কালার ইনসাইড

দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মঃ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর ইনভেস্টমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

আপনি কি জানেন বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্সের আয় কতো? আপনি কি জানেন বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ছাড়াও আরো কি কি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। অথবা তাদের সফলতা কতটুকু!

২০১৬ সাল! যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স প্রবেশ করে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই প্রবেশ অফিশিয়ালি নয়। এশিয়া অঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসা শুরু করে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। সে বছর এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির সিইও রিড হ্যাস্ট্রিংস বলেছিলেন এশিয়াতে তাদের সাফল্য সময়ের ব্যপার মাত্র। হ্যা ঠিক তাই, নেটফ্লিক্স সিইও ঠিকই বলেছিলেন। নেটফ্লিক্সের এশিয়া যাত্রার ১০০ দিনের মাথায় রিড হ্যাস্ট্রিংস জানান এক কোয়ার্টারে ৪০ লক্ষের বেশি ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার বেড়েছে নেটফ্লিক্সের। সুযোগ লুফে নেয় আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত। নেটফ্লিক্সকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের। ফলাফল এখন চোখের সামনে পরিস্কার, বলিউডি সিনেমায় নেটফ্লিক্স ভরার পাশাপাশি হিন্দি ভাষার সবথেকে বড় বড় ওয়েব সিরিজের অর্থায়ন এসেছে নেটফ্লিক্স থেকে। অথচ নেটফ্লিক্স বাংলাদেশেও বর্তমানে সমান জনপ্রিয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঢোকা নেটফ্লিক্স প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছিলো ওই সময়েই। সেইসাথে প্রতিবছর সেই সংখ্যা তারা বাড়িয়ে নিচ্ছে।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেরও রয়েছে বেশকিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আইফ্লিক্স, বঙ্গ, বায়োস্কোপ, বাংলাফ্লিক্স, টেলিফ্লিক্স, র‍্যাবিটহোলবিডি, রবিটিভি, সিনেস্পট, জাগোবিডি, টফি এবং সর্বশেষ যুক্ত হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ। এতো গলো বাংলাদেশী ওটিটি থাকলেও দর্শক কি পাচ্ছে এদের কাছ থেকে?

অনেকেই বলে থাকেন ওটিটি তে দর্শক অভ্যস্ত নয়, টাকার বিনিময়ে কন্টেন্ট দেখে না, তারা দেশি কন্টেন্টের চাইতে বিদেশী কন্টেন্ট এ বেশি আকৃষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শকদের আসলে কি দিচ্ছে? দেশীও ওটিটি গুলো দর্শক ধরে রাখতে কি ধরণের পরিকল্পনা নিচ্ছে?

আপনি যখন আপনার ব্যবসা পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই আপনার একটি গোপন রেসিপি থাকতে হবে। সেইসাথে অন্যরা কিভাবে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাস্টমার ধরে রাখছে সে বিষয়েও দৃষ্টিপাত করতে হবে। আমাদের দেশের ওটিটি গুলোর ব্যবসা পদ্ধতি কেমন তা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু দেশীয় ওটিটি গুলোর ব্যবসায়িক ধরন খেয়াল করলে দেখা যায় অনেকটাই “মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো”। এখানে প্রায় প্রতিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়না নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা। প্রায় সবগুলো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট এর ধরনেও পাওয়া যায় একই ধরণের মিল। সেইসাথে টেলিভিশনে জনপ্রিয় হওয়া কন্টেন্ট আপলোড আর ওটিটি ভার্সন নামেই যেন তাদের কাজ শেষ। “ওমুক অরিজিনাল কন্টেনট” নামে তাদের যে চ্যাপ্টার থাকে ওখানেই হাতে গোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া দেশীয় কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অরিজিনাল সিরিজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এমনটি বিরল। এর পেছনের কারণ কি ? কেন পাশের দেশের বাংলা কন্টেন্ট নির্ভর ওটিটি এদেশে ব্যবসা করলেও আমাদের ওটিটিগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে?

বিশ্বের সফল সব ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রধানতম ওপেন রেসিপি হচ্ছে বিশাল কন্টেন্ট লাইব্রেরী। বিশ্বের বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর আপডেটেড কন্টেন্ট লাইব্রেরী থাকার কারণে সাবস্ক্রাইবাররা তাদের বিনোদনের সকল আয়োজন একসাথে পায়। এছাড়াও তাদের থাকে নানান রকম দর্শক ও তাদের চাহিদা ভেদে হাজার রকমের কন্টেন্ট যা দর্শকদের বেঁধে রাখে এবং দর্শক মুগ্ধ হয়ে সাবস্ক্রাইব করে থাকে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাধারণত দর্শক মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি এর বিনিময়ে তাদের কন্টেন্ট উপভোগ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো সেটাই দেখায় যা দর্শকের চাহিদা। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা কি? টেলিভিশনে যার চেহারা দেখতে দেখতে দর্শক প্রায় বিরক্ত সেই তারকাকেই আবার গিলতে হচ্ছে দেশীয় ওটিটি গুলোতে। গল্পের বেলাতে নতুনত্ব তো আমাবস্যার চাঁদ।

ধরা যাক দেশীয় ওটিটিতে একজন দর্শক তার পকেটের টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করলেন, একটা দুটো কন্টেন্ট দেখার পড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকেরা যেন ভুলেই যান যে একজন দর্শক তার নতুন কন্টেন্ট দেখবার আশায়  টাকা খরচ করে তার ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রাইবার হয়েছেন। কিন্তু না থাকে নতুন কন্টেন্ট না থাকে কন্টেন্ট এর বৈচিত্র। বিরক্ত হয়ে সাবস্ক্রাইব করা ওটিটি ছেড়ে অনেকেই ঝুকছেন উন্নত বিনোদন সেবা দেওয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

পাশের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত নতুন সিনেমার প্রিমিয়ার শুরু হয়ে গেলেও আমাদের দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকদের আগ্রহ আর ব্যবসায়িক উদাসীনতায় সিনেমার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রিলিজ এখনো তেতুলিয়া দূরত্বে। দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মালিকদের আচরণকে তুলনা করা যেতে পারে সাম্প্রতিক সময়ের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে। পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে যাওয়ায় যেমন লাভবান হয়ে থাকেন কিছু ব্যবসায়ী ঠিক তেমন শুধুমাত্র বিনিয়োগেই তাদের কাজ শেষ। তারা কোনো ধরণের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আর সঠিক মার্কেট রিসার্চ ছাড়াই ব্যবসা করতে নামবেন, এক রাতে রাতারাতি তারা নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন বা হৈচৈ হয়ে বসবেন। আবার ঢাল হিসাবে খোঁড়ার যুক্তি দেখাবেন এদেশের দর্শক অভ্যস্ত নয়, তাদের চোখের সামনেই নেটফ্লিক্স তাদের ভিনদেশী কন্টেন্ট দেখিয়ে নিয়ে যাবেন কোটি কোটি টাকা।

এইতো কিছুদিন আগেই পাশের দেশের প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চার বছরে পা দেওয়ার দিন তাদের চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনা দর্শকের সামনে নিয়ে আসলেন। এটি অবশ্যই তাদের ব্যবসায়িক চিন্তার গভীরতার প্রতিফলন। কারণ পরিকল্পনায় তারা নতুনদের পাশাপাশি এবার নিয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের। সেই সাথে এক ঝাঁক নতুন কন্টেন্ট যেখানে রয়েছে বেশকিছু বাংলাদেশী পরিচালকের কন্টেন্টও। অথচ আমাদের দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছে তরুণরা এক রকম উপক্ষিতই বলা চলে। এপর্যন্ত দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের হাত ধরে উঠে এসেছে এমন পরিচালকের সংখ্যাও এদেশে বলতে গেলে শুন্যের কোঠায়। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশের হৈচৈ এর উদাহরণ টানলেই দেখা যায় আজকের হৈচৈ এর এই অবস্থানে আসার পেছনে তরুণ নির্মাতাদের অবদান কতখানি ছিলো।

দিনদিন বাংলাদেশী বাজার দখল করে নিচ্ছে বৈশ্বিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি সাবস্ক্রাইবারের গুরুত্ব সমান, কারণ এখানে স্ব স্ব দর্শক তাদের নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অবশ্যই উন্নত এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দেখতে চান। বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কতৃপক্ষ এখনই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে আমরা দর্শকেরা হারাবো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির শেকড়ের গল্প আর দিনশেষে বিজয়ীর হাসি অবশ্যই হাসবে সঠিক পরিকল্পনায় মাঠে নামা ভিনদেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা কে, কত তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক, তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।

কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের সর্বোচ্চ ধনী নায়িকার মুকুট এখনো সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দখলে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।

সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা বচ্চন পরিবারের এই বৌমাই। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি। প্রতি বছর শুধু মাত্র ব্র্যান্ড এনডরসমেন্ট থেকে ঐশ্বর্যর আয় হয় ৮০-৯০ কোটি। একদিনের কোন- ইভেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন - কোটি।

তালিকার দুই নম্বরে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬২০ কোটি রুপি। ভারতের ধনী নায়িকাদের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন আলিয়া ভাট। তার মোট সম্পদ ৫১৭ কোটি রুপি।

এই তালিকায় কারিনা কাপুর খান আছেন চতুর্থ স্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮৫ কোটি রুপি। এরপরের অবস্থানটি দীপিকা পাডুকোনের। এই অভিনেত্রী ৩১৪ কোটি রুপির মালিক।

এছাড়াও আনুশকা শর্মা (তার মোট সম্পত্তি ২৫৫ কোটি), মাধুরী দীক্ষিত নেনে (তার মোট সম্পত্তি ২৪৮ কোটির), কাজল (তার মোট সম্পত্তি ২৪০কোটির), ক্যাটরিনা কাইফ (তার মোট সম্পত্তি ২২৪ কোটির), শিল্পা শেঠি (তার মোট সম্পত্তি ১৫৮ কোটির), নয়নতারা (তার মোট সম্পত্তি ২০০ কোটির) রানি মুখার্জি (তার মোট সম্পত্তি ২০০কোটির)


ধনী নায়িকা   ঐশ্বরিয়া   সম্পত্তি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে : অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ‘কাজলরেখা’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীর। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। রাজ-মন্দিরার নতুন এই জুটি দর্শকরাও পছন্দ করেছে।

তারই রেশ ধরে এই জুটির প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিশেষ করে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে শরিফুল রাজের সংসার ভাঙার পরে তাদের প্রেমের গুঞ্জনে নতুন বাতাস লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন মন্দিরা।

যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিজীবনে প্রেমের সম্পর্কে আছেন। তবে কার সঙ্গে প্রেম করছেন সেটা ফাঁস করতে চান না। একইসঙ্গে এই অভিনেত্রী মনে করেন, প্রত্যেকের জীবনেই প্রেম থাকা উচিত।

মন্দিরা বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। প্রেম ছাড়া একজন মানুষ ভাল থাকতে পারে না। বাস্তব জীবনে আমারও প্রেম আছে। তবে এখন প্রেম করলেও বিয়ে করার ইচ্ছা নেই। বিয়ে করার জন্য পরিবার থেকেও চাপ নেই। তাই কাজেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছি।’

এসময় রাজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘রাজ আমার অনেক ভালো বন্ধু। বন্ধু থেকে প্রেমিক অনেকেরই জীবনে হয়। তবে আমার জীবনে এমনটা হবে না। সে আমার ভালো বন্ধুই থাকবে।’

 

 


মন্দিরা চক্রবর্তী   শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ছেলে আরিয়ানের নির্দেশনায় ওয়েব সিরিজে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০১:২৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বি-টাউনের বাঘাবাঘা নির্মাতা তাকে নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। এবার শাহরুখ একদমই নতুন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন। ছেলে আরিয়ান খানের নির্দেশনায় ওটিটিতে দেখা যাবে তাকে।

অভিনয়ের থেকে আরিয়ান খানকে পরিচালনাই বেশি টানে। এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র। বাবাকে নিয়ে এরই মধ্যে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন। এবার আর বিজ্ঞাপনে নয়। শাহরুখকে দেখা যাবে আরিয়ানের পরিচালনায় ওয়েব সিরিজে, যা হতে যাচ্ছে তার প্রথম ওয়েব সিরিজ।

গণমাধ্যমটির সূত্রমতে, সিরিজটির শুটিং এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এডিটিংয়ের পালা। সিরিজে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। সিরিজের নাম স্টারডম। শাহরুখের চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।

আরিয়ান খান তার প্রথম সিরিজের জন্য বেশ কয়েকবার খবরে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি ববি দেওলও তার প্রোজেক্টে এন্ট্রি নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ববিকে। তার একটি অভিনব ভূমিকাও থাকবে। যেটি একজন সাধারণ মানুষ যা ভাবেন, তার থেকে একেবারেই আলাদা।


আরিয়ান   ওটিটি   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দর্শকের জন্যই বারবার ফিরে আসি: অভিনেত্রী রিচি

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। এখন সংসার-সন্তান নিয়েই তার ব্যস্ততা। তবে সুযোগ পেলেই ফিরে আসেন দেশে। সময় কাটান সহকর্মীদের সঙ্গে। সম্প্রতি মা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রিচি।

মা দিবস নিয়ে শুরুতেই রিচি বলেন, ‘বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সব মাকে আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। তাদের জন্যই আজ পৃথিবী এত সুন্দর। প্রতিটি সন্তানের সফলতার পেছনেই মায়েদের অবদান রয়েছে। তাই এমন একটি দিনে আমার মাকেও আমার কাজের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে। যার জন্য আমি গর্বিত।’

অনেকদিন ধরেই রিচির নতুন কোনো কাজ নেই। তবে ভালো কাজ হলে অবশ্যই তা করবেন তিনি। এমনটা জানিয়ে রিচি আরও বলেন, ‘ভালো গল্প হলে অবশ্যই কাজ করব। আমার পছন্দ হলেই আমি কাজ করি, যা আগেও বলেছি। কারণ দেশের মানুষ আমাকে অভিনয়ের মাধ্যমে চেনে। দূরে থাকলেও দর্শকের সঙ্গে আমার আত্মার একটি যোগাযোগ রয়েছে। সে কারণেই সুযোগ পেলে দেশের দর্শকের জন্য বারবার ফিরে আসি আমি।’

রিচি সোলায়মান নব্বই দশক থেকে একাধারে বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করে দেশ ও দেশের বাইরে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সব মিলিয়ে ২০টির মতো নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাশেকুর রহমানকে বিয়ে করেন রিচি সোলায়মান। এরপর থেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।


অভিনেত্রী   রিচি   সোলায়মান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই লক্ষ রুপি আয় ওরির

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র দু’বছরের মধ্যে বলিপাড়ার তারকাদের ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছেন ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। জাহ্নবী কাপুর, সুহানা খান থেকে সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে, এমনকি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের পাশেও দেখা গেছে ওরিকে।

তিনি ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধু ছবি তোলেন। তার সঙ্গে ছবি নেই, ভারতে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর!  তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ রুপি উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লাখ আবার কখনও কখনও ৫০ লাখ ছোঁয়।

বলিপাড়ার যেকোনও পার্টি হোক, কিংবা বিয়েবাড়ি অথবা জন্মদিন, ওরি ছাড়া যেন অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ। নেটপাড়ায় তিনি পরিচত মুখ। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক কিংবা ফোনের কভার অথবা চুলের ছাঁট নিয়ে নেটিজেনদের উৎসাহ রয়েছে। পাশপাশি, অনেকেরই কৌতহূল রয়েছে তার আয়ের উৎস নিয়ে।

সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে তিনি জানান, ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। করণ জোহরের এজেন্সি তার কাজ দেখাশোনা করে। তবে সিনেমা করতে রাজি নন তিনি। অতো খাটাখাটনি করতে পারবেন না, সাফ কথা এই তারকার।

স্রেফ তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। ওরির কথায়, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ছবি তুলি, আর সেই ছবি পোস্ট করার জন্য আমি টাকা পাই। এক রাতেই ওই সব ছবি পোস্ট করে আমি ২০-৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করি। তা ছাড়া আমাকে বিয়েতে লোকে ডাকেন। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেন।’ সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নাকি বাড়ে টাকার অঙ্ক! পাশপাশি, ওরি এ-ও জানান শুধুই কাজ নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও চান তিনি।


তারকা   রুপি   ওরি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন