নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
মামুন গ্রেপ্তার হবার খবর অস্থির করে তারেক জিয়াকে। তারেক বুঝতে পারে, মামুন যদি সব তথ্য প্রকাশ করে, তাহলে তার (তারেক জিয়ার) বিপদ হতে পারে। আর একারণেই মামুনকে ছাড়ানোর জন্য মায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে তারেক। বেগম জিয়া এমনিতেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পরে তার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার তাকে আপাতত: চুপ চাপ থাকার পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শে বেগম জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফালু গ্রেপ্তার হবার পর বেগম জিয়া আরো নার্ভাস হয়ে পরেন। এসময় নিজেই এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন বেগম জিয়া। তবুও পুত্রের চাপে জেনারেল মঈনকে ফোন করার সিদ্ধান্ত নেন খালেদা। কয়েকদফা চেষ্টার পর জেনারেল মইনকে পেলেন অনেক রাতে। বেগম জিয়া ক্ষুদ্ধ হয়েই বললেন ‘ তোমাকে ফোনেও পাওয়া যায় না। তুমি কি আমাকে এভয়েড করছো।’ মঈন শান্ত ভাবেই উত্তর দিলেন ‘না, ম্যাডাম আমি আসলে অনেক ব্যস্ত ছিলাম।’ এরপর বেগম জিয়া সরাসরি প্রসঙ্গে এলেন ‘ তোমরা নাকি মামুনকে এরেস্ট করেছো, এরেস্ট করলে কোর্টে নিচ্ছো না কেন? এসব কি হচ্ছে?’ জেনারেল মঈন বললেন ‘ম্যাডাম, এসব প্রসঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো।’ বলে ফোন কেটে দেন জেনারেল মঈন। এটাই ছিলো বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঈনের শেষ আলাপ। এরপর এই দুজনের আর কোনদিনই কথা হয়নি। জেনারেল মঈন বেগম জিয়ার ফোনকে অনেক বেশী গুরুত্বের সঙ্গে নেন। এনিয়ে রাতেই মঈন তার ঘনিষ্ঠ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে, একটি বিষয়ে তিন সেনাকর্মকর্তা ঐক্যমতে পৌঁছেন, তা হলো, তারেক কে গ্রেপ্তার করতেই হবে। তারেক কে গ্রেপ্তার না করলে একদিকে যেমন সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, অন্যদিকে তারেক নানা কারসাজি করবে। এমনকি সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিরও চেষ্টা করতে পারে বলে ঐ বৈঠকে মতামত দেয়া হয়। পরদিন সকালে, জেনারেল মঈন তার ভাবনা বিগ্রেডিয়ার বারী এবং আমিনকে বলেন। তারাও এই মতের সঙ্গে একমত হন। কিন্তু বিগ্রেডিয়ার আমিন তারেকের পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার মতে ‘শুধু তারেককে গ্রেপ্তার করলে আওয়ামী লীগ আপার হ্যান্ড পাবে। ব্যালেন্স নষ্ট হবে।’
আগামীকাল পর্ব ১৬: শেখ হাসিনা বললেন ‘আল্লাহ ছাড়া কাউকেই ভয় পাই না।’
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।