ইনসাইড ইকোনমি

করোনায় কেমন হবে এবারে ইউরোপের বড়দিনের অর্থনীতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২০


Thumbnail

পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উত্সব বড়দিন আসতে আর মাসখানেক বাকি। কিন্তু এবার এই উত্সব নিয়ে কোন তোড়জোড় নেই দেশে দেশে। নেই বাজারে নুতন পণ্য আসার হিড়িক। কিংবা বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ের পসরা। হবে কিভাবে? করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ এড়াতে ইউরোপ জুড়ে যে লকডাউন শুরু হয়ে গেছে নভেম্বরেই।

তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রিসমাস কেন্দ্রিক অর্থনীতির কী হবে, সে ব্যাপারে।

আর এই প্রশ্নটি আরো জোরালোভাবে মানুষের মাথায় চেপেছে যে, যদি এই লকডাউন খুলে না দেয়া হয় তবে আর্থিক প্রবৃদ্ধি যেমন ব্যাহত হবে তেমনি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপরও। আর যদি লকডাউন তুলে দেয়া হয়, তবে হুমিকর মুখে পড়বে জনস্বাস্থ্য। রেকর্ড ছুঁবে মৃত্যুর ঢেউ। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

এতে বলা হয়, ইউরোপে ক্রিসমাসে শীর্ষ ৫ ব্যয়কারী দেশ হলো ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, জার্মানি এবং পর্তুগাল। এরমধ্যে ব্রিটেন মাথাপিছু ৬৩৯ ইউরো,  স্পেন ৫৫৪ ইউরো, ইতালি ৫৪৯ ইউরো, জার্মানী৪৮৮ ইউরো এবং পর্তুগাল জনপ্রতি ৩৮৭ ইউরো খরচ করে।

যুক্তরাজ্য় প্রতি বছর ডিসেম্বরে যে ব্যয় হয় , তা বার্ষিক ব্যয়ের প্রায় ১২ শতাংশ।

লোকসান কাটাতে অনেক কোম্পানি অনলাইন শপিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে। অনেকে আবার নভেম্বরেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল দিচ্ছে।

যেমন জার্মান খুচরা বিক্রেতা এইচডিই অনলাইনে খাবার, আসবাব এবং হার্ডওয়্যার পণ্য বিক্রি করছে। যার ফলে গতবারের তুলনায় এইবার তাদের বেচা-বিক্রি ১.২ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষ যদি এবার বড়দিনের আগে কেনা-কাটা না করে , তাহলে যে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি হবে, বিষয়টি এমন নয়।

ক্রিসমাসের আগে সাধারণত মানুষজন উপহার কেনে, পার্টি করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে এবার কেনাকাটার ধরন বদলে যাচ্ছে। পার্টির জন্য পানীয় না কিনে অনেকে ঘরের জন্য আসবাব কিনছেন। ভবিষ্যত দুর্ঘটনার কথা ভেবে অনেকে করছেন স্বাস্থ্য বীমা।  ফলে লাভবান হচ্ছে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে, কিছূ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যকোন খাত ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। যে কারণে এবার পোশাক, সুগন্ধি ও খেলনা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখে পড়লেও পড়তে পারে।

করোনার কারণে এবার বড়দিনের আগে হয়তো লাস্ট মিনিট শপিং –হবে না। হবে না কোন বড়দিনের পার্টিও। বিক্রেতাদের বছর শেষের টার্গেট পূরণ হবে না। তবে তরপরও বিশেষজ্ঞরা, ইউরোপের অর্থনীতি নিয়ে এখনই হতাশ হতে নারাজ। অনেকে বরং উপহারের মতো খাতে অর্থ খরচকে অবাঞ্চিত খরচ হিসেবে উল্লেখ করে বলছেন, এ ধরনের ব্যয় অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক। ‌এমনকি উপহার বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো বাজারকে বিকৃত করে বলেও অভিমত কারো কারো।

তাই এবারের বড়দিনের কেনাকাটায় উপহারের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করে  , আগামী দিনগুলো ইউরোপ যেন নতুন করে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হতে পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক . মো আইনুল ইসলাম।

কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ অধ্যাপক . মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।

অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে . জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, জেড এম সালেহ্, . মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক . আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক . মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক . মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, . নাজমুল ইসলাম, . শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক . মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক . মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক . মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান খোরশেদুল আলম কাদেরী।


বাংলাদেশ   অর্থনীতি   খলীকুজ্জমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের বাজারে এত অস্থিরতা কেন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমেই ঊর্ধ্বমূখী স্বর্ণের বাজার। দেশের বাজারে টানা পঞ্চমবার বাড়লো স্বর্ণের দাম। ফলে নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। গত কিছু দিন ধরে বেশ কয়েকবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। 

শনিবার (১৮ মে) সবশেষ ভালো মানের স্বর্ণের প্রতি ভরিতে বেড়েছে এক হাজার ১৭৮ টাকা। ফলে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বিক্রি হবে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর আজ রোববার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, স্বর্ণের দামের এই হুটহাট পরিবর্তনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। তারা বলছেন, স্বর্ণের এই হুটহাট দাম পরিবর্তনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হচ্ছে। কারণ তারা দেখে আসছেন এক দাম, কিন্তু বাজারে এসে দেখছেন আরেক দাম।

তবে বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্বর্ণের দাম ওঠানামা করায় দেশের বাজারে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বা ২-১ দিনের ব্যবধানে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম ওঠানামা করছে। এজন্য ২৪ ঘণ্টার কম সময় বা ২-১ দিনের ব্যবধানে সমন্বয় করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দ্রুত ওঠানামা করছে স্বর্ণের দাম। মূলত ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে। তাই দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করতে বাধ্য হচ্ছে বাজুস।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। 

২২ ক্যারেটের মূল্য যখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, তখন নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। 

কিন্তু সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা ৮০ হাজার ১৩২ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২৮৩ টাকা।


বাজুস   সোনা   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট: তিন ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সরকারও অর্থনৈতিক সংকটের কথা অস্বীকার করছে না বরং অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সরকার বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য দফায় দফায় নানা রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সে সমস্ত সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বলেও বিভিন্ন মহল অভিযোগ করেছেন।

বিশেষ করে ব্যাংকের সুদ সীমা উঠিয়ে দেওয়া, এক ধাপে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়ানো কিংবা ক্রলিং পদ্ধতি প্রবর্তন ইত্যাদি সিদ্ধান্তগুলো কতটা বাস্তবসম্মত, কতটা দাতাদের চাপে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কারণেই এবারের বাজেট অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন যে, এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হল মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করা এবং জীবনযাত্রাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী অর্থ বছরে বড় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনটি ইস্যুকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং এই তিনটি ইস্যুতে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

যে তিনটি ইস্যুতে সরকার কঠোর হবে তার মধ্যে রয়েছে-


১. ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেটির একটি নির্দেশনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এই সমস্ত ঋণখেলাপিরা ১ জুলাই থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না, তারা কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না, কোন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি করতে পারবেন না- ইত্যাদি নানা রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে দুষ্ট ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে।

২. দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান
আওয়ামী লীগ তার চতুর্থ দফার নির্বাচনী ইস্তেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছিল এবং দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিল। এবার সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হতে যাচ্ছে বলেই জানা গেছে।

চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার একটি সংস্কৃতি চালু করতে চাইছে এবং সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধের জন্য সরকার আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। দুর্নীতির পাশাপাশি অপচয় বন্ধের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যা আগামী বাজেটে জানা যাবে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

৩. অর্থ পাচার
অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকার গতবছর থেকেই বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। অর্থ পাচার বন্ধের জন্য এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরই সরকারের পক্ষ থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যারা বিদেশ থেকে অর্থ নিয়ে আসবেন তাদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করা হবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার ব্যাপারে কোন ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। এখন সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ইতোমধ্যে অর্থ পাচার প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর বিদেশে যারা অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজটিও চলছে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, সহজ নয়। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ পাচার প্রতিরোধে দ্রুত কোনও ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই তিনটি ইস্যুকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে জোর দেওয়া হবে এবং সরকারের ধারণা খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বন্ধ করলে অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে।


বাংলাদেশ   ইকোনমি   সরকার   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমল ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া সূচকের বড় পতনের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমেছে। 

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক এবং লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯০টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮১ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি কমেছে ৪১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ।

আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকেরও গত সপ্তাহে বড় পতন হয়েছে। গত সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৯৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ই-জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেস্ট হোল্ডিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, গোল্ডেন সন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারইস্ট নিটিং এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা।


ডিএসই   মূলধন   শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সেজন্য আয়োজিত নানা প্রচারণায় অংশ নেবেন তারা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ- সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৪ মে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট-সংক্রান্ত প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।

ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানের খরচও বহন করবে উল্লিখিত ব্যাংকগুলো।

পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়াসংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা প্রচারণাও চালাচ্ছে ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   ব্যাংক   এমডি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন