ইনসাইড বাংলাদেশ

ভূমি আপীল বোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনাকে সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব উম্মুল হাছনা সফল কর্মজীবন শেষে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নিজস্ব সর্বোচ্চ দুটি ক্যাডার পদেই (ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান) দায়িত্বপালন করেছেন।

সোমবার (১ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ অনুষ্ঠানে সভাপতি, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল ও ভূমি আপীল বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো: মোকাব্বির হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে ভূমি আপীল বোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনাকে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সাথে পালন করে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে নবনিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভূমি আপীল বোর্ডের কর্মকাণ্ড একই ধারাবাহিকতায় দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এসময় ভূমি আপীল বোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধার সাথে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি ভূমিমন্ত্রী সহ ভূমি পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত উম্মুল হাছনা ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পান। এর পূর্বে, ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে তিনি কিছুদিন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কর্মজীবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সহ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। উম্মুল হাছনা ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের সদস্য হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ মো: মোকাব্বির হোসেন সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ তারিখ তিনি ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন। ভূমি আপীল বোর্ডে যোগদানের পূর্বে তিনি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কর্মজীবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সহ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মো: মোকাব্বির হোসেন ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের সদস্য হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন।

ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য  ১৭৭৬ সালে ঔপনিবেশিক আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক গঠিত “‌‍‍বোর্ড অব রেভিনিউ”স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বিলুপ্ত করে এই বোর্ডের সকল দায়িত্ব তৎকালীন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ব্যবস্থাপনায় মাঠ পর্যায়ে ভূমি প্রশাসন পরিচালনা, আপীল নিষ্পত্তি ইত্যাদি অতিরিক্ত দায়িত্ব ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত করা হলে তা নীতি নির্ধারণীর মূল দায়িত্বের জন্য অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নিরসনকল্পে ১৯৮১ সালে “ভূমি প্রশাসন বোর্ড” সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় ভূমি সংস্কার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮৯ সালে ভূমি প্রশাসন বোর্ডকে ভেঙ্গে যথাক্রমে ভূমি আপীল বোর্ড ও ভূমি সংস্কার বোর্ড নামে দুটি বোর্ডের সৃষ্টি করা হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি বিষয়ক সমুদয় আইনের অধীনে ভূমি আপীল বোর্ড আপীল/রিভিশন মামলা নিষ্পত্তি করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - রাজস্ব সম্পর্কিত ভূমি সংক্রান্ত মামলা, নামজারি ও খারিজ মামলা, সায়রাত ও জলমহাল সংক্রান্ত মামলা, ভূমি রেকর্ড সম্পর্কিত মামলা, ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা, খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত মামলা, পি,ডি,আর এর আওতায় দায়েরকৃত রিভিশন বা আপীল মামলা, অর্পিত, পরিত্যক্ত ও বিনিময় সম্পত্তি বিষয়ক মামলা, ওয়াকফ/দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা।

অধস্তন ভূমি আদালত সমূহের কার্যক্রম পরিদর্শন, অণুবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা এবং ভূমি সংক্রান্ত আইন, আদেশ ও বিধি সম্পর্কে সরকার কর্তৃক প্রেরিত বিষয়াদিতে পরামর্শ দান করাও ভূমি আপীল বোর্ডের অন্যতম কাজ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারাই ছিলেন মূল কারিগর?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরের প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রিত হচ্ছেন। এরপর তার বিভিন্ন রকমের কর্মসূচী আছে। বাংলাদেশ সফরে তিনি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও রয়েছেন জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এই দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।

অনেকেই মনে করছেন যে, গত বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকেন সেজন্য যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে এই দুইজন ব্যক্তি শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। একই সাথে বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের উপর একধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা শুরু থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একধরনের আগ্রহ ছিল প্রকাশ্য। বাংলাদেশে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় এবং সকল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রীতিমত চাপ প্রয়োগ করছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই ভিসা নীতির আওতায় যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হবেন তাদেরকে আনা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টাতে থাকে এবং ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নমনীয় একটি অবস্থান গ্রহণ করে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আফরিন হকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথেও তিনি বৈঠক করেন।

সালমান এফ রহমান ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর সাবের হোসেন চৌধুরীর পরীবাগের বাস ভবনে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা আলাদাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। আর এই কারণেই কি ডোনাল্ড লু তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন?


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীনে গেছেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছে। বামদলগুলো বিভিন্ন সময়ে চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তাদের এই সফরের ব্যাপারে রাজনৈতিক কোন বাক পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু এই সময় ১৪ দলের শরীকদেরকে চীনে নিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলেই অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ মে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের ৫০ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যাবে। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে তারা যাচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিবেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। ২৫ জুন আওয়ামী লীগের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের দল চীন সফর করবে এবং এ দলটির নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে। ১০ সদস্যের এ দলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এই চীন সফর রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, চীন এখন বিএনপির সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন চীনপন্থি নেতাদের সঙ্গে তারা নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে।  এতদিন ধরে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং এখন অর্থনৈতিক বলয়ে মোটামুটি প্রভাব বিস্তার শেষ করেছে। এখন চীন রাজনৈতিক বলয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন শুধু বাংলাদেশে নয়, এই কৌশল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও গ্রহণ করেছিল। যেখানে তারা প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির উপর একধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলে। অর্থনৈতিক নির্ভরতার পর তারা আস্তে আস্তে রাজনীতিমুখী হয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তারা একধরনের প্রভাব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মালদ্বীপে চীন অর্থনৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে এখন রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে কিনা এনিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম ঋণদাতা এবং বাংলাদেশ এখন ক্রমশ চীনের ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপরও চীনের প্রভাব বাড়ছে। যদিও বর্তমান সরকার এখন চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ গ্রহণ এবং চীনা প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ভিতর একটি অংশের চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করার আগ্রহ বেড়েছে। এটির অন্যতম কারণ হলো চীনের কাছ থেকে সহজেই কমিশন পাওয়া যায়, চীনের প্রকল্পগুলোতে উপরি আয়ের সুযোগ বেশি- ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় চীন নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েছে এবং তারই সূত্র ধরে এখন চীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন   চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই   বাংলাদেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর সেই নাবিকরা

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এমভি জাহান মনি-৩ জাহাজটি সেই ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে।

আর এতে করেই শেষ হলো ২৩ পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে এই নাবিকদের অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে আসেন স্বজনরা।

জলদস্যুদের কবলে থাকার দিনগুলোকে বিভীষিকার দিন বলে আখ্যা দেন এই নাবিকদের বরণ করতে আসা এক স্বজন। তিনি বলেন, সেই দিনগুলোকে আর মনে করতে চাই না।

এক মাস আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে (জিম্মিদশা) মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায়। কিন্তু দেশে ফিরলেও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তাদের আরও একদিন অপেক্ষা করতে হয়।

অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথর আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখানে দুই দিনের মধ্যে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর লোড করে জাহাজটি গত ১৪ দিন আগে বাংলাদেশের উদ্দেশে রাওনা হয়।

গতকাল বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেয় ২৩ জন নাবিকের নতুন একটি টিম। জাহাজটিতে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর থাকায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করা হয়। আজ একটি লাইটারেজ জাহাজে তাদের চট্টগ্রাম নেওয়া হলো।


বাংলাদেশি নাবিক   সোমালিয়ান জলদস্যু   জাহাজ   এমভি আব্দুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশান এলাকার নিকেতনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ-উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এছাড়া উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বেরর চল্লিশাধিক দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এছাড়াও, পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে ও চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওভারওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান, যথা, হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট- বেজড ওয়েল, ফল ও শাকসব্জি এবং নিরাপদ পানির কথা বলেছে। উক্ত সপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে চায় ফারগো।

তিনি বলেন, আমরা ধ্বংস থেকে উন্নয়নের দিকে যাবো। ফারগো আজ থেকে সেই প্রচেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলো। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।


নেদারল্যান্ডস   বাংলাদেশ   খাদ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে নারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেই গুলিতে সীমান্ত নিকটবর্তী এক বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে।  

 

রোববার (১২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের ৯৩১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

 

এ বিষয়ে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেটে নেওয়া ধান গাছের অবশিষ্ট খড় সংগ্রহের জন্য রোববার (১২ মে) বিকালে কয়েকজন সীমান্তের পাশে বসবাস করা নারী ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে যান। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করে। খড় সংগ্রহে যাওয়া নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ওই বিএসএফ সদস্যরাও তাদের পিছু নিয়ে প্রায় ৩০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা রাইফেল উঁচিয়ে ওই নারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে দ্রুত ভারতের ভেতর চলে যায়।

 

সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সীমান্ত ঘেষা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে বুলেট মেঝেতে পড়ে। নুর আলম বাচ্চুর পুত্রবধূ শাকিলা আক্তার ইতি রান্নাঘরের মেঝে থেকে এক রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেন।

 

পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী গোরকমন্ডল ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। 

 

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ‘ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্না ঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার লাগেনি। মাঝে মধ্যেই ভারতীয় বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা সব সময় বিএসএফের আতঙ্কে থাকি। এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’

 

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আসিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ সীমান্তের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক মঙ্গলবার (১৪ মে) আবারও পতাকা বৈঠকের কথা জানিয়েছে।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং।


বিএসএফ   গুলিবর্ষণ   সীমান্ত   পতাকা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন