নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
বিশ্বের ভয়ংকর অপরাধীরা, অপরাধ করে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে যায়। এদের ধরতে এবং আইনের আওতায় আনতে কাজ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন বা ইন্টারপোল। আন্তর্জাতিক অপরাধীদের ধরতে ইন্টারপোল রেড এলার্ট জারী করে। এই মুহুুর্তে, ইন্টারপোলের সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশের ৭৮ জন নাগরিকের নাম আছে। বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত হয়ে যারা পলাতক, তাদের নামই ইন্টারপোলের রেড এলার্ট তালিকায় থাকে। এই তালিকায় বঙ্গবন্ধুর খুনী, যুদ্ধাপরাধী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দণ্ডিতদের নাম থাকলেও দুটি মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়ার নাম নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও তার নাম না থাকায় বিস্মিত আইন বিশেষজ্ঞরা এর ফলে ইন্টারপোলের এই তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
যাদের নাম আছে: ইন্টারপোলের রেড এলার্ট নোটিশে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নূর চৌধুরী, খন্দকার আবদুর রশীদ, নাজমুল আনসার, শরিফুল হক ডালিম, আহমেদ শরিফুল হোসেন মোসলেম উদ্দিন এবং রাশেদ চৌধুরী। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আবদুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার এবং মওলানা আবুল কালাম আজাদ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক মওলানা তাজউদ্দিন। এছাড়াও সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর নাম আছে এই রেড এলার্ট নোটিশের তালিকায়। এছাড়াও এই তালিকায় মানব পাচারের সংগে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির নাম আছে।
কেন নেই তারেকের নাম: এই রেড এলার্ট তালিকায়, দুবার তারেক জিয়ার নাম উঠেছিল। কিন্তু দুবারই তা মুছে ফেলা হয় তারেক জিয়ার লিখিত আপত্তির কারনে। ইন্টারপোলের তালিকায় তারেকের নাম না থাকার একাধিক কারণ জানা গেছে। ইন্টারপোলের একটি সূত্র বলেছে, তারেক জিয়া যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে তাই ইন্টারপোলের তালিকায় তার নাম নেই। তবে, তারেক জিয়া আদৌ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছে কিনা এনিয়েও পরপর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়ার নিজস্ব একটি কোম্পানি রয়েছে। ঐ কোম্পানি নিবন্ধন কাগজে বলা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। কিন্তু তারেক জিয়া ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেন নি বলে ঢাকায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে।
ইন্টারপোলের অন্য একটি সূত্র বলছে, তারেক জিয়া যেহেতু সরকারের অনুমতি নিয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন, একারণে তার নাম নেই। কিন্তু এই যুক্তি ও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, হাইকোর্ট ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছে।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।