নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০
হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়বেন যিনি সেই জো বাইডেন তার ‘রানিং মেট’ হিসাবে বেছে নিয়েছেন এমন এক নারীকে যার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ভারত। তার সব থেকে পছন্দের খাবার হলো দক্ষিণ ভারতের ইডলি এবং সম্বর। বলছি, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের কথা। কমলার মা শ্যামলা গোপালন চেন্নাই থেকে আমেরিকা গিয়েছিলেন ক্যানসার সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনা করতে। তার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকার মানুষ। ডোনাল্ড আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে। তিনি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস অধ্যাপক। কমলার জন্ম হয় ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ১৯৬৪ সালে। ৭ বছর বয়সে কমলার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
বাবার চেয়ে মাকেই নিজের সবচেয়ে আপনজন মনে করেন কমলা। তার আত্মকথায় তিনি লিখেছেন, ‘শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে— এই পরিচয়টুকুর থেকে বড় কোনও সম্মান পৃথিবীতে হতে পারে বলে আমি বিশ্বাসই করি না।’
মায়ের ছাপ তো তার জীবনে সব থেকে গভীর ঠিকই, কিন্তু কমলা ভুলতে পারেন না তার দাদু-দিদিমার কথাও। একটি সাক্ষাৎকারে একবার নিজেই জানিয়েছিলেন তার একেবারে ছোটবেলার প্রিয় কিছু স্মৃতির কথা। মাদ্রাজ তখনও চেন্নাই হয়নি, দু’বছর অন্তর বাবা-মাকে দেখতে আসতেন শ্যামলা গোপালন, সঙ্গে দুই মেয়ে কমলা এবং মায়া। ছোট্ট কমলার মনে পড়ে কী ভাবে রোজ সকালবেলা বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রের তীরে হেঁটে বেড়াতেন তার দাদু পিভি গোপালন। পিভি নিজে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। দেশের জন্য লড়েছেন, স্বাধীন দেশে প্রশাসনের খুবই উঁচু দায়িত্ব সামলেছেন এবং সারা জীবন ধরেই তার লড়াই ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই মর্নিং ওয়াকের সময় বাচ্চা কমলা থাকত দাদুর পাশে আর চুপ করে শুনত কী ভাবে দাদু এবং তার সঙ্গী-সাথীরা সুবিচার নিয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে আর রাজনীতির নানা ওঠাপড়া নিয়ে কথা বলছেন। কমলা পরে বলেছেন, সেই সব মর্নিং ওয়াক থেকে জীবনে খুব দামি একটা শিক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। সততার জন্য লড়াই করার শিক্ষা। সেই সঙ্গে স্বাধীনচেতা হওয়ার শিক্ষাটাও স্বাধীনতাসংগ্রামী দাদুই ছোট্ট কমলার মনে গেঁথে দিয়েছিলেন।
আমেরিকা যখন সিভিল রাইটস আন্দোলনে উত্তাল, তখনই আস্তে আস্তে বড় হচ্ছেন কমলা। বাবা-মা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে হাঁটতেন মিছিলে, জড়ো হতেন বিভিন্ন জমায়েতে। কমলা জানিয়েছেন, তার একেবারে ছোটবেলার ঝাপসা স্মৃতির মধ্যে আছে চারিদিকে অসংখ্য পা হেঁটে চলেছে সারিবদ্ধ ভাবে। আর সেই মিছিল থেকে নানা রকম স্লোগান উঠছে। মা শ্যামলা জানিয়েছিলেন তার বড় মেয়েটি অর্থাৎ কমলার মুখে যখন সবে বুলি ফুটেছে, তখন সে মাঝেমাঝেই কান্নাকাটি করত আর কী চাই জিজ্ঞাসা করলে ঠোঁট ফুলিয়ে আধো আধো গলায় বলত, ‘ফিদম’।
দিদিমা রাজম গোপালন-এর ছায়াও কমলার স্বাধীনচেতা চরিত্রের মধ্যে স্পষ্ট। মাত্র বারো বছরে বাগদত্তা এবং ষোলোয় পৌঁছে বিয়ে হয়ে যাওয়া রাজম স্রেফ ঘরের মধ্যেই আটকে রাখেননি নিজেকে। যে সব মেয়ে অত্যাচারের শিকার, তাদের জন্য বার বার সরব হয়েছেন। গত শতকের চল্লিশের দশকে রাজম নিজে ফোক্স ভাগেন গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন চতুর্দিক, গরিব মেয়েদের শেখাতেন জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানা রকম সুবিধা। আত্মকথায় কমলা লিখছেন— ‘আমার দাদু তো ঠাট্টা করে বলতেন দিদিমার এই অ্যাকটিভিজিমের ঠেলায় তার কেরিয়ারটাই না বরবাদ হয়ে যায়। দিদিমা অবশ্য সে সব কথায় পাত্তাই দেননি কোনও দিন।’
বাবা জামাইকান মা ভারতীয়, ফলে জন্মসূত্রে নানা রকম সংস্কৃতির মধ্যে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছিলেন কমলা। ২০০৩-এ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমার সব বন্ধুরাই ছিল ব্ল্যাক আর আমরা একসঙ্গে জড়ো হয়ে নানা রকম ভারতীয় খাবার-দাবার রান্না করতাম। হাতে হেনাও করতাম খুব মজা করে।’ এমন মিশ্র সংস্কৃতির কারণে দুই বোন কমলা ও মায়া কখনও হয়তো ব্ল্যাক ব্যাপটিস্ট গির্জায় গিয়ে কয়্যারে গেয়েছে আবার ফিরে এসেই মার হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে হাঁটা দিয়েছে হিন্দু কোনও মন্দিরের দিকে। এই নানামুখী সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠার জন্যেই কমলার নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগও হয়েছিল। কখনও বাবার সঙ্গে জামাইকা, কখনও মায়ের সঙ্গে ভারত। এ ব্যাপারে একটি মজার গল্প বলেছিলেন একবার শ্যামলা গোপালন নিজেই। সানফ্র্যান্সিসকো ম্যাগাজিনকে তিনি জানিয়েছিলেন কমলা যখন সবে ফার্স্ট গ্রেডের পড়ুয়া তখন সে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা শ্যামলাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘জানেন, আপনার মেয়ের কল্পনাশক্তি দারুণ। যখনই ক্লাসে দূরের কোনও না কোনও দেশের কথা হয়, তখন ও ঠিক মাথা নেড়ে বলে, হ্যাঁ আমি তো ওখানে গিয়েছিলাম।’ তখন শ্যামলা সেই শিক্ষিকাকে জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন যে বাচ্চা মেয়েটি মনগড়া কিছু বলেনি, কারণ সত্যিই সে তত দিনে ভারত, ইংল্যান্ড, ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ড, আফ্রিকা এমন নানা জায়গা ঘুরে ফেলেছে।
কমলা হ্যারিস যখন সান ফ্র্যান্সিসকোয় ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি পদের জন্য প্রচার শুরু করেছেন, সে সময় তিনি জানান, কোনও মামলাতেই আর মৃত্যুদণ্ড কখনও চাইবেন না। তিনি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাস পরেই মর্মান্তিক একটা কাণ্ড ঘটে গেল। কর্তব্যরত অবস্থায় গুন্ডাদের গুলিতে নিহত হলেন তরুণ পুলিশ অফিসার আইজাক এসপিনোজা। হ্যারিস জানিয়ে দিলেন, কাণ্ডটি খুবই দুঃখজনক কিন্তু তিনি নিজের ঘোষিত নীতি থেকে সরবেন না। অর্থাৎ খুনিদের মৃত্যুদণ্ড চাইবেন না কিন্তু এমন যাবজ্জীবন কারাবাস চাইবেন যেখানে প্যারোলে বাইরে আসার কোনও সুযোগ থাকবে না। চারিদিকে হইচই পড়ে গেল। পুলিশ ইউনিয়ন এবং এসপিনোজার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু নামজাদা রাজনীতিবিদও চেঁচামেচি শুরু করলেন। এসপিনোজার শেষকৃত্যে জনৈক সেনেটর যিনি এক সময় সান ফ্র্যান্সিসকোর মেয়রও ছিলেন, সটান ঘোষণা করলেন, ‘এই ঘটনা মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি তো বটেই, এবং এই জাতীয় ঘটনাই আরও বেশি করে দেখিয়ে দেয় মৃত্যুদণ্ডের আইনটা কেন এত জরুরি!’ চারদিক থেকে চাপ ছিল প্রবল। কিন্তু কমলা হ্যারিস তাঁর পথ থেকে সরেননি। শেষ পর্যন্ত ২০০৭-এ এসপিনোজার খুনিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হয়। কমলা যা চেয়েছিলেন সে রকমই অর্থাৎ যেখানে প্যারোলের কোনও সুযোগ থাকবে না।
২০১২-এ ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রাইম টাইম বক্তা ছিলেন কমলা হ্যারিস। সেই প্রথম গোটা দুনিয়া নড়েচড়ে বসে, জানতে চায় কে এই মহিলা। পরের বছর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কমলাকে ‘ব্রিলিয়ান্ট’, ‘ডেডিকেটেড’ এবং ‘টাফ’ বলার পাশাপাশি একটু লঘু চালে এমনই একটি কথা বলে বসেন যার জন্য পরে তাকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। কমলার সম্পর্কে ওবামার সেই মন্তব্যটি ছিল, ‘বাই ফার, দ্য বেস্ট লুকিং অ্যাটর্নি জেনারেল ইন দ্য কান্ট্রি’। এ হেন কমলা হ্যারিস রোজ সকালে ব্যায়াম করেন। ২০১৬-র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘রোজকার রুটিনে দুটি জিনিস আমাকে রাখতেই হবে। এক, ওয়ার্ক আউট। দুই, ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া।’ প্রথমটির মতো দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়েও খুবই উৎসাহী কমলা। নিজে রান্না করতে ভালোবাসেন। প্রায়ই সেই সব রান্নাবান্নায় তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্বামী ডাগ এমহফ। যখন খুবই চাপে থাকেন রান্না করার ফুরসৎটুকুও মেলে না, তখন রিল্যাক্স করার জন্য ঠিক কী করেন কমলা হ্যারিস? বিভিন্ন রেসিপির বই পড়েন। তাতেই মনটা খানিক ঝরঝরে হয়ে ওঠে।
মন্তব্য করুন
উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।
একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।
মন্তব্য করুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
‘এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।’
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট
করা এক বার্তায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী
বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি
আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই। সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন
বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’
বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজের
মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন,
‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ)
গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের
মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য
কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের
আগে তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে
সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে।
প্রথম বিতর্কটি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর,
টেক্সাসে। দ্বিতীয়টি হবে ১ অক্টোবর, ভার্জিনিয়ায় এবং তৃতীয়টি হবে ৯ অক্টোবর, উটাহতে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক
মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশ হলেও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যকার বিতর্কের
আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং
নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই
জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সেটিই ধরতে
চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, তারা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর
বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বিতর্কের আয়োজন করেছে এবং সেই বিতর্কেও উপস্থিত
থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা
শুরু করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান
মামলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দু’বার
বিতর্ক হয়েছিল এবং দু’বারই তিনি হেরেছিলেন। তারপর অনেক দিন আর বিতর্কের প্রতি তিনি
আগ্রহ দেখাননি। এখন তিনি আবার আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাইছেন।’
‘আমি রাজি আছি ডোনাল্ড। আমার মনে যে
কোনো বুধবার বিতর্কের জন্য ভালো দিন হবে; কারণ আমি শুনেছি যে ওই দিন মামলার কার্যক্রম
বন্ধ থাকে এবং আপনি ফ্রি থাকেন।’
সেই ভিডিওবার্তার জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে
এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘কুটিল জো’র মুখোমুখী হওয়ার জন্য আমিও আগ্রহী।’
সিএনএন বিতর্ক জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অষ্টম মাসে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটিতে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাতগুলোর একটি চলছে গাজায়।
প্রাণহানির পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দেশটির প্রগতিশীল ও ফিলিস্তিনপন্থী অনেক অধিকারকর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটন। ইসরায়েলকে প্রতিবছর প্রায় ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয় তারা। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত শত শত কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে দেশটি। ওই সহায়তা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার কাজে লাগানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই এককাট্টা সমর্থনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা অস্ত্র উৎপাদনকারীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা খাতকে সহায়তা করে আসছে দেশটির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে বহু আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে। যেমন ১৯৬১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার শিক্ষা খাতে সামরিক শিল্পের প্রবেশের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বেসনার আল–জাজিরাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উত্থানের পথ তৈরি করে দিয়েছিল গত শতকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধ।
১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ-‘স্পুতনিক’ উৎক্ষেপণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ওয়াশিংটন। পরের বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স এডুকেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন পাস করা হয়। ফলে যুদ্ধের সঙ্গে একপ্রকার জড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।
শিক্ষাবিদ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে ক্যালিফোর্নিয়া। প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা খাতের জন্য এই অঙ্গরাজ্যটির পরিচিতি রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অফিস জানিয়েছে, ২০২১ অর্থবছরে সেখানকার প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা আজও চলছে। অঙ্গরাজ্যটির শিক্ষার্থীরা এর আগেও ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন ও ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিভাগের। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই বিভাগগুলোয় গবেষণা প্রকল্প, নিয়োগ, চাকরি মেলা ও অনুদানের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে অস্ত্র নির্মাতা ও মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হার্ভে মাড কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘মাডার্স এগেইস্ট মার্ডার্সের’ এক সদস্য পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো নিরপেক্ষ পরিচয় দিয়ে তারা আসে। সরাসরি অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনটা প্রকাশ করে এই প্রভাব খাটানো হয় না।
অনেকেই আবার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ফলাও করে প্রচার করে। যেমন সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইসিএসবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা ‘সফলতার গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে অস্ত্র নির্মাতা রেথিয়ন, নর্থরোপ গ্রুম্যান, বোয়িং ও লকহিড মার্টিনের নাম রয়েছে। আর ২০২২–২৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে লকহিড মার্টিন ছাড়া ওপরের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এই সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে আল–জাজিরার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি রেথিয়ন। তবে অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সমর্থন করে বলছে, এটি একটি অংশীদারত্বের সম্পর্ক, যার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষই উপকার পাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা মূল্যবান অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছে, অপরদিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে এমন বক্তব্যে বিশ্বাস করেন না অনেকে। অস্ত্র নির্মাতা ও সরকারি প্রতিরক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দূরে থাকার দাবি তুলেছেন তাঁরা। সান্তা ক্রুজের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসাবেল কাইন তাঁদেরই একজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিসার্চার্স এগেইনস্ট ওয়্যার’ নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
বিগত সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব কর্মসূচি থামাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ইউসিএলএ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মারমুখী হয়েছে পুলিশ। ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলপন্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করা হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগকে তাদের একটি বৃহৎ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ওই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইঞ্চি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফটের গবেষক বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘আপনি যেদিকেই তাকাবেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব দেখতে পাবেন। এই শিল্প খাতের আকার বিশাল। তারা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আসে, তখন সেখানকার মেধাকে ভিন্ন দিকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন খাতে কাজ করার বদলে তরুণ ও উদীয়মান শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি এমন সব প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে অস্ত্র তৈরি।’
মন্তব্য করুন
ভারতে উৎপত্তি হওয়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কম রাজনীতি করেনি ভারত। তিস্তায় ভারতের বাঁধের খেসারত দিচ্ছে উত্তরের জনপদের মানুষ। শুধু তাই নয় এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেই রয়েছে বিরোধ। এছাড়া হড়পা বানে গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সিকিম।
জানা গেছে, সম্প্রতি রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দপ্তর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে তা সেই রিপোর্টে থাকবে। সেই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দপ্তর। কারণ সেই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে সেচ দপ্তর ২৮ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। পুরনো গতিপথ বদলে ফেলার জেরে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক থেকেই সমতলের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। আর সেই পাথুরে জমির পর থেকেই তিস্তাও তার গতিপথ বদলে ফেলেছে।
এর আগেও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তিস্তার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। উপগ্রহের মাধ্যমে সেই ছবি ধরা পড়েছে। আর সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলে গেছে।
গত ৪ অক্টোবর তিস্তা নদীতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। লোনাক হ্রদ ঝাঁপিয়ে পড়ে তিস্তার উপর। তারপরেই তিস্তার ভয়াবহ হড়পা বানে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন। এছাড়া প্রায় ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিকিমে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।