নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না তবে সরকার চাইলে দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে।
আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদন এবং আল জাজিরার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যবস্থা নেয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ড. তারেক শামসুর রেহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যদি কোনো দেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করে তাহলে সেই দেশ প্রতিবাদ জানাতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। আল জাজিরা কাতারের খলীফাদের একটি রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান সুতরাং মামলা করলে কার বিরুদ্ধে যাবে মামলা সেটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়?
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটা তার রাজনৈতিক বক্তব্য। তবে আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদন যেহেতু বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে সেহেতু শুধু প্রতিবাদ পাঠালেই হবে না, বিষয়টি জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। ওই প্রতিবেদনের মধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভুল বার্তা গেছে এবং বিষয়টি অনেকের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। কাজেই সরকারের উচিৎ হবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আল জাজিরার প্রতিবেদনের মিথ্যা তথ্যগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা। আর এটা করা এখন জরুরি কারণ আল জাজিরার প্রতিবেদনের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঢালাওভাবে ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হলেও সুস্পষ্টভাবে ব্যাখা করে জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার।
আল জাজিরার প্রতিবেদনের শিরোনামটা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে যা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানের। তবে একটি ভালো দিক হলো সরকার বাংলাদেশে এখনও আল জাজিরা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করেনি যদিও অতীতে একবার বন্ধ করা হয়েছিলো। কিন্তু সরকার এই কাজটা করছে না সম্ভবত এইটা বিবেচনা করে যে, এটা করলে আন্তর্জাতিকভাবে এর একটা প্রভাব পড়তে পারে। যদিও প্রতিবেদনটিতে প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। আর এখনই যদি বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বচ্ছ বার্তা না দেয়া যায় তাহলে মানুষ ভুল বিষয়কে সঠিক মনে করবে বলে মনে করেন এই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।