নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর, ১৯৭৭। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত ও রক্তাক্ত এক অধ্যায়। ৪৩ বছর আগে যে হত্যা ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন সামরিক এক নায়ক জিয়াউর রহমান; সেই স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে। ১৫৬ জন যাত্রীসহ একটি জাপানি বিমান ছিনতাই করা হয়। ছিনতাইকারীরা বিমানটিকে ঢাকায় অবতরণ করায়। এই ছিনতাই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। সেটা দমনে নির্মম হন জিয়া। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু হয়েছিল এই দিন থেকেই। ২৯ তারিখ থেকে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমঝোতার চেষ্টা হয়েছিল। এর ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেয়া হয়েছিল ৫ জনকে। কিন্তু এর মধ্যেই বগুড়া সেনা নিবাসে শুরু হয় গোলযোগ। জিয়ার বিরুদ্ধে ফুসে থাকা সেনা সদস্যরা বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহ দমনে নির্বিচারে হত্যার পথ বেছে নেন জিয়া।
১ অক্টোবর বিমান ছিনতাইকারীদের দাবি অনুযায়ী, জাপানের জেলে আটক ছয়জন বন্দি রেড আর্মি এবং ৬০ লাখ ডলারসহ অপর একটি জাপানি বিমান ঢাকায় আসে। মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি পায় অধিকাংশ জিম্মি। এ সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। সেনা সদস্যদের মধ্যে চলে গুলি এবং পাল্টা গুলি। ঢাকা বিমান বন্দরে কর্তব্যরত অবস্থায় বিমান বাহিনীর ১১ জন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ১০ সদস্য নিহত হন। আহত হন ৪০ সেনা সদস্য। এরপর জিয়া শুরু করেন নির্মূল অভিযান।
বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের অনেককে তাৎক্ষণিক হত্যা করা হয়। অনেককেই আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। এরপর এক প্রহসনের বিচার মঞ্চস্থ হয়। কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয় হাজার খানেক সেনা সদস্যদের। শুধু কারাগারে গিয়ে তাদের রায়ের অংশ পড়ে শোনানো হতো। এর পরপরই ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হতো। একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, জিয়া সেনাবাহিনীতে তার ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে এবং সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করতেই ইতিহাসের নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। এই সময় কত সেনা কর্মকর্তা জিয়ার নির্মমতায় মৃত্যু বরণ করেছিলেন, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে লারউইন লিফ্রসুইজ তার এক গবেষণায় দাবি করেন যে, দেড় হাজার থেকে দুই হাজার সেনা সদস্যকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছিল। এটাকে অনেক গবেষক ঠান্ডা মাথার ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য এভাবে সেনা সদস্য হত্যা ছিল এক নজীর বিহীন বর্বরতা।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।