ইনসাইড পলিটিক্স

অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

রিজেন্ট কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা প্রতারক সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। প্রতারক সাহেদ আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন দুষ্কর্ম করতো। শুধু প্রতারক সাহেদ একা না সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের দুর্বৃত্ত দুর্নীতিবাজ ও প্রতারক, যারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে  বিভিন্ন রকম অপকর্ম করছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ফরিদপুরে এ ধরনের বেশ কিছু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও এই অভিযান শুরু হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে যারা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে এবং আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করে টেন্ডারবাজী, দুর্নীতি, ক্যসিনো বাণিজ্যসহ নানা রকম অপকর্ম করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো হচ্ছে। এ ব্যপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, আছে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি। যারাই অপরাধ করবে তাদের পরিচয় দেখা হবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে। আর এই নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখন অপরাধীদের ব্যপারে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়েই আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে প্রতারক সাহেদরা কোন দরজা দিয়ে ঢোকে, কে তাদেরকে লালন পালন করে, কাদের কারণে তারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। এদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপচারিতায় এই বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী লীগের ওই সমস্ত নেতাদেরকে বলেছেন যে, যাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সাহেদরা লালিত হয় তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং তাদেরকে নিবৃত করা প্রয়োজন। কারণ তারাই হল সাহেদের মত প্রতারকদের আওয়ামী লীগে প্রবেশ করানোর প্রবেশদ্বার। এই প্রবেশদ্বার বন্ধ করতে না পারলে আওয়ামী লীগকে কলংকমুক্ত করা যাবে না। এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের জন্যই আওয়ামী লীগের যত অর্জন সব ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আর এই কারনেই যারা এই অপরাধীদেরকে দলে নিয়ে আসছেন, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন এবং আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো বলছে যে, শোকের মাস পার হলেই আওয়ামী লীগ এ ব্যপারে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করবে এবং যারা এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করে গ্রেপ্তার হয়েছেন, হোক না তারা টেন্ডারবাজ, হোক না তারা প্রতারক কিংবা ত্রান আত্মসাৎকারী, তারা কিভাবে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে সে ব্যপারে খতিয়ে দেখা হবে। আওয়ামী লীগের সুত্রে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা বিভাগের জন্য একজন করে সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে এই সাংগঠনিক সম্পাদকদের এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তারা এই ব্যপারে প্রথমে রিপোর্ট দিবেন। শুধু সাংগঠনিক ভাবে নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যপারে অনুসন্ধানের জন্য একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকেও দায়িত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। কারণ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিভিন্ন সময় যারা অন্য দল করতো, টেন্ডারবাজী করতো বা নানা রকম অপকর্ম করতো তারা আওয়ামী লীগে আশ্রয় প্রশ্রয় লাভের চেষ্টা করে। আর এই আশ্রয় প্রশ্রয় লাভের জন্য তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং তাদের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগার হয়ে যায়। কাজেই এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে যারা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাদের অপরাধও কোন অংশে কম নয়। তাদের কারনেই এরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য আওয়ামী লীগে একদিকে যেমন সদস্যভুক্তির জন্য নিয়মনীতি ও কঠোরতা আরোপ হবে তেমনি যে কেউ চাইলেই যে কাউকে প্রবেশ করিয়ে নেতা বানিয়ে দিতে পারবে- এরকম ব্যবস্থাপনাটাও পাল্টানোর উদ্যোগ দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগগুলো নেয়া হলেই আওয়ামী লীগের সত্যিকারে শুদ্ধি হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী হবার অফার: মান্নার নতুন স্টান্টবাজি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। 

বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাহমুদুর রহমান মান্না ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। শুধু মিথ্যা কথাই নয়, পুরো ঘটনাটা ছিল উল্টা। আমরা যদি নির্বাচনকালীন সময়ে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করি তখন সেই সময় দেখব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে বেশ কিছু রহস্যময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হঠাৎ করেই পর্দার আড়ালে চলে যান মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতারাও তাকে খুঁজে পাননি। যুগপৎ কর্মসূচির জন্য তাকে অনুরোধ জানানো হলেও তাদের ডাকে মান্না সাড়া দেননি। এসময় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচনে যাবেন এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তিনি জোট করছেন না। আর এই রকম জোটের জন্য তিনি সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেছিলেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এরকম একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে থেকে নিশ্চিত করেছেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বা সরকারের কোন সংস্থা যোগাযোগ করেননি। বরং মান্নাই উপযাচক হয়ে তিনশ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এজন্য তিনি তিনশ কোটি টাকার একটি বাজেটও চেয়েছিলেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রস্তাব যখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলকে দেওয়া হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দিয়ে ভোটের রাজনীতি হবে না। তাকে এই মুহূর্তে দরকার নেই। সে যদি নির্বাচন করতে চায় তাহলে নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করুক। আর এখানেই মাহমুদুর রহমান মান্নার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যি মাহমুদুর রহমানকে প্রস্তাব দেওয়া হত তাহলে মাহমুদুর রহমান মান্না কেন সেই সময়ে সেটি প্রকাশ করলেন না। মাহমুদুর রহমান মান্না কেন ২৮ অক্টোবরের পর ঘরে বসেছিলেন এবং তাকে নিয়ে যে গুঞ্জন হয়েছিল, সেই গুঞ্জনে জবাব তিনি দেননি। 

মূল বিষয় হলো মান্না ওই সময় সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছিলেন নিজ উদ্যোগে। এই সময়ে যারা যারা নির্বাচনে গেছেন বা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে আপোষ সমঝোতা করতে চেয়েছেন। এই সময় জেনারেল ইবরাহিম নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইবরাহিম এর এই ঘোষণার বিষয়টি মাহমুদুর রহমান মান্না জানতেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

মাহমুদুর রহমান মান্নাই জেনারেল ইবরাহিমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আপনি যান। আমরা পরিস্থিতি দেখি, তারপর কী করা যায়। ভাববো। মাহমুদুর রহমান মান্না হলেন সেই পঁচা বামদের একজন যিনি বারবার ভোল পাল্টিয়েছেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং পর্দার আড়ালে থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের আগে এরকম একটি অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেই তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর এটি বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন। আর এজন্যই নির্বাচনের পর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিএনপি এড়িয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতেও এখন তাঁর আগের কদর নেই। রাজনীতিতে তিনি এখন আবর্জনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন। আর এরকম উদ্বাস্তু জীবন থেকে নিজের দাম একটু বাড়ানোর জন্যই মাহমুদুর রহমান মান্না মন্ত্রিত্বের স্টান্টবাজি করছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।




মাহমুদুর রহমান মান্না  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বেচ্ছা নির্বাসনে ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 

সাধারণত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশ থেকে ফেরার পর ফুরফুরে থাকেন, স্বতঃস্ফূর্ত থাকেন এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। যেমন- দলকে কীভাবে পরিচালিত করতে হবে, তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য কী ইত্যাদি।

প্রতিবারই দেখা গেছে, বিদেশ থেকে ফেরার পরপরই তিনি পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে অথবা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন, সিনিয়র নেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, অতীতে বিদেশ থেকে ফিরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব নেতাকে ফোন করতেন, তাদের খোঁজখবর নিতেন এবং আন্দোলন সংগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য হালনাগাদ করতেন। কিন্তু এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ফেরার পর সেই যে বাড়িতে গেছে এখন পর্যন্ত তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেননি। আজ বিএনপির দলীয় কার্যালয়েও তাকে দেখা যায়নি। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন পর্যন্ত তিনি দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে যাননি।

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বিদেশ ভ্রমণের সময় তাঁর একটা ধকল গেছে। বিশেষ করে ওমরা পালনের সময় বেশ কিছু শারীরিক কাজ করতে হয়। একারণেই তিনি একটু অসুস্থ বোধ করছেন। দু একদিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বরূপে ফিরবেন এবং রাজনীতির মাঠে তাকে দেখা যাবে। তবে বিএনপি নেতারা এমনটি মনে করছেন না। 

এর আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন সিঙ্গাপুর থেকে ফিরলেন তখনও তিনি নীরবে ছিলেন এবং যে ক দিন তিনি দেশে ছিলেন সে কয়েকদিন রুটিন দু একটি কাজ ছাড়া কোন কাজেই তাকে খুব একটা উৎসাহী এবং আগ্রহী দেখা যায়নি। 

বিএনপির ঢাকা মহানগরীর একজন নেতা বলেছেন, আগের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেন মরে গেছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগের মতো সপ্রতিভ উদ্যোমী দেখা যায় না। তাঁর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা একেবারেই নেই।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কাছে দলের মহাসচিব পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এখন আর দায়িত্ব পালন করতে চান না- এমন বক্তব্য দেন। কিন্তু সেই বক্তব্য আমলে নেননি তারেক জিয়া। আর এ কারণেই নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন এবং আস্তে আস্তে দলে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় প্রমাণের জন্য তিনি যেন চেষ্টা করে চলছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি, তবে...

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি। তবে  সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সমাবেশের অনুমতি নিতে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ। আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাবো।

বিএনপি সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করি।’

তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বিএনপিকে বলা হয়েছে। শর্ত মানলে তাদের নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপি   সমাবেশ   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় আরও বিভক্ত হল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই করে জিতেছে। এর ফলে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় বা পরাজয় আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে পারেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এবং বিভক্তি আরও বেড়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল নোয়াখালীর সুবর্ণচর। সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম পরাজিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর কাছে। এটি তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাচন গুলোর মধ্যে যেখানে যেখানে মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই উত্তেজনার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মুখ দেখাদেখি রীতিমতো বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, সেই কৌশল যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকত না। এসময় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন। তৃণমূলের নেতারা যে যার মতো করে নির্বাচন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা নিজস্ব লোককে জেতানোর জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অনেক জায়গায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত উপজেলাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারচেয়েও বড় কথা হলো এ ধরনের অবস্থান গ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে এবং তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের ঘটনাও ঘটিয়েছে কোথাও কোথাও। উপজেলা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও খবর পাওয়া গেছে। এই বিভক্তি আওয়ামী লীগ কীভাবে মেটাবে সেটি হলো দেখার বিষয়।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   দলীয় কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলাতেও ভুল কৌশলে ব্যাকফুটে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই অবস্থান গ্রহণ করেছিল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বর্জন করবে এবং এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় ৭৩ জন বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৬৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির এই বহিষ্কারাদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে বহাল ছিলেন। 

প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর বিএনপির বহিষ্কৃত কোনো প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেননি। নির্বাচনকে নিয়ে তাদের কোন প্রশ্ন ওঠেনি। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে যে ধরনের সহিংসতা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার কথা তেমন কিছু ঘটেনি। বরং উপজেলা নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তুলনায় এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু একেবারেই হতাশাজনক নয়। 

নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের পরও ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়াটা খুব একটা খারাপ দৃষ্টান্ত নয়। 

বিএনপি শুধু উপজেলা নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রার্থীদেরকে নিরুৎসাহিত করেনি, ভোটারদেরকে ভোট বর্জনের জন্য  প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল। বিএনপি বলেছিল যে, জনগণকে ভোট বর্জনের জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করবে। কিন্তু বিএনপির এই ভোট বর্জনের প্রচারও না ফ্লপ করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি। কোনো কোনো উপজেলাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দুই পক্ষের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন একেবারে নিষ্প্রাণ হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। এই নির্বাচন আরও ভালো হতে পারতো যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াও যে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেছেন এবং নির্বাচন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটা বিএনপির জন্য একটা বড় পরাজয়। তার চেয়ে বিএনপির বড় পরাজয় যে, দলের শৃঙ্খলা এখন ভেঙে পড়েছে। দলের নির্দেশনা মানছেন না বিদ্রোহীরা। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে বলেই অনেকে মনে করছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে ভোট বর্জনের প্রচারণা সেই প্রচারণায় জনগণ সাড়া দেয়নি। তাহলে উপজেলা নির্বাচনের ভুল কৌশল কি বিএনপিকে আরও এক ধাপ নিচে নামিয়ে দিলো?


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন