নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০২১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা সফরে আসছেন। মোদির সফর চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার ঢাকা ঘুরে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। আর এ সফরের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও বাইরে থেকে বলা হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি তাদের প্রধান লক্ষ্য কিন্তু কূটনীতিক বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মোদির সফরকে ভারত অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। আর ভিন্ন কারণটি হলো বাংলাদেশ সীমান্তে তিস্তার দুই পাশে জলাধার নির্মাণ যেনো বাংলাদেশ বন্ধ করে সেই অনুরোধ মোদি জানাবেন বাংলাদেশ সরকারকে।
উল্লেখ্য, তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে এবং এই পানি চুক্তির জন্য দুই দেশ সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাধার কারণে এই চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। তিস্তার পানি না পাওয়ার ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এক ধরনের খরা এবং ফসলহানীর ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি। আর এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ তিস্তার দুই পাশে ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে জলাধার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। এই জলাধার নির্মাণে অর্থায়ন করছে চীন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুমে তিস্তায় যে পানি আসে সেই পানি তিস্তা থেকে এই জলাধারগুলোতে সংরক্ষণ করা হবে এবং শুকনো মৌসুমে এই পানি তিস্তায় প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে। এই জলাধার নির্মিত হলে বাংলাদেশের জন্য তিস্তা আর কোনো মাথাব্যথার কারণ হবে না এবং পানি চুক্তি হোক না হোক বাংলাদেশ অংশে পানির সমস্যা হবে না। আর এই জলাধার নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই জলাধার বাস্তবায়নের কাজ একনেকের বৈঠকের জন্য আটকে আছে। এখন পর্যন্ত একনেকে এই জলাধার নির্মাণের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়নি। উল্লেখ্য, যখন চীন তিস্তার দুই পাশে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব দিচ্ছে তখন থেকেই ভারত নড়েচড়ে বসেছে এবং ভারত সরকার মনে করছে, তিস্তার দুই পাশে জলাধার নির্মাণ হলে এতে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পানি প্রবাহের যে ভারসাম্য সেটা নষ্ট হবে। তাছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েও ভারত কথা বলছে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে এসেছিলেন এই জলাধারের নির্মাণের কাজ বন্ধের অনুরোধ জানাতে। তার এই সফরের পর জলাধার নির্মাণের কাজে একটু শ্লথগতি আসে।
তবে সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, সরকার এখন পর্যন্ত জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি। এখন নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রধান বিষয় হিসেবে ভারত দেখছে, যেকোন মূল্যেই এই জলাধার নির্মাণকে স্থগিত করা বা বাতিল করা। আর এটি নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রধান টার্গেট বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর বিনিময়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে কি দেবেন বা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে টানাপোড়েনের বিষয়গুলো আছে বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যু, সেগুলোর কি হবে সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে কূটনীতিক মহল মনে করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিস্তার জলাধার বন্ধের মিশনে মোদি সফল হবেন কিনা সেটি হলো দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন