নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২০ দিনের ছুটি নিয়ে কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এই কুড়ি দিনে প্রধান বিচারপতি কানাডা এবং জাপান সফর করবেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কানাডা থেকে ফিরে প্রধান বিচারপতি এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। অক্টোবরের ২ অথবা ৩ তারিখ তাঁর যুক্তরাষ্ট্র যাবার কথা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই তিনি ভারত এবং যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন। এই সফরটি নভেম্বরের ২ অথবা ৩ তারিখ শুরু হয়ে শেষ হবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট শীতকালীন ছুটিতে যাচ্ছে। অর্থাৎ এ বছর প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে বসার সম্ভাবনা তাঁর খুবই কম। ইতিমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘ সময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। বিচারপতি সিনহা রাষ্ট্রপতির কাছে যে ছুটির আবেদন করেছেন, তাতে ২০ দিনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই ছুটি এবছর পুরোটাই থাকবে। ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বিচারপতি সিনহার অবসরে যাওয়ার কথা।
এখন পর্যন্ত জানুয়ারি মাসে বিচারপতি সিনহা কী করবেন তা অস্পষ্ট। বিচারপতি সিনহা এই সাড়ে তিনমাসে সরকারের মনোভাব দেখবেন। যদি তিনি দেখেন, এসময় তাঁকে নিয়ে আক্রমণাত্বক কথাবার্তা বন্ধ হয়েছে তাহলে তিনি ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত ছুটি কাটাবেন। মেয়াদের শেষ সাতদিন তিনি প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়ে অবসরে যেতে চান।
সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছুটিতে যাবার আগে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার অংশ হিসেবেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং আক্রমণাত্বক বক্তব্য বন্ধ করেছে। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলো যে তদন্ত শুরু করেছিল, সেগুলোর ব্যাপারেও ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সমঝোতার অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি দীর্ঘ ছুটিতে গেছেন। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপক্ষের মধ্যেই অবিশ্বাস প্রচণ্ড। প্রধান বিচারপতি মনে করছেন, ছুটিকালীন সময় তাঁর বিরুদ্ধে ‘কিছু একটা করা হতে পারে। সে কারণেই তিনি একেবারে ছুটি নেননি। অন্যদিকে সরকার চাইছে ছুটির মধ্যে দিয়েই তিনি মেয়াদ শেষ করুন। পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে, ছুটিকালীন সময়ে প্রধান বিচারপতি এবং সরকারের আচরণের ওপর। বিদেশে যাবার আগে, প্রধান বিচারপতি সরকারের একজন উপদেষ্টাকে কথা দিয়েছেন, বিদেশে তিনি কোনো সেমিনারের বা সভায় বক্তব্য রাখবেন না। সরকারের দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের দালিলিক প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এই সব প্রমাণ দিয়েই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সরকার নমনীয় পথেই যেতে চাইছে।‘
প্রধান বিচারপতি হিসেবে সিনহাকে আর বেঞ্চে দেখা যাবে কিনা তা নির্ভর করছে আগামী তিন মাসে দুপক্ষের সমঝোতা কতটা অটুট থাকে তার ওপর।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন।
মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী।
মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।
এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।
লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।