ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা: স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদুর স্বাধীনচেতা নাতনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়বেন যিনি সেই জো বাইডেন তার ‘রানিং মেট’ হিসাবে বেছে নিয়েছেন এমন এক নারীকে যার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ভারত। তার সব থেকে পছন্দের খাবার হলো দক্ষিণ ভারতের ইডলি এবং সম্বর। বলছি, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের কথা। কমলার মা শ্যামলা গোপালন চেন্নাই থেকে আমেরিকা গিয়েছিলেন ক্যানসার সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনা করতে। তার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকার মানুষ। ডোনাল্ড আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে। তিনি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস অধ্যাপক। কমলার জন্ম হয় ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ১৯৬৪ সালে। ৭ বছর বয়সে কমলার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

বাবার চেয়ে মাকেই নিজের সবচেয়ে আপনজন মনে করেন কমলা। তার আত্মকথায় তিনি লিখেছেন, ‘শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে— এই পরিচয়টুকুর থেকে বড় কোনও সম্মান পৃথিবীতে হতে পারে বলে আমি বিশ্বাসই করি না।’

মায়ের ছাপ তো তার জীবনে সব থেকে গভীর ঠিকই, কিন্তু কমলা ভুলতে পারেন না তার দাদু-দিদিমার কথাও। একটি সাক্ষাৎকারে একবার নিজেই জানিয়েছিলেন তার একেবারে ছোটবেলার প্রিয় কিছু স্মৃতির কথা। মাদ্রাজ তখনও চেন্নাই হয়নি, দু’বছর অন্তর বাবা-মাকে দেখতে আসতেন শ্যামলা গোপালন, সঙ্গে দুই মেয়ে কমলা এবং মায়া। ছোট্ট কমলার মনে পড়ে কী ভাবে রোজ সকালবেলা বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রের তীরে হেঁটে বেড়াতেন তার দাদু পিভি গোপালন। পিভি নিজে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। দেশের জন্য লড়েছেন, স্বাধীন দেশে প্রশাসনের খুবই উঁচু দায়িত্ব সামলেছেন এবং সারা জীবন ধরেই তার লড়াই ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই মর্নিং ওয়াকের সময় বাচ্চা কমলা থাকত দাদুর পাশে আর চুপ করে শুনত কী ভাবে দাদু এবং তার সঙ্গী-সাথীরা সুবিচার নিয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে আর রাজনীতির নানা ওঠাপড়া নিয়ে কথা বলছেন। কমলা পরে বলেছেন, সেই সব মর্নিং ওয়াক থেকে জীবনে খুব দামি একটা শিক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। সততার জন্য লড়াই করার শিক্ষা। সেই সঙ্গে স্বাধীনচেতা হওয়ার শিক্ষাটাও স্বাধীনতাসংগ্রামী দাদুই ছোট্ট কমলার মনে গেঁথে দিয়েছিলেন।

আমেরিকা যখন সিভিল রাইটস আন্দোলনে উত্তাল, তখনই আস্তে আস্তে বড় হচ্ছেন কমলা। বাবা-মা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে হাঁটতেন মিছিলে, জড়ো হতেন বিভিন্ন জমায়েতে। কমলা জানিয়েছেন, তার একেবারে ছোটবেলার ঝাপসা স্মৃতির মধ্যে আছে চারিদিকে অসংখ্য পা হেঁটে চলেছে সারিবদ্ধ ভাবে। আর সেই মিছিল থেকে নানা রকম স্লোগান উঠছে। মা শ্যামলা জানিয়েছিলেন তার বড় মেয়েটি অর্থাৎ কমলার মুখে যখন সবে বুলি ফুটেছে, তখন সে মাঝেমাঝেই কান্নাকাটি করত আর কী চাই জিজ্ঞাসা করলে ঠোঁট ফুলিয়ে আধো আধো গলায় বলত, ‘ফিদম’।

দিদিমা রাজম গোপালন-এর ছায়াও কমলার স্বাধীনচেতা চরিত্রের মধ্যে স্পষ্ট। মাত্র বারো বছরে বাগদত্তা এবং ষোলোয় পৌঁছে বিয়ে হয়ে যাওয়া রাজম স্রেফ ঘরের মধ্যেই আটকে রাখেননি নিজেকে। যে সব মেয়ে অত্যাচারের শিকার, তাদের জন্য বার বার সরব হয়েছেন। গত শতকের চল্লিশের দশকে রাজম নিজে ফোক্স ভাগেন গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন চতুর্দিক, গরিব মেয়েদের শেখাতেন জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানা রকম সুবিধা। আত্মকথায় কমলা লিখছেন— ‘আমার দাদু তো ঠাট্টা করে বলতেন দিদিমার এই অ্যাকটিভিজিমের ঠেলায় তার কেরিয়ারটাই না বরবাদ হয়ে যায়। দিদিমা অবশ্য সে সব কথায় পাত্তাই দেননি কোনও দিন।’

বাবা জামাইকান মা ভারতীয়, ফলে জন্মসূত্রে নানা রকম সংস্কৃতির মধ্যে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছিলেন কমলা। ২০০৩-এ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমার সব বন্ধুরাই ছিল ব্ল্যাক আর আমরা একসঙ্গে জড়ো হয়ে নানা রকম ভারতীয় খাবার-দাবার রান্না করতাম। হাতে হেনাও করতাম খুব মজা করে।’ এমন মিশ্র সংস্কৃতির কারণে দুই বোন কমলা ও মায়া কখনও হয়তো ব্ল্যাক ব্যাপটিস্ট গির্জায় গিয়ে কয়্যারে গেয়েছে আবার ফিরে এসেই মার হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে হাঁটা দিয়েছে হিন্দু কোনও মন্দিরের দিকে। এই নানামুখী সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠার জন্যেই কমলার নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগও হয়েছিল। কখনও বাবার সঙ্গে জামাইকা, কখনও মায়ের সঙ্গে ভারত। এ ব্যাপারে একটি মজার গল্প বলেছিলেন একবার শ্যামলা গোপালন নিজেই। সানফ্র্যান্সিসকো ম্যাগাজিনকে তিনি জানিয়েছিলেন কমলা যখন সবে ফার্স্ট গ্রেডের পড়ুয়া তখন সে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা শ্যামলাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘জানেন, আপনার মেয়ের কল্পনাশক্তি দারুণ। যখনই ক্লাসে দূরের কোনও না কোনও দেশের কথা হয়, তখন ও ঠিক মাথা নেড়ে বলে, হ্যাঁ আমি তো ওখানে গিয়েছিলাম।’ তখন শ্যামলা সেই শিক্ষিকাকে জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন যে বাচ্চা মেয়েটি মনগড়া কিছু বলেনি, কারণ সত্যিই সে তত দিনে ভারত, ইংল্যান্ড, ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ড, আফ্রিকা এমন নানা জায়গা ঘুরে ফেলেছে।

কমলা হ্যারিস যখন সান ফ্র্যান্সিসকোয় ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি পদের জন্য প্রচার শুরু করেছেন, সে সময় তিনি জানান, কোনও মামলাতেই আর মৃত্যুদণ্ড কখনও চাইবেন না। তিনি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাস পরেই মর্মান্তিক একটা কাণ্ড ঘটে গেল। কর্তব্যরত অবস্থায় গুন্ডাদের গুলিতে নিহত হলেন তরুণ পুলিশ অফিসার আইজাক এসপিনোজা। হ্যারিস জানিয়ে দিলেন, কাণ্ডটি খুবই দুঃখজনক কিন্তু তিনি নিজের ঘোষিত নীতি থেকে সরবেন না। অর্থাৎ খুনিদের মৃত্যুদণ্ড চাইবেন না কিন্তু এমন যাবজ্জীবন কারাবাস চাইবেন যেখানে প্যারোলে বাইরে আসার কোনও সুযোগ থাকবে না। চারিদিকে হইচই পড়ে গেল। পুলিশ ইউনিয়ন এবং এসপিনোজার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু নামজাদা রাজনীতিবিদও চেঁচামেচি শুরু করলেন। এসপিনোজার শেষকৃত্যে জনৈক সেনেটর যিনি এক সময় সান ফ্র্যান্সিসকোর মেয়রও ছিলেন, সটান ঘোষণা করলেন, ‘এই ঘটনা মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি তো বটেই, এবং এই জাতীয় ঘটনাই আরও বেশি করে দেখিয়ে দেয় মৃত্যুদণ্ডের আইনটা কেন এত জরুরি!’ চারদিক থেকে চাপ ছিল প্রবল। কিন্তু কমলা হ্যারিস তাঁর পথ থেকে সরেননি। শেষ পর্যন্ত ২০০৭-এ এসপিনোজার খুনিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হয়। কমলা যা চেয়েছিলেন সে রকমই অর্থাৎ যেখানে প্যারোলের কোনও সুযোগ থাকবে না।

২০১২-এ ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রাইম টাইম বক্তা ছিলেন কমলা হ্যারিস। সেই প্রথম গোটা দুনিয়া নড়েচড়ে বসে, জানতে চায় কে এই মহিলা। পরের বছর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কমলাকে ‘ব্রিলিয়ান্ট’, ‘ডেডিকেটেড’ এবং ‘টাফ’ বলার পাশাপাশি একটু লঘু চালে এমনই একটি কথা বলে বসেন যার জন্য পরে তাকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। কমলার সম্পর্কে ওবামার সেই মন্তব্যটি ছিল, ‘বাই ফার, দ্য বেস্ট লুকিং অ্যাটর্নি জেনারেল ইন দ্য কান্ট্রি’। এ হেন কমলা হ্যারিস রোজ সকালে ব্যায়াম করেন। ২০১৬-র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘রোজকার রুটিনে দুটি জিনিস আমাকে রাখতেই হবে। এক, ওয়ার্ক আউট। দুই, ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া।’ প্রথমটির মতো দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়েও খুবই উৎসাহী কমলা। নিজে রান্না করতে ভালোবাসেন। প্রায়ই সেই সব রান্নাবান্নায় তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্বামী ডাগ এমহফ। যখন খুবই চাপে থাকেন রান্না করার ফুরসৎটুকুও মেলে না, তখন রিল্যাক্স করার জন্য ঠিক কী করেন কমলা হ্যারিস? বিভিন্ন রেসিপির বই পড়েন। তাতেই মনটা খানিক ঝরঝরে হয়ে ওঠে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারীর পোশাক পরায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।


সৌদি আরব   নারীর পোশাক   যুবক গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন