ইনসাইড পলিটিক্স

খুনীর মন্ত্রিসভায় কেন গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাঙালির জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ যেমন প্রতিবাদ করতে পারেনি, আওয়ামী লীগ নিরব দর্শকের মতো তাকিয়ে ছিল, তাঁর থেকেও ভয়ঙ্কর দিক হলো বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার মাত্র ৬ জন সদস্য ছাড়া প্রায় সব সদস্যই ঐ খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিল। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সর্বশেষ মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি। ঐ মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ক্যাপ্টেন মো. মনসুর আলী। ৩০ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় যে মন্ত্রীরা ছিলেন তাঁরা হলেন-

১. শেখ মুজিবুর রহমান- রাষ্ট্রপতি

২. সৈয়দ নজরুল ইসলাম- উপরাষ্ট্রপতি

৩. মো. মনসুর আলী- প্রধানমন্ত্রী

৪. খন্দকার মোশতাক আহমেদ- বাণিজ্য মন্ত্রী

৫. এএইচ এম কামরুজ্জামান- শিল্প মন্ত্রী

৬. মোহাম্মদ উল্লাহ- ভুমি প্রশাসন, ভুমি সংস্কার মন্ত্রী

৭. আব্দুস সামাদ আজাদ- কৃষি মন্ত্রী

৮. অধ্যাপক ইউসুফ আলী- শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী

৯. শ্রী ফণী ভূষণ মজুমদার- এলজিআরডি মন্ত্রী

১০. ড. কামাল হোসেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১১. মো. সোহরাব হোসেন- পূর্ত, গৃহনির্মাণ মন্ত্রী

১২. আব্দুল মান্নান- স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী

১৩. আব্দুর রব সেরনিয়াবাত- মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুত শক্তি মন্ত্রী

১৪. শ্রী মনোরঞ্জন ধর- আইন, বিচার, সংসদ মন্ত্রী

১৫. এড. আব্দুল মোমিন- খাদ্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী

১৬. আসাদুজ্জামান খান- পাট মন্ত্রী

১৭. এম কোরবান আলী- তথ্য, বেতার মন্ত্রী

১৮. ড. আজিজুর রহমান মল্লিক- অর্থ মন্ত্রী

১৯. ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী- শিক্ষা, আনবিক শক্তি মন্ত্রী

২০. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী- বন্দর ও জাহাজ দফতর মন্ত্রী

২১. নুরুল ইসলাম মঞ্জুর- প্রতিমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

২২. আব্দুল মোমিন তালুকদার- প্রতিমন্ত্রী, এলজিআরডি

২৩. দেওয়ান ফরিদ গাজী- প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য, পাট, চা

২৪. অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী- প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়

২৫. তাহের উদ্দিন ঠাকুর- প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও বেতার

২৬. মোসলেম উদ্দিন খান- প্রতিমন্ত্রী, পাট মন্ত্রণালয়

২৭. কে এম ওবায়দুর রহমান— প্রতিমন্ত্রী, ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ

২৮. ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল- প্রতিমন্ত্রী, সাহায্য ও পুনর্বাসন

২৯. রিয়াজ উদ্দিন আহমদ- প্রতিমন্ত্রী, বন, মৎস্য ও পশুপালন

৩০. সৈয়দ আলতাফ হোসেন- প্রতিমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর শেষ মন্ত্রিসভা

৭৫ এর ১৫ই আগস্ট যখন জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় সেই মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন খুনী মোশতাক, উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ এবং ঐ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন-

১. খন্দকার মোশতাক আহমেদ- রাষ্ট্রপতি

২. মোহাম্মদ উল্লাহ- উপরাষ্ট্রপতি

৩. অধ্যাপক ইউসুফ আলী- মন্ত্রী, পরিকল্পনা দফতর

৪. শ্রী ফণী ভূষণ মজুমদার- মন্ত্রী, এলজিআরডি

৫. মো. সোহরাব হোসেন- মন্ত্রী, পূর্ত, গৃহনির্মাণ

৬. আব্দুল মান্নান- স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী

৭. শ্রী মনোরঞ্জন ধর- আইন, বিচার, সংসদ মন্ত্রী

৮. আব্দুল মোমিন তালুকদার- মন্ত্রী, কৃষি দফতর, খাদ্য

৯. আসাদুজ্জামান খান- মন্ত্রী, বন্দর ও জাহাজ চলাচল

১০. ড. আজিজুর রহমান মল্লিক- অর্থমন্ত্রী

১১. ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী- শিক্ষামন্ত্রী

১২. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী- মন্ত্রী, পররাষ্ট্র দফতর

১৩.  শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন- প্রতিমন্ত্রী, বিমান ও পর্যটন

১৪. তাহের উদ্দিন ঠাকুর- প্রতিমন্ত্রী, তথ্য, বেতার, শ্রম

১৫. কে এম ওবায়দুর রহমান— প্রতিমন্ত্রী, ডাক ও তার

১৬. নুরুল ইসলাম মঞ্জুর- প্রতিমন্ত্রী, রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

১৭. দেওয়ান ফরিদ গাজী- প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য, খনিজ সম্পদ

১৮. অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী- প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়

১৯. রিয়াজ উদ্দিন আহমদ- প্রতিমন্ত্রী, বন, মৎস্য ও পশুপালন

২০. মোসলেম উদ্দিন খান- প্রতিমন্ত্রী, পাট মন্ত্রণালয়

২১. মোমেন উদ্দিন আহমেদ- প্রতিমন্ত্রী, বন্যা, পানি বিদ্যুত

২২. ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল- প্রতিমন্ত্রী, সাহায্য ও পুনর্বাসন

২৩. সৈয়দ আলতাফ হোসেন- প্রতিমন্ত্রী, সড়ক যোগাযোগ।

খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভা

দুটি তালিকার তুলনা করলে দেখা যায় যে, মাত্র ৭ জন খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। জানুয়ারির মন্ত্রিসভায় তিনি মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এই মন্ত্রিসভা থেকে অন্যান্য যারা ঐ মন্ত্রিসভায় যোগদান করেননি তাঁদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম (উপরাষ্ট্রপতি), যিনি পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ক্যাপ্টেন মসুর আলী (প্রধানমন্ত্রী), যিনিও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। আব্দুস সামাদ আজাদ (কৃষিমন্ত্রী), ৭৫ এর পরপরই যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ড. কামাল হোসেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রী), যিনি ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া সকলে কিভাবে খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলেন সেটা একটি বড় প্রশ্ন। গবেষকরা মনে করেন যে, মূলত কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্যরা খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। এই কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. আদর্শিক চেতনার অভাব

মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে যে আদর্শিক চেতনা থাকা দরকার ছিল, সেই আদর্শিক চেতনা তাঁদের ছিলনা। যার ফলে তাঁরা খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় অংশ নিয়েছিলেন।

২. ভয় এবং আতঙ্ক

যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, তাই তাঁরা ভীতু এবং কাপুরুষের মতো ঐ মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিলেন।

৩. ষড়যন্ত্রের অংশ

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার একটি বড় অংশই বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। যেমন তাহের উদ্দিন ঠাকুর, কে এম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুরসহ বেশ কিছু লোককে পাওয়া যায় যারা এই চক্রান্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এইজন্যে তাঁরা মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিলেন।

আরেকটি বড় কারণ ছিল যে, তাঁরা হতবিহবল হয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের কি করতে হবে কি করতে হবে না তা বুঝে উঠতে না পেরে মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিলেন।

৭৫ এর ১৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট নেতাদের খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগদানের মধ্যে দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, রাজনীতিতে আদর্শ, সাহস এবং সততা না থাকলে তাঁরা কঠিন সময়ে দাঁড়াতে পারে না। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের এই মন্ত্রিসভা আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন