কালার ইনসাইড

বিখ্যাত ছবির স্মরণীয় গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

একাধিক কালজয়ী সিনেমা পেয়েছি স্বাধীনতার পর থেকে। কিছু সিনেমার নাম জানলেও পেছনের অনেক গল্প থাকে অজানা। এমন কয়েকটি সিনেমার পেছনের গল্প বলেছেন সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

‘সুজন সখী’র নায়ক ফারুক

নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’-এর শুটিংয়ে একদিন খান আতা ভাই এলেন। তখন একটি নাটকীয় দৃশ্যের শুটিং চলছিল। শট শেষ হলে আমাকে বসিয়ে ‘সুজন সখী’র কথা বললেন। যেদিন ‘সুজন সখী’র শুটিং শুরু হলো সেদিন আমাকে আর কবরী ম্যাডামকে নিজের গাড়িতে করে স্পটে নিয়ে গেলেন। গাড়িতে আবারও গল্পে গল্পে ছবির চরিত্রগুলো এমনভাবে বললেন আতা ভাই, মনে মনে আমি সুজন হয়ে গেলাম। শুটিংয়ে উপচেপড়া মানুষের ভিড় সামলাতে পুলিশ লাঠিপেটা করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই। কবরী ম্যাডাম তখন সুপারস্টার। ওনার সঙ্গে আমাকে দর্শক কেমন গ্রহণ করে সেটা দেখার জন্য ভয়ে ভয়ে হলে গিয়েছিলাম। শেষ দৃশ্যে আমরা যখন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, তখন দর্শক আহ, ইশ শব্দ করে আফসোস করত। খান আতা ভাই খুব কষ্ট করে সিনেমাটা বানান। পারিশ্রমিক বাবদ আমাকে পাঁচ হাজার টাকা আর একটা হূদয়কাড়া চিঠি দিয়েছিলেন। এই ছবি আমাকে কুফা, অপয়া হিরো থেকে হিট বানিয়ে দিল। ‘সুজন সখী’সহ অনেক ছবিতেই আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের ভালোবাসা থেকে তো বঞ্চিত করা যায়নি! জীবনে এমন অনেক ভক্ত পেয়েছি যারা আমাকে বলেছে, তাদের মা-বাবা হলে গিয়ে বারবার ছবিটি দেখেছে। পণ করেছে, ছেলে হলে নাম রাখবে সুজন। এমন অনেক সুজনকেই আমি দেখেছি।

‘রংবাজ’এর গাজী মাজহারুল আনোয়ার

‘রংবাজ’-এর গান লেখার মিষ্টি মিষ্টি গল্প আছে। আমি হাঁস খেতে খুব পছন্দ করতাম। একদিন মা আমাকে কুমিল্লায় যেতে বললেন। গিয়ে দেখি পাঁচটি হাঁস রান্না করেছেন। হঠাত্ ঢাকা থেকে সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজের ফোন। ‘রংবাজ’-এর গান লেখার জন্য ঢাকায় ফিরতে হবে। দুই দিনের মধ্যেই শুটিং। বললাম, এ সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়। ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’—গানটি টেলিফোনেই দিলাম। সবাই পছন্দ করলেন; কিন্তু কবরী বেঁকে বসলেন। তিনি ভাবলেন, যেহেতু আমি একসঙ্গে বসে গানটি লিখিনি, তার মানে তাড়াহুড়া করে লিখেছি। তাঁর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বিধায় টেলিফোনেই মিষ্টি তর্ক হলো। বললাম, আপনি শুটিং করেন, খারাপ লাগলে আমরা দেব না। পরে তো এই গান সবারই পছন্দের হয়ে গেল। ‘হই হই রঙিলা’ গানটি নিয়েও উনি শর্ত দিয়ে বসলেন। তখন শীতকাল। আমি যেহেতু বৃষ্টিতে ভেজার গান লিখেছি, শুটিংয়ের সময় আমাকেও থাকতে হবে। এমনি নানা হাস্যরসের মধ্য দিয়েই ছবির গানগুলো তৈরি হয়েছিল। তখন সিনেমা ছিল টিমওয়ার্ক। সবাই সবাইকে বুঝতেন। ছবিটির সব গানই লিখেছিলাম আমি। তখনকার সময়ের আধুনিক ছবি ‘রংবাজ’ গানেও আধুনিকত্ব আনার চেষ্টা ছিল। আমরা সফল হয়েছিলাম বলেই গানগুলো এখনো বেঁচে আছে।

‘আলোর মিছিল’ এর সুজাতা

‘আলোর মিছিল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি খুব তৃপ্ত ছিলাম সেই সময়। নারায়ণ ঘোষ মিতা বড় মাপের পরিচালক ছিলেন। বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ ছবিতে অভিনয় করেন। আজিম সাহেবের পর রাজ্জাকের সঙ্গে আমার বেশ কিছু সিনেমা হিট হয়। ‘আলোর মিছিল’ও সেই রকম সফল একটি সিনেমা। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম দিনা। মজুদদার বাবার বিরুদ্ধে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।

এ ছবিতে ববিতাও অভিনয় করেছে। দুই নায়িকা কাজ করলে নাকি প্রতিযোগিতা হয়, তেমন কিছুই ছিল না আমাদের মধ্যে। ও আমার জুনিয়র, শুটিংয়ের সময় তাই স্নেহই করতাম।

‘আলোর মিছিল’এর ববিতা

রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক নায়িকা হিসেবে কিছু ছবি হিট করার পর ‘আলোর মিছিল’-এর অফার এলো। গল্পটা ‘আলো’ নামের এক মেয়েকে ঘিরে। সব ইমোশন তাকে নিয়ে, কিন্তু ছবিতে রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক পেয়ার হলেন সুজাতা ম্যাডাম। আমি গল্পে রাজ্জাক সাহেবের ভাগ্নি। আমাকে নিয়ে তখন ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা লগ্নি করছেন বা যাঁরা আমার বন্ধু, সবাই চাইলেন আমি যেন ছবিটা ‘না’ করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুন্দর গল্প, সুন্দর চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছারই জয় হলো।

নারায়ণ ঘোষ মিতা যখন সিকোয়েন্সগুলো অভিনয় করে দেখাতেন, বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠত। এ জন্যই এসব ছবি করার সময় গ্লিসারিন লাগত না। আমার একটা সংলাপ খুব জনপ্রিয় হয়েছে ‘চা গরম চা গরম।’ ক্লাসিক্যাল নাচ শিখতে হয়েছিল এ ছবির জন্য।

দর্শক ছবিটা কিভাবে নেয় তা দেখার জন্য বোরকা পরে গিয়েছিলাম ‘মধুমিতা’য়। আলো যখন মারা যায়, দর্শককে দেখেছি হাউমাউ করে কাঁদতে।

যাঁরা ছবিটি করতে মানা করেছিলেন তাঁরা সবাই পরে আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। কারণ এ ছবির পরও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার রোমান্টিক ছবি হিট হয়েছে। অর্থাত্ দর্শক গল্প এবং চরিত্রই দেখে। সেই সময় এ ধরনের সিনেমাই করতে চেয়েছিলাম। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবতাম কম। অর্থই সব কিছু নয়। ‘আলোর মিছিল’ আমার প্রিয় সিনেমাগুলোর একটি।

‘নয়নমনি’র এ টি এম শামসুজ্জামান

‘নিরক্ষর স্বর্গে’ উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে আমজাদ ভাই ‘নয়নমনি’ বানাচ্ছেন শুনে খুশি হয়েছিলাম, কারণ এই গল্পে যে সিনেমা ব্যাপারটা আছে একদিন আমিই তাঁকে বলেছিলাম। আর ভাবলাম সহকারী পরিচালনার কাজটি পেলে ১৫০ টাকার একটা ব্যবস্থা হয়। আমাকে অবাক করে দিয়ে মোড়ল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব করলেন আমজাদ। আমি তো করবোই না! আনোয়ার হোসেনের সম্মানী সেই সময় ছয় হাজার, আমিও ছয় হাজার চেয়ে বসলাম, যাতে আমাকে না নেয়। আমজাদ বললেন, এক হাজার টাকা দেবেন, তাতেই করতে হবে। অগ্রিম দিলেন ৫০০ টাকা। সেই টাকা পকেটে নিয়ে আমি অভিনয়ের ভয়ে কাঁদতে কাঁদতেই বাড়ি গেলাম। শুটিংয়ের দিন মেকআপম্যান শাজাহান আমাকে একটা কৃত্রিম আচিল মুখে লাগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা যত্নে রাখবেন। আচিলটি লাগিয়ে গোলাম মোস্তফা ভাই ‘প্রীত জানে না রীত’-এ পরে সফল হয়েছিলেন। প্রথম শুটিং ছিল গ্রামে একটা লাশ দাফন করতে দেবে না মোড়ল। নয়নকে তখন বলে দিতে হবে, আমি বলি তুই কেডারে? এই ছবির একটা মজার ঘটনা আছে। শেষভাগে মনিকে নিয়ে পালানোর সময় আমি সুজনকে গুলি করতে যাই। মনি ধাক্কা দিয়ে আমাকে নদীতে ফেলে দেয়। শুটিংয়ের সময় শীতকালে কালীগঙ্গা নদীতে পড়ে আমি রীতিমতো কাঁপতে থাকি। আমাকে কেউ একজন ব্র্যান্ডি খাইয়ে দেয়। ছবি মুক্তির পর দেখি সবাই মোড়লকে খুঁজছে। এমন ঘটনাও আছে শুটিং স্পটে আমাকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা নানা কটু কথা বলত। দুশ্চরিত্র মোড়ল আর আমি যে এক নই এটা তারা মানতে চাইত না।

‘সীমানা পেরিয়ে’র কাজী হায়াৎ

আমি তখন পরিচালক মমতাজ আলীর সহকারী। তিনি নতুন ছবি করছিলেন না বলে কাজ খুঁজছিলাম। আলমগীর কবিরই আমাকে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে বললেন। খোলাখুলিভাবেই বললেন, দুজন সহকারী রাখা তাঁর পক্ষে সম্ভব না, আমাকে তাই বেশ পরিশ্রম করতে হবে। তাঁর সঙ্গে কাজ করার তীব্র আগ্রহ ছিল বলেই রাজি হয়ে গেলাম। কক্সবাজারে শুটিংয়ের দিনগুলো দারুণ কেটেছিল। সে সময় নেগেটিভ সংকট ছিল, রাত-দিন একাকার করে সম্পাদনার কাজ করতে হয়েছিল। এরপর তাঁর সঙ্গে কিছু তথ্যচিত্রের কাজও করেছিলাম। মাসে ২০০ টাকা করে দিতেন। এরপর মমতাজ আলী আবার ছবি শুরু করলে তাঁর কাছে ফিরে যাই। তবে আলমগীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আলমগীর কবিরের জানাশোনা এত বেশি, তাঁকে দেখলে মনে হতো আমরা মনে হয় কোনো দিনই সিনেমা বানাতে পারব না। আমি তাঁর গুণমুগ্ধ। ‘সীমানা পেরিয়ে’ আমার কাছে নান্দনিক একটি সিনেমা। আমার ‘দায়ী কে’ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর দেখা করতে গিয়েছিলাম তাঁর অফিসে। অভিনন্দন জানিয়ে আমাকে কিছু কষ্টের কথা বলেছিলেন সেদিন। ভালো ছবি নির্মাণের জন্য প্রচুর ঋণ করেছিলেন। ছবিগুলো ব্যবসা না করায় অনেকেই তাঁকে ভুল বুঝেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তার অনেক কিছুই পূরণ করতে পারেননি।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কান চলচ্চিত্র উৎসবে চোখ ধাঁধানো লুকে ভাবনা

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ বিশ্বের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব। দক্ষিণ ফ্রান্সের রিজোর্ট শহর কান-এ প্রতি বছর সাধারণত মে মাসে এই উৎসব হয়ে থাকে। এই উৎসবের ৭৭তম আসরের পর্দা উঠেছে।

১২ দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এ উপলক্ষ্যে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকায় ভরে ওঠে কান শহর। প্রথমবারের মতো এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।

ভাবনা বুধবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে নজরকাড়া পোশাক ও চোখ ধাঁধানো অভিনব লুকে দেখা গেছে। ভাবনার সেই পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। পুরো সাজে রয়েছে স্নিগ্ধ আমেজ। কারুকাজ করা নীল রঙের শাড়িতে অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে।


কান চলচ্চিত্র   ভাবনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচনে চমক বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনার সম্পদের খতিয়ান

প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম চমক ছিলেন হিমাচলের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত। ১৪ মে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কঙ্গনা রানাওয়াত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ টাকা আয় করেছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তিনি ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ১২০ টাকা আয় করেছিলেন। 

তার দেওয়া সম্পত্তির খতিয়ান অনুযায়ী বলিউডের কুইনের কাছে এখন ২ লাখ টাকা আছে। দুটি মার্সিডিজ এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি আছে। বর্তমানে তার এই বিএমডব্লিউর বাজার দর ৯৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৫৬ টাকা। তার একটি মার্সিডিজ বেঞ্জের দাম ৫৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭১ টাকা। আরেকটি মার্সিডিজের দাম ৩ কোটি ৯১ লাখ ২২ হাজার ৭১৮ টাকা। এছাড়া তার একটি স্কুটিও আছে, যার মূল্য ৫৩ হাজার ৮২৭ টাকা।

প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সোনার গহনা আছে কঙ্গনার। ৫০ লাখ টাকার রুপার গহনা, ৩ কোটি টাকার হিরা আছে কঙ্গনার। ফলে কঙ্গনা রানাওয়াতের মোট অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৯ টাকা ৩৬ পয়সা।

কঙ্গনা রানাওয়াতের মানালিতে একটি, মুম্বাইতে একটি এবং চণ্ডীগড়ে চারটি বাড়ি আছে। তার এই বাড়িগুলোর দাম যথাক্রমে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৬০ টাকা, ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৫৫ লাখ টাকা, ৭৫ লাখ টাকা, ৫৮ লাখ টাকা এবং ৫৮ লাখ টাকা।

তবে তার নামে যে বিপুল সম্পত্তি আছে সেটাই নয়। কঙ্গনা রানাওয়াতের মাথায় কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝাও আছে। কঙ্গনার মোট ঋণ ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮১ টাকা।


লোকসভা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নায়িকা নিপুণের রিট

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফলাফল বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন পরাজিত সম্পাদক প্রার্থী নায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফল বাতি চেয়ে তিনি এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

 সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫। ১৬ ভোট কম (২০৯) পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার ।


শিল্পী   সমিতি   নির্বাচন   রিট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দেশ ছেড়ে পালালেন ইরানি নির্মাতা রাসুলফ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হবে ইরানি নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফের নতুন ছবি ‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’। এই ছবিটি ৭৭তম উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগেও লড়ছে। সম্প্রতি কান উৎসবে ছবি জমায় দেওয়ায় মোহাম্মদ রাসুলফের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরান সরকার। কারাদণ্ডের সঙ্গে তাকে চাবুক মারা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত।

মোহাম্মদ রাসুলফ জানিয়েছেন, ইরানের একটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়ার পর নিজ দেশ ছেড়ে ইউরোপের অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে গেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে রাসুলফ ইরান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানিয়ে অত্যাচারী এবং নিপীড়ক শাসক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেটিতে তাকে ইরানের পার্বত্য সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা গেছে।

রাসলুফর আইনজীবীরা তাকে বলেছে যে তার কারাদণ্ড স্বল্প নোটিশে কার্যকর করা হবে। তাই তিনি ইরান থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইরানি কর্তৃপক্ষ এর আগে তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছিল এবং তার কাজের জন্য তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল।


ইরান   নির্মাতা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মা পরীমণির প্রশংসায় অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও পরীমণি। ব্যক্তিজীবনে দুজনেরই বেশ ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা আয়োজনে একসঙ্গে দেখা  যায় তাদের।

পরীমণির ছেলের জন্মদিনে অপু বিশ্বাস গিফট দিচ্ছেন, আবার অপুর ছেলের জন্মদিনে হাজির হয়ে পরী সারপ্রাইজ দিচ্ছেন এমন বহু ঘটনা রয়েছে এই দুই নায়িকার মধ্যে। বিশেষ করে দুজনই নিজেদের দুঃসময়ে একে অন্যেকে পাশে পেয়েছেন।

পরীমণির নানার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। আবার অপুর কোনো দুঃসংবাদ কিংবা সুসংবাদেও পরীমণির উপস্থিতির দেখা মিলেছে প্রতিবার। যে কারণে এবার অপু বিশ্বাসের কণ্ঠেও শোনা গেল পরীকে নিয়ে প্রশংসা।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অপু। যেখানে পরীমণিকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই নায়িকাকে। সঞ্চালক অপুকে প্রশ্ন করেন, তার দৃষ্টিতে পরী কেমন?

জবাবে এই নায়িকা বলেন, ‘আগে পরী কি ছিল আমি জানি না। ব্যাখ্যাও দিতে চাই না। তবে অপু বিশ্বাসও মা পরী হতে পারেনি। সে এতটা সম্মানের উর্ধ্বে চলে গেছে।’

কিছুদিন আগে দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন পরীমণি। পুত্র সন্তান পূণ্যর পর কন্যা সন্তান দত্তক নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে শুরু করেছেন তার পরবর্তী সিনেমার শুটিং। খুব শিগগিরই ‘রঙিলা কিতাব’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে এই নায়িকাকে।

অন্যদিকে বর্তমানে সিনেমার চেয়ে নিজের ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন অপু বিশ্বাস। পাশাপাশি সময় দিচ্ছেন ছেলে আব্রাম খান জয়কে। খুব শিগগিরই এই নায়িকা নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।


পরীমণি   অপু বিশ্বাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন