নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২০
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পান করা তো দূরের কথা রান্না, গোসল কিংবা কাপড় ধোয়ার কাজেও এটি ব্যবহারের অযোগ্য। এই পানি ব্যবহারে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে নগরীতে। হাজার হাজার মানুষ পানির এই ভোগান্তিতে পড়লেও চট্টগ্রাম ওয়াসা এ ব্যাপারে বরাবরের মতোই নির্বিকার।
নগরীর হালিশহর আই-ব্লক, পাঠানটুলী, বহদ্দারহাট, মাঝির ঘাট, চকবাজার ডিসি রোড, মুরাদপুর, বন্দরটিলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, কিছুদিন ধরে ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করছে তা ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত যা পান করা যাচ্ছে না। এই দূষিত পানিতে শিশুদের শরীরে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রকম চর্মরোগ ও ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগব্যাধি।
হালিশহর বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা সৈকত হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে ওয়াসার পানি আসতেছে কালো কালো। এগুলো খুবই দুর্গন্ধযুক্ত। এই দুর্গন্ধযুক্ত পানিগুলো কোনভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাইনি। তারা উল্টো বলে ওয়াসার লাইনে কোন সমস্যা নেই।’
মাঝির ঘাট এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করছে তা একদমই ব্যবহারের অযোগ্য। এই পানি ব্যবহারের ফলে ঘরের অনেকে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, নগরীতে আমাদের ওয়াসার ৪০টি পয়েন্ট রয়েছে। প্রতি মাসে তা চেক করা হয়। আমাদের পানিতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। আর কেউ অভিযোগও করেনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন