ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

For the good of the game এই নীতিবাক্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ১৯০৪ সালের ২১মে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে গঠিত হয় Federation Internationale de Football Association যা সংক্ষেপে FIFA বা ফিফা। বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আসর আয়োজনের পাশাপাশি ফিফা বিভিন্ন সময়ে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ফিফা ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবল একাদশ ঘোষণা করে। 

দেখে নেওয়া যাক সর্বকালের সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের। 

গোলকিপারঃ লেভ ইয়াশিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন)
লেভ ইয়াশিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা ইয়াশিন খেলেছিলেন সর্বমোট ৮১২ ম্যাচ। এর মধ্যে ৫০০টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে নিজের জালে কোন বল গড়াতে দেননি। ১৫১টি পেনাল্টি শট রুখে দেওয়া এই গোলরক্ষক ছিলেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক। চারটি বিশ্বকাপ খেলা ইয়াশিন সব সময়েই কালো জার্সি বা কালো পোষাক পড়তেন। একারণেই তাকে বলা হতো ব্ল্যাক স্পাইডার কিংবা ব্ল্যাক প্যান্থার। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে একমাত্র গোলকিপার হিসেবে ফিফা ব্যালন ডি`অর জিতেছেন। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ১৯৯০ সালে মারা যান। 

ডিফেন্ডারঃ দালমা সান্তোস (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা রাইটব্যাক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সান্তোস ১৯২৯ সালে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাজিলের হয়ে চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দুইটিতে চ্যাম্পিয়ন হন। ব্রাজিলের হয়ে সর্বপ্রথম একশো অধিক ম্যাচ খেলেন তিনি। একজন ডিফেন্ডার হয়ে ১০৭৪টি ম্যাচ খেলেও ক্যারিয়ারে কখনই লাল কার্ড দেখেননি এই ব্রাজিলিয়ান। ২০১৩ সালে মারা যান তিনি।

ডিফেন্ডারঃ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি)
জার্মানির সর্বকালের সর্বসেরা এই খেলোয়াড়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে। জার্মানরা তাকে কাইজার বলেই ডাকে। যার অর্থ সম্রাট। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। একজন ডিফেন্ডার হয়েও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলধারী হন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখকে বহু সাফল্য এনে দিয়ে ইউরোপের পরাক্রমশালী ক্লাবে রুপান্তর করেন বেকেনবাওয়ার।

ডিফেন্ডারঃ ববি মুর (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই ফুটবলার জন্মেছেন ১৯৪১ সালে। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছিলেন ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ক্লাবে। এই ক্লাবে তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৯৩ সালে মাত্র ৫২ বছরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই ডিফেন্ডার। 

ডিফেন্ডারঃ পল ব্রেইটনার (জার্মানি)
১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করা ব্রেইটনার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। `৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানের পক্ষে সমতাসূচক গোল করেন তিনি। একই বছর বিশ্বকাপ এবং উচল জেতা নয়জনের প্লেয়ারের অন্যতম এক খেলোয়াড়। স্ট্রাইকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেও পরবর্তীতে বনে যান সেরা ডিফেন্ডারে। ক্যারিয়ারে করেছিলেন একাধিক হ্যাট্রিক। তিনি একজন প্রতিবাদী খেলোয়াড়ও ছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।

মিডফিল্ডারঃ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ড)
টোটাল ফুটবলের জনক ক্রুইফ জন্মেছিলেন ১৯৪৭ সালে। তিনবার ব্যালন ডি`অর জয়ী এই মিডফিল্ডার দলের প্রয়োজনে যেকোন পজিশনে খেলতে পারতেন।ক্রুইফের কল্যাণেই নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপে দুইবার রানার্সআপ হয়। তার অধীনেই বার্সেলোনা প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে মারা যান এই ডাচ ফুটবলার। 

মিডফিল্ডারঃ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স)
১৯৫৫ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করা এই ফুটবলার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তিনি ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সকে প্রথম বারের মত কোন আন্তর্জাতিক ট্রপি হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রপি জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং দুইবার ব্যালন ডি`অর জয় করে নেন। উয়েফার প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই ফুটবলার। তবে সংগঠক হিসেবে তিনি বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

মিডফিল্ডারঃ ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
মধ্যভাগের এই খেলোয়াড় ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডিঅর জয়ী 
এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টা ম্যানইউতেই কাটিয়েছিলেন। ম্যানইউ`র পক্ষে এখনো সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনি। ম্যানইউ`র পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৪ সালে নাইট উপাধি পান ম্যানইউর সাবেক এই অধিনায়ক। 

ফরওয়ার্ডঃ গ্যারিঞ্চা (ব্রাজিল)
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ড্রিবলার গ্যারিঞ্চা ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পেলের পরে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সেরা এই খেলোয়াড় ব্যানানা শট দিয়ে কর্নার থেকে গোল করতেন অবলীলায়। তার বাকানো পায়ের জাদুতেই নিজের প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নেন। পরের বিশ্বকাপে খেলেন শুধু দুইটি ম্যাচ। ইঞ্জুরির কাছে হেরে যান৷ পেলে এবং গ্যারিঞ্চা একই সময়ে দলে খেলতেন। তারা দুইজন খেলেছে এমন কোন ম্যাচে ব্রাজিল কখনো হারেনি। এছাড়া গ্যারিঞ্চা ব্রাজিলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেন। যেখানে তিনি শুধু মাত্র একটি ম্যাচ হারেন। হেরে যাওয়া সেই ম্যাচটিই ছিল তার জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে তিনি  সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল এবং টপ স্কোরার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেন। ১৯৮৩ সালে পরপারে পাড়ি জমান এই ব্রাজিলিয়ান। 

ফরওয়ার্ডঃ পেলে (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে। তিনি একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৩টি বিশ্বকাপ জয়লাভ করেন৷১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেন পেলে৷ যা আজো বহাল তবিয়তেই আছে। ফরওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেন ব্রাজিলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই খেলোয়াড়। এছাড়া তিনি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২৮৩টি গোল করেন। কেউ কেউ এটাকে বলেন ১২৮২টি। তবে উইকিপিডিয়া বলছে ১২৮১টি গোল করেছেন পেলে। 

ফরওয়ার্ডঃ ফেরেন্স পুস্কাস (হাঙ্গেরী)
১৯২৭ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফরওয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ৮৪ ম্যাচে ৮৩টি গোল করেন পুস্কাস। যা যেকোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ম্যাচপ্রতি গোল করার সর্বোচ্চ গড়। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ৫২১ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৫০৮টি। যা সর্বকালের তালিকায় এখন চতুর্থ। চ্যাম্পিয়নস লীগ সহ একাধিক ট্রপি জেতা পুস্কাসের দল হাঙ্গেরী হট ফেভারিট হয়েই ১৯৫৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। তিনি হন ট্র‍্যাজিক হিরো। যদিও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তার দল জার্মানিকে ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০টি শিরোপা জিতেন পুস্কাস। ফিফা ২০০৯ সাল থেকে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বছরের সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কারের নাম রাখে পুস্কাস এওয়ার্ড। ২০০৬ সালে ইতিহাসের সেরা এই ফুটবলার মারা যান।

ফিফা সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ বাদেও আরো অন্যান্য একাদশ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে আছে ড্রিম একাদশ। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা যায়গা করে আছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগমী মাসে শুরু হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করতে শুরু করেছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা দিয়েছে, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। এবার বিশ্বকাপের জন্য মিচেল মার্শের নেতৃত্বে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আস্ট্রোলিয়াও।

১৫ সদস্যের অস্ট্রোলিয়া দলে জায়গা পায়নি অস্ট্রোলিয়ান অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। দলে জায়গা পাননি চলমান আইপিএলে ব্যাটিং তান্ডব দেখিয়ে আসা আলোচিত অজি ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কও। অনেক সাবেক ক্রিকেটারই তরুণ এই ওপেনারকে বিশ্বকাপ দলে রাখার কথা বলেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-২০ না খেলা এই ব্যাটারকে দলে রাখেনি ক্রিকেট অস্ট্রোলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, যারা ঘোষিত দলে সুযোগ পায়নি তাদের ওপরও নজর রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড়, যারা প্রাথমিক দলে সুযোগ পায়নি, তাদের ওপর নজর রাখা হবে।আমরা যদি দলে পরিবর্তন আনতে চাই, আইসিসির নিয়ম মেনে সেটি করার সুযোগ আছে।’

বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড

ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা, জস হ্যাজেলউড, জশ ইংলিশ, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস।


টি-২০   বিশ্বকাপ   অস্ট্রোলিয়া   দল ঘোষণা   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: আফগানিস্তানের দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাশমতউল্লাহ শহিদির নেতৃত্বে গেলেও এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রশিদ খানের নেতৃত্বে খেলবে আফগানরা। অধিনায়ক না থাকার পাশাপাশি দলেও যায়গা পাননি হাশমতউল্লাহ।

২০২২ বিশ্বকাপের দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি আফগানরা। তবে নতুন কয়েকটি নাম যোগ করেছে তারা। যেখানে আছেন করিম জানাত, মোহাম্মদ ইসাক ও নুর আহমাদ। নতুনদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন নানগাল খারোটি। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। 

আফগান স্কোয়াড

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক)

ইবরাহিম জাদরান

আজমতউল্লাহ ওমরজাই

মোহাম্মদ ইসাক

মোহাম্মদ নবি

গুলবাদিন নায়িব

করিম জানাত

রশিদ খান (অধিনায়ক)

নানগাল খারোটি

মুজিব উর রহমান

নুর আহমাদ

নাবিন উল হক

ফজল হক ফারুকি ও

ফরিদ আহমেদ মালিক

রিজার্ভ

সেদিক আতাল, হযরতউল্লাহ জাজাই ও সালিম শাফি


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   আফগানিস্তান   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রিয়াল-বায়ার্নের সমতা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। এর মিনিট চারেক পর লিডও পেয়ে যায় তারা। যদিও ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। আর তাতে ড্রয়ে শেষ হল রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

মঙ্গলবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় স্বাগতিক বায়ার্নের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বায়ার্নের হয়ে একটি গোল করেছেন লেরয় সানে। স্পটকিক থেকে অন্য গোলটি করেছেন হ্যারি কেইন।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই রিয়ালের রক্ষণ কাঁপায় বায়ার্ন মিউনিখ। কিক অফের পরেই আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেইনের পা ঘুরে বল পেয়ে লিরয় সানে গোলের জন্য শট নিলেও তা ফিরে আসে আন্দ্রি লুনিনের গায়ে লেগে।

এরপর রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে টমাস টুখেলের দল। হ্যারি কেইন, জামাল মুসিয়ালারা সুযোগ তৈরি করলেও তা গোলের মুখ দেখছিল না।

রিয়ালও ধীরে সুস্থে খেলার চেষ্টা করে। প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪তম মিনিট অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা স্তব্ধ করে এগিয়েও যায় লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। টনি ক্রুসের থ্রু পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বল পেয় যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বায়ার্নের বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসে বায়ার্ন। এবার আর ভুল করেননি সানে। বাম দিকে বল পেয়ে খানিকটা জায়গা বদল করে বক্সের ওপর থেকে বা পায়ের শটে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।

এর মিনিট চারে পরেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয় স্বাগতিকরা। বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালাকে ফাউল করে বসেন লুকাস ভাস্কেস। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন।

স্বাগতিকরা জয়ের আশায় থাকলেও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় রিয়াল। সাফল্যও পায় দলটি। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে বক্সের ভেতরে রদ্রিগোকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকেও নয়ারকে পরাস্ত করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্রয়ের স্বস্তি নিরেই ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে রিয়াল।

এ ড্রয়ের ম্যাচের নিষ্পত্তির জন্য এখন সবার চোখ থাকবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। যেখানে আগামী ৮ মে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে রিয়াল ও বায়ার্ন।


রিয়াল   বায়ার্ন   সমতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টির হানা, তবুও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে নেমে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। বিশ্বকাপের পূর্বে বর্তমানে টাইগ্রেসরা খেলছে ভারতের সাথে। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছিল টাইগ্রেসরা। সেখানেও জয়ের মুখ দেখতে পায়নি জ্যোতির দল।

এদিন ম্যাচে টাইগ্রেসদের ইনিংস থেকেই বৃষ্টি হানা দিয়েছে কয়েকবার। তবে বৃষ্টির মাঝেও ইনিংস সম্পন্ন করে বাংলাদেশ। তবে এদিন কোন ব্যাটাররাই যেন ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। আর ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়লেন মুরশিদা খাতুন।

সিলেটে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১১৯ রানে। ৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ রান করা ভারত বৃষ্টি আইনে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।

১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মুরশিদার ব্যাটে ভালো সংগ্রামের আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে ৪২ থেকে ৬৯ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ষষ্ঠ উইকেটে রিতু মনিকে নিয়ে এরপর ৩২ রান যোগ করেন মুরশিদা।

তবে আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ১২০ রানের আগেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশ শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ১৯ রানে।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শেফালি ভার্মাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান মারুফা আক্তার। সেই শেষ। ৩০ বলে ৪৭ রানের জুটিতে বৃষ্টিতে খেলা থামার আগে ভারতকে এগিয়ে রাখেন স্মৃতি মান্ধানা ও দয়ালান হেমালথা। স্মৃতিকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে স্ট্রোকসের ফুলঝুরিতে হেমালথা মাত্র ২৪ বলে করেন ৪১, চার মারেন ৫টি আর ছক্কা ২টি৷


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনস্থ গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি ইতোমধ্যেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্বাচন করে ফেলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিতে পাঠানোর অপেক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচক কমিটির বাছাই করা দলে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও দীর্ঘ চোট কাটিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামীকাল ১ মের মধ্যে ১৫ জনের দল পাঠাতে হবে আইসিসিতে। তবে এই দলে পরিবর্তন আনা যাবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর সেই পরিবর্তন বোর্ডগুলো আনতে পারবে বিনা শর্তে। অর্থাৎ ১৫ জনের দলের কেউ চোটে পড়লে তো বটেই, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো কারণেও দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

বিসিবির নির্বাচক কমিটি সে কারণেই দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনকে দলে রাখার ঝুঁকিটা নিতে চাইছে। সর্বশেষ বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে ১৫ জনের দলের একজন হয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বিশ্বকাপের বিমানে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পারফরম্যান্সের সঙ্গে অবশ্যই সাইফউদ্দিনের ফিটনেসেও চোখ থাকবে নির্বাচকদের। হোক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ, এত দিন পর মাঠে ফেরা যেকোনো ক্রিকেটারেরই ফিটনেসে জড়তা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ যে থাকবেন, সেটা অনেকটা অনুমেয়ই। বিপিএলে ভালো খেলেছেন, সেই ধারা ধরে রেখেছেন ৫০ ওভারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। গত মাসে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলেছেন ৩১ বলে ৫৪ রানের একটি ইনিংস। সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলেই জানা গেছে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ মে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ১৭ জনের নাম ঘোষণা করেছিল বিসিবি। যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বলে সাকিব আল হাসান সেই দলে ছিলেন না, আইপিএলে ছিলেন বলে মোস্তাফিজুর রহমানও না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ওই ১৭ জনের মধ্যে নেই হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার।

যেহেতু ২৫ মের আগে প্রয়োজনে দলে পরিবর্তন আসতে পারে, আইসিসিতে পাঠানো ১৫ খেলোয়াড়ের তালিকা বিসিবি এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা নাও করতে পারে। যত দূর জানা গেছে, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড।

সূত্র জানিয়েছে, ২৫ মের আগে বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে যদি কোনো পরিবর্তন আনাও হয়, খুব জরুরি না হলে নির্বাচকেরা এই ১৯ জনের বাইরে তাকাবেন না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টির সিরিজের পারফরম্যান্স অবশ্যই ভূমিকা রাখবে তাতে। চোটের কারণে সৌম্য প্রথম তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও নির্বাচকদের চোখ আছে তাঁর ওপরও। চোট কাটিয়ে খেলায় ফিরে ভালো কিছু দেখাতে পারলে তাঁরও জোর সম্ভাবনা থাকবে বিশ্বকাপের দলে থাকার।


বাংলাদেশ   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন