ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতির পিতা হত্যায় জিয়ার কুকীর্তি ফাঁস করে গেছে খুনি মাজেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

গত বছর ১২ এপ্রিল জাতির পিতার হত্যাকারী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তবে এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে গেছেন তিনি। 

জবানবন্দিতে মাজেদ জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের সবাই বঙ্গভবনে আশ্রয় নেয়। রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাকের পাশের ভিআইপি স্যুটে (দ্বিতীয় তলা) তারা অবস্থান করতেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতেন। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের পুরষ্কার হিসেবে খুনিদের একটি করে পদোন্নতি এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দেওয়া হয়। তবে এর আগে থেকেই খুনিরা সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রযন্ত্রের সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতেন। তাদের সব চাহিদা পূরণে দেখভাল করতেন খোদ জিয়াউর রহমান।

জিয়াউর রহমানের পরোক্ষ সমর্থন ছিল উল্লেখ করে মাজেদ বলেছেন, আগের রাতে হত্যাযজ্ঞ শেষে পরদিন ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান সকাল ১০টা-১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট অডিটোরিয়ামে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সব জওয়ান ও অফিসারকে অ্যাড্রেস করেন। ওইখানে উনি (জিয়াউর রহমান) মটিভেট করেন যে, যে ঘটনা গত রাতে ঘটে গেছে তোমরা সেসব নিয়ে কোনওরকম মাথা ঘামাবে না। তোমরা সব চেইন অব কমান্ডে ফিরে যাও। সবাই কাজকর্ম কর। এটা জাতির ব্যাপার, এটা আমাদের ব্যাপার নয়।

জিয়াউর রহমানের বিষয়ে মাজেদ বলেছেন, তখন বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন সিপাহীও ক্যু’র বিষয়ে জানতো না। তাদের তো কোনও অফিসারও তাতে জড়িত ছিল না। তবে ওই বেঙ্গল রেজিমেন্টের দু’-তিনজন রিটায়ার্ড অফিসার ছিল। আর বাকিরা ট্যাংক রেজিমেন্ট, আর্মড কোরের লোক। তিনি (জিয়াউর রহমান) বক্তৃতা দিয়েছেন, মটিভেট করেছেন। সমর্থন না থাকলে আগ বাড়িয়ে উনি করতে যাবেন কেন? রেগুলার ওরাই ডিক্টেক্ট করত সবকিছু। হুকুম চালাত ওইখান থেকে। ওরা যা চাইত তাই উনি করে দিতেন। 

মাজেদ বলেছেন, উনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গভবনে খুনিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন এবং খুনিরাও তার সঙ্গে ওইখান থেকে যোগাযোগ করতেন ডাইরেক্ট এবং আর্মির চেইন অব কমান্ড বলতে কিছু ছিল না। ওরাই চালাত প্র্যাকটিকালি। ওইখান থেকে। মাঝখানে সেনা হেডকোয়ার্টারে একবার আমি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে উনাকে (জিয়াউর রহমান) আমার জন্য একটি সিভিল সার্ভিসের ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলাম। ইন্ট্যারভিউতে তিনি (জিয়াউর রহমান) প্র্যাকটিকালি এই ক্যু’র ব্যাপারে পক্ষপাতসূলভ কথাবার্তা বলছেন। বুঝা গেছে, ক্যু’র সমর্থকদের সঙ্গে উনার (জিয়াউর রহমান) সব ধরনের যোগাযোগ ছিল। পরবর্তীতে যখন বিদেশে যাওয়ার প্রশ্ন এল তখন তিনি (জিয়াউর রহমান) দফায় দফায় বঙ্গভবনে মিলিটারি সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। এইগুলো আমরা দূরে থেকে দেখেছি।

পরে (জিয়াউর রহমান) বললেন, এখানে (বঙ্গভবনে) যে সমস্ত অফিসার আছে তারা সবাই বিদেশে যাবে। তাদের কাগজপত্র তৈরি করার জন্য তৎকালীন মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার মাশহুর হককে নির্দেশ দেন। ওই সময় আমি বঙ্গভবনে স্কট ডিউটিতে ছিলাম। পরবর্তীতে আমাদের ব্যাংককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পরই জিয়াউর রহমান সাহেব পুরো ক্ষমতা নিয়ে নেন। কিছুদিন পর আমাদের লিবিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমরা শুনলাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে মেরে ফেলা হয়েছে। রিসালদার বলছিল, তার সঙ্গে দু’জন সিপাহীও ছিল। সিপাহীরা তো ওইখানে যাওয়ার কথা নয়।

জবানবন্দিতে মাজেদ উল্লেখ করেছে, লিবিয়ায় যাওয়ার পরে বলা হল সবার ফরেইন সার্ভিস হবে। জিয়াউর রহমান ফরেইন সার্ভিস দেবেন সবাইকে প্রাইজ হিসেবে। একটা করে প্রমোশনও দিয়ে দেবেন। কিছুদিন পরে (আমার এক্সাট ডেট মনে নাই) জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে জেনারেল নুরুল ইসলামকে (শিশু) আমাদের কাছে পাঠানো হয়। কার কার কোথায় ফরেইন পোস্টিং হবে সেই চয়েজ নিতেই তিনি গেছেন ওইখানে।

ফরেন সার্ভিসে যাদের চাকরি দেয়া হয়েছিল, তাদের সেই যোগ্যতাই ছিল না জানিয়ে মাজেদ বলেছেন, উনার (জিয়াউর রহমান) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকাতার কারণেই তাদের একটা করে প্রমোশন জাম্পড এবং একটা করে ফরেইন প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই অফিসারেরা ফরেইন সার্ভিসের জন্য কোয়ালিফাইড ছিলেন না, এমনকি গ্রাজুয়েটও ছিলেন না। তাদের বেশিরভাগই স্বল্প মেয়াদী কমিশনড অফিসার ছিলেন।

তাদের (ক্যু’ অফিসারের পরিবার) বঙ্গভবন থেকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল লিবিয়াতে। অনেকে বিয়ে না করেও তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে চলে গেছে। মেজর শাহরিয়ার এক ভদ্রলোকের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। মেজর হুদা নারায়ণগঞ্জের এক মেয়েকে বিয়ে না করেই নিয়ে যায়। পরে এসব কাজের বৈধ কাগজপত্র তৈরি করে লিবিয়ায় পাঠানো হয়।

খুনিদের বঙ্গভবনে অবস্থানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ। তার বিষয়ে মাজেদ বলেছেন, আমরা শুনেছি যে উনি (শহীদ খালেদ মোশাররফ) বলেছেন ওই মেজররা শুধু শুধু বঙ্গভবনে বসে থাকবে কেন? তারা চলে আসবে। ইউনিটে চলে আসবে। তারা কমান্ডে ফিরে আসবে। ওইটা তার (খালেদ মোশাররফের) একটা ন্যায্য দাবি। সঠিক দাবি, চেইন অব কমান্ড। চেইন অব কমান্ড ছাড়া ফোর্স চলে নাকি? তবে শহীদ খালেদ মোশাররফকে যারা শহীদ করছে তাদের পিছনেও ক্যু’ পার্টির সমর্থন ছিল। জিয়াউর রহমান এলে ডাইরেক্ট লিফ্ট দিয়ে দোতলায় উঠে (ভিআইপি সুইট) যেতেন। সেখানেই তাদের কথোপকথন হত। 

হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করা ওই স্বীকারোক্তিতে মাজেদ উল্লেখ করেছেন, অপেক্ষাকৃত জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে তিনিও খুনিদের সঙ্গে ছিলেন। এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেন। রিসালদার মোসলেহ উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যদের একে একে গুলি করে হত্যা করেন। পরদিন স্টেশন সদর দফতরে গিয়ে স্টেশন কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করে ইউনিটে যোগ দিতে চাইলেও তৎকালীন কমান্ডার কর্নেল হামিদ তাকে যোগদান করতে না দিয়ে বেতার ভবনে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ইতিহাসের গর্হিত এই হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বারবার আড়াল করার চেষ্টা করে গেছেন মাজেদ। তবে খুনিদের দেওয়া সব ধরনের সুবিধা ভোগ করে গেছেন। সেনেগালেরর রাষ্ট্রদূত করার বিষয়টি তার পছন্দ হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে মাজেদের ইচ্ছানুযায়ী দেশে ফিরিয়ে এনে উপ-সচিব পদমর্যাদায় বিআইডব্লিউটিসিতে পদায়ন করা হয়। সবশেষ যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক করা হয় তাকে।

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি আছে প্রায় ২৩ লাখ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
 
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মত এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপন করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৬৭টি যা গতবারের চেয়ে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪ টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। 

আমরা সুন্দরভাবে আসন্ন ঈদ উল আযহা উদযাপন করতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদ-উল-আযহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোন খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পাবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ প্রদান করেন।  

মন্ত্রী বলেন, গতবছরের ন্যায় এবছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা তারা সেবিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে বলে মন্ত্রী এসময় জানান।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোন রকম সমস্য হলে হট নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, রেলপথ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি প্রমুখ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

কোরবানি   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান   প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ২ কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে । এরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ মজুমদার (৫১) ও বিনায়েকপুর গ্রামের ছাইদুল ইসলাম লাবলু (৫৭) । এরা দুইজনই তাদের গ্রামের পাশের মাঠে প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহের মধ্যে ধান কাটছিলেন।

 

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর বেলা থেকে উভয় ব্যক্তি একই মাঠে তাদের নিজেদের জমিতে অপর শ্রমিকদের সঙ্গে ধান কাটছিলেন। বেলা ১২ টার দিকে এরা তাপদাহের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তারা মারা যান। 

বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচন্ড রোদ গরমে ধান কাটার সময় বিষ্ণুপদ মজুমদার ও ছাইদুল ইসলাম লাবলু হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে হাসপাতালে নেবার পথে দুজনই মারা যান। 


হিটস্ট্রোক   কৃষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রকল্প পরিচালকদের আলাদা প্রশিক্ষণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালকদের আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে এনইসি। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, গত মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগ দিতে বলেছেন। এছাড়া যাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে হবে। বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে তিন মাস অন্তর অন্তর পর্যালোচনা করতে বলেছেন। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে এনইসি সভায় আলোচনা করা হয়েছে। কারণ উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প নিলে সেগুলোর সমন্বয় থাকে না। এর ফলে উপজেলাগুলোতে সম উন্নয়ন হয় না। এজন্য এখন থেকে জেলাভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে গ্রামীণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রকল্প   পরিচালক   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাগেরহাটে জলবায়ু খাতে বাজেট বরাদ্দের দাবীতে সভা


Thumbnail

বাগেরহাটে ইউনিয়ন পরিষদে জলবায়ু খাতে বাজেট বরাদ্দের দাবীতে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ই এপ্রিল) সকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা অডিটরিয়ামের হলরুমে এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট রামপালের আয়োজনে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল  হাসান মিলন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, রামপাল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির  উদ্দিন, রামপাল সদর ইউনিয়নের সচিব গৈতম বসু, পেরিখালি ইউনিয়নের সচিব রাজিব মজুমদার, সাংবাদিক এম সবুর রানা, শেখ আবু তালিব।এছাড়া বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন যুব গ্রুপের অর্ধ শতাধিক নারী যুব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ইউনিয়ন পরিষদের আগামী বাজেটে ১১ টি দাবীর মাধ্যমে বাজেট রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়।

সুপারিশগুলো হলো জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত যুব নারীদের  বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেট রাখা, জলবায়ু সহনশীল টেকশই কৃষির উন্নয়নে বাজেট রাখা, কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বল্প  মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন কর্নার স্থাপন বাবদ বাজেট রাখা, সাইবার সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা এবং বাজেট রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ত যুব নারীদের বিকল্প কর্ম তৈরিতে সিট ফান্ড রাখা,  পরিবেশ বান্ধব কৃষি উন্নয়নে ১০০ জন কৃষককে ( ব্যাচে ) প্রশিক্ষণ প্রদান বাবদ বাজেট রাখা, পুকুর সংস্কার করে (রিজার্ভ ওয়াটার প্লান্ট) এর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে বাজেট রাখা, খেলাধুলার জন্য খেলার মাঠ সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা, ইউনিয়ন আইটি সেন্টারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্ম সৃষ্টিতে বাজেট রাখা, ইউনিয়ন পর্যায়ে  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা দলকে নিয়োগ করা।


জলবায়ু খাতে বাজেট   এডভোকেসি সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কী পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সাথে এই বাংলাদেশের কোনও মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন-রাত পার্থক্য।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।


বাংলাদেশ   রূপকার   শেখ হাসিনা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন