নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গেল ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। এরইমধ্যে বাইডেন প্রশাসনে যারা থাকবেন তাদের অনেকেরই নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত থাকছেন ১৯ জন ভারতীয়-আমেরিকান।
ভারতের গুজরাটে জন্ম নেয়া বেদান্ত প্যাটেল হলেন বাইডেনের এসিসট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি। তিনি বাইডেনের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে কাজ করেছেন এবং আঞ্চলিক কমিউনিকেশনস পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ডা. বিবেক মার্থি, যিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের জেনারেল সার্জন হিসেবে কাজ করেছেন, এবার বাইডেন তাকে কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের কো-চেয়ার বানিয়েছেন। তাঁর বাড়ি ভারতের কর্ণাটকে।
বাইডেনের বক্তৃতা লেখাবিষয়ক পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিনয় রেড্ডি। যিনি একজন সিনিয়র উপদেষ্টা এবং বাইডেন-কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের বক্তব্য লিখেছিলেন।
নীরা ট্যান্ডেন নির্বাচিত হলেন হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেটবিষয়ক অফিসের পরিচালক হিসেবে। তিনি প্রথম কোন ভারতীয়-আমেরিকান যিনি এই দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন।
এই প্রথম হোয়াইট হাউজে বসবেন দুই কাশ্মীরিও। তাদের মধ্যে আয়েশা শাহ হোয়াইট হাউজের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি অফিসের পার্টনারশিপ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
হোয়াইট হাউজ কাউন্সেল অফিসের ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট কাউন্সেল হলেন রিমা শাহ। তিনি বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ডিবেট টিমে কাজ করেছিলেন।
হোয়াইট হাউজ কাউন্সেল অফিসের অ্যাসোসিয়েট কাউন্সেল হলেন নেহা গুপ্তা। তিনি বাইডেন-হ্যারিসের ট্রানজিশন জেনারেল কাউন্সেলের অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করছেন।
সামিরা ফাজিলি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) উপপরিচালক হলেন। তিনি ভারতের কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। এর আগে ওবামা প্রশাসনে সিনিয়র পলিসি এডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন।
ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের কার্যালয়ের ডিজিটাল ডিরেক্টর হলেন গারিমা ভার্মা। প্যারামাউন্ট পিকচার্স ও ওর্য়াল্ড ডিজনিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
মালা আদিগা, যিনি হলেন ফার্স্ট লেডির পলিসি ডিরেক্টর। তার আদি নিবাস ভারতের উদুপি জেলায়।
উজরা জেয়াকে নেয়া হয়েছে বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে। যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় পদত্যাগ করেছিলেন জেন্ডার ইস্যুতে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসলেন শান্তি কালাথিল। গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েই হবে তার কাজ।
সুমনা গুহ, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র পরিচালক পদে কাজ করবেন। দক্ষিণ এশিয়ার পলিসিবিষয়ক কো-চেয়ার হিসেবে তিনি বাইডেন-কমলার কাম্পেইনে কাজ করেছেন।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি ও টেকনোলজির সিনিয়র পরিচালক পদ পেলেন তরুণ ছাবরা। জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটির তিনি একজন সিনিয়র ফেলো।
নতুন প্রশাসনের জলবায়ু নীতি ও উদ্ভাবন কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সোনিয়া আগারওয়াল।
প্রেসিডেন্টের অফিসের উপপরিচালক হিসেবে হোয়াইট হাউজে ফিরছেন গৌতম রাঘাওয়ান। তিনি বাইডেন ফাউন্ডেশনে উপদেষ্টা ও জিল ফাউন্ডেশনের পলিসি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
হোয়াইট হাউজ কাউন্সেল অফিসের অ্যাসোসিয়েট কাউন্সেল হলেন নেহা গুপ্তা। তিনি বারাক ওবামার প্রশাসনের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে সিভিল রাইটস ডিভিশনে কাজ করেছেন।
হোয়াইট হাউজের কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের পরীক্ষাবিষয়ক পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিদুর শর্মা। তিনি বারাক ওবামার সময়েও হেলথ পলিসি এডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন।
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হলেন সাবরিনা সিং। যিনি বাইডেন-কমলার ক্যাম্পেইনে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্থানীয় সময় বুধবার শপথ নেন জো বাইডেন। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে বাছাই সম্পন্ন করেছেন তিনি। তাদের মধ্যে ২০ জন রয়েছেন ভারতীয় আমেরিকান।
জেন্ডার, জাতিগত বৈচিত্র্য রেখে প্রশাসন সাজিয়েছেন বাইডেন। বাছাই করা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যেও সেটির ছাপ স্পষ্ট।
মন্তব্য করুন
পেরুতে পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে বাস উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৫ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খবর এএফপির।
আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াইবার ভেগা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট।
মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।
এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে।
সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার।
দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।
আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ছাত্র আন্দোলন মার্কিন শিক্ষার্থী ফিলিস্তিন ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
গত মার্চের তুলনায় এই মাসে আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসাবে দেখছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।
তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।
মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি। মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ ও বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন।
তিনি
৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন।
সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাদ্দ
দেয়া বন্ধ করেন। তেল
ও পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন।
আইএমএফ এবং বিনিয়োগকারীরা এই
সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার
ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
মিলেইয়ের
সমালোচকরা দাবি করেছেন, তার
নীতির ফলে গরিব ও
শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের
সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।
তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো
ও অর্থ না থাকার
কারণে এটা ঘটেছে।
আর্জেন্টিনার
জিডিপি এই বছর দুই
দশমিক আট শতাংশ কমবে
বলে মনে করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে
মেসির দেশ।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের
গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও
বেশি সময় ধরে চালানো
এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত
হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের
বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত
করেছে।
সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।
মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।
তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সুইজারল্যান্ডের
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয়
সময় ভোর ৫টায় ক্যাম্পাসে
ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার
এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অভিযানে সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভের আপাতত ইতি ঘটল। সুইস দৈনিক লে টেম্পসের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অন্তত ২৫ জন পুলিশ সদস্য অতর্কিতভাবে বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
পুলিশের অভিযানের সময় অনেক শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের স্থাপন করা ক্যাম্প ভেঙে দেয়। শিক্ষার্থীদের অপরাধীর মতো চেপে ধরে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়।
এরপর তাদের জড়ো করার পর ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের গাড়িতে তোলার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনপন্থি স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। শক্ত অবস্থানে আছে পুলিশ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন