কালার ইনসাইড

ভিকি জাহেদ : আমাদের মিস্টার টুইস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ০১ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

চার বছর আগের কথা। ধীরে ধীরে ইউটিউব বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে বাংলাদেশে।

২০১৬ সালের মার্চ মাস। ইউটিউবে বাংলাদেশী দর্শকরা প্রথমবারের মতো দেখলো টেলিভিশন পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানকে। “মোমেন্টস” নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। হ্যা, বলতে গেলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ধারার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিলো “মোমেন্টস”। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসাবে যার নাম প্রথমে আসবে তিনি হচ্ছেন “ভিকি জাহেদ”। বর্তমানে ইউটিউব সহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এখন অনেক প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা অভিনেত্রী নিয়মিত কাজও করছেন ইউটিউবের জন্য নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোতে। ভিকি জাহেদ তার নির্মিত প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে স্বকীয়তা ধরে রেখে নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি নির্মাতা ভিকি জাহেদ কথা বলেছেন বাংলা ইনসাইডারের সাথে। প্রথমদিকের প্রতিবন্ধকতা, বর্তমান ব্যস্ততা সব নানা দিক উঠে এসেছে আলোচনায়। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য থাকলো সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ নির্মাতা হিসাবে আপনার শুরুর দিকের ফ্ল্যাশব্যাক ও প্রতিবন্ধকতা।

ভিকি জাহেদঃ শুরুর দিকে প্রতিবন্ধকতাই বেশি ছিলো। ওই সময়টাতে বাইরে থেকে এসে সাপোর্ট করার মতো কেউ ছিলো না, শুধুমাত্র আমার ওই সময়ের টিম মেম্বার যারা ছিলো তাদের অনুপ্রেরণাই ছিলো সামনে আগানোর রসদ। আর্থিকভাবে সহায়তা করার মতো বা যদি বলি প্রডিউসার এই সাপোর্টটা ছিলো না ওই সময়টাতে। বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নামে যে কিছু হতে পারে এমন ভাবনাও ছিলো না কারো মাঝেই। আমার যে টিমটা ছিলো আমরা ওই সময়টাতে বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানোর আগে নিজেরা কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছিলাম। নিজেরা নিজেরা টাকা দিয়েই টিম ওয়ার্কটা চালিয়ে গিয়েছিলাম। একটা সময় বেশ হতাশা ভর করেছিলো আমাদের মাঝেও। ওই সময়ের একটা ঘটনা যদি বলি, একদিন শিল্পকলায় আমি ও আমার বন্ধু সিনেমাটোগ্রাফার বিদ্রোহী দীপন হতাশ হয়ে ভাবছিলাম যে আমাদের হয়তো এসব ছেড়ে দেয়াটাই ভালো হবে। একটা গল্প বেশ কিছুদিন ধরেই মাথায় ঘুরছিলো তখন, সবকিছু ছেড়ে দেবার আগে ভাবলাম শেষ চেষ্টা হিসাবে কিছু একটা করি। টিমের সবার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়েই আমরা “মোমেন্টস” এর শুটিং করে ফেলি। ওই জায়গা থেকে আমি বেশ ভালো একটা শিক্ষাও পেয়েছিলাম, “যদি তুমি কোনো কিছুতে সততার সাথে লেগে থেকে তোমার বেষ্ট ইফোর্টটা দাও তাহলে প্রকৃতিও তোমাকে সাহায্য করবে”। তারপরে বেশ ভালো সাড়া পেলাম। টাইগার মিডিয়াতে রিলিজের পরে দর্শকদের ভালোবাসা আর প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমাদের টিমের সবার কষ্ট দূর হয়ে গিয়েছিলো। এরপর অনেকেই শুরু করলেন বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ। অনেক সেলিব্রেটি অনেক বড় বড় পরিচালকেরা শুরু করলেন বাণিজ্যিক ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই ধারাটিকে সমৃদ্ধ করতে। প্রডিউসাররা এই জায়গাতে আসতে শুরু করলেন। আস্তে আস্তে আমাদের বাজেটও বাড়তে শুরু করলো। এখন তো আমরা সবাই বেশ ভালো ভালো কন্টেন্ট বানাচ্ছি। এ পর্যন্ত আমার মুক্তি পাওয়া শর্টফিল্মের সংখ্যা প্রায় ২৫ টি, নাটকের সংখ্যা প্রায় ৭ টি এবং বেশ কয়েকটি আলোচিত মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করতে পেরেছি।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার সবগুলো কাজের মধ্যে আপনার প্রিয় কাজ কোনটি এবং কেন?

ভিকি জাহেদঃ প্রিয় কাজ ওভাবে বলতে গেলে দুটি কাজের কথা বলতে হবে, কারণ এখন যেহেতু আমি এখন নিয়মিত টেলিভিশনের জন্যও বানাচ্ছি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমি যদি বলি আমার প্রিয় কাজ হচ্ছে “মায়া”, কারণ ওই কাজটার সময় আমার বাবা মারা যায়। সব মিলিয়ে ওই সময়টাতে বেশ ইমোশনাল অবস্থায় ছিলাম আমি এবং আমি মনে করি এই কাজটি আজীবন আমার কাছে প্রিয় হয়ে থাকবে। যদিও নিজের কাজ খুব একটা দেখা হয়না কিন্তু এখনও মাঝে মাঝে আমি কাজটা দেখি, গল্পটাও বেশ ভালো একটা গল্প ছিলো। আর টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আমার প্রিয় কাজের নাম বলতে গেলে “রেহনুমা”। যেহেতু আমি একটু স্পিরিচুয়াল বা ওই ধরণের একটা প্রেমের গল্প বলতে চাচ্ছিলাম, সেই জায়গা থেকে “রেহনুমা” হচ্ছে আমার খুব প্রিয় একটা কাজ।

বাংলা ইনসাইডারঃ এখনও যে কাজটার জন্য আপনার কাছে দর্শক প্রতিক্রিয়া আসে।

ভিকি জাহেদঃ “মায়া” স্বল্পদৈর্ঘ্যটির শুটিং এর সময়ের একটা মজার ঘটনা বলি। ওখানে একটা দৃশ্য ছিলো যে নায়কটি নায়কাকে ফোন দিচ্ছে, আমি বলতে গেলে না বুঝেই আমার নাম্বারটা দিয়ে দিয়েছিলাম ফোন কলের দৃশ্যটাতে। ভেবেছিলাম ওই দৃশ্যে হয়তো ওভাবে কেউ বিষয়টা খেয়াল করবেনা। পরবর্তীতে মায়া রিলিজের পরে প্রচুর ফোন আসতে থাকে, নাম্বারটা প্রায় বন্ধই করে দিতে হয় আমাকে। এটা ছাড়াও মায়া স্বল্পদৈর্ঘ্যটির জন্য বেশ ভালো দর্শক প্রতিক্রিয়া এখনো আসে। পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “হৈচৈ” তে আমার “অক্ষর” স্বল্পদৈর্ঘ্যটি থাকায় ওই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি নিয়েও বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া এখনও পাই।

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার প্রিয় জনরা কি?

ভিকি জাহেদঃ যদিও আমার বেশিরভাগ কাজ রোমান্টিক ধাচের এবং অনেকেই আমাকে রোমান্টিক গল্পের পরিচালক হিসাবেই জানে, কিন্তু আমার পছন্দের জনরা হচ্ছে থ্রিলার। আমি থ্রিলার বেশ পছন্দ করি, থ্রিলার সিনেমা প্রচুর দেখা হয় এবং থ্রিলার গল্প বেশ ঘুরপাক খায় মাথায়। আমার প্রায় সব কাজগুলোতেই কিন্তু বেশ টুইস্ট থাকে। থ্রিলার জনরা পছন্দ করার কারণেই হয়তো নিজের একটা সিগনেচার হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে।

বাংলা ইনসাইডারঃ ভিকি জাহেদের কাছ থেকে কি সামনে কখনো দর্শক হরর জনরার গল্প পাবে?

ভিকি জাহেদঃ হরর গল্প বানানোর অনেক ইচ্ছা থাকলেও আমি এখনই হরর বানাতে চাই না। কারণ আমার কাছে মনে হয় হরর গল্প কমেডি গল্পের থেকেও কঠিন। আমার কাছে মনে হয় সিনেমার সবচেয়ে কঠিক কাজটা হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখানো এবং প্রকৃত ভয়টা দেখানো। এখানে সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে ভয় দেখানো না। আর এই ধরণের এনভায়রনমেন্টাল হরর বানানোটা বেশ কঠিন এবং সত্যি কথা বলতে গেলে হররের জন্য বেশ ভালো একটা বাজেটের দরকার হয়। হরর গল্পটা আসলে চাইলেই গোজামিল দিয়ে করা সম্ভব না, কারণ খুব ভালো সাউন্ড ডিজাইনার, ভালো সেট ডিজাইন, দুর্দান্ত অভিনয়, প্রস্থেটিক মেকআপ সহ আরো বেশকিছু জিনিস আছে যেখানে ছাড় দিতে গিয়ে হরর দেখিয়ে আমি মানুষ হাসাতে চাই না। সঠিক বাজেট আর খুব ভালো গল্প যদি কখনো পাই তাহলেই আমি হরর গল্পেও অবশ্যই কাজ করতে চাই। তবে সামনে আমার একটা টেলফিল্মের পরিকল্পনা চলছে যেটা অনেকটা প্রেত জনরার বা কিছুটা কাল্ট ঘরানার গল্প নিয়ে বলা যায়। হয়তো আগামী মাসে ওটার জন্য আমি শুটিং এ যাবো। সেক্ষেত্রে দর্শক কিছুটা হলেও আমার হরর টেস্টের আঁচ পাবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কবে বানাচ্ছে ভিকি জাহেদ?

ভিকি জাহেদঃ আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে এখন সিনেমা বানাবার জন্য বেশ শক্ত একটা সময় যাচ্ছে। কারণ যেহেতু আমার প্রথম সিনেমা তাই আমি চাইবো একটু নিরাপদ পরিবেশ। তাছাড়া গল্প বলাই যেহেতু আমার কাজ তাই সেটা সিনেমাতে হোক, নাটকে হোক বা স্বল্পদৈর্ঘ্য হোক গল্প বলে যেতে চাই। তাছাড়া এখন তো অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আছে, বেশ ভালো ভালো ওয়েব সিরিজ হচ্ছে ওখানেও কাজ করছি আর করতে চাই সামনের দিনগুলোতেও। তবে যখন ভেতর থেকে আমার মনে হবে যে এখন আমার সিনেমাটা বানানো উচিত হয়তো সিনেমার কাজটা তখন শুরু করে দিতে পারি।

বাংলা ইনসাইডারঃ ভিকি জাহেদের বর্তমান ব্যস্ততা ও সামনের দিনগুলোর পরিকল্পনা।

ভিকি জাহেদঃ বর্তমান ব্যস্ততা বলতে গেলো এখন একটু টেলিভিশনে সময় দিচ্ছি। আমি বরাবরই একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। আমি দেখছিলাম যে বেশ কিছুদিন ধরেই একই ধাচের নাটক হচ্ছিলো এবং কমেডি জনরার কাজ একটু বেশি মাত্রায় হচ্ছিলো। এমন একটা ধারনাও চলে এসেছিলো যে শুধু কমেডি নাটক হলেই মানুষ দেখবে। এই অবস্থাটা পরিবর্তন করার জন্যই আসলে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, চেষ্টা করছি একটু ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কাজ করতে। কারণ আমাদের দেশের নাটকের ইতিহাসটা কিন্তু খুব সমৃদ্ধ। আমরা যদি দেখি হুমায়ূন আহাম্মেদ এর নাটক বা ২০০০ পরিবর্তী সময়ের যে নাটকগুলো দেখে আমরা বড় হয়েছি ওই নাটকগুলোর খুব ভালো গল্প ছিলো। প্রতিটি পরিচালকের আলাদা একটা দর্শন ছিলো। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ গোনার দিন আর দর্শক কি ভাববে এসব চিন্তা না থাকায় পরিচালকগন নিজেদের দর্শন থেকে নিজেদের স্বাধীনতা থেকে উপহার দিতেন অসাধারণ সব নাটক। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে এখনকার কাজগুলোতে ওই জিনিসটা দেখা যায় না। হয়তো দর্শকরাই এমনটা চায়, পরিচালকরা প্রায় সবাই ট্যালেন্টেড আমাদের এখানে কিন্তু দর্শক যা চায় ওভাবে দিতে গিয়ে আমরা আমাদের দর্শনের জায়গা থেকে সরে গিয়েছি অনেকটাই। আমি নাটকে আমার কাজগুলোর মাধ্যমে ওই জিনিসটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো। ভ্যালেন্টাইনে “রেহনুমা”, ঈদে “নির্বাসন” এই কাজগুলোর মাধ্যমে সেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাচ্ছি। চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে “জন্মদাগ” আসছে এবং “ইরিনা” নামে আমার নতুন আরেকটা কাজ সামনে আসছে। চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে কাজটা করে যেতে।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার চোখে নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা।

ভিকি জাহেদঃ সমস্যা আগে যেটা ছিলো যে প্রডিউসাররা নতুনদের ওপরে ওভাবে ভরসা রাখতে পারতেন না, টেকনোলজিক্যাল জিনিসগুলোর ব্যবহার সেভাবে করতে পারতো না নতুনরা। পাশাপাশি নতুনদের জন্য ক্যামেরা লাইট এসব ম্যানেজ করে শুটিং এ যাওয়াটাও একটু কষ্টসাধ্য ছিলো।। কিন্তু ওই সমস্যা কাটিয়ে এখন আবার নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন মোবাইলেই চাইলে অনেক ভালো শুটিং করা যায়, পাশাপাশি এখন টেকনোলজিক্যাল জিনিসগুলোর সহজলভ্যতায় যে যেভাবে পারছে সেভাবে কন্টেন্ট বানাচ্ছে। যার ফলে নতুনদের উপরে দর্শকদের চাপ অনেক বেশি থাকে। যেমন একজন নতুন নির্মাতার কন্টেন্ট ১০ জন মানুষ দেখছে এবং হয়তো নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। কিন্তু যে ১০ জন দেখে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে হয়তো তার নির্মিত কন্টেন্টটি হয়তো তাদের জন্য না। কিন্তু যদি তরুণ নির্মাতা মনে করে ওই ১০ জন দর্শকের জন্য তাকে পরিবর্তিত হতে হবে বা তার আদর্শের জায়গা পরিবর্তন করতে হবে তাহলেই কিন্তু নতুন পরিচালকটি তার জায়পা থেকে পিছিয়ে গেলো, ধীরে ধীরে তার স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে ওই ১০ জন দর্শককেও আপনি ফেলে দিতে পারবেন না। ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে একটা সময় হয়তো তার একটি দর্শক শ্রেনী তৈরী হবে। এছাড়া নতুন পরিচালকদের উপরে প্রডিউসারদের একটা অদৃশ্য প্রেশার কাজ করে থাকে। দিনশেষে নতুনেরা তাদের স্বকীয়তা ধরে না রাখলে আমাদের নতুন কোনো মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী হয়তো তৈরী হবে না, আমাদের একজন নতুন রেদোয়ান রনি বা আশফাক নিপুন তৈরী হবে না। তবে হতাশ হয়ে গেলে চলবে না, ভিউ একটা মনস্তাতিক চাপ মাত্র। সব দর্শকের কথা চিন্তা না করে শুধু নিজের দর্শনটা ঠিক রাখতে হবে এবং কাজ করে যেতে হবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ ধন্যবাদ ভিকি জাহেদ আপনাকে। সামনের দিনগুলোতে আপনার নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট অব্যাহত থাকুক, সমৃদ্ধ হোক আমাদের দেশীয় কন্টেন্ট দুনিয়া।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন ডা. খোদেজা বেগম মৃধা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডা. খোদেজা বেগম মৃধা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান গাইতে আগ্রহী তাহসান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।

সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।

রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।


ফারিণ   তাহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের পৃথিবীর মঞ্চ ছাড়ার সময়ে ঢাকার মঞ্চে মোনালি

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গানতুমি রবে নীরবে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।

বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।

এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।


মা   পৃথিবী   মোনালি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফুলের মালা দিয়ে বরণের পরও কেন নিপুণের রিট

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনে হেরে ফুলের মালা দিয়ে হাসিমুখে বিজয়ী প্রার্থীদের বরণ করে নিয়েছিলেন নিপুণ। তবে নিপুণ কী যেন পুষে রেখেছিলেন মনে মনে। যার ফলাফল দেখা গেল শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্পন্নের কয়েক সপ্তাহ পরেই। জানা গেছে, ফুলের মালা দিয়ে যাঁদের বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পুরো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ।

১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন। এতে নিপুণ মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা-ডিপজল প্যানেল। সারা দিন ভোট গ্রহণ শেষে পরদিন ২০ এপ্রিল সকালে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, নিপুণের প্যানেলের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিতও ছিলেন নিপুণ। এরপর তিনি ডিপজল মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। মিশা ডিপজল তাঁদের পরিয়ে দেওয়া মালা নিপুণকে পরিয়ে দেন।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে হেরে সেদিন গণমাধ্যমের কাছে নিপুণ জানিয়েছিলেন, ‘ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের বিপরীতে আমি যখন দাঁড়াব, ভোট পাব সর্বোচ্চ ৫০টি। সেখানে ভোট পেলাম ২০৯টি। হেরেছি মাত্র ১৬ ভোটে। এতেই প্রমাণিত হলো যে শিল্পী সমিতির ভাইবোনেরা আমাকে কতটা ভালোবাসেন। এত সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।এমনকি সেদিন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য নিজেকেই কৃতিত্ব দেন নিপুণ।

নির্বাচনের চার সপ্তাহে এসে সব সমীকরণ যেন পাল্টে গেল। নিপুণ করেছেন হাইকোর্টে রিট। আর সেই খবর শুনে মিশা সওদাগর হুংকার ছুড়েছেন। ডিপজল বলছেন, ‘কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায়, সেটাই খেলো।

রিট করা প্রসঙ্গে এত দিন পর এসে নিপুণ বলছেন, ‘ভোট শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটা থেকে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথাবার্তা রহস্যজনক মনে হয়েছে। তা ছাড়া যতই রাত বাড়ছিল, ততই ভোটকেন্দ্র বাইরের পরিবেশ আমার কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হচ্ছিল। সেদিনের এমন পরিবেশ আমি আগে কখনো দেখিনি এফডিসিতে। পুরো আঙিনা তারা দখলে নিয়েছিল।

রিট করার পেছনে অভিযোগ হিসেবে নিপুণ আরও বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।তাহলে অনিয়ম জেনেও কেন বিজয়ী সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেনএমন প্রশ্নে নিপুণের বক্তব্য রকম, ‘ওই সময় সেটি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তা ছাড়া মিশা-ডিপজল প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন, আপিল বোর্ডের যোগসাজশে ভেতরে-ভেতরে এত বড় অনিয়ম চলে আসছিল, সেটি ফলাফল প্রকাশের অনেক সময় পর স্পষ্ট হয়েছে।


ফুল   মালা   নিপুণ   রিট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাহরুখকে নিয়ে প্রীতি জিনতার মন্তব্যে তোলপাড়!

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড তারকা শাহরুখ খান অসুন্দর মহিলাদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতে পছন্দ করেন। এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডি ভাইরাল হয়েছে যেখানে প্রীতি বলেছেন, অসুন্দর মহিলাদের সঙ্গে শাহরুখ বেশি কথা বলেন। একটি জিনিস আমায় অবাক করত। আমরা কোথাও গেলে সে শুধু অসুন্দর মহিলাদের ডাকত।

এর উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমার তাদের সুন্দর লাগত। আমার সব মহিলাদের সুন্দর লাগে। আমি চাই, সারা জীবন মহিলারা আমায় ঘিরে থাকুন। মহিলারা সচেতন, ভদ্র, নম্র, সুন্দরী। মহিলাদের গায়ের গন্ধ সুন্দর, তাদের কণ্ঠস্বর সুন্দর, তারা সুন্দর। আমার মহিলাদের খুব ভাল লাগে। আর আমি এটা লুকোই না। কিন্তু আমার এই ভালবাসায় কোনও শারীরিক টান নেই। বা সম্পর্ক তৈরি করারও কোনও উদ্দেশ্য নেই।

বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। এখনও তার ভক্তসংখ্যা নেহাতই কম নয়। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই বিরতিতে ছিলেন এই অভিনেত্রী।


শাহরুখ   প্রীতি জিনতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন