কালার ইনসাইড

সৃজিত মুখার্জীঃ টালিগঞ্জের বাজিকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

একটা সময় কলকাতার বাংলা সিনেমা আটকে গিয়েছিলো বিশেষ কিছু গল্পের চোরাবালিতে। ধনী গরীবের অসম প্রেমের গল্প, পিতার হত্যাকারীকে বছরের পর বছর ধরে খুঁজে চলার গল্প, দক্ষিনী সিনেমার ফ্রেম টু ফ্রেম কপি আর বি গ্রেডের রগরগে যৌনতা নির্ভর গল্পের ভার যেন আর সইতে পারছিলো না কলকাতার সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা।

সময়টা ২০০৮ কিংবা ২০০৯ হবে। প্রেসিডেন্সী কলেজ আর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে অর্থনীতি আর পরিসংখ্যানের কর্মজীবনকে পেছনে ঠেলে এক যুবক আসলেন কলকাতার সিনেমা পাড়ায়। মনের মধ্যে বাংলা সিনেমার অংকের হিসেব বদলে দেবার ইচ্ছে নিয়ে ঘুরতে লাগলেন প্রয়োজকদের দ্বারে দ্বারে। অথচ গল্প শুনিয়ে প্রযোজকদের মন জয় করতেই পারছিলো না ছেলেটি। অর্থনীতির ছাত্রের সিনেমার গল্পে নাকি বাণিজ্য খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রযোজকগণ। তার গল্পে নাকি কমার্শিয়াল বিষয়টা ঠিক নেই। অবশেষে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের শ্রীকান্ত মোহতা শুনলেন সেই যুবকের গল্প। দুই বছর ধরে এই গল্পের সাথে বাস করতে থাকা ছেলেটি সেদিন তার গল্পের আকর্ষণে আকৃষ্ট করেছিলেন তাকে। গল্প শুনে মোহতা যখন ওই গল্পের পরিচালনা কে করবেন প্রশ্নটি করেছিলেন, সেদিন ওই যুবক দৃপ্ত কন্ঠে বলেছিলেন যদি পৃথিবীর কেউ এই গল্পটি বলতে পারে সেটি একমাত্র আমি। কলকাতার সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির ভার অনেকটা একা বয়ে চলা নায়ক প্রসেনজিত এর ক্যারিয়ারে তখন বলতে গেলে এক রকমের ভাটা চলছিলো। সত্যজিৎ রায়ের “নায়ক” আর ইংরিদ বারিমানের “ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ” থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসেনজিত চ্যাটার্জিকে নিয়ে ধরলেন এক বিশাল বাজি। তৈরী করলেন “অটোগ্রাফ”। ঐ এক বাজিতেই বদলে গেলো টালিগঞ্জের সিনেমার ধারা, শুরু হলো নতুন এক যুগের। হ্যা সেই বাজি ধরা ছেলেটির নাম সৃজিত মুখার্জী, টালিগঞ্জের বাজিকর।

যুগে যুগে সিনেমায় বাণিজ্যের দরকার ছিলো। মূলত আপনি আপনার সিনেমাকে কিভাবে বেচবেন এটা নির্ভর করবে আপনার দর্শকের রুচি আর জ্ঞানের উপর নির্ভর করে। ওই সময়কার কলকাতার দর্শককের মধ্যে এক ধরণের বিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন সৃজিত মুখার্জী। গল্পই ছিলো তার সিনেমার মূল অস্ত্র। সেই সাথে এক্সপেরিমেন্টাল মাইন্ড দিয়ে অসাধারণ সব অভিনেতা আর হৃদয় জুড়িয়ে দেওয়া গানে যেন বদলে দিলেন গোটা একটা ইন্ড্রাস্ট্রির সিনেমার ধারাকেই।

পরের বছর সৃজিত বাঙ্গালীকে ডুবালেন এক ঘোর লাগা থ্রিলারের দুনিয়াতে। “বাইশে শ্রাবণ”! সৃজিত মুখার্জীর দ্বিতীয় সিনেমায় পর্দায় আনলেন পরমব্রতকে। সেইসাথে বদ্ধ ঘরের চার দেয়ালের মাঝে নিজের সাথে নিজে দাবা খেলে যাওয়া উন্মাদ পুলিশ অফিসার রুপে আবির্ভূত হলেন অটোগ্রাফের বদৌলতে প্রসেনজিত চ্যাটার্জি থেকে প্রসেনজিত বাবুতে বদলে যাওয়া চরিত্র “প্রবির রায় চৌধুরী”। বাঙ্গালি মুগ্ধ হলো, থ্রিলারের এই রুপ বাঙ্গালী আগে দেখেনি। বাজিমাত করলেন সৃজিত মুখার্জী।

বাঙ্গালী ভাবতেও পারেনি আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য কোনো কোচিং সেন্টার থাকতে পারে, আবার সেই গল্প থেকে আস্ত একটা বাংলা সিনেমা হতে পারে। হ্যা হয়েছিলো, সৃজিত নির্মাণ করলেন “হেমলক সোসাইটি” নামের অদ্ভুত কন্টেন্ট এর এক সিনেমা। যা অনেক মানুষকেই বুঝিয়েছে যে “আত্মহত্যা কোনো সমাধান হয়”।

এরপর একে একে কাকাবাবু, মিশর রহস্য, জাতিস্মর দিয়ে সৃজিত নিজের জাত চিনিয়েছেন কলকাতার দর্শকদের। যার ফলস্বরূপ ৬১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় সৃজিতের জাতিস্মর।

ডায়লগ যে একটা সিনেমাকে কতোটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে সেটির প্রতিফলন দেখালেন “চতুস্কোন” সিনেমাতে। চতুর্ভুজ প্রেম নিয়েও যে টুইস্টে ভরপুর থ্রিলার নির্মাণ সম্ভব তা দেখালেন সৃজিত মুখার্জী। সৃজিতের অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে, যে সকল অভিনেতারা অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরে আছেন তাদের কাজ করার ক্ষুধাকে কাজে লাগিয়ে মাস্টারপিস তৈরী করেন তিনি। ৬২ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জিতে নেন সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার।

সৃজিতের ক্যারিয়ারের সবথেকে বড় মাস্টারপিস ছিলো সম্ভবত “নির্বাক” নামের সিনেমাটি। অঞ্জন দত্তের নির্বাক হাসির সাথে মর্গের ড্রয়ার থেকে ধোঁয়ার সাথে সাথে উড়ে আসা প্রেম আর সমুদ্রের মাঝে মৃত লাশকে সিনেমার পর্দায় যেন জীবন্ত রুপ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখার্জী।

বড় একটি ঘটনার ইমপ্যাক্ট যে ছোট একটি ব্রোথেলেও এসে পড়তে পারে এবং এই ঘটনা থেকেও যে সিনেমা নির্মান সম্ভব তা কলকাতাবাসীর সামনে আনলেন সৃজিত। নির্মাণ করলেন দেশভাগের ঘটনা নিয়ে “রাজকাহিনী” যা পরবর্তীতে হিন্দিতে “বেগমজান” নামেও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। এরপর একে একে নির্মাণ করেন জুলফিকার, ইয়েতি অভিযান, উমা, শাহজাহান রিজেন্সি, এক যে ছিলো রাজা, ভিঞ্চিদা।

নেতাজী শুভাস বোস এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সৃজিত নির্মাণ করলেন “গুমনামী”, যা সৃজিতের রাজনৈতিক চিন্তার গভীরতার ছাপ রেখেছে। সৃজিত মুখার্জীর সিনেমাতে যেমন মুগ্ধ থাকেন সাধারণ দর্শকেরা, তেমনি সমালোচকদের মুগ্ধতাও কুড়িয়ে নেন গল্প আর কন্টেন্ট এর জোরে। সৃজিতের মধ্যে খুব জটিল সিনেমার প্লটকেও পাড়ার চায়ের দোকানের উঠতি যুবকদের আড্ডার টপিকে পরিণত করার গুণ রয়েছে। সাবলিল ভাষায় কোনো ভাঁড়ামি ছাড়া ডায়লগ কিভাবে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পারে এটির বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে সৃজিতে মুখার্জীর সিনেমাগুলো। সামনে তিনি হাজির হচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের বিখ্যাত বই অবলম্বনে “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি” নিয়ে। যা দুই বাংলার দর্শকদের রহস্যময় চরিত্র “মুশকান জুবেরি” তে বুদ করবে বলে দেওয়া যায়।

টালিগঞ্জে সৃজিত সেই ২০১০ এ যে বাজি ধরেছিলেন সেই বাজি না ধরলে হয়তো কলকাতার দর্শকরা সেই ম্যাড়মেড়ে প্রেমের গল্প আর বি গ্রেড যৌনাচার দিয়েই মন ভরাতো। হয়তো সৃজিত নামের বাজিকরের কারণেই আজ কলকাতা পেয়েছে স্মার্ট দর্শকশ্রেনী। টালিগঞ্জের এই বাজিকরের আজ ৪৩ তম জন্মদিন। সৃজিত মুখার্জী তার নিত্য নতুন সিনেমা দিয়ে মুগ্ধ করে রাখুক বাঙ্গালীকে। বাংলা ভাষার দর্শকদের ডাল ভাত আর বিরিয়ানির পার্থক্য বুঝতে শেখানো টালিগঞ্জের বাজিকরকে জানাই শুভ জন্মদিন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফের পেছাল কঙ্গনার ইমার্জেন্সি সিনেমা

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছর ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লুকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। তখনই জানিয়েছিলেন, লুকটিইমার্জেন্সিসিনেমার। এরপর সিনেমাটির একাধিক মুক্তির তারিখ জানানো হয়। তবে আলোর মুখ দেখেনিইমার্জেন্সি এবার আরও একধাপ পেছাল এর মুক্তির তারিখ।

মুক্তির তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মণিকর্ণিকা ফিল্মস জানায়, “আমাদের রানি কঙ্গনা রানাওতের জন্য আমাদের হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তিনি এখন দেশ জাতির সেবাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশের সেবায় তিনি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সে কারণেইমার্জেন্সি মুক্তির তারিখ স্থগিত রাখা হলো। মুক্তির নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।

সিনেমাটির মুক্তির তারিখ নিয়ে দুবার পেছানো হলো। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তির দিন ঠিক ছিল। সিনেমার কাহিনি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন কঙ্গনা নিজে। সর্বশেষ আগামী ১৪ জুন মুক্তির দিন ধার্য করা হয়।

মূলত ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। সে সময়কালই ধরা পড়েছে সিনেমায়।


কঙ্গনা   ইমার্জেন্সি   সিনেমা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কানের লাল গালিচা মাতালেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের কান সৈকতে আবারও বসেছে সিনেমার বর্ণিল আয়োজনকান চলচ্চিত্র উৎসব ১২ দিনব্যাপী ৭৭তম আসর চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। বিশ্বের সব জনপ্রিয় তারকারা এই উৎসবে নজরকাড়া লুকে হাজির হচ্ছেন। কানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন ঐশ্বরিয়া। রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার। এদিন ঐশ্বরিয়ার পোশাকে অন্যমাত্রা যোগ করেছে তার পোশাকের সাদা স্লিভস। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গোল্ডেন কানের দুল পরেছিলেন এই বলিউড সুন্দরী।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হন তিনি। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার। বরং আরও প্রশংসা পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। প্রথমবার ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার সিনেমাদেবদাসসেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী।


কান   লাল গালিচা   ঐশ্বরিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক আসছেন বাংলাদেশে

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে তুরস্কের ইসলামিক বেশ কয়েকটি সিরিজ। যার মধ্যে অন্যতমকুরুলুস উসমান সিরিজটির প্রধান চরিত্র উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট বাংলাদেশে আসছেন। কুরুলুস উসমান সিরিজের এই নায়কও বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নিজের ফেসবুক পেজে বুরাক অ্যাজিভিট নিজেই জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসার কথা। দিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তাও। সেখানে তিনি বলেন, ‘সালাম বাংলাদেশ কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগিরই দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।

জানা গেছে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে আসবেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক অ্যাজিভিট। তবে কবে আসছেন সে বিষয়ে ভিডিওতে কিছু জানাননি তিনি।

প্রসঙ্গত, বুরাক অ্যাজিভিট একজন তুরস্কের অভিনেতা। উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভক্ত-অনুসারী তার।


কুরুলুস উসমান   নায়ক   বুরাক   বাংলাদেশে  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া লজ্জার : অভিনেতা সোহেল রানা

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার। একজনের জন্য সব শিল্পীকেই সেই দায়ভার বহন করতে হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি। ছোট ছোট যে সমস্যাগুলো হয়েছে তার সমাধান শিল্পীরাই করেছেন।

গতবার প্রথম নিপুণ আদালতে গেছেন। এবারও তাই করলেন। গতবার তার সঙ্গে প্যানেলের ১১ জন ছিলেন, এবার তার প্যানেল থেকে নির্বাচিত হওয়া তিনজন কিন্তু ইতোমধ্যে নতুন প্যানেলের সঙ্গে বসে মিটিং করেছেন। আগের কমিটির মতো আলাদা থাকেনি। এবার আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অকল্পনীয় ব্যাপার, কল্পনাতীত। শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার বলে নিপুণের রিট প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন গুণী অভিনেতা সোহেল রানা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি মানেই যেন আলোচনা-সমালোচনা। একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলে সমালোচিত হয়েছেন শিল্পী সমিতির নেতারা। ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের পর আদালত পর্যন্ত গেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা নিপুন আক্তার। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন মেনে নেওয়ার এক মাস পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।


শিল্পী সমিতি   আদালত   অভিনেতা   সোহেল রানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মিষ্টি জান্নাতকে চুমু খেতে চেয়েছেন জয়

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিতর্কিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা সময় অতিথিদের আপত্তিকর প্রশ্নের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। এবার শাকিব-মিষ্টির বিয়ের গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন জয়।

মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে জয় বলেছেন, ‘ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।এরপরই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন মিষ্টি। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

অভিনেত্রী মিষ্টি বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন, ‘ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।এটা উনি কীভাবে জানল? কীভাবে বলল? এটা আমার প্রশ্ন।’’

এরপর জয় তাকে নিয়মিত কু-প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে মিষ্টি জান্নাত আরও বলেন, ‘সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না। সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।


মিষ্টি   জান্নাত   চুমুজয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন