নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১
শোবিজের তারকারা কেন রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছেন । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সবে শেষ হলো । নির্বাচনে প্রচারণা হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ । প্রচারণা হয়েছে কিন্তু ভোটের দিন ছিলো নিরুত্তাপ । মাত্র ২২ শতাংশ ভোট হয়েছে। নির্বাচনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় দিক এর মধ্যে একটা ছিল যে ঢাকা থেকে শোবিজ তারকারা চট্টগ্রামে গেছেন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় তারা সফল ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন । শুধু তাই নয় ২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচন থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে , তারকারা রাজনীতির প্রতি ব্যাপক ভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে এবং সুযোগ পেলেই রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা এবং এবং সুযোগ পেলেই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত হয়ে পড়ছেন ।
দেখা যায় যে, নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন একটা সংক্রামক ব্যাধির রূপ ধারণ করলো । আওয়ামী লীগের নমিনেশন নেওয়ার জন্য সমস্ত প্রথম সারির নায়ক নায়িকারা যারা একসময় জাসাস করতো তারেক ও খালেদা জিয়ার সাথে নানা কারণে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলো তারা পর্যন্ত মনোনয়ন চাইল । তারপর এটাও দেখা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এমন সব নায়ক নায়িকারা উপস্থিত হচ্ছেন যাদের অতীত কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ । এর মধ্যে কেউ জাসাসের নেতা ছিলেন আবার কেউ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । এরা কেউ তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন ।
সমষ্টিগত ভাবে দেখা যায় যে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকেন তখন সেই দলের রাজনীতির তোষণ করা আমাদের আমাদের তারকাদের একটা চিরতর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । কিন্তু প্রশ্নটা হল, ইদানীং আমাদের তারকাদের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ অধিক পরিমাণে বেড়েছে । এমনকি স্থানীয় নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনেও যাচ্ছেন তারকারা । এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে বেশি উৎসাহী তা কিন্তু না । আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যে অনেক তারকাদের ব্যাপারে নিরুৎসাহী । কিন্তু তারকাদেরই এটা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ তারা রাজনীতির সাথে জড়িত হতে চায় এমনটা জানা যায় ।
একটি জরিপ করে দেখা গেছে যে, এই বিষয়টির একাধিক কারণ আছে প্রথম কারণ হলো তারকাদের আগের মত কাজ নেই। তার ওপর সিনেমার বাজার মন্দা । দেশের নাটক গুলো এখনো বাজারে তেমন কোন একটা প্রভাব ফেলতে পারছে না । করোনার কারণে যেসব নাটক ও ওয়েব ফিল্ম যেসব হচ্ছে তাও শুধু একটা মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী করছেন । বলা যায় যে, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারণায় যারা যাচ্ছেন তাদের হাতে তেমন কোন কাজ কর্ম নেই । তারকারা এসব প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে ক্ষমতাসীন দলের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায়। কারণ ক্ষমতাসীন দলের সাথে ঘনিষ্ঠ হলে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় ।
ইদানীং সচিবালয় ও প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ে দেখা যায় তারকাদের উপস্থিতি । বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীর পক্ষে তদবির করার জন্য মন্ত্রী সচিব দের কাছে ধন্না দেয় । কাজেই বাংলাদেশী তারকাদের তদবির বাণিজ্যের একটা নতুন ধারা তৈরি হয়েছে । তারকারা নিজেদের স্বার্থেই তদবির বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন । কারণ তদবির বাণিজ্য করতে গেলে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় । ফায়দা হিসেবে তারকারা দেখছেন যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়া এটা তদবির বাণিজ্যের একটা ভালো তরিকা ।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন যে, তারকাদের আগের যেই চাহিদা ছিল তা আর নেই। মানুষ এখন তারকাদের যে ভোট দেয় এই বাস্তবতা এখন আর নেই । যদিও ভারতের পশ্চিম বাংলায় তৃণমূল তারকাদের হাইপ করে তারা ব্যবহার করছেন । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যাদেরকে নিয়েছে এবং রাজনীতিতে যারা মমতা ব্যানার্জির সাথে কাজ করছেন সবাই কিন্তু খুব জনপ্রিয় এবং সময়ের সাথে ব্যস্ত তারকা। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা কিন্তু সেরকম নয় । আমাদের তারকারা নিশ্চয়ই রাজনীতি করবে কিন্তু আজকে যারা সুসময় আওয়ামী লীগের পাশে আছে তারা যেন দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকে সেটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা । কারণ হাজার ১৯৭৫ সালের পরে দেখা গিয়েছে যে , আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আলমগীর, কবরী, কুমকুম ছাড়া কোনো তারকাকে আওয়ামী লীগের পাশে পাওয়া যায়নি । সুতরাং আজকে যারা সুসময়ের পাখি তারা কি দুঃসময়ে থাকবে কিনা সেটাই প্রশ্ন !
মন্তব্য করুন
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’তে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি।
মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।
ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, এ সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।
কোটি টাকা অভিনেত্রী শারমিন শ্বশুর
মন্তব্য করুন
বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিশা পাটানি। যদিও অভিনয়ের থেকে নিজের সাহসী ও খোলামেলা রূপের জন্যই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।
নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই পারদ চড়ান দিশা। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন এই তারকা। সেখানে গিয়েই উষ্ণতা ছড়ালেন ভক্তদের মাঝে।
ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন দিশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ সমুদ্রে আলো ছায়ার খেলায় মেতেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই ওয়াইন রঙের একটি বিকিনি পড়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার হাজির হয়েছেন সাদা বিকিনিতে। একটুকরো পোশাকেই যেন শরীর ঢাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রামে দিশাকে প্রায় ৬ কোটি মানুষ অনুসরণ করেন। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি, মুহূর্তগুলোর চিত্র দেখতেই যেন তারা সবসময় মুখিয়ে থাকেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি নিজের অবসর জীবনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি।
আর এদিকে আনুশকা খুব শিগগিরই হয়তো অভিনয় জীবন থেকে মুখ ফেরাবেন। তবে বিরাট-আনুশকা খুশি সংসার, সন্তান নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট ছেলে অকায় ও মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।
গত পাঁচ বছর ধরে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি আনুশকার। মেয়ের জন্মের পর শুধু ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ ছবিটি করেছেন তিনি। অবশ্য সেটি আজও মুক্তি পায়নি।
অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার জীবনে অগ্রাধিকার পায় তার সন্তানরা। এবার বিরাটের অবসরের জল্পনা উঠতেই শোনা যাচ্ছে, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে লন্ডনেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবেন কোহলি-দম্পতি।
তবে, ছেলে অকায় বেশ ছটফটে হয়েছে বলে জানালেন বাবা বিরাট। আর মেয়ে ভামিকা নাকি তিন বছর বয়সেই ব্যাট ঘোরাতে শিখে গেছে! বিরাট অবশ্য এখন থেকেই কিছু অনুমান করতে চান না। তার কথায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওদের যা খুশি, বড় হয়ে সেটাই হবে।
মন্তব্য করুন
কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা আদবানি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে তিনি যেন ঝলমলে প্রজাপতি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ভিডিও।
বলিউড অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন কিয়ারা ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটি অফ-হোয়াইট পোশাকে যেন পরী। ১৭ মে চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তার প্রথম লুকের আভাস দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছেন তিনি।
প্লাঞ্জ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে কিয়ারা পরেছিলেন হিরের দুল এবং হাই-হিল। তার পোশাক ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর ও প্রবাল গুরুং ছিলেন স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে।
গালা ইভেন্টে কিয়ারা আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর জোর দেবেন বলে জানা
গেছে। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা ।
মন্তব্য করুন
‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম
আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন
শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।
চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায়
অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের
দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি
এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ
করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের
জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।
নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর
বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম
বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি
(শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ
ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’
এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও
প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে
খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা
করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’
ঢাকা সিনেমা অভিনয় নাসিরুদ্দিন শাহ
মন্তব্য করুন