লিভিং ইনসাইড

এই গরমে ঘরেই আইসক্রিম তৈরির ১৬টি রেসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ০৫ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

আইসক্রিম, নামটি শুনলেই জিভে জ্বল চলে আসে। আর সেটা যদি হয় গরমে তাহলে তো কথাই নেই। গরমে শরীর ঠান্ডা করে এই আইসক্রিম। অনেকেই ঘরোয়াভাবে আইসক্রিম তৈরি করতে চায়। কিন্তু রেসিপির অভাবে তা করতে পারে না। তাদের জন্যই এখন দেওয়া হচ্ছে আইসক্রিম তৈরির ১৬টি রেসিপি। দেখে নিন রেসিপিগুলো।

চকলেট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. ডাবল বয়লারে গলানো চকলেট ১/৩ কাপ,২. কোকো পাউডার ১ কাপ,৩. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,৪. পানি আড়াই কাপ,৫. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৬. চিনি পৌনে ১ কাপ,৭. ক্রিম ১ টিন,৮. জেলেটিন গলানো ১ টেবিল চামচ,৯. সিএমসিপাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ,১০. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,১১. ডিমের সাদা অংশ ২টি,১২. চিনি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলায় দিয়ে ঘন করে নিন। গরম থাকতেই এতে তরল গ্লুকোজ মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এতে জেলেটিন ও সিএমসি মিশান। ক্রিম ও গলানো চকলেট ও কোকো পাউডারের মিশ্রণ দিয়ে বিট করে ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা জমতে দিন। বের করে বিট করে আবার জমতে দিন। এভাবে ২ ঘণ্টা পরপর কয়েকবার করুন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনির মেরাং দিয়ে বিট করে ভালোভাবে জমতে দিন।

ম্যাঙ্গো আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পাকা আমের কাঁথ ১ কাপ, ২. টক দই ২-৩ টেবিল চামচ, ৩. হেভি ক্রিম ২০০ মিলি, ৪. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, ৫. ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ।

প্রণালি :
> ফ্রিজ থেকে সদ্য বের করা হেভি ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করুন। ‘সফট পিক’ বা চূড়ার মতো হলে এর সঙ্গে কনডেন্সড মিল্ক, আমের কাঁথ, টক দই এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে পরিষ্কার প্লাস্টিক কন্টেইনারে ডিপ ফ্রিজে ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করুন।

ভ্যানিলা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. হেভি ক্রিম ২০০ মিলি,২. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ (মিষ্টি কম বেশির উপর পরিমাণ কমাবেন বা বাড়াতে পারেন), ৩. ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা-চামচ।

প্রণালি :
> ফ্রিজ থেকে সদ্য বের করা হেভি ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করুন। ‘সফট পিক’ বা চূড়ার মতো হলে কনডেন্স মিল্ক, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে পরিষ্কার প্লাস্টিক কন্টেইনার বা বাক্সে ডিপ ফ্রিজে ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করুন।

স্ট্রবেরি আইসক্রিম

উপকরণ :
১. স্ট্রবেরি ১০টি,২. হেভি ক্রিম ২ কাপ,৩. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ৪. চিনি ২ টেবিল-চামচ (স্বাদমতো),৫. এক ফোঁটা লাল খাবার রং,৬. স্ট্রবেরি এসেন্স ১ চা-চামচ।

প্রণালি :
> আস্ত স্ট্রবেরি ও চিনি ব্লেন্ডার ব্লেন্ড করে স্ট্রবেরি পিউরি তৈরি করে নিতে হবে৷ ইলেক্ট্রিক কেক বিটার দিয়ে প্রথমে হেভি ক্রিম আট মিনিট বিট করুন। ক্রিমটা ফোমের মতো হয়ে আসলে কনডেন্সড মিল্ক, ভ্যানিলা এসেন্স এবং স্ট্রবেরি পিউরি দিয়ে দুই মিনিট বিট করে সব একসঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। সব মিশে গেলে একটি এয়ার টাইট বাক্সে ভরে, চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলে জমে তৈরি হয়ে যাবে মজাদার স্ট্রবেরি আইসক্রিম ৷

অরেঞ্জ আইসক্রিম

উপকরণ :
১. কমলার রস ১ কাপ,২. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,৩. পানি আড়াই কাপ,৪. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৫. চিনি পৌনে এক কাপ, ৬. ক্রিম ১ টিন, ৭. জেলেটিন গলানো ১ টেবিল চামচ, ৮. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ, ৯. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, ১০. ডিমের সাদা অংশ ২টা,১১. চিনি ২ টেবিল চামচ দিয়ে করা মেরাং।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। গরম অবস্থাতেই এতে তরল গ্লুকোজ মেশান। তারপর ঠান্ডা করে এতে জেলেটিন ও সিএমসি পাউডার গোলানো মিশ্রণ মেশান। এতে ক্রিম ও কমলার রস দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা পর বের করে বিট করে আবার জমান। এভাবে কয়েকবার করুন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও মেরাং দিয়ে দিয়ে বিট করে ভালোভাবে জমিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রুট আইসক্রিম

উপকরণ :
১ কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,২. ভ্যানিলা এসেন্স হাফ চা-চামচ,৩. পানি ঝরানো টকদই ১ কাপ, ৪. ফলের কুচি ১ কাপ,৫. আমন্ড-পেস্তা-কাজু কুচি আধ কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম ,৭. গুড়া দুধ আধ কাপ।

প্রণালি :
> আধ কাপ ফলের কুচি ও সিকি কাপ বাদাম কুচি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন ।কয়েক রকম ফুড কালার মিশিয়ে আলাদা আলাদা বক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা রাখুন। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে বাকি ফলের কুচি ও বাদাম কুচি মিশিয়ে চার ঘণ্টা জমিয়ে পছন্দমতো ফলের কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ।**টিপস : ফ্রুট আইসক্রিমে পাকা আম, কলা, আপেল, সেন, স্ট্রবেরি, চেরি, আঙুর ইত্যাদি ফল ব্যবহার করা যায়।

গ্রিন ম্যাঙ্গো ললি

উপকরণ :
১. পানি ৪ কাপ,২. চিনি ১ কাপ,৩. গ্রিন ম্যাঙ্গো জুস ৬ টেবিল চামচ, ৪. লবণ আধা চা-চামচ,৫. ম্যাঙ্গো এসেন্স ৭-৮ ফোঁটা,৬. সবুজ রং অল্প,৭. কাঠি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি :
> সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। তারপর ছেঁচে নিন। আইসক্রিমের চাঁছে ঢেলে প্রতিটার ওপরে ১টা করে কাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে জমান। ভালোভাবে জমে গেলে পরিবেশন করুন।

চকবার

উপকরণ :
১. হুইপ ক্রিম ১ কাপ,২. ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ, ৩. চকলেট আধা কাপ,৪. তরল দুধ ৩-৪ কাপ,৫. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> হুইপ ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিয়ে চিনি দিয়ে আবার বিট করুন। তারপর এতে ভ্যানিলা এসেন্স ও গুঁড়া দুধ ও তরল দুধ দিয়ে বিট করতে হবে। তারপর ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। চকলেট চুলায় দিয়ে ডাবল বয়লারে গলিয়ে নিন। আইসক্রিমের ছাঁচে গলানো চকলেট লাগিয়ে নিয়ে একটু জমিয়ে নিয়ে এতে হুইপ ক্রিমের মিশ্রণটা দিয়ে কাঠি দিয়ে ফ্রিজে জমতে দিতে হবে ৩-৪ ঘণ্টা। পরিবেশনের আগে আইসক্রিমের ছাঁচটা সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে সহজে ছাঁচ থেকে আইসক্রিম বের হয়ে আসবে।

ত্রিরত্ন আইসক্রিম

উপকরণ :
১. চিনি ১ কাপ,২. পানি ১ কাপ,৩. বেদানার রস ১ কাপ, ৪. করমচার রস আধা কাপ,৫. চেরির পিউরি আধা কাপ।

প্রণালি :
> চিনি ও পানি অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে চিনি গলিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে এই চিনির শিরায় বেদানা, চেরি ও করমচার পিউরি মিলিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে ৩-৪ ঘণ্টা। তারপর ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। আবার ফ্রিজে জমতে দিন। বের করে আবার বিট করে ফ্রিজে জমতে দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করে ভালোভাবে জমে গেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

পেস্তা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. পানি আড়াই কাপ,৩. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৪. জেলেটিন গোলানো ১ টেবিল চামচ,৫. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ, ৬. চিনি পৌনে ১ কাপ,৭. ক্রিম ১ টিন,৮. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,৯. পেস্তার পেস্ট ১ কাপ,১০. একটু সবুজ রং,১১. ২টা ডিমের সাদা অংশ,১২. ২ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে করা মেরাং।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একত্রে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এটাকে জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। গরম থাকতেই এতে গ্লুকোজ মেশাতে হবে। তারপর ঠান্ডা হলে জেলেটিন ও সিএমসি মিশিয়ে ক্রিম ও পেস্তার পিউরি দিয়ে ভালোভাবে বিট করতে হবে। তারপর ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা জমতে দিন। বের করে আবারও বিট করে আবার ফ্রিজে জমতে দিন। এ রকম করে ৩-৪ বার জমাতে ও বিট করে নিন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনি ও মেরাং দিয়ে বিট করে জমাতে হবে। ভালোভাবে জমে গেলে পরিবেশন করুন।

মিক্স ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পানি ঝরানো টকদই ৫০০ গ্রাম,২. মিক্স ফ্রুট ২ কাপ,৩. ক্রিম ১ কাপ,৪. ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ, ৫. গলানো সাদা চকলেট ১/৩ কাপ,৬. আইসিং সুগার সিকি কাপ,৭. ঘন তরল দুধ ১ কাপ,৮. গুঁড়া দুধ ১/৩ ভাগ।

প্রণালি :
> ক্রিমটা ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে। সাদা চকলেট ডাবল ব্রয়লারে দিয়ে গলিয়ে নিয়ে এতে ক্রিম, টকদই, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালোভাবে বিট করুন। গুঁড়া দুধ দিতে হবে। মিক্সড ফ্রুট (চিনির শিরায় রাখা) দিয়ে ফ্রিজে জমতে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা পর বের করে কাঁটা চামচ দিয়ে নেড়ে আবার ফ্রিজে জমতে দিন। তারপর সারা রাত ফ্রিজে রেখে জমিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মিক্সড ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম।

মনোলোভা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. পানি আড়াই কাপ,৩. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৪. চিনি ২ টেবিল চামচ,৫. ক্রিম ১ টিন, ৬. জেলেটিন গোলানো ১ টেবিল চামচ,৭. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ,৮. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,৯. পছন্দমতো ৫টি ফলের রস ও রং,১০. ডিমের সাদা অংশ ২টা,১১. চিনি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি বিট করে নিয়ে চুলায় দিয়ে ঘন করে এতে তরল গ্লুকোজ দিন। ঠান্ডা করে এতে জেলেটিন ও সিএমসি মিশিয়ে ক্রিম দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন ৩-৪ ঘণ্টা। এরপর এটাকে ৫ ভাগে ভাগ করে পছন্দমতো স্বাদ ও রং মিশিয়ে বিট করে আবারও জমতে দিন। ২ ঘণ্টা পরপর বের করে বিট করে নিন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনির মেরাং দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন। তারপর পছন্দমতো গ্লাসে পরপর আইসক্রিমগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট-আমন্ড আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৩. পানি আড়াই কাপ,৪. চকলেটবার ১টি,৫. কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, ৬. চকলেট ফ্লেভার আধা চা-চামচ,৭. চিনি পৌনে ১ কাপ,৮. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৯. আমন্ড পেস্ট আধা কাপ,১০. আমন্ড কুচি আধা কাপ,১১. জেলাটিন পাউডার ১ টেবিল চামচ,১২. গ্লুকোজ গাম সিকি চা-চামচ,১৩. ৩টি ডিমের সাদা অংশ।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, কর্নফ্লাওয়ার, পানি, চিনি, কোকো পাউডার ও চকলেট একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। আধা কাপ পানির সঙ্গে জেলাটিন পাউডার গুলিয়ে দুধের মিশ্রণের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। এতে আমন্ড পেস্ট, গ্লুকোজ গাম, ক্রিম ও এসেন্স দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাক্সে করে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে আবার ফ্রিজে রাখতে হবে। এভাবে দুবার করতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে আইসক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে আমন্ড কুচি ছড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করতে হবে।

ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পানি ঝরানো টকদই ১ কাপ,২. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,৩. ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা-চামচ, ৪. ফলের কুচি ১ কাপ,৫. আমন্ড-পেস্তা-কাজু কুচি আধা কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৭. গুঁড়া দুধ আধা কাপ।

প্রণালি :
> আধা কাপ ফলের কুচি ও সিকি কাপ বাদাম কুচি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কয়েক রকম ফুড কালার মিশিয়ে আলাদা আলাদা বাক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।> ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে বাকি ফলের কুচি ও বাদাম কুচি মিশিয়ে চার ঘণ্টা জমিয়ে পছন্দমতো ফলের কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এতে পাকা আম, কলা, আপেল, সেন, স্ট্রবেরি, চেরি, আঙুর ইত্যাদি ফল ব্যবহার করা যায়।

মধু আর ফলের আইসক্রিম

উপকরণ :
১. ক্যানের কোকোনাট মিল্ক ১ কাপ,২. নারকেলের মিষ্টি চিড়া আধা কাপ,৩. খেজুর কুচি ১ কাপ,৪. সাগরকলা ২টি, ৫. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৭. মধু ২ টেবিল চামচ,৮. মিল্ক ফ্লেভার সিকি চা-চামচ।

প্রণালি :
> আধা কাপ খেজুর কুচি ও নারকেলের চিড়া বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে আবার ব্লেন্ড করে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিমের বাক্স বের করে আধা কাপ খেজুর কুচি ও নারকেলের চিড়া মিশিয়ে নিতে হবে। আবার ফ্রিজে চার ঘণ্টা রেখে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

স্ট্রবেরি-মালাই কুলফি

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ দেড় কাপ,২. কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন,৩. মালাই ১ কাপ, ৪. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৫. স্ট্রবেরি সিরাপ আধা কাপ,৬. স্ট্রবেরি এসেন্স সিকি চা-চামচ,৭. পেস্তাবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,৮. পানি দেড় কাপ।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, এসেন্স ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে গুলিয়ে ঘন করে জ্বাল দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এতে মালাই দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট বিট করে বাক্সে করে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।ফ্রিজ থেকে কুলফি বের করে স্ট্রবেরি সিরাপ ও বাদাম কুচি মিলিয়ে কুলফির ছাঁচে ঢেলে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।

** টিপস– 
অনেকের ধারণা, বাসায় তৈরি আইসক্রিম ভালো হয় না। আইসক্রিমের ভেতরে বরফ থেকে যায় শক্ত হয়ে যায়। আইসক্রিম নরম হয় না।    – রেসিপির নিয়ম মেনে আইসক্রিম তৈরি করতে হবে।
– আইসক্রিম ঘন করে জ্বাল দেওয়ার পর ভালো করে ব্লেন্ড অথবা বিট করতে হবে। মিশ্রণটা যেন হালকা হয়ে যায়।
– যে পাত্রে আইসক্রিম জমাতে হবে, সেটি শুকিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর ২০ থেকে ২৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে আইসক্রিমের মিশ্রণ ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমাতে হবে।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে মোবাইল অ্যাপস

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মন যেমন আনন্দিত হয়, তেমনি মন খারাপও  হয়। কিন্তু মন খারাপ বা বিষণ্নতাভাব যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবার হাতের স্মার্টফোনে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে মন থাকবে চাঙা ও সুস্থ।

জাতিসংঘের ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে হয়, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১শ কোটি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের অর্ধেক মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে ভুগছে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্য সংকটকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া যেমন জরুরি, তেমনি হাতের স্মার্টফোনের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নও নেয়া সম্ভব।

গুগল প্লে কিংবা অ্যাপ স্টোরে মানসিক স্বাস্থ্যের নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কিছু অ্যাপ রয়েছে। যেমন: সিজোফ্রেনিয়া, উদ্বেগ, বিষণ্নতা প্রভৃতি। এসব মেন্টাল হেলথ অ্যাপের মাধ্যমে মানসিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা ও তা দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি অনুশীলন করা যায়।

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপ হলো ‘ডেলিও’ নামের অ্যাপটি। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক তথ্য গ্রহণ করে থাকে। সেখান থেকে কারো প্রতিদিনের মন-মানসিকতার অবস্থা, ‘মুড সুইং’, মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণ খুঁজে বের করাসহ বিভিন্ন রকম তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে। এসব বিষয়ের ওপর বিবেচনা করে, পরবর্তীতে এই অ্যাপগুলোর পরামর্শে নির্দিষ্ট জীবনযাপনের পদ্ধতি অনুসরণ করলে মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ থাকা যায়।

অন্যদিকে, হেডস্পেস অ্যাপ মূলত বেশি ব্যবহার করা হয় তাৎক্ষণিক মানসিক সংকট দূর করার জন্য। যদি কেউ তার চিন্তা-ভাবনা কিংবা আচরণের অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন দেখতে পান, তাহলে এই অ্যাপটি তার অসাধারণ সঙ্গী হিসেবে সহায়তা করবে। অনেক বেশি বিষাদ, দুশ্চিন্তা কিংবা সম্পর্কের টানা-পোড়েনের মধ্যে থাকলেও অনেকে এই অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে পেশাদার মনোবিদের বিকল্প হিসেবে এই অ্যাপগুলোকে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক পর্যায়ের মানসিক সমস্যায় এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কারও অবস্থা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে অ্যাপের ওপর নির্ভর না করে, অবশ্যই নিবন্ধিত মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।


মানসিক   স্বাস্থ্য   অ্যাপস  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধের কৌশল

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মন ভালো থাকলে যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা আসে, ঠিক তেমনই মন খারাপের প্রভাব পড়ে নিত্যকাজের ওপর। মন খারাপ থেকে সৃষ্টি হয় উদ্বেগ যা পৌঁছাতে পারে ডিপ্রেশনেও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা আমাদের মানসিক চাপ তৈরি করে। অল্পকিছু চিন্তা দিয়ে তা শুরু হয়, এক পর্যায়ে চলে যায় বহুদূর। তবে এসব অতিরিক্ত চিন্তা দূর করে মনকে শান্ত করার কিছু প্রাচীন জাপানি কৌশল রয়েছে। সেগুলো মানলে পাবেন অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি।

শিরিন-ইয়োকু
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ হল আমাদের ডিজিটাল জটিল অংক থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সতেজ শ্বাস গ্রহণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজের মধ্যে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। ফলে মন শান্ত হয় এবং শান্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা আসলে পার্কে হাঁটাহাঁটি করুন বা তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। দেখবেন ঝরঝরে পাতাগুলো আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।

শোগানাই
‘শোগানাই’ ধারণাটি বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘এটি সাহায্য করবে না’। যার সহজ অর্থ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যা রয়েছে, তার একটি সচেতন গ্রহণযোগ্যতা। যখন আমরা মেনে নিতে পারি, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করবে না বা ভবিষ্যতের ফলাফলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করবে না, তখন মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে যায়। ‘যদি এমন হতো’ বাদ দিয়ে আমরা যখন ভাববো যা হয়ে গেছে তা আর ফিরবে না, তখন অতিরিক্ত চিন্তাও আর আসবে না।

গামন
‘গামন’ হল, ‘সহনশীলতা’ বা ‘অধ্যবসায়’। এটি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনাকে দূর করে দেয়। সহনশীলতা মানুষকে পরিস্থিতির আলোকে মানিয়ে নিয়ে সহায়তা করে। তাই নিজের মধ্যে সহনশীলতা কম থাকলে তা বাড়িয়ে ফেলুন খুব দ্রুত। তখন অল্পতেই অতিরিক্ত চিন্তা থেকে পাবেন মুক্তি। আর চিন্তামুক্ত হয়ে কাজে মন দিলে সফলতা আসবে অতি দ্রুত।


অতিরিক্ত চিন্তা   কৌশল  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত ঘুমে স্বাস্থ্যের উপরে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণত ঘুমের ক্ষেত্রে অনেকেরই আলাদা চাহিদা থাকে, তবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো মাঝে মাঝে শরীরের ভেতরের সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। নিয়মিত চেয়ে অনেক বেশি ঘুমানোর সময় দেখে অতিরিক্ত ঘুমানোকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝবেন যে আপনি যথেষ্ট বেশি ঘুমাচ্ছেন?

২০১৪ সমীক্ষা অনুসারে, ঘুম অসংখ্য শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসম্পন্ন ঘুমকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ঘুমকে সাধারণত প্রতি রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তবে ব্যক্তিভেদে ঘুমের চাহিদা পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনার সাধারণ ঘুমের ধরণ এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনি কেমন অনুভব করেন তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ঘুমের ধরন ব্যক্তিভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় এবং বয়স, জেনেটিক্স, জীবনধারা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের প্রস্তাবিত পরিমাণ সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে।

স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রতি রাতে প্রয়োজনীয় ঘুমের পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়, যেমন দিনের অভ্যাস, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ঘুমের ধরন। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনেকেরই ছয় ঘণ্টা ঘুমালেই পর্যাপ্ত হতে পারে তবে অন্যরা, যেমন ক্রীড়াবিদদের অতিরিক্ত সময় ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। মাঝে মাঝে, কঠোর কার্যকলাপ বা ভ্রমণের মতো পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে।

অত্যধিক ঘুম বা হাইপারসোমনিয়া হলো মানুষের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘুমানো। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে। তার মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা। হাইপারসোমনিয়া, নারকোলেপসি বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো অবস্থার কারণে ঘুমের সময় বর্ধিত হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে মাঝে মাঝে বিষণ্ণতা এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় ঘুমানো উদ্বেগের কারণ নাও হতে পারে, তবে ক্রমাগত অতিরিক্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তি ও ইমিউন ফাংশনের ঝুঁকি রয়েছে।

এমনকি ঘুমের সময়কে প্রভাবিত করতে পারে বয়স, জীবনযাত্রার অভ্যাস, ভেতরগত স্বাস্থ্যের অবস্থা, ওষুধ, স্ট্রেস লেভেল এবং শব্দ ও আলোর এক্সপোজারের মতো পরিবেশগত কারণে। ঘুমের গুণমান উন্নত করতে নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার সময়সূচী সেট করুন, ঘুমানোর সময় আরামদায়ক রুটিন তৈরি করুন এবং ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার এড়ানোর চেষ্টা করুন।


অতিরিক্ত ঘুম   স্বাস্থ   স্লিপ ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বৃষ্টির দিনে ঘরের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রিমঝিম বৃষ্টি কমবেশি সবার ভালো লাগলেও কাজ বাড়িয়ে দেয় গৃহিণীর। কেননা বৃষ্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ঘরের পরিবেশ হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতে্নর। কয়েকদিন একটানা তাপদাহের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে আনন্দের পাশাপাশি ভোগান্তিও কম নয়। অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়রের ক্ষতি, মশা, ঘরে মোল্ড পড়া, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এ সময়ে ঘরের জন্য দরকার বাড়টি যত্ন। বর্ষায় অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার টিপস চলুন জেনে নেয়া যাক……………….

 

১. বর্ষা শুরুর আগে অথবা একেবারে দরজা, জানালা বা গ্রিল তৈরির শুরুতেই টিনের দরজা বা জানালায় কোটিং রং ব্যবহার করা উচিত।

২. কোনো কারণে দেয়ালে ফাটল ধরলে দেয়াল ড্যাম হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরীক্ষা করে ফাটল ঠিক করতে হবে। ভালো হয় দেয়ালে ওয়েদার প্রুফ পেইন্ট ব্যবহার করলে।

৩. বর্ষায় অনেক সময় কাঠের আলমারিতে ফাঙ্গাস পড়ে। আবার দেখা যায় আলমারি পেছনের বোর্ড ফুলে গিয়ে কাঠ বেঁকে যায়। তাই বৃষ্টির দিনে আসবাবপত্র দেয়াল থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া সব ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ভালো।

৪. বারান্দায় রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। তাই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবার প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

৫.বর্ষায় কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো বরং এগুলো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তুলে রাখুন শুষ্ক কোনো জায়গায়।

৬. প্রতিদিন মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে লেদারের সোফা। একইভাবে মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে লেদারের অন্যসব আসবাবও।


বৃষ্টি   ঘর   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিবাহবিচ্ছেদে উৎসব করে যে দেশের নারীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।

পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের

মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!

বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।

মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।

বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।

মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।

মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।

দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।

আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!


বিবাহবিচ্ছেদে   উৎসব   নারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন