ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সার্ক নয় ভারতের আগ্রহ বিমসটেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৪ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

কাশ্মির ইস্যু সার্কের প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার। এই  সমস্যা ছাড়াও নদীর পানি বন্টন, সন্ত্রাসবাদ দমন কিংবা মাদকের মতো দক্ষিণ এশীয় সমস্যা সমাধানে সার্ক ছিলো অভিন্ন প্লাটফর্ম। দুঃখজনক হলেও সত্যি সার্ক ও পাকিস্তানকে একাকার করে ফেলেছে ভারত। মূলত, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বিরোধের জেরে  ক্রসফায়ারে পড়ে সার্ক এখন মৃত্যুপথযাত্রী। পাঁচ বছর হলো এই জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের একসঙ্গে কারো দেখা-সাক্ষাৎ নেই। আপাতত সেই সম্ভাবনাও নেই। অথচ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের একসঙ্গে বসার প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি।

ভারত চাইছে সার্কের মৃতদেহের ওপর বিমসটেক সক্রিয় হয়ে উঠুক। কারণ,মোদি প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে সার্কভুক্ত দেশগুলোয় গাড়ি চলাচলের যে প্রস্তাব দেন, পাকিস্তান তাতে শীতল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। সার্ক স্যাটেলাইট বিষয়েও তাদের আগ্রহ কম ছিল।

একই সময়ে পাকিস্তান চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডোর গড়তে শুরু করে। ভারত এই পরিস্থিতির উত্তর দেয় ১৯তম সার্ক সম্মেলন বন্ধ করিয়ে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানকে সার্কের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে অনিচ্ছুক ভারত, যার জন্য বিমসটেককে পুনরুজ্জীবিত করে তারা।

নয়াদিল্লী অবশ্য প্রকাশ্যে বলছে, সার্ক জোট হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে একদম সফল ছিল না। প্রায় তিন দশক একসঙ্গে পথচলার পরও সদস্যদেশগুলো পারস্পরিক অর্থনীতির ১০ ভাগও সমন্বিত করতে পারেনি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেও সেটা করা যায়নি। বিমসটেক দিয়ে ভারত সেটাই করতে চায়। কিন্তু সার্কের যেকোনো ব্যর্থতার দায় যে বড় সদস্য দেশের ঘাড়েই বর্তায়, সেটা ভারতীয় কূটনীতিবিদেরা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক।

এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নির্বাচনী ইশতেহারে খোলাখুলি ভাবে বলেছে বিমসটেককে নিয়েই এগোবে ভারত।

২০১৬ সালে পাকিস্তানে সার্কের যে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, তাও ভারত সরকারের বিরোধিতায় হয়নি।

বিমসটেক বলতে বোঝানো হচ্ছে Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation। ভুটান ও নেপাল মোটেই বঙ্গোপসাগর–লাগোয়া দেশ নয়। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে তাদের কোনো কাজকারবারই নেই। মূলত, ভারতের চাপে বা অনুরোধেই যে তারা এই জোটভুক্ত হয়েছে, সেটা অনুমান করা যায়।

সার্ককে নিষ্ক্রিয় করে বিমসটেককে শক্তি জুগিয়ে ভারত মূলত দুটি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে। প্রথমত, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে একঘরে করা—সার্কে থাকলেও বিমসটেকে তাদের নেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত, সার্ক ফোরামে নদীর পানি থেকে সীমান্ত বিরোধ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রায় সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনার যে পরিসর ছিল তা বন্ধ করা। ভারতের সঙ্গে পানির হিস্যা ও বাণিজ্যিক ভারসাম্য স্থাপনের বিষয়ে যৌক্তিক আঞ্চলিক নীতিকৌশলের পক্ষে প্রকাশ্যে বলা যেত সার্কে। কিন্তু বিমসটেকে সে সুযোগ নেই।

বিমসটেককে ভারত গড়ে তুলতে চায় কেবল বাণিজ্যিক জোট হিসেবে। সেখানে পাকিস্তান না থাকায় কোনো বিষয়ে ভারতের অবস্থানের বিরোধিতার মতো দেশও থাকছে না। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় চীনের উদীয়মান আধিপত্য মোকাবিলাতে তার নেতৃত্বাধীন বিমসটেক কাজে লাগবে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। তবে এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো ভারত ও ভুটান ছাড়া বিমসটেকের অপর পাঁচটি দেশ ইতিমধ্যে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরই) যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সার্কের শুকিয়ে মরা বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। কারণ বিশ্বে ঢাকার বড় কূটনৈতিক সফলতার স্মারক ছিল সার্ক। বাংলাদেশই এই জোটধারণার প্রস্তাবক। এর প্রতিষ্ঠায় প্রচুর খেটেছেও বাংলাদেশ। ১৯৮৫ সালে ঢাকাতেই সার্ক এর যাত্রা।

নেপালের জন্যও সার্কের অপমৃত্যু বেদনাদায়ক। কাঠমান্ডুতে রয়েছে এই জোটের সচিবালয়। জোটের বর্তমান চেয়ারম্যানও তারা। তবে ভারত যখন সার্ককে ক্রমে নিষ্ক্রিয় করে ফেলছে, বাংলাদেশ তাতে জোরালো কোনো আপত্তি তোলেনি। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের কূটনীতিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ এক অবস্থানবদল। তবে নেপালের নেতৃবৃন্দ প্রায়ই সার্কের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন; বিশেষত নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নতুন অবস্থানের পর নেপালও সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকখানি হতাশ।

অতীতে সার্ক কাশ্মীর কিংবা আন্তঃনদীগুলোর পানির হিস্যার মতো আঞ্চলিক জরুরি কোন বিবাদে ভূমিকা রাখতে পারেনি।  তাই সাধারণ মানুষদের আগ্রহ হারিয়েছে জোটটি। তেমনি রোহিঙ্গা বিবাদের কোনো মীমাংসা করতে না পারলে বাংলাদেশ-মিয়ানমারও বিমসটেকভুক্ত হয়ে কাছাকাছি আসতে পারবে না। বাংলাদেশের তরফ থেকে বিমসটেকের ভবিষ্যৎ অনেকখানি নির্ভর করছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের ইতিবাচক মনোভাবের ওপর। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যার শুরুতেই ভারতের সমর্থন যায় মিয়ানমারের দিকে। বিমসটেক এ ক্ষেত্রে ঢাকার পক্ষে কোনো ভূমিকা দেখাতে পারেনি।
ভারত যদি সার্ক সচিবালয় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে, সেটা হতে পারে সার্কের মৃত্যু ঘোষণার সামিল।

সার্কের মৃত্যু ঘটিয়ে বিমসটেককে প্রাণবন্ত করার চেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ আছে। এর বড় কারণ, বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন সামান্যই। অথচ সমধর্মী সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ধারণ করত সার্কভুক্ত দেশগুলো।

সেই ক্ষেত্রে বিমসটেককে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে শক্তিশালী জোট হিসেবে গড়ে তুলতে ভারতকে সদস্য দেশগুলোর স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়গুলো দেখভালের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও কূটনীতিক দুতিয়ালীও বাড়াতে হবে। 

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প নাকি বাইডেন, বিশ্বের স্বার্থে কে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মতামত জরিপে জানা গেছে বেশিরভাগ মার্কিন জনগণ উভয় প্রার্থীর কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে তেমন আগ্রহী নন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প-বাইডেনের মনোনয়ন পাওয়াকেই স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই দুই প্রার্থীর কাকে বিশ্বের স্বার্থে এগিয়ে রাখা যায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান বার্নি স্যান্ডার্স 
দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। 

বার্নি স্যান্ডার্স দ্য গার্ডিয়ানে লিখেছেন যে,  আমি জানি বাইডেন তেমন জনপ্রিয় নন এবং আমিসহ অনেক প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ইসরায়েলের চলমান বিপর্যয়কর যুদ্ধ–সম্পর্কিত তার অনুসৃত নীতির সঙ্গে একেবারেই একমত নন।

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইডেন আসন্ন ভোটে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প যদি পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি আগের চেয়ে খারাপ আচরণ করবেন। সেই দিক তুলনা করে বলছি, বাইডেন যেকোনো বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে হাজার গুণ ভালো হবেন।

আপনি যদি জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা আলোচনা হয়ে থাকে, সেটি একটি ‘ফালতু আলাপ’।

অন্যদিকে বাইডেন টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন।

ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, যিনি গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন। আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। যারা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই আট শতাধিক আক্রমণকারীকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমা করে দেবেন বলে ভাবছেন।



জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে নিশানা করে ৭৫টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। 

শুক্রবার(১৭ মে) দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে। 

তবে কয়েক ডজন রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোন ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা জানিয়েছে, আপার গ্যালিলিতে রকেট হামলায় দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুজনের বয়সেই ৬০ বছরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় ছিল।

হিজবুল্লাহর রকেট হামলার মধ্যে গোলান হাইটস এবং লেবানন সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহ।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় কতজন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে তাদের এ সংঘর্ষে অনেক নিরীহ বেসামরিকও নিহত হয়েছেন।


ইসরায়েল   রকেট   হিজবুল্লাহ   আইডিএফ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কানাডার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। ফিলিস্তিনি বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় প্রথমবারের মতো দেশটি এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে 'হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল' পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। উগ্র ইহুদিরা আদিবাসীদের বসতঘরে হামলা করছে। প্রকাশ্যে দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করছে।

এ সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করে আলজাজিরা। তাতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী হাতে কুড়াল ও লোহার পাইপ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন।

নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত ইসরায়েলিরা হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ ও মোশে শারভিত। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কানাডা।


ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাটিচাপা দেওয়ার ৪দিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জীবন্ত কবর দেওয়ার চারদিন পরে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ মলদোভায়। 

সোমবার (১৩ মে) দেশটির উতসিয়া অঞ্চল থেকে ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই দিন নিজ বাড়িতে ৭৪ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়ার খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেসময় তারা এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। পরে মাটি খুঁড়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্যরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি অস্থায়ী বেজমেন্ট খুঁজে পান। সেটির ভেতর থেকেই এক বৃদ্ধকে টেনে বের করে আনছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের ঘাড়ে ক্ষত ছিল। এ ঘটনায় এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় ওই কিশোরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই কিশোরই রোববার (১২ মে) রাতে কিংবা সোমবার সকালে ৭৪ বছর বয়সী নারীকে হত্যা করেছে।

ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, রোববার অভিযুক্ত ওই কিশোরের সঙ্গে মদপান করছিলেন তিনি। সেসময় একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কিশোরটি তখন বৃদ্ধকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও তাকে বেজমেন্টের ভেতর নিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধকে ভেতরে রেখেই বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে বেজমেন্টের প্রবেশদ্বার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় অভিযুক্ত কিশোর।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রসিকিউটররা হত্যাকাণ্ড ও হত্যা চেষ্টার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই কিশোরের যাবজ্জীবন কারাবাসের সম্মুখীন হতে হবে।


ইউরোপ   মলদোভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন