ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

For the good of the game এই নীতিবাক্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ১৯০৪ সালের ২১মে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে গঠিত হয় Federation Internationale de Football Association যা সংক্ষেপে FIFA বা ফিফা। বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আসর আয়োজনের পাশাপাশি ফিফা বিভিন্ন সময়ে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ফিফা ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবল একাদশ ঘোষণা করে। 

দেখে নেওয়া যাক সর্বকালের সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের। 

গোলকিপারঃ লেভ ইয়াশিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন)
লেভ ইয়াশিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা ইয়াশিন খেলেছিলেন সর্বমোট ৮১২ ম্যাচ। এর মধ্যে ৫০০টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে নিজের জালে কোন বল গড়াতে দেননি। ১৫১টি পেনাল্টি শট রুখে দেওয়া এই গোলরক্ষক ছিলেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক। চারটি বিশ্বকাপ খেলা ইয়াশিন সব সময়েই কালো জার্সি বা কালো পোষাক পড়তেন। একারণেই তাকে বলা হতো ব্ল্যাক স্পাইডার কিংবা ব্ল্যাক প্যান্থার। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে একমাত্র গোলকিপার হিসেবে ফিফা ব্যালন ডি`অর জিতেছেন। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ১৯৯০ সালে মারা যান। 

ডিফেন্ডারঃ দালমা সান্তোস (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা রাইটব্যাক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সান্তোস ১৯২৯ সালে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাজিলের হয়ে চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দুইটিতে চ্যাম্পিয়ন হন। ব্রাজিলের হয়ে সর্বপ্রথম একশো অধিক ম্যাচ খেলেন তিনি। একজন ডিফেন্ডার হয়ে ১০৭৪টি ম্যাচ খেলেও ক্যারিয়ারে কখনই লাল কার্ড দেখেননি এই ব্রাজিলিয়ান। ২০১৩ সালে মারা যান তিনি।

ডিফেন্ডারঃ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি)
জার্মানির সর্বকালের সর্বসেরা এই খেলোয়াড়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে। জার্মানরা তাকে কাইজার বলেই ডাকে। যার অর্থ সম্রাট। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। একজন ডিফেন্ডার হয়েও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলধারী হন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখকে বহু সাফল্য এনে দিয়ে ইউরোপের পরাক্রমশালী ক্লাবে রুপান্তর করেন বেকেনবাওয়ার।

ডিফেন্ডারঃ ববি মুর (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই ফুটবলার জন্মেছেন ১৯৪১ সালে। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছিলেন ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ক্লাবে। এই ক্লাবে তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৯৩ সালে মাত্র ৫২ বছরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই ডিফেন্ডার। 

ডিফেন্ডারঃ পল ব্রেইটনার (জার্মানি)
১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করা ব্রেইটনার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। `৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানের পক্ষে সমতাসূচক গোল করেন তিনি। একই বছর বিশ্বকাপ এবং উচল জেতা নয়জনের প্লেয়ারের অন্যতম এক খেলোয়াড়। স্ট্রাইকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেও পরবর্তীতে বনে যান সেরা ডিফেন্ডারে। ক্যারিয়ারে করেছিলেন একাধিক হ্যাট্রিক। তিনি একজন প্রতিবাদী খেলোয়াড়ও ছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।

মিডফিল্ডারঃ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ড)
টোটাল ফুটবলের জনক ক্রুইফ জন্মেছিলেন ১৯৪৭ সালে। তিনবার ব্যালন ডি`অর জয়ী এই মিডফিল্ডার দলের প্রয়োজনে যেকোন পজিশনে খেলতে পারতেন।ক্রুইফের কল্যাণেই নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপে দুইবার রানার্সআপ হয়। তার অধীনেই বার্সেলোনা প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে মারা যান এই ডাচ ফুটবলার। 

মিডফিল্ডারঃ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স)
১৯৫৫ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করা এই ফুটবলার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তিনি ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সকে প্রথম বারের মত কোন আন্তর্জাতিক ট্রপি হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রপি জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং দুইবার ব্যালন ডি`অর জয় করে নেন। উয়েফার প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই ফুটবলার। তবে সংগঠক হিসেবে তিনি বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

মিডফিল্ডারঃ ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
মধ্যভাগের এই খেলোয়াড় ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডিঅর জয়ী 
এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টা ম্যানইউতেই কাটিয়েছিলেন। ম্যানইউ`র পক্ষে এখনো সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনি। ম্যানইউ`র পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৪ সালে নাইট উপাধি পান ম্যানইউর সাবেক এই অধিনায়ক। 

ফরওয়ার্ডঃ গ্যারিঞ্চা (ব্রাজিল)
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ড্রিবলার গ্যারিঞ্চা ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পেলের পরে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সেরা এই খেলোয়াড় ব্যানানা শট দিয়ে কর্নার থেকে গোল করতেন অবলীলায়। তার বাকানো পায়ের জাদুতেই নিজের প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নেন। পরের বিশ্বকাপে খেলেন শুধু দুইটি ম্যাচ। ইঞ্জুরির কাছে হেরে যান৷ পেলে এবং গ্যারিঞ্চা একই সময়ে দলে খেলতেন। তারা দুইজন খেলেছে এমন কোন ম্যাচে ব্রাজিল কখনো হারেনি। এছাড়া গ্যারিঞ্চা ব্রাজিলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেন। যেখানে তিনি শুধু মাত্র একটি ম্যাচ হারেন। হেরে যাওয়া সেই ম্যাচটিই ছিল তার জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে তিনি  সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল এবং টপ স্কোরার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেন। ১৯৮৩ সালে পরপারে পাড়ি জমান এই ব্রাজিলিয়ান। 

ফরওয়ার্ডঃ পেলে (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে। তিনি একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৩টি বিশ্বকাপ জয়লাভ করেন৷১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেন পেলে৷ যা আজো বহাল তবিয়তেই আছে। ফরওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেন ব্রাজিলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই খেলোয়াড়। এছাড়া তিনি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২৮৩টি গোল করেন। কেউ কেউ এটাকে বলেন ১২৮২টি। তবে উইকিপিডিয়া বলছে ১২৮১টি গোল করেছেন পেলে। 

ফরওয়ার্ডঃ ফেরেন্স পুস্কাস (হাঙ্গেরী)
১৯২৭ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফরওয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ৮৪ ম্যাচে ৮৩টি গোল করেন পুস্কাস। যা যেকোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ম্যাচপ্রতি গোল করার সর্বোচ্চ গড়। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ৫২১ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৫০৮টি। যা সর্বকালের তালিকায় এখন চতুর্থ। চ্যাম্পিয়নস লীগ সহ একাধিক ট্রপি জেতা পুস্কাসের দল হাঙ্গেরী হট ফেভারিট হয়েই ১৯৫৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। তিনি হন ট্র‍্যাজিক হিরো। যদিও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তার দল জার্মানিকে ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০টি শিরোপা জিতেন পুস্কাস। ফিফা ২০০৯ সাল থেকে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বছরের সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কারের নাম রাখে পুস্কাস এওয়ার্ড। ২০০৬ সালে ইতিহাসের সেরা এই ফুটবলার মারা যান।

ফিফা সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ বাদেও আরো অন্যান্য একাদশ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে আছে ড্রিম একাদশ। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা যায়গা করে আছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা

প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে র‍্যাংকিং এ নিজেদের থেকে ১০ ধাপ পেছানো দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ম্যাচে নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (২১ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিন শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পরও খেই হারায় বাংলাদেশ। তবে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। হৃদয় ৪৭ বলে ৫৮ রান ও মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৩১ রানে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর নেন ২টি উইকেট।

১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করেন দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেল। তবে দলীয় ২৭ রানে রান আউটের শিকার হন মোনাক। দলীয় ২৭ রানে ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর ক্রিজে আসা অ্যান্ড্রিস গিউসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন টেইলর। তবে দলীয় ৬৫ রানে গিউসকে আউট করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ২৩ রান করেন গিউস।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। টেইলর ২৯ বলে ২৮, অ্যারন জন্স ১২ বলে ৪ ও নিতিশ কুমার ১০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

তবে কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিংয়ের ব্যাটে লড়াই করে যুক্তরাষ্ট্র। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হারমিত। তার ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।



যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে কলকাতা

প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই ফাইনালে, হারলে এলিমিনেটরে- এমন সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে আজ আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। যেখানে কলকাতার সামনে টিকতেই পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা। 

বোলারদের দাপটে আর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সহজে ম্যাচ জিতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল কলকাতা। আর কলকাতার কাছে হেরে কামিন্সদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।

২০২১ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদ ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান।

এদিন টস জিতে আমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। প্রায় সব দলকে ভোগানো ট্রেভিস হেড-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই হেডের (শূন্য) স্টাম্প ছিটকে দেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেককে (৩) আউট করেন বৈভব অরোরা। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। স্টার্ক প্রতিপক্ষকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শেষ দু’বলে পর পর আউট করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ় আহমেদকে (শূন্য)। স্টার্ক অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না। ১৯তম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেন কামিন্স। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের দেখে প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চাপে রয়েছেন। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা।

৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী এবং ছ’নম্বরে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে আগ্রাসী মেজাজে তাঁরা তুললেন ৬২ রান। পাল্টা আক্রমণের জন্য হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মূলত বেছে নিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে। বিশেষ করে ক্লাসেনকে আটকাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার। এ সময় শ্রেয়সের এক চালে সাজঘরে আবার লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তাঁর বলে ঠকে যান ক্লাসেন (২১ বলে ৩২)। জুটি ভাঙার পর নিজের ভুলে আউট হলেন রাহুলও।

৩৫ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। নিজের ভুলে আউট হয়ে হতাশ রাহুল সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে মাথা নীচু করে বসেছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তার সেই বসে থাকার ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এর পর আর হায়দরাবাদ তেমন রান তুলতে পারেনি। আবদুল সামাদ করেন ১২ বলে ১৬। শেষ দিকে ২টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে শেষ হয় কামিন্সদের ইনিংস।

এ দিন কেকেআরের সব বোলার উইকেট পেলেন। সফলতম স্টার্ক ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট বরুণের। ১৫ রানে ১ উইকেট রাসেলের। ১৭ রানে ১ উইকেট বৈভবের। ২৭ রানে ১ উইকেট নিলেন হর্ষিত রানা। নারাইনের ১ উইকেট এল ৪০ রান খরচ করে।

জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কেকেআর প্রথম থেকেই ছিল সাবলীল। নারাইন-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিলেন দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। ব্যাটিং ধস সামলাতে আগেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার নামাতে বাধ্য হয় হায়দরাবাদ। তাতে কামিন্সদের বোলিং আক্রমণও কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। শ্রেয়সও ৫টি চার, ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেললেন ২৪ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৫৩

প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনমতে দেড়শ'র বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।  

এদিন অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই- এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।

টেক্সাসের হিউস্টনে চলমান বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ সরাসরি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের আগেরদিন বিসিবি সেই দোলাচল কাটিয়ে দেশের বেসরকারি একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর কথা জানায়। ইতোমধ্যে যার সম্প্রচার মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যেমন সম্প্রচার, তেমনই বিব্রতকর খেলা উপহার দিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ওভার-স্টেপ করে পাঁচটি নো বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা, তবে সেখান থেকে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান (৪৭ বল) করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান করেছেন। টপ অর্ডারদের মধ্যে কেবল সৌম্য কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিল করেছেন লিটন, শান্ত ও সাকিবরা।

এর আগে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রবল বাতাসের মাঝে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে একাদশে ফিরলেও, তিনি নিজের পঞ্চম বলেই এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। যদিও সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।

শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।

ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান। অল্প সময় ব্যবধানে আউট অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলের সংগ্রামী ইনিংসে তিনি করলেন মাত্র ৩ রান।

একইভাবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সামনেও। কিন্তু সাকিব ১২ বলে ৬ রান করা অবস্থায় তিনিও রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ছিলেন। সেই জুটিই কিছুটা মান বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়ও।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-২০তে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন না কেউই। রান করতে ধুঁকছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে তিন উইকেটে ৬০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে শুরুটা মোটামুটি ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে দুজনের ৩৪ রানের জুটি।

সঙ্গীর বিদায়ের পরপরই আউট হন সৌম্য। তিনি ২০ রান করেন। তিনে নেমে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দুজনে যথাক্রমে ১৮ ও ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

টি-২০   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস হেরে বোলিংয়ে কলকাতা

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনাল মিলিয়ে আর মোট ৪ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে আজ মাঠে নেমেছে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার (২১ মে) ফাইনালে ওঠার এই মহালড়াইয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

লিগ পর্বে হায়দরাবাদকে ৩ রানের হারিয়ে আসর শুরু করেছিল কালকাতা। তাই হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই কলকাতা। এই ম্যাচ দিয়ে কলকাতার হয়ে চলতি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ।

অন্যদিকে লিগ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই কামিন্সের দল। আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে হায়দরাবাদ।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল থ্রিপাঠী, হেনরিক ক্লাসেন, নীতিশ রেড্ডি, আবদুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, বিজায়কান্থ ভিয়াশান্থ ও টি-নটরাজন।

কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সুনীল নারিন, শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, ভাইভাভ আরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।


আইপিএল   সানরাইজার্স হায়দরাবাদ   কলকাতা নাইট রাইডার্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন