নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
তিনি একাধারে চার্টাড একাউন্টেন্ড, সাংবাদিক, উপস্থাপক। কিন্তু এসব পরিচয়ের বাইরে সমাজে তিনি ডার্টি ম্যান বা নোংরা মানুষ হিসেবেই পরিচিত। অযাচিত নোংরা কথা বলা, আধুনিকতার নামে অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোর কাজেই যেন তার দক্ষতা বেশি।
এক সময় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া বক্তৃতা লেখক হিসেবে বিএনপিতে তিনি ছিলেন প্রভাবশালী। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হবার পর, রজনীতিতে নিখোঁজ তিনি। কোথাও নেই তিনি। শফিক রেহমানের কথাই বলছি। শফিক রেহমান আলোচিত হন সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের মাধ্যমে। স্বৈরাচারী এরশাদের জামানায় ঐ সাপ্তাহিক পত্রিকাটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
কিন্তু ঐ সাপ্তাহিকের মাধ্যমেই শফিক রেহমান বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অশ্লীলতা এবং যৌন সুড়সুড়ি আমদানি করেন। যায় যায় দিনে শফিক রেহমান ‘দিনের পর দিন’ নামে একটি কলাম লিখতেন। যেখানে মিলা আর মঈনের পরকীয়া সম্পর্কের টেলিআলাপ, ছিলো রীতিমতো যৌন সুড়সুড়ি।
রাজনীতি আর যৌনতার মিশেলে ‘খ্যাতির শিখরে প্রেমের গভীরে’ আরেকটি নিয়মিত নিবন্ধ প্রকাশিত হতো যায় যায় দিনে। সৈয়দ শামসুল হকের ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্যাসের পর এটিই যৌনতার প্রকাশ্য বিকিকিনি। এরপর ভ্যালেনটাইন ডে আমাদানি করে শফিক রেহমান এ দেশের উঠতি তারুণ্যকে সেক্স এবং ড্রাগে উস্কে দেন।
শফিক রেহমানের রাজনীতিতে আসাও ছিলো একধরনের বিকৃতি। নিজের একটা যৌক্তিক অবস্থান পাওয়ার জন্যই তিনি বিএনপিতে ভেঁড়েন। এদেশে কুৎসিত এবং নোংরা রাজনৈতিক বক্তব্যকে মূলধারার রাজনীতিতে আনা ক্ষেত্রেও শফিক রেহমান অগ্রগণ্য। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন শফিক রেহমান। বিলেতি কায়দার চলন বলনে মুগ্ধ বেগম জিয়াও তাকে কাছ টেনে নেন।
২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির অনেকেই যখন হতাশ এবং আত্ম সমালোচনায় ব্যস্ত, তখন শফিক রেহমান আরো ঘনিষ্ঠ হন খালেদার। অনেকেই মনে করেন ২০১৪ ‘র নির্বাচনে না যেতে যারা বেগম জিয়াকে প্ররোচিত করেছিল তাদের অন্যতম ছিলেন শফিক রেহমান। মননে যিনি নোংরা তিনি তো কাজেও নোংরা পথেই হাটবেন।
এজন্যই সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার মিশনে নামেন এই মুখোশ মানষটি। আর তাতে ধরা খেয়েই তিনি যেন সব কিছু থেকে ক্ষান্ত দিয়েছেন। কিন্তু শফিক রেহমান’রা সমাজের জন্য বিষবাম্প। যেকোন সময় এদের নোংরা প্রভাব সমাজকে বিপদগ্রস্থ করতে পারে। শফিক রেহমান সম্পর্কে তাই সব সময়ই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ প্রযোজ্যঃ শফিক রেহমান দেশ এবং জনগণের জন্য ক্ষতিকারক।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।