নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক সময়কার শক্তিমান অভিনেতা টেলি সামাদ। অনেকটা নীরবে নিভৃতেই এখন তাঁর বসবাস। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং কৌতুক নিয়ে তাঁর কিছু প্রত্যাশার গল্প শোনান বাংলা ইনসাইডারকে।
কেমন আছেন?
শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শরীর নিয়ম অনুযায়ী দুর্বল হয়েছে। আগের মত যাতায়ত করতে পারি না। সেই দিনগুলো মিস করি ভীষন। ঘুম থেকে উঠে এফডিসির জন্য রেডি হতাম। চাকরির মতো ছিল। প্রতিদিন নিয়ম করে যথাসময়ে হাজির হতাম। শুটিং আড্ডা সবকিছু হতো চলচ্চিত্রকেন্দ্রীক। সবার ভিতর একটা উৎসবের আমেজ ছিল। সেসব দিনের কথা মনে করে মাঝে মাঝে বিষন্ন হয়ে পড়ি। অফার যে এখনো পাই না তা নয়। কিন্তু শরীর এমনভাবে দূর্বল হয়ে যাচ্ছে, সাহসে কুলায় না। মনের জোর দিয়ে তো সব সম্ভব নয়।
বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন দেখছেন?
দেখছি না বললেই চলে। আমি যখন শেষ চলচ্চিত্রের খোজখবর নিতাম। তখন অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছিল। তবে গত কয়েকবছরে ভালোর দিকে যাচ্ছে শুনতে পাই। এটাতে আশাবাদী।
চলচ্চিত্রে কৌতুকের একটা অবস্থান রয়েছে। বর্তমান চলচ্চিত্রে তা কেমন উপস্থিত?
এখন তো ভাড়ামিই বেশি হচ্ছে। তাই কৌতুক অভিনেতারা মানুষের মনও জয় করতে পারে না। অথচ একজন কৌতুক অভিনেতা যে মানুষের মনে কতটা জয়াগা তৈরি করতে পারে। তা দিলদার দেখিয়েছেন। হয়তো আমিও কিছুটা পেরেছি। বাঙালি জন্মগতভাবেই রসিক। একটা সময়ে পরিচালক ও চিত্রনাট্যকাররা বাঙালির এ রসবোধকে চলচ্চিত্রের পর্দায় শিল্পের মত নিয়ে যেতে পেরেছেন। এ জন্য কৌতুক বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবস্থান করে নিতে পেরেছে। এখন পরিচালকরা নায়ক নির্ভর হয়েই আছে। কৌতুক অভিনেতাদের দিয়ে ভাড়ামি করে।
একজন কৌতুক অভিনেতার কী কী গুণ থাকতে হবে বলে মনে করেন ?
কৌতুক পরিবেশন সৃষ্টিশীল একটা কাজ, তাই কঠিনও। রোমান্টিক একজন নায়ক দাড়িয়ে থাকলেও দর্শক দেখবে। কিন্তু কৌতুক অভিনেতার এমন কিছু করতে হবে যাতে দর্শক আলাদা করে তাঁর প্রতি লক্ষ্য করে। নিজেকে স্বাবলিল হতে হবে। মনে রাখতে হবে জোর করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা তৈরি করতে পারবে না। হাস্যরস তৈরির সহজাত একটা ক্ষমতা শিল্পীর থাকতে হবে। একজন কৌতুক শিল্পী শুধু চেহারা নয়। হাত পা , চোখ মুখ , সংলাপ সবকিছুরই ব্যবহার জানতে হবে। তাহলেই একজন কৌতুক শিল্পী সহজ হবেন। অনুষঙ্গিক হয়ে উঠবেন। রবিউল ভাই কথা বলার সময় কান নাড়াতে পারতেন। খান জয়নুল ভাইয়ের নিজস্ব কিছু ঢং ছিল। আমি যেমন চাইতাম সংলাপ দিয়ে কথার পিঠে কথা বলে দর্শক মাতাতে। দিলদারের সংলাপ দেয়ার একটা ভঙ্গি ছিল। বাংলা চলচ্চিত্রে একটা সময় রবিউল, খান জয়নুল, আশীষ কুমার লৌহ, আনিস, লালু, হাসমতের মতো গুণী কৌতুক অভিনেতারা ছিলেন। শুধু নায়করা নয়। আমরাও প্রতিযোগিতা করে অভিনয় করতাম। আস্তে আস্তে গল্প থেকে কৌতুক উঠে গেল। অথচ একটা সময় সিনেমার আনুষঙ্গিক উপকরণ ছিল কৌতুক। না থাকলে সিনেমা পানসে লাগতো।
আপনার মতে কী কৌতুক শিল্পটা হারিয়েই যাবে?
আসলে সব সংকটেরই একটা উত্তরণ আছে। আমি সেটা বিশ্বাস করি। কাজী জহির, মিতা, সুভাষদা কৌতুক যতটা বুঝতেন। এখনকার সবাই সেটা বুঝে না। গল্পে চিত্রনাট্যে যদি আরও প্রাণ দিতে হয়। তাহলে কৌতুক থাকতেই হবে। কৌতুক দরকার নেই- এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের যাপিত জীবনে কি সবাই ভালো আছি? ভালো থাকটা যেন ভুলেই যাচ্ছি। নাটক সিনেমার কৌতুক হয়তো কিছুটা সময়ের জন্যও আনন্দের খোড়াক হতে পারে।
কৌতুক অভিনেতা বনাম কেন্দ্রীয়, প্রতিযোগিতা কেমন হত?
গল্পে তো কখনোই আমাদের মূল করা হত না। যতটুকু চরিত্র পেতাম। সেখানে দর্শকের দৃষ্টি আমরাও নিতে পারতাম। হল থেকে বের হয়ে আমাদের নিয়েও হত আলোচনা -সমলোচনা। আমরা কেমন করলাম? খান জয়নুল ভাই, আমি, দিলদার, হাসমত ভাই- সবাই এর উদাহরণ। কলকাতাতে, ভানু-জহর এদের উদাহরণ তো আর নতুন করে না দিলেও চলবে।
আপনার আঁকা-আঁকিটা কেমন চলছে?
জীবনে অনেক ছবি এঁকেছি। বড়ভাই (প্রয়াত আবদুল হাই) এত বড় একজন শিল্পী ছিলেন। তার ঘরে জন্মে আমি আর নাম করতে পারিনি। বর্তমানে কিছু ছবি আকার প্ল্যান করছি। আইডিয়া মাথায় আছে। শক্তিও আছে আঁকা আকি করার। এখন দরকার তুলি নিয়ে বসা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ওপার বাংলার তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী। ছেলে ইউভানের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এদিকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুভশ্রী দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুখবর জানান ভক্তদের । কিন্তু মেয়ে ইয়ালিনিকে লাইমলাইট থেকে দূরেই রেখেছিলেন।
তবে শুক্রবার (১৭ মে) ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী দুই সন্তানের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সকালের কথারা।’ সেখানে দেখা যাচ্ছে জানালার পাশে বসে বোনের সঙ্গে গল্প করছে ইউভান।
ছোট্ট ইয়ালিনির মাথায় একটা দুইটি নয়, চারটি ঝুঁটি বেঁধে বসে আছে বাবা রাজের কোলে। আর বোনকে গল্প বলে শোনাচ্ছে ইউভান। এই মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত ভক্তদের নজর কেড়েছে।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে কেন্দ্র
করে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নিপুণ আক্তার ফের আলোচনায়। এবারে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির
পদ হারাতে যাচ্ছেন তিনি। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে
নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।
নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।
বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’ এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডিএ তায়েব।
বিষয়টি তুলে তিনি বলেন, নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ খোলামেলা রূপেই ধরা দেন। তার আবেদনময়ী লুক দর্শকদেরও উচ্ছ্বসিত করে। তিনি একেবারে ন্যাচারাল লুকে সকলের সামনে হাজির হয়েছেন।
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা নুসরাত ভ্রমণে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সিডনির পথে পথে হেঁটে বেড়াতে গিয়ে তিনি পরেছেন এক আবেদনময়ী পিংক কালারের ফুল খচিত ড্রেস।
আর এসব ছবি ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে ইংরেজিতে একটি ক্যাপশন লিখেছেন ফারিয়া। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘সেই শেষ দিন আমি মন দিয়ে কাঁদব বলে ঠিক করলাম। সেই সকালের পর, আমি এই ফুলের মতোই ফুটেছিলাম।’।
সবশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
গত বছর ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লুকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। তখনই জানিয়েছিলেন, লুকটি ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমার। এরপর সিনেমাটির একাধিক মুক্তির তারিখ জানানো হয়। তবে আলোর মুখ দেখেনি ‘ইমার্জেন্সি’। এবার আরও একধাপ পেছাল এর মুক্তির তারিখ।
মুক্তির তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মণিকর্ণিকা ফিল্মস জানায়, “আমাদের রানি কঙ্গনা রানাওতের জন্য আমাদের হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তিনি এখন দেশ ও জাতির সেবাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশের সেবায় তিনি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সে কারণে ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তির তারিখ স্থগিত রাখা হলো। মুক্তির নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।”
সিনেমাটির মুক্তির তারিখ এ নিয়ে দুবার পেছানো হলো। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তির দিন ঠিক ছিল। সিনেমার কাহিনি ও পরিচালনার দায়িত্বে আছেন কঙ্গনা নিজে। সর্বশেষ আগামী ১৪ জুন মুক্তির দিন ধার্য করা হয়।
মূলত ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। সে সময়কালই ধরা পড়েছে এ সিনেমায়।
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের কান সৈকতে আবারও বসেছে সিনেমার বর্ণিল আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। ১২ দিনব্যাপী ৭৭তম এ আসর চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। বিশ্বের সব জনপ্রিয় তারকারা এই উৎসবে নজরকাড়া লুকে হাজির হচ্ছেন। কানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন ঐশ্বরিয়া। রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার। এদিন ঐশ্বরিয়ার পোশাকে অন্যমাত্রা যোগ করেছে তার পোশাকের সাদা স্লিভস। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গোল্ডেন কানের দুল পরেছিলেন এই বলিউড সুন্দরী।
মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হন তিনি। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার। বরং আরও প্রশংসা পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। প্রথমবার ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার সিনেমা ‘দেবদাস’ সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন