নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ওয়াসা নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ নেই। তেমনি নানা অভিযোগ শোনা যায়, ওয়াসার বর্তমান এমডি তাকসিম আহমেদ খানকে নিয়েও। বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছেন তিনি। কিন্তু এবার ঢাকা ওয়াসার বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওয়াপদা’র (পিডিবি হওয়ার আগে ছিল ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বা ওয়াপদা) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোরসেদের পক্ষে আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ এ রিট দায়ের করেন।
জানা গেছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি জে বিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টে করা এই রিটে, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা ওয়াসার এমডি সহ চার জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে ষষ্ঠবারের মতো এই পদে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। এরপর থেকে পরপর আরও চারবার নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। আগামী ১৪ অক্টোবর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে।
১৯৯৬ সালের `ওয়াসা অ্যাক্ট` অনুযায়ী পরিচালিত হয় ঢাকা ওয়াসা। এ আইনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন এমডি। ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমডি পদে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু এক ব্যক্তি একই পদে সর্বোচ্চ কতবার বা কত বছর নিয়োগ পেতে পারেন, সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই।
জানা গেছে, নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভার এটা আলোচ্যসূচিতে না থাকায় এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যান ড. এম এ রশিদ সরকার গত ১০ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার পর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের আগেই তড়িঘড়ি করে এমডি নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন