টাকা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে। যে সহায়তার আওতায় প্রতি পরিবার নগদ দুই হাজার ৪০০ টাকা করে পাবেন। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার দ্বারা স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া হচ্ছে। গত ১৪ মে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে উল্লেখ্য যে, টাকা বন্টনের পুরো এই বিষয়টি কোনো মন্ত্রণালয় কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হয়নি; বরং খোদ তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ও তাঁর কার্যালয়।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্যও ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রাণোদনার ব্যবস্থা হয়েছে; বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিতের। দিনমজুর, রিক্সা বা ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষের জন্য ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর চোখ এড়ায়নি শহর-বন্দর ও গ্রামে ওঠা হাজার হাজার কওমি মাদ্রাসাগুলোয়। এরমধ্যেপবিত্র রমজানের ঈদ উপলক্ষে দেশের ৬ হাজার ৯৭০টি কওমি মাদরাসায় দুই দফায় প্রায় ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার।

প্রতিটা খাতে ছিলো প্রধানমন্ত্রীর নজড়। জীবন জীবিকা পাশাপাশি চালিয়েই তিনি করোনা মোকাবিলা করছেন। আর এজন্যই বাংলাদেশ এখনো অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েনি।

জনগনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৭৪টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

 

- নদীবেষ্টিত জেলাসমূহে নৌ-এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

- অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।

- খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, জমি পতিত না রেখে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে।

- যে সকল চিকিৎসক ও নার্স কোভিড-১৯ প্রতিরোধে শুরু থেকে কাজ করছে; তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে; তাদের পুরস্কৃত করা হবে।

- জীবনে চলার জন্য কাজ করতে হবে; তবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করতে হবে।

- খাদ্য উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারো যেন একখন্ড জমি অন্যুৎপাদিত না থাকে।

- গাজীপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

- সুরক্ষা সামগ্রী যারা সরবরাহ করে তারা সঠিকভাবে জিনিসটি দিচ্ছে কিনা; তা যাচাই করে দেখতে হবে। বক্সের ভিতরে কি দেয়া আছে; তা পরিক্ষা করে নিতে হবে।

- দুধ ফেলে না দিয়ে কাউকে দিয়ে দিন; আপনার প্রতিবেশী কিংবা দরিদ্র মানুষকে দিন।

- প্রতিটি জেলায় আইসিইউ-এর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

- কৃষকগণ নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন; এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

- গণমাধ্যম কর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন; এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। যথাযোগ্য মর্যাদা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২২ মে) বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম বর্ণের মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি- ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার সব শ্রেণিপেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে জীবন কর্মের মাধ্যমে মানবজাতিকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত।

তিনি বলেন, আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। আমি আশা করি, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ লালন করে সকলে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন।

গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান নির্বাণ লাভ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয়বুদ্ধ পূর্ণিমা

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সুখ, শান্তি কল্যাণ কামনা করেন।


বুদ্ধ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

২৭ বছরেও হলো না ডাম্পিং স্টেশন, সড়কের পাশেই আবর্জনা


Thumbnail রাস্তার পাশেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গলাচিপা পৌরবাসী


সরেজমিনে দেখা গেছে,গলাচিপা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের  শান্তিবাগ এলাকার গলাচিপা ডাকুয়া ইউনিয়ন যাওয়ার প্রধান  সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। ভাগারটিতে জ্বলছে আগুন ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা সড়কের যাতায়াত করা লোকজন এবং এলাকাবাসী সকলে নাক চেপে  চলাচল করে ।ভাগারটির ঠিক পাশে রয়েছে একটি পুকুর যে পুকুরটির পানি ব্যাবহার করে ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ

রাস্তার উপরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন হসপিটাল ক্লিনিকে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ শুই স্যালাইন কাচের বোতল এতে বিভিন্ন সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় এলাকার চলাচল করা এলাকাবাসী এই ময়লার ভাগারটি দ্রুত অপসরন শহরের বাহিরে কোথাও স্থায়ী করার দাবী জানান এলাকাবাসী

শান্তিবাগ এলাকার মোঃ রাসেল বলেন, ‘এই ময়লার গন্ধে বসবাস করা অসম্ভব এই এলাকায় এখন থাকাই বড় দায়, স্থায়ী বাসিন্দা না হলে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম। এইখানে বাসা থাকায় আত্মীয় স্বজনরা আসতে চায় না

আরেক ভুক্তভোগী ডলি বেগম বলেন, ‘এই ময়লা গুলো পৌরসভার লোকজন গাড়িতে নিয়ে এসে ফেলে চলে যায় এই ময়লার গন্ধে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এমন চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের অসুখ হইয়া যাইবে । দ্রুত এই ময়লা সরানোর জন্য পৌরসভাকে বারবার বল্লেও তারা কোনো কিছু করে না।

এবিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনীল বিশ্বাস জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ আসলেই ময়লা স্থানান্তর করা হবে।

গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


ডাম্পিং স্টেশন   ময়লা   আবর্জনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিদ্ধার্থ গৌতম থেকে গৌতম বুদ্ধ

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ (২২ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। এই দিনে ভগবান বুদ্ধ আবির্ভূত বা বৌধি প্রাপ্তি হন আর তাই তার এই মহা নির্বাণের স্মৃতিকে স্মরণ করতেই মূলত আজকের  দিনটিকে ‌‌‌‌‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ হিসেবে পালন করেন বুদ্ধ ভক্তবৃন্দরা।

পৃথিবীতে যখন অস্থিরতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, যখন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছেঠিক তখনই বুদ্ধ আমাদেরকে শিক্ষা দেয় পঞ্চশীলের। প্রাণী হত্যা না করা, ব্যভিচার থেকে বিরত থাকা, চুরি না করা, মিথ্যাকে প্রশ্রয় না দেয়া, মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদির মাধ্যমে সৎ জীবন যাপনের শিক্ষা দেয় বুদ্ধ। বুদ্ধ শব্দের অর্থ যিনি পরম শাশ্বত জ্ঞান লাভ করেছেন। অর্থাৎ যিনি নিজের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থে এমন ২৮ জন বুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গৌতম বুদ্ধ ২৮তম।

ধারণা করা হয় গৌতম বুদ্ধের জন্ম আজ থেকে প্রায়  আড়াই হাজার বছর পূর্বে। ৬২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নেপালের কপিলাবস্তুর লুম্বিনী নামক স্থানে তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম উদ্বোধন। যিনি ছিলেন শাক্যগণের রাজা। মাতা ছিলেন মায়া দেবী। গৌতম বুদ্ধের জন্মগত নাম অবশ্য সিদ্ধার্থ গৌতম। সিদ্ধার্থের জন্মের দিনের মাথায় তার মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর ভগবান বুদ্ধ তার বিমাতা গৌতমীর কাছে লালিত পালিত হয়। সে কারণে তিনি তার নামের সাথে গৌতম নামটি ধারণ করেন।

কথিত আছে, সিদ্ধার্থের জন্মের পর তার পিতা সিদ্ধার্থের ভবিষ্যৎ গণনার জন্য আট জন জ্ঞানী লোককে ডাকেন। এদের মধ্যে একজন ভবিষ্যদ্বাণী করেন, রাজপুত্র হয় বিরাট সম্রাট হবেন নয়তো মহাজ্ঞানী সন্ন্যাস হবে। রাজা উদ্বোধন সবসময় চাইতেন তার ছেলে যেন সম্রাট হন। তিনি মনে করতেন সিদ্ধান্ত যদি কোন দুঃখ বা কষ্ট পান তবে সে বৈরাগ্য জীবনে উৎসাহিত হবেন। তাই রাজা সবসময়ই সিদ্ধার্থকে  আনন্দে আর আভিজাত্যে রাখার চেষ্টা করতেন। এই উদ্দেশ্যে সিদ্ধার্থের ১৮ কিংবা ১৯ বছর বয়সে তাকে বিবাহ দেন সিদ্ধার্থের পিতা। কিন্তু যার অদৃষ্টে আছে মহাজ্ঞান, জীবের উদ্ধার তাকে আটকানো কার সাধ্য!

জনশ্রুতি আছে, একদিন সিদ্ধার্থ বাগানে হাট ছিলেন। সময় তিনি প্রথমে একজন বৃদ্ধকে দেখতে পান, এরপর এক অসুস্থ, এবং পরে একজন মৃতকে দেখতে পান যাকে ঘিরে আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছিল। এই ঘটনার বৃত্তান্ত তিনি তার সাহচর্য চণ্যকে কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এসবই নিয়তি। আবার, এমনই একদিন বাগানে হাঁটার সময় সিদ্ধার্থ দেখতে পাই একজন সাধু জীর্ণ বস্ত্র পরে হাঁটছে। বিষয়ে তিনি চণ্যকে জিজ্ঞেস করলে চণ্য বলেন, এই সাধু নিজের জীবন ত্যাগ করেছে মানুষের সুখের জন্য।ধারণা করা হয়, সেদিন রাতেই সিদ্ধার্থ তার স্ত্রী সন্তানকে রেখে বেরিয়ে পড়েন জ্ঞানের সন্ধানে।  মানুষের দুঃখ দুঃখের কারণ জানার উদ্দেশ্যে।

 এরপর দীর্ঘ ৮০ বছর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যে সফল হন। সিদ্ধার্থ গৌতম থেকে হয়ে যান গৌতম বুদ্ধ। কথিত আছে, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তার বোধ প্রাপ্তি বা মহানির্বাণ হয়।  তাই এই তিথিকে 'বুদ্ধ পূর্ণিমা' বলা হয়। 

গৌতম বুদ্ধ আমাদের শিক্ষা দেয় অহিংসার, ত্যাগের এবং সুন্দর সৎ জীবন যাপনের। গৌতম বুদ্ধের জীবনী বা শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্রাট অশোক যদি কঠিন যুদ্ধবাজ থেকে একজন আগাগোড়া অহিংস মানুষের পরিণত হতে পারে তাহলে আমরাও গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনের কাঙ্ক্ষিত সৎ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। হয়ত বৌদ্ধ ধর্ম দর্শন অনুসারে ৫০০০ বছর পর অন্য কোন বুদ্ধ আসবেন, কিন্তু গৌতম বুদ্ধ যে শিক্ষা মানুষের মাঝে রেখে গেছেন তার স্থায়ী হয়ে থাকবে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত।


সিদ্ধার্থ   গৌতম   বুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফলে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এখন পর্যন্ত যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের তালিকা তুলে ধরা হলো।

ভোটগ্রহণ চলাকালে জালভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট শেষ হওয়ার পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় একজনকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিন ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন।

নোয়াখালী: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপু। আনারস প্রতীকে সাইফুল আলম দিপু ৩২ হাজার ১৩২ পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

কক্সবাজার: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম। দোয়াত কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।

রাঙ্গামাটি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন, রাজস্থলী উপজেলায় উবাচ মারমা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।

জানা গেছে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাপ্তাই উপজেলায় সুইপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিউটি হোসেন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা-লীগের নেত্রী গৌতমী খিয়াং। বিলাইছড়ি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বংকিম তংচঙ্গ্যা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুদিপ্তা তংচঙ্গ্যা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরা: জেলার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ।

পিরোজপুর: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নেছারাবাদ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ আব্দুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬শত ১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫শত ২০ ভোট। অন্যদিকে, কাউখালি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাঈদ মিঞা ১১ হাজার ২শত ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাপ প্রিচ প্রতীকের মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৯৪ ভোট।

সুনামগঞ্জ: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ।

জানা গেছে, রেজাউল করিম শামীম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৯ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী (আনারস প্রতীকে) ১৩ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়েছেন। ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নাসরিন সুলতানা দিপা ৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২৫ ভোট।

পাবনা: জেলার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম হাসনায়েন রাসেল ও খলিলুর রহমান। বেসরকারি ফলাফলে ৪৫ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ গণনায় রাসেল মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ ভোট।

অন্যদিকে, ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির আংশিক ফলাফলে খলিলুর রহমান দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০৭ ভোট।

কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান খান। আনারস প্রতীকে ৬০ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম জিলানী নজরে মুর্শেদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।

চাঁদপুর: জেলার সদর ও ভোট হাজিগঞ্জ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আইয়ুব আলী বেপারি ও আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন। আইয়ুব আলী বেপারি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে ভোট হাজিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ: জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাঈদ। দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা: জেলার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। ঘোড়া প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন।

সিলেট: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজির উদ্দিন। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১ হাজার ৯১১ ভোট পেয়েছেন।

মেহেরপুর: জেলার গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ খা‌লেক। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখ‌লেছুর রহমান মুকুল হে‌লিকপ্টার প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।

নীলফামারী: জেলার জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী মিন্টু। ঘোড়া প্রতীকে ৩৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম আজম এলিচ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৪৬ ভোট পেয়েছেন।

কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই বাবলু। হেলিকপ্টার প্রতীকে ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল চারটার পর থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও পরে কিছুটা বাড়ে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

২৪টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ভোট হয় ব্যালট পেপারে। দয়েক জেলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট দেন ভোটাররা। ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই প্রার্থীদেরও। নিবিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ ভোটের সব ব্যবস্থা আগে থেকেই নেয় নির্বাচন কমিশন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে, প্রতিটি কেন্দ্রে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি।

এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইসি সচিবকে বদলি

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বদলি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জাহাঙগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। উল্লেখ্য যে, আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?- এই শিরোনামে গত ১৮ মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ইনসাইডার। যেখানে জাহাংগীর আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়।


মো. জাহাংগীর আলম ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সচিব হওয়ার আগে মো. জাহাংগীর আলম জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, কমিশন সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিমকে। আর এ জন্য অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব হিসেবে পদন্নতি পেয়েছেন শফিউল আজিম। 
 
আগামী ৩০ মে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। 

ইসি সচিব   মো. জাহাংগীর আলম   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   জননিরাপত্তা বিভাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন