নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২০ দিনের ছুটি নিয়ে কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এই কুড়ি দিনে প্রধান বিচারপতি কানাডা এবং জাপান সফর করবেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কানাডা থেকে ফিরে প্রধান বিচারপতি এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। অক্টোবরের ২ অথবা ৩ তারিখ তাঁর যুক্তরাষ্ট্র যাবার কথা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই তিনি ভারত এবং যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন। এই সফরটি নভেম্বরের ২ অথবা ৩ তারিখ শুরু হয়ে শেষ হবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট শীতকালীন ছুটিতে যাচ্ছে। অর্থাৎ এ বছর প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে বসার সম্ভাবনা তাঁর খুবই কম। ইতিমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘ সময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। বিচারপতি সিনহা রাষ্ট্রপতির কাছে যে ছুটির আবেদন করেছেন, তাতে ২০ দিনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই ছুটি এবছর পুরোটাই থাকবে। ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বিচারপতি সিনহার অবসরে যাওয়ার কথা।
এখন পর্যন্ত জানুয়ারি মাসে বিচারপতি সিনহা কী করবেন তা অস্পষ্ট। বিচারপতি সিনহা এই সাড়ে তিনমাসে সরকারের মনোভাব দেখবেন। যদি তিনি দেখেন, এসময় তাঁকে নিয়ে আক্রমণাত্বক কথাবার্তা বন্ধ হয়েছে তাহলে তিনি ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত ছুটি কাটাবেন। মেয়াদের শেষ সাতদিন তিনি প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়ে অবসরে যেতে চান।
সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছুটিতে যাবার আগে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার অংশ হিসেবেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং আক্রমণাত্বক বক্তব্য বন্ধ করেছে। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলো যে তদন্ত শুরু করেছিল, সেগুলোর ব্যাপারেও ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সমঝোতার অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি দীর্ঘ ছুটিতে গেছেন। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপক্ষের মধ্যেই অবিশ্বাস প্রচণ্ড। প্রধান বিচারপতি মনে করছেন, ছুটিকালীন সময় তাঁর বিরুদ্ধে ‘কিছু একটা করা হতে পারে। সে কারণেই তিনি একেবারে ছুটি নেননি। অন্যদিকে সরকার চাইছে ছুটির মধ্যে দিয়েই তিনি মেয়াদ শেষ করুন। পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে, ছুটিকালীন সময়ে প্রধান বিচারপতি এবং সরকারের আচরণের ওপর। বিদেশে যাবার আগে, প্রধান বিচারপতি সরকারের একজন উপদেষ্টাকে কথা দিয়েছেন, বিদেশে তিনি কোনো সেমিনারের বা সভায় বক্তব্য রাখবেন না। সরকারের দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের দালিলিক প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এই সব প্রমাণ দিয়েই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সরকার নমনীয় পথেই যেতে চাইছে।‘
প্রধান বিচারপতি হিসেবে সিনহাকে আর বেঞ্চে দেখা যাবে কিনা তা নির্ভর করছে আগামী তিন মাসে দুপক্ষের সমঝোতা কতটা অটুট থাকে তার ওপর।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
সবার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তারা প্রথমে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো ওইসব মেয়েদের। শুধু ভয় দেখানোই নয়, মোটা অংঙ্কের টাকা দাবিসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো তারা। এমনই একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
এঘটনায় গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল ভাদুড়িয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭), পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর মহল্লার শাহিন মন্ডলের ছেলে ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া মহল্লার বকুল হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২) ।
পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়েদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে
‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’, ‘The Boss’, ‘The Roast House’, ‘সত্য কথন ও ইসলাম’, ‘পাবনার অজানা তথ্য’ সহ অন্যান্য ফেসুবক পেইজের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে আসছিল।
পরবর্তীতে ফেসবুক পেইজ থেকে উক্ত ছবিগুলো ডিলিট করার জন্য পেইজ এডমিনরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে আরো আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার হুমকি দেয়া হতো। এমন অভিযোগের পরই পুলিশ অভিযানে নামে।
অভিযানের এক পর্যায়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘Exposure
& Confession Center Pabna-ECCP’ এর এডমিন ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন, ইমন আহাম্মেদ ও শাহরিয়ার কবির আকাশ এবং সত্য কথন ও ইসলাম এবং ‘The Boss’ পেইজের এডমিন হাসিবুল হাসান তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পাবনা জেলায় এসব সাইবার ক্রিমিনালদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে বহু ভুক্তভোগী সামাজিকভাবে হেয়
প্রতিপন্ন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অনেকে, অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেশ কিছুদিন ধরেই পাবনা ডিবি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, এসব ক্রিমিনাল প্রযুক্তি বিদ্যায় অত্যধিক পারদর্শী এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। আসামিদের বাহিরে আরও বেশ কিছু গ্রুপের এডমিন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং করে যাচ্ছে। তারা সকলেই আমাদের নজরদারিতে আছে। যে বা যারাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার বুলিংয়ের জড়িত থাকুক না কেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
ফেসবুক ব্ল্যাকমেইলিং গ্রেপ্তার অশ্লীল ছবি
মন্তব্য করুন
একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায়
পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের
উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে
কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের
গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি
পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী
গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে
কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ
পুলিশের সাম্প্রতিক তথ্যা অনুযায়ী ঢাকা শহরে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের ৪০
শতাংশই কিশোর।
জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের
৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। শুধু রাজধানী
ঢাকাতেই সক্রিয় ৭০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং। র্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন
এলাকায় ৭০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়।
এই কিশোররাই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে
গ্যাং। একটা সময় ছিল, কিশোররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হতো,
কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তারা ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, মাদকবাণিজ্য,
চাঁদাবাজির মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পরবর্তি প্রজন্ম পড়ছে মারাত্মক হুমকিতে।
আজকের কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে নেতৃত্ব দিবে আজকের প্রজন্ম। তাহলে সেই
প্রজন্ম অপরাধ জগতের গ্যাং, কিশোর গ্যাংয়ে যদি পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ ও সুশিল
সমাজ গঠণ এবং উন্নত জাতি পরিণত করা হতে পারে দূর্বিসহ।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার সন্তান
কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা যেমন জরুরি, তেমনি সন্তানকে সময় দেওয়াও জরুরি।
তার সঙ্গে গল্প করা, তার মনের অবস্থা বোঝা, তার কাছে বাবা-মার অবস্থান তুলে ধরা। সহজ
করে বললে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধন খুবই জরুরি। এই বন্ধন যত শিথিল হয়, সন্তান
তত বাইরের জগতে ছুটবে, তখন তাকে ফেরানোর কোনো রাস্তা থাকবে না।
যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ
ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোরাও
অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচকতা বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে
পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে
সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা
জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু
ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিলে সুফল
মিলবে। কারণ ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার।
মন্তব্য করুন
'স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রবিবার
(২৮
এপ্রিল)
সকাল
সাড়ে
৮ টায়
একটি
বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা
জজ
আদালত
চত্বর
থেকে
বের
হয়ে
শহরের
প্রধান
সড়ক
প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে
জেলা
জজ
আদালত
প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা
হয়
লিগ্যাল এইড
মেলা।
এরপর
সিনিয়র
জেলা
ও
দায়রা
জজ
এবং
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটির
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা
সভা
অনুষ্ঠিত হয়।
এতে
বক্তব্য দেন,
সিনিয়র
জেলা
জজ
আহসান
তারেক,
জেলা
জজ
মিজানুর রহমান,
জেলা
প্রশাসক মু.
আসাদুজ্জামান, পুলিশ
সুপার
আকবর
আলী
মুনসী,
সিভিল
সার্জন
ডা.
শহীদুল্লাহ দেওয়ান,
চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল
হোসেন,
জেলা
আইনজীবী সমিতির
সভাপতি
দেওয়ান
মজনুল
হক,
সাধারণ
সম্পাদক আব্দুল
আহাদ
বাবু,
সরকারি
কৌঁসুলি হোসেন
শহিদ
সোহরাওয়ার্দী এবং
পাবলিক
প্রসিকিউটর আব্দুস
সামাদ
খান
রতন।
সিনিয়র
জেলা
ও
দায়রা
জজ
মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম
তাঁর
বক্তব্যে বলেন,
‘অসচ্ছল,
অসহায়
ও
সুবিধা বঞ্চিত জনগণের
সমান
আইনি
সুরক্ষা নিশ্চিত করার
জন্য
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাহী ও
পুলিশ
প্রশাসন, সুশীল
সমাজের
ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং
সর্বোপরি আদালতের বিচারক
ও
আইনজীবীদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত
প্রয়োজন। যার
মাধ্যমে একটি
ন্যায় ভিত্তিক ও
কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
সম্ভব
হবে।
এ
লক্ষ্যে পাবনা
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটি
এবং
জেলা
লিগ্যাল এইড
অফিস
নিরলসভাবে কাজ
করে
যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সরকারি
খরচে
বিনামূল্যে আইনি
সহায়তা
কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন
জেলা
লিগ্যাল এইড
অফিসার
সিনিয়র
সহকারি
জজ
বেগম
পারুল
আকতার।
সভায়
জানানো
হয়,
পাবনা
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটির
মাধ্যমে গত
২০২৩
থেকে
২০২৪
সাল
পর্যন্ত এক
বছরে
৩৩০
জন
নারী,
২৪৭
জন
পুরুষ,
৩
জন
শিশুর
মামলা
পরিচালনার ব্যয়
সরকার
কর্তৃক
বহন
করা
হয়েছে।
সেই সঙ্গে ৫৪৫টি
বিরোধের মধ্যে
১১৪
বিরোধ
বিকল্প
বিরোধ
পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে
গবাদি পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো
সম্ভব। গবাদি পশুর বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে ফরিদপুরের মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ
বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী এসব কথা।
এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর
রহমান বলেন, ‘ফরিদপুরে মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ এবং দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়
ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
পলাতকদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আশা
করি, দ্রুত সময়ে অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে।’
কোরবানি পশুর প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর এক কোটি ২০ থেকে
৩০ লাখ কোরবানির পশুর প্রয়োজন হতে পারে। সে হিসেবে আরো প্রায় ৩০ লাখ পশু বেশি আছে।
ঘাটে ঘাটে বাজারে যাতে কোথাও চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী। গত বছরে প্রায় ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিকৃত ছিল। এবারও অনেক পশু বেশি আছে তাই আমদানি
করার প্রয়োজন নাই। সরকার দেশীয় খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না।’
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা
কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স
অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল
৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য
কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সবার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তারা প্রথমে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো ওইসব মেয়েদের। শুধু ভয় দেখানোই নয়, মোটা অংঙ্কের টাকা দাবিসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো তারা। এমনই একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।