ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনায় হারিয়েছি যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা সংকটের চার মাস পূর্ণ হল। এই চার মাসে এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে করোনা।  সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ১৫১ জন। আর মৃত্যুর এই তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন ও বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও নানা পেশার মানুষ। সেইসাথে সম্মুখযুদ্ধে করোনার সাথে লড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন র‍্যাব, পুলিশ, চিকিৎসক, ব্যাংকার, সাংবাদিকসহ আরও বিভিন্ন পেশাজীবী। মরণব্যাধী করোনা কেড়ে নিয়েছে আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনদের।

ড. আনিসুজ্জামান

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। কর্ম জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লাভ করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক। তাঁর এমন চলে যাওয়াতে যেন এক অভিভাবক হারাল বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ নাসিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছেন। জ্বর-কাশিসহ ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হলে মোহাম্মদ নাসিমের করোনা ধরা পড়ে। এরপর তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে সফল অস্ত্রোপচার হলেও তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তীতে তার তিনবার করোনা পরীক্ষা হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানানো হয়। অবশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ১৩ জুন রাজপথের সংগ্রামী এই নেতা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।

শেখ আব্দুল্লাহ

১৩ জুন রাতে মারা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ। পড়ে ১৪ জুন সকালে পাওয়া রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

বদরউদ্দিন কামরান

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৪ জুন দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আনোয়ারুল কবির

বিএনপি সরকারের আমলের সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১০ মে সিএমএইচ এ মারা যান।

ভিসি ড. নাজমুল করিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. নাজমুল করিম গত ৭ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

হাজী মকবুল হোসেন

করোনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ হাজি মকবুল হোসেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।

প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল্লাহ আল মোহসীন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অসুস্থ ছিলেন আবদুল্লাহ আল মহসিন। বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে তার করোনা শনাক্ত হয়। দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।

প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী।

মোরশেদুল আলম

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম।

ইমামুল কবীর শান্ত

করোনায় মারা যান শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও সুন্দরবন কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত। আক্রান্তের পর তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জামাল এম এ নাসের

করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেনসের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামাল এম এ নাসের। বিমা শিল্পে দক্ষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত জামাল এম এ নাসের ২০১১ সালে ন্যাশনাল লাইফে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় আট বছর কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ডা. মো. মঈন উদ্দিন

করোনা সংকট শুরুর দিকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিন। পুরো সিলেটে গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসক। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন তিনি। পেশাদারিত্ব ও নৈতিক মানবিকতাবোধ থেকে কাজ করে জয়ী করে তুলেন মানবতাকে।

তাছাড়া, করোনায় প্রাণ হারান দুদক পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আলম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব জাফর আহম্মদ খান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন্নাহার, টিভি ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ, এনটিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক সুমন মাহমুদ, সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন, ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমান, মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ইসহাক ভুইয়া, সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু, নৃত্যশিল্পী হাসান ইমামসহ আরও অসংখ্য প্রিয়জনকে আমরা হারিয়েছি চলমান এই করোনা দুর্যোগে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই মৃত্যু যেন কেবল বেড়েই চলছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছেছেন ২১০৬৩ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছর হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আগুন লাগার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন