নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০
পাকিস্তানি চিন্তা আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই গঠিত হয়েছিল বিএনপি। পাকিস্তানের সংসদে আইএসআই এর সাবেক প্রধান এক জবানবন্দীতে বলেছিলেন, বিএনপির জন্য আইএসআই নিয়মিত টাকা দিতো। বিশেষ করে ২০০১ এর নির্বাচনে আইএসআই টাকা দিয়েছিলো এমন জবানবন্দী পাকিস্তানের পার্লামেন্টে রেকর্ড করা হয়েছে।
পঁচাত্তরের এর ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাকিস্তানের মদদ ছিল অনস্বীকার্য। পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করা। এই প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করে নাই, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল এবং পাকিস্তানি ভাব ধারা বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তাদের একটি রাজনৈতিক দলের দরকার ছিল। কারণ পাকিস্তানপন্থী যে রাজনৈতিক দলগুলো মুসলিম লীগ বা জামাতে ইসলামের জনগ্রহণযোগ্যতা ছিল না। একাত্তরের ভূমিকার কারণে তারা জনধিকৃত এবং জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
এই বাস্তবতায় একটি মোডারেট গণতান্ত্রিক এবং ইসলামপন্থী খিচুড়ি রাজনৈতিক দল জন্ম দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই রকম একটি খিচুড়ি রাজনৈতিক দল হল বিএনপি। আর এজন্যই বিএনপিতে শুরু থেকে দেখা গিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তান ফেরতদের প্রাধান্য। বিএনপি যখন গঠিত হয় তখন শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ ছিলেন রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী। শাহ আজিজ, মাজিদুল হক, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো ব্যক্তিরা শুরুতে বিএনপির নীতিনির্ধারক হয়েছিলেন, যারা ছিলেন পাকিস্তানপন্থী। এছাড়াও, বিএনপির শুরুতে ভারতবিরোধী মুক্তিযোদ্ধারাও জায়গা করে নিয়েছিলেন। যেমন- কর্নেল অলি আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মীর শওকত আলী প্রমুখ। আর এই কারণেই শুরু থেকে বিএনপি পাকিস্তানী ভাবধারা, পাকিস্তানী মোড়কে বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মিশনে ছিল। এ কারণেই তারা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে নাই। এই কারণেই তারা পঁচাত্তরের খুনীদের বিচারের প্রক্রিয়া করেনি। বরং খুণীদের লোভনীয় চাকরি দিয়ে বিদেশে প্রেরণ করেছে। এ কারণেই তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে নাই। এ কারণেই তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পথে হেঁটেছিল।
কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৮১ সালের পর শেখ হাসিনা ধাপে ধাপে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন। চেতনা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তিনি সবচেয়ে বড় যে কাজটি করেছিলেন তাহলো জনগণের জাগরণ করা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আমাদের স্বাধীনতা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা একটি নিরলস দীর্ঘ কর্মপ্রয়াস গ্রহণ করেন। তার বাস্তবতায় বাংলাদেশে যে নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘৃণা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং বঙ্গবন্ধু নিয়ে কোন রকম বিতর্ককে বরদাশত করে না। আর এই বাস্তবতায় যে বিএনপি এক সময় তারুণ্য নির্ভর দল ছিল। সেই বিএনপি তরুণদের কাছ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। সেইসাথে তরুণদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হতে থাকে। এই বাস্তবতায় বিএনপির ভেতরে পাকিস্তানপন্থীরা আস্তে আস্তে কোণঠাঁসা হতে থাকে। বিএনপিতে যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে, তরুণ প্রজন্মের আশা আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে নীতি কৌশলের পরিবর্তন হতে থাকে। বিএনপিতে এখন ভারতবিরোধী বক্তব্য খুব একটা দেওয়া হয় না। বিএনপিতে এবার ১৫ আগস্টে কেক কাটার উৎসবও হল না। এমনকি যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষে যে প্রকাশ্য অবস্থান ১০ বছর আগে বিএনপি নিতো, এখন বিএনপি নেয় না। এই বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএনপিতে কি পাকিস্তানপন্থীরা কোণঠাঁসা হয়ে পড়েছে?
বিএনপিতে এখন যারা নীতিনির্ধারক রয়েছেন, তাদের মধ্যে ভারতপন্থী বা প্রাক্তন বিভ্রান্ত বামদের প্রাধান্য বেশি। নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো চৈনিক বামরা এখন বিএনপিতে প্রাধান্য বিস্তার করছেন। বিএনপি’র অর্থ প্রবাহের উৎসে যারা আছেন। যেমন- আবদুল আওয়াল মিন্টুরা তারাও ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত। এই বাস্তবতায় বিএনপিতে পাকিস্তানপন্থীরা কি কোণঠাঁসা হয়ে পড়েছেন? আর এই কারণেই কি বিএনপির নীতি কৌশলের পরিবর্তন হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তেমনটি মনে করছেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপিতে পাকিস্তানপন্থীদের প্রধান হোতা তারেক জিয়া। তারেক জিয়া শুধু পাকিস্তানী এজেন্ট নয়, পাকিস্তানপন্থীদের সৃষ্টি। এখন বিএনপির রাজনীতি পরিচালিত হয় তারেক জিয়ার নির্দেশেই। কাজেই বিএনপিতে পাকিস্তানপন্থীরা কোণঠাসা হয়েছেন এমনটি ভাবার কোণ কারণ নেই। বরং পাকিস্তানীদের কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসাবেই বিএনপি হয়তো এখন এই সব বিষয়ে নমনীয় অবস্থানে আছে। সুযোগ পেলে তারা খোলস পাল্টে ফেলবে এবং পঁচাত্তরের সময় তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতার যে ভূমিকা ছিল, সেই রকম ভূমিকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এতোটুকু পিছপা হবে না।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।